কতোটা চাই তোকে পর্ব-০৮

0
4669

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—08
.
.
🍁
“তুমি ড্রিংক করেছো,, কিন্তু তুমি তো ড্রিংক করো না একপ্রকার ঘাবড়ে গিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম আমি কাব্য ভাইয়াকে’!!

_____________________

“এদিকে কাব্য ভাবছে সে কি করে ড্রিংক করলো’!!
অফিসে নিজের রুমে বসে জোরে জোরে শ্বাস ফেলে নিজেকে শান্ত করছিল কাব্য’!!বার বার নিজেকে বোঝাতে ছিল যা হয়েছে তাতে মাইশার কোনো দোষ নেই’!!এসব ভেবে বেশকিছুক্ষন পর নিজেকে স্বাভাবিক করতে পারল কাব্য’!!এমন সময় রুমে আসলো লাবন্য’!!আর লাবন্য হলো কাব্যের খুবই ভালো বন্ধু’!!লাবন্য রুমে ঢুকে বললোঃ

——–“May i Come in Sir…….

——–“yes Come এই বলে সামনে তাকাতেই কাব্য লাবন্যকে দেখে হেঁসে বললোঃ

——–“আরে তুই কি খবর কেমন আছিস…..

“লাবন্য কাব্যের কথা শুনে হেঁসে ভিতরে ঢুকে বললোঃ

——–“হুম ভালো তোর খবর কেমন…….

——–“এই তো চলছে তা তুই কবে ফিরলি দেশে’!!আমেরিকার হাওয়া আর ভালো লাগছে না নাকি……..

———“হুম ফিরেছি কালকে,,

———-“কাল ফিরলে আজ আসছিস কেন কাল কি সমস্যা ছিলো……..

———-“দোস্ত রাগ করিস না কালকে প্রচুর টায়ার্ড ছিলাম সারাদিন ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিয়েছি তাই আর আসা হয় নি’!!এখন বল আমায় বিয়ে কবে করছিস………..

“লাবন্যের কথা শুনে কাব্য উচ্চ স্বরে হেঁসে দিল’!!লাবন্য কাব্যের হাসি দেখে বললোঃ

———-“তুই হাসছিস কেন????

“লাবন্যের কথা শুনে কাব্য নিজের হাসি থামিয়ে বললঃ

———“হাসছি তোর কথা শুনে কি সব বলছিস তুই, আমি তোকে বিয়ে করতে যাবো কেন,,আর আমার বিয়ে হয়ে গেছে……..

“কাব্যের কথা শুনে অবাক হয়ে লাবন্য বললোঃ

——–“কি কবে কখন করলি বললি না তো……..

“ওই তোরে আমি বলিনি আমি বিয়ে করেছি,,তোকে তো মেসেজ দিয়ে ছিলাম’!!

———“আমি তো ভেবেছিলাম তুই মজা করছিস’!!সত্যি তোর বিয়ে হয়ে গেছে’!!

———“আরে সত্যি বিয়ে হয়ে গেছে আর তুই তো আমার সব জিনিসই মজা মনে করিস’!!

———“আর আমিও তো মজা করছি পাগল,,তুই কি ভেবেছিস আমি সত্যি সত্যি তোকে বিয়ে করতে বলেছি’!!

“কাব্য লাবন্যের কথা শুনে আবারো হাসলো’!!তারপর বললোঃ

—–“হুম জানি আমি বহুবার করেছিস……এই বলে আবারো হাসলো কাব্য’!!

_____________________

“এদিকে লাবন্যের কাব্যের হাসি দেখে বুকের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে’!!সেই ভার্সিটির লাইফ থেকে লাবন্য কাব্যকে ভালোবাসে কখনো সাহস করে বলতে পারে নি’!!আর যতবারই বলেছে প্রত্যেক বারই কাব্য মজা মনে করে তা উড়িয়ে দিয়েছে’!!তারপর হর্ঠাৎ তাকে একবছরের জন্য আমেরিকা যেতে হলো জরুরি কাজে যার কারনে আর বলা হয় নি সিরিয়াস ভাবে’!! বলা হয়নি কাব্যকে তার মনের কথা’!!এই মুহূর্তে লাবন্য কাব্যকে কাছে পাওয়ার পুরো নেশায় ছিলো’!!এত দিনের ইচ্ছে এইভাবে নষ্ট হয়ে যাবে তা হয়তো ভাবতেও পারে নি লাবন্য’!!লাবন্য হালকা হেঁসে বললোঃ

———-“তা মিষ্টি কবে খাওয়াচ্ছিস আমার কিন্তু ট্রিট চাই……..

“কাব্য হাসলো তারপর বললোঃ

——–“ঠিক আছে তুই যেহেতু বিয়েতে ছিলি না তাই একটা ছোট্ট ট্রিট দেওয়াই যায়’!!

“এই নিয়ে দুজনের মধ্যে গল্প শুরু’!!তারপর ওরা মিলে ঠিক করে রাতে একটা বড় ডিস্কে গিয়ে পার্টি করবে’!!কাব্য আর কিছু বলে নি……

“কাব্য বাসায় ফোন করে বলে দেয় তার আজকে ফিরতে দেরি হবে’!!কথা মতো রাতের সব কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি কাব্য বেরিয়ে যায় অফিস থেকে’!!

__________________________________________

_____________________

“রাতে ডিস্কে………
“লাবন্য সফট ড্রিংকস এর মধ্যে নেশা জাতীয় কিছু মিশিয়ে দিয়ে কাব্যের হাতে দিলো’!!এমন সময় কাব্যের সাথে দেখা হয়ে যায় তার আরেক বন্ধু রিয়াদের সাথে যার ফলে লাবন্য কাব্যকে ড্রিংক খাওয়াতে পারলেও যেটা করতে চেয়েছিল সেটা করতে পারে নি………..’!!রিয়াদ গাড়ি করে কাব্যকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে চলে যায়’!!

“বর্তমানে………

——-“কি হলো কথা বলছো না কেন……..

——–“না কিছু না তুই সর আমি ঘুমাবো……

“কাব্যের কথা শুনে আমি কিছুটা সরে বসলাম’!!ভাইয়া বিছানায় শুয়ে পরলো’!!এমন সময় আমি বিছানা থেকে উঠে যেতে নিলে ভাইয়া আমার হাত ধরে বললঃ

———“কোথায় যাচ্ছিস তুই……….

——–“না মানে কোথাও না তো…..এই বলে আবারো বিছানায় বসে পরলাম আমি’!!

“মাইশা বসতেই কাব্য এসে মাইশার কোমড় জড়িয়ে ধরে ওর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পরে বললোঃ

——-“একদম নড়বি না….

——-“ঠিক আছে…….

“আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ

——-“তুমি কি আমার উপর রেগে আছো ভাইয়া…….

——–“এই তোকে ভাইয়া বলতে বারন করেছি না’!(চেঁচিয়ে)

——–“সরি সরি তোমার নাম ধরে ডাকবো তাহলে……

———“না জামাই বলে ডাকবি……

———“কি……..

———“কানে শুনোছ না তুই…….

———“না মানে আমি সত্যি ওই নামে ডাকবো তোমায়……..

———–“ওই নামে না ডাকলে তোকে অনেক বড় শাস্তি দিবো………

———–“কি শাস্তি দিবা তুমি……..কথাটা বলতেই কাব্য মুখ তুলে তাকালো আমার দিকে’!!যা,দেখে রীতিমতো কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে আমার’!!

.

“এদিকে কাব্য মাইশার দিকে নেশা ভরা চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে’!!হর্ঠাৎই কাব্য বলে উঠলঃ

———“কি শাস্তি দেওয়া যায় বল তো…..

——–“না কোনো শাস্তি দেওয়া লাগবে না আমি আর তোমায় ভাইয়া ডাকবো না…….

———“হুম তা ঠিক আছে কিন্তু এখন যে ভাইয়া ডাকলি তার জন্য তো একটা শাস্তি তোকে পেতেই হবে’!!আর তার সাথে দুপুরেও তুই আমায় প্রচুর রাগিয়েছিস তার শাস্তিও তোকে পেতে হবে’!!

“কাব্যের কথা শুনে ভয়ে ঢোক গিললাম আমি’!!তারপর কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ

———-“বিশ্বাস করো দুপুরে যেটা হয়েছে তাতে আমার কোনো দোষ ছিলো না ওই আবির ভাইয়া না বুঝে করেছিল তারপর আমি তো তাকে বলে দিয়েছি আমার বিয়ে হয়ে গেছে'”!! আর তোমার মতো এত সুন্দর ছেলেরে রেখে অন্য কারো দিকে তাকাবো কেন???(জোরপূর্বক হেঁসে)

———-“সত্যি বলছিস…….

———“হুম একদম সত্যি বলছি……..

“এখন তাহলে একটা কিস কর’!!

“কাব্যের কথা শুনে আমার চোখ রসগোল্লার মতো হয়ে গেল’!!মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসলঃ

———“কি…….

———-“তুই কি কানে শুনোস না,,হর্ঠাৎই কাব্য আমার দু-গাল চেপে ধরে বললঃ

———“তুই কবে বুঝবি পাগলী…….

———“কি বুঝবো…….

———“আমার মাথা বুঝবি তোকে কিছু বুঝতে হবে না তোকে যেটা করতে বলেছি সেটা কর’!!

——–“না আমি পারবো না আমি ওগুলো পারি না………

———“তুই পারবি না……..

———-“না……

———-“সত্যি পারবি না(রেগে)

“আমি কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বললামঃ

———-“আমি ওসব পারি না,,আচ্ছা গালে করলে চলবে……….

———-“হুম চলবে………

“তারপর আর কি মাইশা তার চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে আস্তে করে কাব্যের গালে চুমু দিলো’!!প্রথমে বাম গালে তারপর ডান গালে তারপর কপালে এইভাবে কাব্য হাতের ইশারায় মাইশাকে বলছিল আর মাইশা বেচারি আর কোনো উপায় না পেয়ে তাই করছিল…….

“হর্ঠাৎই কাব্য মাইশার মাথা ধরে মাইশার ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিলো’!!ঘটনাটা হর্ঠাৎ করে হওয়ায় মাইশা,পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল’!!!মাইশা কি হচ্ছে তা সব যেন তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে’!!পরক্ষণেই বুঝতে পেরে কাব্যের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করছিল’!!কিন্তু ব্যর্থ সে……….

“বেশকিছুক্ষন পর কাব্য মাইশাকে ছেড়ে দেয়’!!কাব্যের কাছ থেকে ছাড়া পেতেই মাইশা জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে শুরু করল’!!কিছুক্ষন পর নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো সেঃ

——-“এটা কি হলো……

“বিনিময়ে কাব্য কিছু বললো না মাইশাকে তীব্রভাবে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো’!!

__________________________________________

_____________________

“সকালে সূর্যের আলো মুখে পরতে ঘুম ভাঙল কাব্যের’!!মাথাটা জিম জিম করছে তার’!!হর্ঠাৎই বুকের উপর ভাড়ি কিছু অনুভব করায় নিচের দিকে তাকালো’!!মাইশাকে তার বুকের উপর শুয়ে থাকতে দেখে কিছুটা অবাক হলো কাব্য’!!হর্ঠাৎই কাব্য কাল রাতের ঠিক কি হয়েছিল তা মনে করার চেষ্টা করলো’!!কিন্তু কিছুই মনে পরলো না তার’!!সে আস্তে করে মাইশাকে ছাড়িয়ে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল’!!বেশকিছুক্ষন পর ফ্রেশ হয়ে বাহিরে বেরিয়ে আসলো কাব্য মাথাটা প্রচন্ড বেগে ভার হয়ে আছে তার’!!কাব্য তার মাথাটা ধরে সোফায় বসে পরল’!!কিছুক্ষণ পর সোফা থেকে উঠে নিচে চলে গেল’!!

“হর্ঠাৎ ঘুম ভাঙল আমার’!!পাশে কাব্য না থাকায় আমি বুঝতে পেরেছি ভাইয়া উঠে চলে গেছে’!!তারপর আমিও বিছানা উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলাম’!!কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে আসতেই কাব্য ভাইয়াকে বিছানায় দেখতে পেলাম’!!আমি কিছু বললাম না’!!চুপচাপ টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছতে লাগলাম’!!হর্ঠাৎই কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

———“মাইশা কাল রাতে আমার কি কিছু হয়েছিল……

“কাব্যের কথা শুনে আমি বুঝে গেছি ভাইয়ার কিছু মনে নেই’!!যাক ভালো হইছে’!!আমি হালকা হেঁসে বললামঃ

———-“কই না তো,হুম তুমি কালকে ড্রিংক করে এসেছিলে এটা কিন্তু ঠিক নয় তুমি জানো কালকে তুমি তোমার মধ্যে ছিলে না,,আর এসব ছাইপাস খাবে না,,কিন্তু তুমি তো এগুলো খাও না’!!কাল কেন খেয়েছিলে……..

“মাইশার কথা শুনে কাব্য নিজেও অবাক সত্যি তো সে ওইসব খায় না’!!আর তার যতদূর মনে পড়ে কালকে লাবণ্যের দেওয়া শুধু সফট ড্রিংকসই খেয়েছিল তাহলে কি ওটায় কিছু মেশানো ছিলো নাকি…………।
!
!
!
!
!
!
#চলবে………….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে