ওয়াদা ২৪
কাজী সাহেব ওকে কবুল বলতে বললো ও মাথা নিচু করে কবুল বললো। আমি ভাবতে পারছি না আমার সাথে মেঘের বিয়ে হচ্ছে। এটা কিভাবে সম্ভব। মেঘতো রাত্রিকে ভালোবাসে তাহলে ও এই বিয়েতে রাজি হলো কেন। ওতো চাইলেই বিয়েটা আটকাতে পারতো। নাকি ওকেও আমার মতো বাধ্য করা হয়েছে বিয়েটা করতে। হুম তাই হবে। না হলে মেঘ কখনই এই বিয়েটা করতে রাজি হতো না। মা তোমরা ভাবতেও পারছো না এই বিয়টা আমাদের চার চারটা জীবন নষ্ট করে দিলো। আমাদের চার জনের জীবন শেষ হয়ে গেলো মা শেষ হয়ে গেলো।
-কিরে কাজি সাহেব কখন থেকে তোকে কবুল বলতে বলছে। কবুল বল।(নিশাত)
নিশাতের কথায় হুস ফিরলো। আমিও কবুল বলে দিলাম। কবুল বলার সময় মনে হচ্ছিলো আমার গলায় কাটা বিধে আছে। খুব কষ্ট হচ্ছিলো এই ছোট্ট শব্দটা বলতে। বিয়েটা হয়ে গেলো। আজ থেকে আমি মেঘের স্ত্রী। আজ থেকে আমি মিসেস এহসান। ভাবতেও পারছি না আমার বিয়েটা মেঘের সাথে হয়েছে। আশে পাশে কিছু মহিলা আমায় নিয়ে সমালোচনা করছে। আমাদের নিচের ফ্লাটের রিতা কাকিমা অন্য মহিলাদের বলছে
-আপা আমার মনে হয় কি জানেন ওদের মধ্য আগে থেকেই সম্পর্ক ছিলো। ওরা হয়তো এমন কিছু করেছে যার জন্য ওদের এমন হুট করে বিয়ে দিলো। না হলে আপনারই বলুন সবাই মিলে বিয়ে বাড়িতে গেলো বিয়ে খেতে। বিয়ের সব অনুষ্ঠান শেষ না করেই বাড়ি ফিরে মেয়ের এমন করে বিয়ে দিলো। নিশ্চয় বিয়ে বাড়িতেই কিছু একটা হয়েছে।(রিতা কাকিমা)
-ঠিক বলেছেন আপা। আজকালকার ছেলে মেয়েরা যা সব করে বেড়াচ্ছে কি আর বলবো।(অন্য এক মহিলা)
-আপা আমার নাশুকে একদমি শুভিধার মনে হয়না। জানেন মাঝে মাঝে একটা ছেলে আসে নাশুকে নিতে। ওই ছেলের সাথেই কিছু একটা হয়েছে। এখন ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মেঘের ঘারে নাশুকে ঝুলিয়ে দিয়েছে।(আর একজন মহিলা)
-হুম। ঠিক বলেছো। তাই হবে। আমিও তাই ভাবি মেঘের মতো এতো ভদ্র ছেলে উলট পালট কিছু করতেই পারে না। নাশুই ছেলেটাকে ফাসিয়েছে।(রিতা কাকিমা)
এদের কথা শুনে আমার মরে যেতে ইচ্ছা করছে। মেঘ আমার পাশেই বসে আছে। ঔ সব শুনেছে। ও খুব রেগে যখন উঠতে যাবে আমি ওর হাত ধরে বসিয়ে দি। আর ওকে ইশারায় চুপ থাকতে বলি। কারণ আমি চাইনা এখানে আবার কোনো সমস্যা হোক। এমনিতেই আমার এসব কিছুই ভালো লাগছে না। মেঘ হয়তো বুঝতে পেরেছে তাই ও আর কিছু বললো না। সব রকম নিয়ম কানুন শেষ এখন বিদায়ের পালা। আজ আমি তন্নির বিদায় দিয়ে এলাম আর এখন আমার নিজের বিদায় হচ্ছে। এতোক্ষন আমি একটা কথাও বলিনি। চুপচাপ যে যা বলেছে তাই করেছি। কি বলবো আমি বলার কি আছে আমার। চুপচাপ সব মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই আমার। এখানে কেউ আমার কষ্টটা বুঝবে না। কেউ দেখতে পারবে না আমার হৃদয়ে কতটা রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কেউ বুঝবে না। এখন দরজার সামনে দাড়িয়ে আছি। বাড়ির বাইরে যেই পা দিবো তখনই রিতা কাকিমা বললো
-আরে নাশু দাড়া দাড়া। এভাবে যাস না।
-কেন গো? কি হয়েছে।(সেই মহিলা)
-আরে মানুষ শ্বশুর বাড়ি যায় গাড়িতে। কিন্তু নাশুর শ্বশুর বাড়িতে তো আর গাড়িতে যেতে পারবে না। কারণ বাপের বাড়ির দরজা খুললেই শ্বশুর বাড়ির দরজা।(রিতা কাকিমা)
-হুম। ওকে তো ওর শ্বশুর বাড়ি পায়ে হেটে যেতে হবে।(সেই মহিলা)
-পায়ে হেটে বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাবে এটা কেমন একটা দেখায় না।(রিতা কাকিমা)
-এখন তো অন্য কোনো উপায় নেই পায়ে হেটে যাওয়া ছাড়া।( নিচের ফ্লাটের আর একটা মহিলা)
-উপায় একটা আছে (রিতা কাকিমা)
-কি উপায়?(সেই মহিলা)
-মেঘ তুই নাশুকে কোলে করে তোদের ফ্লাটে নিয়ে যা।(রিতা কাকিমা)
-মানেটা কি এখন আমায় ওকে কোলে তুলতে হবে নাকি?(মেঘ)
-হুম তাই।(রিতা কাকিমা)
-আমি পারবো না।(মেঘ)
-কেন পারবি না কেন?(রিতা কাকিমা)
-পারবো না মানে পারবো না। আমার এইসব ভালো লাগে না।(মেঘ)
-না বললে তো আমরা শুনছি না মেঘ। কোলে তো তোমায় নিতেই হবে।(রিতা কাকিমা)
-আমিতো আপনাদের শুনতে বলিনি। আর আপনারা যা বলবেন আমাকে তাই করতে হবে নাকি? বিয়েতে খেতে এসেছিলেন খাওয়া দাওয়া হয়ে গেছে এখন আপনারা আসতে পারেন। (মেঘ একটু রাগ দেখিয়ে)
-দেখ মেঘ তুমি যেভাবে বলছো তাতে কিন্তু আমি অপমানবোধ করছি।(রিতা কাকিমা)
-আপনি যদি এখনো ববুঝতে না পারেন তাহলে আমার কিছু করার নেই।(মেঘ)
-কি বুঝতে পারছি না আমি?(রিতা কাকিমা)
-এটাই যে আমি আপনাকে সত্যি সত্যি অপমান করছি।(মেঘ)
-মেঘ তুমি আমার সাথে এইভাবে কথা বলতে পারো না।(রিতা)
-হুম। আমি জানি আপনার সাথে আমার আরও খারাপ ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু কি বলুনতো আমার মন মানসিকতা আপনার মতো এতো নিচু না তাই ভদ্র ভাবে বলছি। আপনি এখন আসতে পারেন।(মেঘ)
রিতা কাকিমা রাগে ফুসতে ফুসতে বেড়িয়ে যাচ্ছিলো তখন মেঘ বললো
-আরে দাড়ান। একা কোথায় যাচ্ছেন সাথে এই দুজনকেও নিয়ে যান। এরাওতো একি গোয়ালের গরু।(মেঘ সেই দুজন মহিলাদের কে উদ্দেশ্য করে বললেন যারা তখন রিতা কাকিমার সাথে আমাদের নিয়ে সমালোচনা করছিলো)
ওনারা দুজন মুখ বাকিয়ে চলে গেলো।
-মেঘ তুমি ওনাদের সাথে এমন ব্যবহার করলে কেন?(মা)
-কাকিমা যারা যেমন তাদের সাথে ঠিক তেমন ব্যবহারই করেছি।(মেঘ)
-তবুও ওনাদের সাথে তোমার এমন ব্যবহার করা উচিত হয়নি।(মা)
-উফ্ এইসব এখন বাদ দাওতো। রিতা কাকিমা যেমনই হোক আইডিয়া টা কিন্তু মন্দ দেয় নি।(নিশাত)
-কোন আইডিয়া?(মা)
-আপুকে কোলে করে নিয়ে যাওয়ার আইডিয়াটা। মা তুমি মেঘ ভাইয়াকে বলো না আপুকে কোলে নিতে।(নিশাত)
-নিশাত। তুই বড় হবি কবে বলতো। কাকে কি বলতে হয় তাও এখনো শিখিসনি।(মা)
-মা এখন ডিজিটাল যুগ। মা মেয়ে সবাই ফ্রি ওকে। তুমি বলোনা ভাইয়াকে।(নিশাত)
-তোরা যা পারিস তাই কর। আমি এসবের মধ্যে নেই।(বলে মা ভেতরে চলে গেলো)
-ভাইয়া তুমি আপুকে কোলে করে নিয়ে যাওনা প্লিজ। খুব মজা হবে।
-কিন্তু নিশাত,,,,(মেঘ)
-আমি তোমার একমাত্র শালি। তুমি আমার একটা কথা রাখবে না।(একটু মন খারাপ করে বললো)
-আচ্ছা ঠিক আছে। আর মন খারাপ করতে হবে না। আমি নিচ্ছি।(মেঘ)
ও কথাটা বলার সাথে সাথেই আমি ওর দিকে তাকালাম। আমি ওকে চোখ রাঙিয়ে মানা করলাম কিন্তু ও আমায় পাত্তা না দিয়ে কোলে তুলে নিলো। সবার সামনে আমি বাধাও দিতে পারছি না। নিশাত সহ বাকি সবাই হাত তালি দিচ্ছে। মেঘ আমায় ওদের ফ্লাটে এনে নামিয়ে দিলো। আমার খুব রাগ হচ্ছে। সবার সামনে এইভাবে কোলে নেওয়ার মানেটা কি। আমি জানি ও আমায় স্ত্রী হিসাবে মন থেকে মানে না আর ঔ জানে আমি ওকে স্বামী হিসাবে কখনো মানবো না। তারপরও ও,,,,,, এইসব ভাবছিলাম এমন সময় কয়েকজন মিলে আমায় বাসর ঘরে এনে বসিয়ে দিলো। সবাই মিলে মেঘ আর আমাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে চলে গেলো। এখন আমি একা বসে আছি। চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছা করছে আমার। তাই ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে ফ্লোরে বসে ভিজছি আর চিৎকার করে কাদছি। আমার সাথে এসব কি হলো আল্লাহ। কেন হলো এসব। কেন আমার জীবনটা এভাবে নষ্ট হতে দিলে। তুমিতো জানো আমি শুভকে কতটা ভালোবাসি আর শুভ আমাকে কতটা ভালোবাসে তারপরও কেন আমরা দুজন আলাদা হয়ে গেলাম। মা তোমার কথা রাখতে গিয়ে আমার আর মেঘের সাথে সাথে শুভ আর রাত্রির জীবনটাও যে নষ্ট হলো। বাকিটা জীবন আমি কিভাবে কাটাবো। শুভ ও কি আমায় কখনো ক্ষমা করবে। আমি যে ওকে করা আমার ওয়াদা ভঙ্গ করলাম। ও সারাজীবন আমার দিকে আঙ্গুল তুলে বলবে আমি একটা ঠকবাজ ওয়াদা ভঙ্গকারী মেয়ে। আমি শুভকে ছেড়ে কিভাবে থাকবো। আচ্ছা শুভ আমায় তন্নিদের বাড়ির সামনে না পেয়ে নিশ্চয় আমায় ঠকবাজ ভাবছে। ও যখন জানতে পারবে আমার বিয়ে হয়ে গেছে তখন। তখন কি হবে। ওতো পুরো পাগলই হয়ে যাবে। আমি জানি ও সহ্য করতে পারবে না। ও এটা মেনে নিতে পারবে না। এইসব ভাবছি আর কাদছি। ঠিক কত সময় শাওয়ারের নিচে ভিজে ভিজে কেদেছি জানিনা। হঠাৎ করে দরজা ধাক্কাবার শব্দ পেলাম। হয়তো মেঘ। আমি তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দিলাম।
-কি ব্যাপার কখন থেকে দরজা ধাক্কাচ্ছি খুলছিলে না কেন?(মেঘ)
-সরি। শুনতে পাইনি।
-আর এইসময় ভিজেছো কেন?
-শরীরটা কেমন লাগছিলো তাই।
-একটা কথা পরিষ্কার করে বলে রাখি। মন খারাপ থাকলে শাওয়ারের নিচে বসে কান্নাকাটি করে জ্বর বাধালে আমি তোমার সেবাও করতে পারবো না আর ঔষধও কিনে দিতে পারবো না।
-কিহ্?(অবাক হয়ে)
-হুম। এখন তাড়াতাড়ি চেন্জ করে নাও। (বলেই ল্যাপটপ নিয়ে বসলো)
কি আজব মানুষরে বাবা। ও জানে আজ আমার উপর দিয়ে কি যাচ্ছে তারপরও এমন ভাবে বলতে পারলো। লাগবে না ওনার সেবা আর ঔষধ। যতসব। দরজা লাগিয়ে ভালো করে গোসল করে নিলাম। চেন্জ করতে যাবো তখনই মনে পড়লো আমি কোনো পোষাক আনি নাই। এখন কি পরবো। এই ভেজা শরীরেতো বাইরে যেতে পারবো না। কাকে বলবো আমার জামাকাপড় এনে দিতে। একটা কাজ করি কাকিমাকে ডাকি। দরজা খুলে কাকিমা দু’বার ডাকতেই মেঘ বললো।
-কি ব্যাপার চেন্জ না করে এইভাবে চিল্লাচ্ছো কেন।
-কাকিমাকে একটু ডেকে দিন না?
-মা ব্যস্ত আছে। এখন আসতে পারবে না।
-ও। তাহলে আপনি আমার একটা কাজ করে দিন না।
-কি কাজ?
-ওই বাড়ি থেকে আমার জামা কাপড় আনা হয়নি। আপনি একটু গিয়ে আমার জামা কাপড়গুলো এনে দিবেন। মাকে বললেই দিয়ে দেবে।
-কিহ্ আমি এখন তোমার কাপড় আনতে যাবো?
-হুম। জামায় তো আনতে বলেছি অন্য কিছু না তাতে এতো অবাক হওয়ার কি আছে।
-বিয়ে হতে পারলো না আর ওনার হুকুম শুরু হয়ে গেলো। এই জন্যই ছেলেরা বিয়ে করতে চাইনা। আমি এইসব আনতে পারবো না।
-তাহলে আমি কি এইভাবেই থাকবো নাকি।
-সেটা আমি কি জানি। ভেজার সময় মনে ছিলো না।
-সরি। ভুল হয়ে গেছে। প্লিজ এনে দিন না।
-পারবো না যখন বলেছি তখন পারবো না। (বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো)
এখন আমি কি করবো। কাকিমাতো ব্যস্ত আছে। তাও কয়েকবার কাকিমাকে ডাকলাম। এবার পাশের ফ্লাটের একজন ভাবি এলো।
-কি হলো নাশু ডাকছো কেন কাকিমা একটু ব্যস্ত আছে। আমায় বলো কি লাগবে।(বলতে বলতে রুমে এলো)
-নাশু কোথায় তুমি?
-ভাবি আমি এখানে?
-এমা তুমি এখানে এইভাবে ভেজা শরীরে দাড়িয়ে আছো কেন?
-আসলে হয়েছে কি,,,,
-তার আগে বলোতো তুমি এখন গোসল করলে কেন।
কি বলবো এখন কেন গোসল করেছি। সত্যিটাতো বলতে পারবো না যে কান্না করার জন্য ভিজেছি।
-কি ভাবছো এতো?
-কই কিছু না। আ,,,,স,,লে হয়েছে কি,,,
-থাক কি হয়েছে সেটা আর বলা লাগবে না। আমি বুঝেছি।
হায় আল্লাহ উনি কি বুঝে গেছেন আমি কাদছিলাম। এখন যদি জিজ্ঞেসা করে কেন কাদছিলাম তাহলে কি বলবো
-আপনি কি বুঝেছেন।
-যা হয়েছে তাই বুঝেছি। কিন্তু তোমায় রুমে অনেক্ষন আগে রেখে গেলেও মেঘতো একটু আগেই রুমে ঢুকেছিলো তাও আবার অল্প সময় পরই বেরিয়ে আসলো। এর মধ্যই সব হয়ে গেছে। এতো তাড়াতাড়ি? দেরি আর সহ্য হচ্ছিলো না বুঝি।
-মানে?
-ন্যাকা কিছুই বুঝতে পারছো না মনে হচ্ছে।
-আমি সত্যিই কিছু বুঝতে পারছি না।
-বিয়ের দিন রাতে মানুষ কেন গোসল করে সেটা সবাই জানে ঠিক আছে। আমারও বিয়ে হয়েছে বুঝলে।
এবার আমি বুঝতে পারলাম উনি আসলে কি ভেবেছেন। ওনার কথাই অনেক লজ্জা পেলাম। ইস কি না কি ভাবছেন উনি এখন।
-ভাবি আপনি যা ভাবছেন তেমন কিছুই না।
-আর শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে হবে না বুঝলে। আর এতো লজ্জাও পেতে হবে না। আমি কাউকে কিছু বলছি না।
-এই নাও তোমার জামা নিয়ে এসেছি। আরে ভাবি আপনি? (রুমে এসে ভাবিকে দেখে জিজ্ঞাসা করলো)
-হুম আমি। তোমার বউ তার শ্বাশুরিকে ডাকছিলো এই ভেজা শরীরে। ভাগ্য ভালো আমি এসেছি অন্য কেউ আসলে কি হতো বলোতো।(ভাবি মুচকি হাসি দিয়ে)
-ওর শরীর খারাপ লাগছিলো তাই গোসল করেছে।
-বুঝেছি ভাই বুঝেছি। নাও এবার বউকে জামাটা পরিয়ে দাও। বেচারি কখন থেকে ভেজা শরীরে তোমার জন্য দাড়িয়ে আছে।(হাসতে হাসতে চলে গেলেন)
ভাবির কথায় খুব লজ্জা পেয়েছি। মেঘের দিকে তাকাতে পারছি না। মেঘ কি যে ভাবছে। কোনো মতে ওর হাত থেকে জামাটা নিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম। মেঘ আর আমার সম্পর্ক কখনো অন্য স্বামী-স্ত্রীর মতো হবে না। এই বিয়েটা আমরা কেউ মানি না তাও এতো লজ্জা লাগলো কেন।
চলবে,,,
#মেহজাবিন_নাশরাহ