#ওয়ারদূন_আসরার
#লাবিবা_ওয়াহিদ
|| শেষাংশ ||
জাইফ বলে,”না পিতা আমার স্ত্রী সেখানে একা আছে। না জানি কি অবস্থায় আছে সে।”
বাদশাহ মুখ গোমড়া করে ফেলে তারপর বলে,”আচ্ছা তুমি যাও কিছুদিন পর আমরা নিজে তোমাদের দুজনকে স-সম্মানে এখানে নিয়ে আসবো!”
★
জাইফ যীনাতে রুমে এসে লাইট জ্বালিয়ে যা দেখলো তা দেখার জন্য সে একদমই প্রস্তুত ছিলো না। যীনাত আরামসে কতো কি খাচ্ছে আর তার সামনে কতো ধরণের খাবার পরিবেশন করা! এক অবয়ব যীনাতকে বাতাস করছে পাখা দিয়ে, আরেক মেয়ে অবয়বী যীনাতের পা টিপে দিচ্ছে আর তার কিছুটা সামনে কয়েকটা অবয়ব ডিস্কো ডান্স দিচ্ছে। যীনাত সেসব নাচ দেখছে আর তৃপ্তি করে খাচ্ছে। ২দিন ধরে তাহলে ম্যাডাম এভাবে ছিলো আর জাইফ এখানে চিন্তায় চিন্তায় মরছে। আলো দেখতেই যীনাত বেলকনির দিকে তাকায় এবং দেখে জাইফ দাঁড়িয়ে। যীনাত আনন্দের চোটে খাবার ফেলে জাইফের দিকে দৌড়ে গিয়ে জাইফকে জড়িয়ে ধরলো। অবয়কগুলো সাথে সাথে অন্যদিকে ফিরে গেলো লজ্জায়। জাইফও মুচকি হেসে যীনাতকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে। যীনাত চোখ বন্ধ করে হাজারো অনুভূতি নিয়ে বলে,”আপনি ফিরেছেন জাইফ! আপনাকে ছাড়া একেকটা প্রহর আমার ১বছর সমান লাগছিলো। কেন ৩দিন সময় নিলেন বলুন তো তাও এই বন্ধ, অন্ধকার ঘরে ফেলে?”
জাইফ যীনাতের ঘাড়ে নিজের নাক ঘষলো এতে যীনাত শিউরে উঠলো এবং জাইফের শার্ট খামচে ধরলো। জাইফ যীনাতের ঘাড়ে নাক ডুবিয়ে বলে,”এমন বউকে একা ফেলে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না বউ! কি করবো বলো আব্বুজান আম্মুজান ছাড়লো না নয়তো কালকেই চলে আসতাম। কিন্তু এখানে এসে তো দেখি রাজ্য চালাচ্ছো!”(ঘোরলাগা কন্ঠে)
জাইফের শেষের কথায় যীনাত ফিক করে হেসে দেয় এবং নিজেকে ছাড়াতে নিতেই জাইফ নিজের সাথে জড়িয়ে ধরলো। জাইফের গরম নিশ্বাস যীনাতের কাঁধে আছড়ে পড়ছে যা তাকে পাগল করে ছাড়ছে।
– জা… জা… জাইফ কি করছেন কি ছাড়েন এখানে অনেকেই আছে।
সাথে সাথে জাইফ যীনাতকে ছেড়ে দিলো। সে খেয়ালই করেনি রুমে আরও অবয়বরা ছিলো। তাদের দিকে তাকিয়ে দেখে তারা আগে থেকেই অন্যদিকে ফিরে আছে। জাইফ হাসলো সাথে যীনাতও। জাইফ বলে,”তা ম্যাডাম এরা তোমার কথা কি করে শুনছে হুম?”
– আমি নিজেই তো জানিনা। মনে মনে বলেছিলাম যে এদের যদি চোখের ইশারায় নাচাতে পারতাম। এটা বলার পর অটোমেটিক এরা নাচতে শুরু করছিলো। প্রথমে কিছুই বুঝিনি। যখন দেখলাম এগুলায় মজা পাচ্ছি তাই সেসব ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে এদের কান্ড দেখছিলাম। পরে খুদা লাগলো ওরা নিজেরাই কোথা থেকে জানি খাবার নিয়ে হাজির হয় আবার…. আবার….
-(বলতে না দিয়ে) হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝেছি।
– কি বুঝলেন?(ভ্রু কুচকে)
– তোমার মাথায় যেই মণিটা আছে সেটার জন্যই এসব হচ্ছে। তুমি ওদের দিয়ে যা ইচ্ছা করাতে পারো ওরা খুশিমনেই আপনার সেবা করবে ম্যাডাম!(হেসে)
যীনাত একবার জাইফের দিকে তো আরেকবার অবয়বগুলোর দিকে তাকায়। এদের সাথে তার বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। যীনাত তাদের বলে যেনো তারা ইসলাম গ্রহণ করেই তার কাছে ফেরত আসে। অবয়বগুলো মাথা নেড়ে একসাথে চলে গেলো। জাইফ হ্যাবলার মতো তাকিয়ে বলে,”ওদের মতো শয়তান পূজারী হবে কিনা মুসলিম? মাথা ঠিক আছে তোমার?”
– হ্যাঁ ঠিক আছে। আমি ওদের থেকে সব শুনেছি। ওরা বলেছে সর্দার তাদের উপর নাকি অনেক জোরজবরদস্তি করতো, নির্যাতন করতো তাই তারা বাধ্য হয়ে শয়তানকে পূজা করতো। আমার উপর ভরসা রাখুন আমি শিওর ওরা মুসলিম হবে।
★
এভাবে আরও একমাস কেটে যায়। আজ ৩ মাসের কাছাকাছি হলো নিকেশ জাইফ বা যীনাতের সাথে কথা বলেনা। মল্লিকা দেবী জাইফের সাথে কথা বললেও যীনাতের সাথে কথা বলেনা। দেবনাথ দেব বুঝতে পারে অবস্থা খারাপের দকে যাচ্ছে। তাই আর দেরি না করে সে সিদ্ধান্ত নিলো নিকেশের সাথে কথা বলবে বুঝাবে নয়তো হিতে-বিপরীত হতে পারে। দেবনাথ দেব নিকেশের কক্ষের দরজার কাছে এসে দাঁড়ায় এবং বলে,”আসবো নিকেশ!”
নিকেশ তখন কিছু ফাইল চেক করছিলো, দরজার দিকে তাকিয়ে বলে,”আরে বাবা আসেন আসেন পারমিশন নিচ্ছেন কেন.. আসেন বসেন!”
দেবনাথ দেব এসে বসলো তারপর বলে,”কি করা হচ্ছ”
– এইতো বাবা ফাইল চেক করছিলাম তা তুমি হঠাৎ এইসময়ে আমার রুমে কি মনে করে বাবা?
– কেন আসতে পারনা বুঝিনা?
– না তা নয়। কোনো প্রয়োজন হলে আমায় বলতে আমি যেতাম তোমার কাছে।
– তার প্রয়োজন হয়নি তাই নিজেই এসেছি এখন শুন আসল কথা শুন।
– জ্বী শুনছি।
– জাইফের আসল পরিচয় জানিস?
নিকেশ চোখ বড় বড় করে বলে,”মানে?”
– মানে হলো জাইফ তোর আসল ছেলে না সে একজন মুসলিম ঘরের ছেলে।
– মানে কি বাবা এসব তুমি কি বলছো?
– ঠিকই বলছি শুন মন দিয়ে। তোর মনে আছে ইউনুসের কথা? জাইফ তার সুসম্পর্কের ভাইপো। ওদের ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণে জাইফকে মেরে ফেলার হুমকি আসে তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে তারা তোর মৃত্যুসয্যা ছেলের জায়গায় জাইফকে রেখেছিলো।
বলেই দেবনাথ দেব থামলো। নিকেশ চমকে গেলো। তার মানে জাইফ তার আসল ছেলে না? তাহলে তার আসল ছেলে কোথায়?
– জাইফ যদি আমার ছেলে না হয় তাহলে আমার ছেলে কোথায়?
– আমি জানি।
জাইফের কন্ঠ পেতেই নিকেশ আর দেবনাথ দেব একসাথে দরজার দিকে তাকায়। জাইফ রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলে,”আমি জানি আপনার আসল ছেলে কোথায় আছে।”
– কোথায় আছে তা তুই কি করে জানলি?
– আমার দাদীমা বলেছে তাই। আপনার ছেলে আর কেউ নয় সোভন।
দেবনাথ দেব আর নিকেশ চোখ বড় বড় করে জাইফের দিকে তাকায়। তারা কোনো হিসাবই মেলাতে পারছে না তা জাইফ তাদের চাহনীতেই বুঝতে পারে। জাইফ আবার বলা শুরু করে,”আমার কথায় বিশ্বাস না হলে আমি কাকামনিকে কল করছি জেনে নাও।”
বলেই জাইফ কমলা দেবীর ছেলেকে কল করে এবং বলে,”আরে জাইফ যে কেমন আছিস!”
– কাকামনি একটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিলো।
বলেই জাইফ লাউডস্পিকারে দিলো।
– হ্যাঁ বল কি বলবি।
– তুমি সোভনকে কোথায় পেয়েছো?
কাকামনি সাথে সাথে চুপ হয়ে যায়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও যখন দেখলো কাকামনি চুপ তখন জাইফ আবার বলে,”কাকামনি প্লিজ বলো চুপ করে থেকো না!”
কাকামনি সোজাসাপ্টা বলে,”আমার ছেলেকে কোথায় পাবো মানে কি জাইফ? এগুলো কোনো প্রশ্ন হলো?”
এবার দেবনাথ দেব ধমক দিয়ে বলে,”তাহলে তখন চুপ করে ছিলি কেন সত্যি টা বল!”
দেবনাথ দেবের ধমকে কাকামনি চুপসে যায়। অনেকক্ষণ পর গিয়ে বলা শুরু করে,”সেদিন আমি আর মিষ্টি বেরিয়েছিলাম ঘুরতে একটা পার্কে। হঠাৎ একটা ফুটফুটে বাচ্চাকে এক ঝোপের পিছে কান্নারত অবস্থায় পাই। বাচ্চাটা এতোই মায়াবী ছিলো যে তাকে দূরে ঠেলে দিতে পারেনি মিষ্টি তখনই তাকে আগলে নেয়। সেই বাচ্চাটি-ই আজকের সোভন। জানিনা ওর পরিচয় কি তবে আমি ওকে নিজের ছেলের থেকে কম ভালোবাসি না। প্লিজ মামা আমাদের থেকে সোভনকে কেড়ে নিও না।!”(মিনুতি সুরে)
নিকেশ চোখ বুজে একটা দীর্ঘশ্বাস নেয়। কাকামনির কল কেটে দেয় জাইফ। জাইফ বলে,”এভার বিশ্বাস হলো তো।”
নিকেশ কিছু বললো না। জাইফ আবার বলে,”দাদু সোভন যখন জম্মেছিলো ওর না শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিলো, তার জন্যই না ও আইসিউতে ছিলো?”
দেবনাথ দেব মাথা নাড়ায়। জাইফ সোভনকে ডেকে পাঠায়। সোভন কিছুক্ষণের মাঝেই চলে আসলো।
– ডেকেছিস দাভাই?
– হ্যাঁ শুন তোর কি শ্বাসকষ্টের কোনো প্রব্লেম আছে?
– হ্যাঁ আছে তো। মা বলতো আমার জম্ম থেকেই নাকি এই শ্বাসকষ্টের সমস্যা!
নিকেশ এবার আর বিশ্বাস না করে পারলো না কারণ তাদের পুত্রেরও জম্ম থেকে শ্বাসের সমস্যা ছিলো। হঠাৎ পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আনন্দে কারোই কোনোদিকে খেয়াল ছিলো না। নিকেশ অস্ফুটস্বরে বলে উঠে,”সোভন!”
সোভন অবাক হয়ে নিকেশের দিকে তাকায় কারণ নিকেশের চোখে জল টলমল করছিলো। নিকেশ এসে জড়িয়ে ধরে সোভনকে। সোভন আগা মাথা কিছু-ই বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে কি তার সাথে। কিছুক্ষণ পরে সোভনকে সবটা বুঝিয়ে দেয়া হয় আর সোভন সবটা জেনে হা হয়ে যায়। কি শুনছে সে এসব? বাড়ির সকলে জেনে যায় জাইফ তাদের আসল সন্তান নয়। যীনাত আর জাইফ একপাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে সকলের আনন্দ দেখছে। এ যেনো এক হারিয়ে যাওয়া সুখ ফিরে এসেছে। যীনাত বলে,”সত্যি সত্যিই কি বাদশাহ আর আপনার মা আসবেন!”
– হুম আমি খবর পেয়েছি তারা কিছুক্ষণের মাঝেই চলে আসবে তারপর তুমি আমি চলে যাবো এক আনন্দময় সুখের রাজ্যে।
যীনাত কিছু বললো না। হ্যাঁ সত্যি সত্যি-ই কিছুক্ষণ পর একজন বোরকা হিজাব পরিহিত মহিলা সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করলো। যীনাত না চিনলেও জাইফ তাকে ঠিকই চিনেছে। মহিলাটি আর কেউ না হাজেরা। হাজেরা সকলকে সালাম দিয়ে বলে,”আমি জাইফের আসল মা আর(সদর দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা সুলায়মানকে দেখিয়ে দিয়ে) সে হলো জাইফের পিতা আমার স্বামী।”
বাদশাহ ভেতরে প্রবেশ করছে না দেখে দেবনাথ দেব জিজ্ঞেস করেন,”উনি ওভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?”
– আসলে ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন এখানে নারীরা বেপর্দায় আছেন দেখে তিনি এখানে আসতে অস্বস্তিবোধ করছেন।
দেবনাথ দেবসহ সবাই হাজেরার ব্যবহারে মুগ্ধ। দেবনাথ দেব মল্লিকা দেবী আর তিশানাকে বললো ভেতরে চলে যেতে তাই তারা চলে যায়। জাইফ তখনই যীনাতের মুখ ওড়না দিয়ে ঢেকে দেয়। বাদশাহ ভেতরে প্রবেশ করলো যদিও এটা হিন্দুবাড়ি বলে তার বেশি অস্বস্তি লাগছিলো কিন্তু খারাপ দেখায় বলে বাধ্য হয় ভেতরে আসতে। দেবনাথ দেবের সাথে এবং নিকেশের সাথে কুশল বিনিময় করলো। তারপর বলে, “আপনাদের ধন্যবাদ বলে ছোট করতে চাইনা কারণ আপনারাও আমাদের সন্তানের আরেক পরিবার। এতোদিন তাকে পরিবারের একজন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ এবং আপনারা আমাদের জাইফের প্রাণ রক্ষা করেছেন।।
– এভাবে বলবেন না আমরা তো এতোদিন ভেবে এসেছিলাম যে জাইফই আমাদের ছেলে আজ-ই তো সব সত্যি টা জানতে পারলাম।(কিছুক্ষণ চুপ থেকে) আমরা তাকে কতোটুকু শিক্ষা দিতে পেরেছি তা জানিনা তবে জাইফের ব্যবহার আচরণ দৃঢ়তা খুবই প্রখর। আমরা সকলেই তার আচরণে মুগ্ধ। আপনারা সত্যি-ই ভাগ্যবান/ভাগ্যবতী যে উপরওয়ালা আপনাদের এখনকার যুগে এতো ভদ্র একজন পুত্র দিয়েছেন।
উভয়ই মুচকি হাসেন তারপর বলে,” আমাদের ছেলে বলছেন আপনাদের ছেলে নয় বুঝি?”
– সে তো অবশ্যই। ওর মুখে এতোদিন বাবা ডাকটা শুনতাম এখন হয়তো আর সম্ভব না।
জাইফ নিকেশের কাছে গিয়ে তাকে জড়য়ে ধরে বলে,”কে বলেছে শুনবে না তুমি যে আমার বাবা! তোমায় তো ছোটবেলা থেকেই বাবা বলতাম, তোমার আঙুল ধরেই হাটতে শিখেছি আস্তে আস্তে এই পর্যায়ে এসেছি।”
নিকেশ পিঠে হাত বুলিয়ে বলে,”আমায় ক্ষমা করে দিস বাবা না জেনে তোর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছি!”
জাইফ নিকেশকে ছেড়ে বলে,”কোথায় কার সাথে কি ব্যবহার করেছো?? তুমি আমার বাবা হও তাই তোমার অধিকার আছে আমার উপর অভিমান করার।”
সকলে মুদ্ধ হয়ে দেখছে জাইফের আচরণ। একটা ছেলে আদৌ এতোটা সুশীল হয়? নিকেশ যীনাতের কাছেও ক্ষমা চায়। যীনাত বলে,”ছি ছি আংকেল কি বলছেন আপনি এসব আপনি আমার গুরুজন। পরিবার হারিয়ে আপনাদের মতো একটা পরিবার পেয়েছি তো আর কি দরকার আমার?”
নিকেশ যীনাতের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। যীনাতের আচরণে মুগ্ধ হয় জাইফের বাবা-মা। তাদের ছেলে যে বেছে বেছে হিরার টুকরাকেই বউ করেছে। বাদশাহ তাদের বলে যে আজই তারা জাইফ আর তাদের পুত্রবধুকে নিয়ে যাবে। কেউ আর জোর করেনি কেন-ই বা করবে এতোদিন পর তারা তাদের ছেলেকে কাছে পেতে চাইছে এতে তাদের কোনোরকম আপত্তি নেই।
★
ফুলভর্তি বিছানায় বধু সেঁজে গুটিশুটি হয়ে বসে আছে যীনাত আর তার কোলে চোখ বুজে শুয়ে আছে জাইফ। আজ যে তাদের আনন্দের রাত। জাইফ হঠাৎ বলে উঠে,”বউ!”
– বলুন সাহেব!
– আমাদের ১ম বিয়ের বাসর হয়নি তাইনা!
যীনাত কিছু বললো না। জাইফ এবার চোখ খুলে দেখে তার বউটা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। তা দেখে জাইফ হেসে বলে,”ওরে বাবা আমার বউটা তো আলুরদম হয়ে গেছে। মন তো চাচ্ছে টুপ করে গিলে ফেলি তোমায়!”
– যাহ ফাজিল মুখে কি কিছুই আটকায় না?
জাইফ হাসলো। তারপর বলে,”কখনো তোমায় একাকী ফিল করতে দিবো না বউ। সারাজীবন তোমার পাশে ছায়ার মতো থাকবো, কোনো কষ্ট তোমায় আমি পেতে দেবো না।”
জাইফ উঠে যীনাতকে জড়িয়ে ধরলো আর যীনাত পরম আবেশে চোখদুটো বন্ধ করে বুকে মাথা রাখলো। শত বাধা বিপত্তির পর আজ তাদের অবাস্তব ভালোবাসা পূর্ণতা পেলো।
সমাপ্ত🖤
(পুরো গল্পটা কেমন লেগেছে জানাবেন। এই টাইপ গল্প আমি এই প্রথমবার লিখেছি তাই আপনাদের সকলের গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি। ভুল হলে আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন ধন্যবাদ। আপনারা চাইলে ইন শা আল্লাহ খুব দ্রুত নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো আল্লাহ হাফেজ)
Onek Onek shondor hoyese golpo ta 😍😍😍😍😱😱😱ai doroner golpo shunte Onek Valo lage🥰🥰🥰😍😍ar Apu Tumi prothom bar arokom golpo likhso tai ato shondor hoyese 👌👌👌🤗🤗💘💘💘💘Apu arokom aarekta golper opekhai roilam 💞💞💞 ashakori oi golpota aro beshi shondor hobe💝💝💝💝😊😊😘😘😘❤️❤️❤️❤️