ওয়াদা ৩৪

0
3847

ওয়াদা৩৪
-হ্যা বলো।(মেঘ ওখানে দাড়িয়েই বললো)
-একটু এইদিকে আসুন না।(জয়া ন্যাকামি করে)
-ওকে আমার একটা জরুরি কল করার আছে। কথা বলেই আসছি।(বলে মেঘ একটু দূরে গিয়ে দাড়িয়ে কথা বলতে লাগলো)
-ওই তুই আবার ওনাকে ডাকছিস কেন?(আমি)
-কেন আবার ফুচকা খাওয়াবো তাই।(জয়া)
-টাকা কে দিবে?(আমি)
-কে আবার তুই। তা না হলে তোর বর।
-আমার বর কোথা থেকে দেবে আজব। সে এখানে আছে নাকি।(আমি)
-দোস্ত তোর বরকে এখানে আসতে বললেই তো হয়।(তুবা)
-উনি ব্যস্ত আছেন এখন আসতে পারবে না।(আমি)
-তুই একবার কল করেই দেখনা কি বলে।(অনিক)
-বললাম তো ব্যস্ত আছে। আসতে পারবে না।(আমি)
-আসতে পারবে না নাকি তুই চাস না যে আসুক। কোনটা?(অনিক)
-আমি এমনটা কেন চাইবো।(আমি)
-কারণ তুই এই বিয়েটা মন থেকে মানতে পারিস নি?(অনিক)
-এটা তোদের ভুল ধারনা। আমি এই বিয়েটা মন থেকেই মেনেছি। আর আমি আমার স্বামীকে ভালোও বাসি।(আমি)
-তাহলে ডাকতে প্রবলেম কোথায়?(তুবা)
-আচ্ছা ঠিক আছে। আমি কল করে দেখছি।
বলে আমি একটু অন্য পাশে গিয়ে ফোনটা কানে ধরলাম। কাউকেই কল করিনি। এমনি এমনি ফোন নিয়ে দাড়িয়েছিলাম। যাতে ওরা মনে করে আমি ওনার সাথে কথা বলছি। একটু পর ওদের কাছে গেলাম।
-কি কথা হয়েছে।(তুবা)
-হুম। ওনার একটা জরুরী কাজ
আছে রে। আসতে পারবে না।
-তুই ফোনটা আমার কাছে দেতো আমি কথা বলছি। কি এমন জরুরী কাজ যে আসতে পারবে।(তুবা)
-না না।
-না মানে?(তুবা)
-আমিতো মজা করছিলাম। উনি আসছেন। তোরা খাওয়া শুরু কর উনি চলে আসবেন।
-তুইও না নাশু,,,,,(অনিক)
-হি হি হি,,,।(আমি একটু হাসলাম)
-দোস্ত তোরা এইসব ফাও কথা বাদ দিয়ে একটু স্যারের দিকে তাকা প্লিজ।(জয়া)
-স্যারের দিকে আবার তাকানোর কি হলো?(আমি)
-স্যারের কানে ফোন ধরার স্টাইলটা দেখ। জাস্ট ওয়াও???
-মানেটা কি? আমিতো তোকে বললাম স্যার বিবাহিত তারপরও তুই স্যারের দিকে নজর দিচ্ছিস?(আমি)
-কোথায় লেখা আছে বিবাহিত ছেলেদের উপর ক্রাশ খাওয়া যাবে না। আর তাছাড়া আমিতো ওনার সাথে প্রেম করছি না।(জয়া)
-তুই এতো লুইচ্চা কবে থেকে হলি বলতো?(আমি)
-ওতো জন্মের পর থেকেই এমন লুইচ্চা। (নিয়ন)
-ওই কি বললি তুই?(জয়া রেগে বললো)
-ঠিকই বলেছি। তুইতো হসপিটালে হয়েছিলি আর হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের দিকে ডেব ডেব করে তাকিয়েছিলি। তখনই বুঝেছিলাম তুই এক নাম্বারের লুইচ্চা হবি।(নিয়ন)
-তবে রে,,,(বলে জয়া যখন নিয়নের দিকে যাবে তখনই মেঘ আসলো)
-হ্যা জয়া বলো কি বলবে?(মেঘ)
-তেমন কিছু না স্যার নাশু আমাদের ওর বিয়ে উপলক্ষে ফুচকা খাওয়াচ্ছে তাই আপনাকেও ডাকলাম।(জয়া)
-কোথায় বড় কোনো রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে গিয়ে খাওয়াবা তা নয় এখানে ফুচকা খাওয়াচ্ছো। তুমি এতো কিপটা আগে জানতাম না তো?(মেঘ আমায় কথাগুলো বললো। আমি ওর দিকে রাগি চোখে তাকালাম)
-একদম ঠিক বলেছেন স্যার। শুধুমাত্র ফুচকায় চলবে না নাশু। আমাদের রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে গিয়ে খাওয়াতে হবে।(নিয়ন)
-কিন্তু ফুচকাতো ওডার দেওয়া হয়ে গেছে।(আমি)
-ব্যাপার না ফুচকা খেয়ে তারপর রেস্টুরেন্ট এ যাবো। ইয়া খুব মজা হবে। স্যার আপনিও কিন্তু আমাদের সাথে যাবেন।(জয়া লাফাতে লাফাতে বললো)
-অবশ্যই যাবো। ও আমার স্টুডেন্ট তার উপর আমরা একি সাথে থাকি। যেতেতো হবেই।(বলে মুচকি মুচকি হাসছে)
-স্যার একি সাথে থাকেন মানে?(জয়া)
-মানে আমরা তো একি বিলডিং এ থাকি তাই বললাম।(মেঘ)
-ওহ আচ্ছা।
ফুচকা বানানো শেষ। আমরা সবাই মিলে ফুচকা খাচ্ছি। মেঘ আমার পাশে দাড়িয়ে খাচ্ছে। হঠাৎ করে ওর ফোনটা বেজে উঠলো। ও পকেট থেকে ফোন বের করার সাথে সাথেই দেখতে পেলাম রাত্রি কল করেছে। মেঘ ফুচকার প্লেট রেখে একটু দূরে গেলো কথা বলতে। রাত্রির কল দেখে আমারও মন খারাপ হয়ে গেলো। খেতে ভালো লাগছে না তাই আমিও আর খেলাম না। প্লেট টা রেখে দিলাম।
-কি রে খাবি না আর?(নিয়ন)
-না রে ভালো লাগছে না। আচ্ছা শোন আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি। আর ওনাকে কল করে একেবারে রেস্টুরেন্ট এ আসতে বলছি। আর একটা কথা স্যারের সামনে কেউ বলবি না আমার স্বামী আসছে। ওকে?
-কিন্তু কেন? স্যার জানলে কি প্রবলেম?(তুবা)
-না কোনো প্রবলেম নেই। আসলে স্যার আর উনি বেস্ট ফ্রন্ডে। হঠাৎ করে ওনাকে রেস্টুরেন্ট এ দেখলে উনি খুব খুশি হবেন। প্লিজ স্যারের সামনে বলিস না।(আমি)
-ওকে। আমরা কেউ বলবো না।(তুবা)
তারপর আমি ওয়াশরুমে চলে গেলাম। ওয়াশরুম গিয়ে অনেকক্ষন কাঁদলাম। চোখ মুখ ভালো করে মুছে আবার বাইরে এলাম। তারপর সবাই মিলে রেস্টুরেন্ট এ গেলাম। মেঘ আমার পাশেই বসেছে। হি হি হি আমাকে ফাঁসাতে চাইছিলে তাই না। এবার দেখো তোমার জালে তোমায় কিভাবে ফাঁসাই লাটসাহেব। সারাজীবন মনে রাখবে। মেনু কার্ড নিয়ে অনেক রকম খাবারের আইটেম ওডার দিলাম।
-নাশু এতো কিছুর কি দরকার? অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে তো?(অনিক)
-হ্যারে নাশু। এতোকিছুর দরকার নাইরে। তাছাড়া অনেক বেশি খরচ হয়ে যাবে রে।(তুবা)
-শোন বিলটাতো তোদের দিতে হচ্ছে না। তোরা আমার বিয়ে উপলক্ষে খেতে এসেছিস যা মন চায় তাই খা। টাকা নিয়ে তোরা ভাবিস না।(আমি হাসি মুখে বললাম)
মেঘ আমার দিকে একটু অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। হয়তো বোঝার চেষ্টা করছে আমি এতটা উদার কিভাবে হলাম। বুঝবে চান্দু বুঝবে। খাওয়া শেষ করো তার পরেই বুঝবে। একটু পরে খাবার চলে এলো। সবাই মিলে খুব মজা করে খেলাম। যার যা ইচ্ছা হয়েছে খেয়েছে। আর আমি মেঘকে বেশি বেশি করে খাওয়ালাম। ও নিতে চাইছিলোনা কিন্তু আমি জোর করেই দিচ্ছিলাম। খাওয়া শেষ।
-কি রে তোদের পেট ভরেছে তো?(আমি)
-দোস্ত পেট মন দুইটায় ভরেছে। থ্যাংক ইউ সো মাচ।(নিয়ন)
একটু পরেই ওয়েটার এসে খাবারের বিল পেপার দিয়ে গেলো। বিলটা হাতে নিয়ে দেখলাম ১৩৫৭০ বিল হয়েছে।
-দোস্ত কত হয়েছে রে?(অনিক)
-১৩৫৭০ টাকা।(হাসি মুখেই বললাম)
-কিহ? এতো টাকা বিল হইলো কেমনে?(নিয়ন)
-কেমনে আবার খেয়ে হয়েছে।(জয়া)
-আমরা এতো খেলাম?(অনিক)
-হুম তাইতো দেখছি।(তুবা)
-কিন্তু বিল দেবে কে?(অনিক)
-কে আবার যার দেওয়ার কথা সে।(মেঘ মুচকি হেসে)
-কিন্তু সে তো এখনো আসে নি।(তুবা)
-মানে? বিল তো ওর দেওয়ার কথা তাই না?
-হুম। ওর বলতে ওর হাজবেন্ডের দেওয়ার কথা স্যার। নাশু বলেছিলো চলে আসবে কিন্তু এখনো এলো নাতো।(জয়া)
-কিহ্।(মেঘ অবাক হয়ে কাশতে শুরু করলো)
-কি হলো স্যার? নিন পানি খান।(জয়া)
মেঘ ঢক ঢক করে পুরো এক গ্লাস পানি খেলো। পানি খেয়ে কেমন হাপাতে লাগলো।
-পানি খাওয়া শেষ?(আমি মেঘের দিকে তাকিয়ে বললাম)
-হুম।(মাথা নিচু করে)
-তাহলে এবার বিলটা দিয়ে দিন।
-কিহ্?(সবাই একসাথে অবাক হয়ে বলে উঠলো)
-ওই স্যার কেনো বিল দেবে? বিলতো দিবি তুই আর তোর হাজবেন্ড।(জয়া)
-সেটাই। আমি আর আমার হাজবেন্ডই তো দিচ্ছি বিলটা।(আমি)
-তাহলে তুই স্যার কে বললি কেন?(জয়া)
-কারণ তোদের স্যারই তো আমার হাজবেন্ড।(আমি কথাটা বলার সাথে সাথে সবাই যেন 440 ভোল্টের শকড খেলো।)
-দোস্ত বলিস কি?(অনিক)
-বিশ্বাস না হলে ওনার কাছেই জিজ্ঞাসা কর।(আমি)
-স্যার,,,,,, ও যা বলছে তা কি সত্যি?(জয়া মন মরা হয়ে বললো)
-হুম।(মেঘ)
-এতো বড় একটা কথা তুই আমাদের বলিস নি কেন?(তুবা)
-তাইতো বলি স্যারকে নিয়ে কিছু বললেই তুমি এমন তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠো কেন। এজন্যই স্যারের দিকে তাকালেই তুই আমায় বারণ করতিস তাই না?
ওই তোর বর স্যারের বেস্ট ফ্রেন্ড তাই না? হারামি একটা কিভাবে সবাইকে ঘোল খাওয়ালো।(জয়া)
-তুই আমার বরের দিকে নজর দিবি আর সেটা আমি বসে বসে দেখবো।(বলেই জ্বিব্বায় কামড় দিলাম। ইস কি বলে ফেললাম এটা। সবাই হাসছে। মেঘের দিকে তাকাতেই দেখলাম ঔ আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললাম। তারপর সবাই মিলে অনেকটা সময় গল্প করে বাড়ি ফিরলাম। বাড়িতে ফিরে গোসল করে নামাজ পরে নিলাম। বিকালে মেঘ রুমে এসে বললো
-আজ সন্ধ্যায় আমার একটা ফ্রেন্ডের হলুদ অনুষ্টান। আমাদের যেতে হবে। সন্ধ্যার আগে রেডি হয়ে নিও। তোমরা তো আবার আটা ময়দা মাকতেই দিন শেষ করে ফেলো।(মেঘ)
-শুনুন মেয়েরা মোটেও আটা আয়দা মাখে না ওকে। ওটাকে মেকাপ বলে। আর তাছাড়া আমি সব সময় হালকা সাজি। ভারী মেকাপ করি না।(রেগে বললাম)
-হয়েছে হয়েছে সন্ধ্যার আগে রেডি হয়ে নিও।(বলে কোথায় যেন চলে গেলো)
সন্ধ্যার দিকে মায়ের কাছ থেকে হুলদ রঙের উপর লাল সুতার কাজ করা একটা জামদানি শাড়ি নিলাম। মা খুব সুন্দর করে শাড়িটা পরিয়ে দিলো। চুল খোপা করে তাতে মালা দিয়ে দিলো। আর হালকা কিছু গয়না পরিয়ে দিলো। আমি রেডি হয়ে মায়ের রুম থেকে আমাদের রুমে গেলাম। মেঘ একটা গোল্ডেন ক্লারের পান্জাবী আর পাজামা পরেছে। ওকে দেখেইতো আমি ক্রাশ খাইলাম। হি হি হি। নিজের বরের উপর নিজেই ক্রাশ খাচ্ছি। কি দিনকাল পরলো। মেঘ আমায় এখনো দেখেনি। ও আলমারিতে কি যেন খুজছে। আমি ওর পিছনে গিয়ে দাড়িয়ে বললাম
-আমার হয়ে গেছে।(বলার সাথে সাথে পেছন ফিরে তাকালো।)
আমার দিকে একনজরে তাকিয়েই আছে। পলক পরছে না। ওর এইভাবে তাকিয়ে থাকাতে আমি খুব লজ্জা পেলাম। লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললাম। মেঘ আমার দিকে তাকিয়েই বললো
-মেঘপরী!!!
ওর মুখে এতোদিন পরে আবার এই নামটা শুনে ওর দিকে তাকালাম। দু’জন দু’জনের দিকে তাকিয়ে আছি। চোখে চোখেই যেন আমাদের হাজারো কথা হচ্ছে। ও আমার দিকে এক পা দু পা করে এগিয়ে আসতে লাগলো আর আমি পেছাতে লাগলাম। এইভাবে পিছাতে পিছাতে একদম দেওয়ালে ধাক্কা খেলাম। ও আমার খুব কাছে চলে এসেছে। আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি। ও আমার হাতের পাঁচ আঙ্গুলের মধ্য ওর হাতের আঙ্গুল দিয়ে আস্তে করে চাপ দিলো। আমার হৃদস্পন্দন খুব দ্রুত চলতে শুরু করলো। আমি বুঝতে পারছি ওর মুখটা আমার ঘারের কাছে। ওর গরম নিশ্বাস অনুভব করতে পারছি। হঠাৎ করেই সেদিনের কথা মনে পরলো। সেদিনও ও এইভাবেই আমার কাছে এসেছিলো কিন্তু পরে যে ধমক টাই না দিয়েছিলো। সেদিন ভেবেছিলাম হয়তো ও আমায়,,,,কিন্তু হয়েছিলো তার উল্টা। আর আজও সেটাই ভাবছি। আমি জানি ও এখন আমায় বকবে। কিন্তু ও আমায় অবাক করে দিয়ে আমার ঘারে একটা চুমু খেলো। সঙ্গে সঙ্গে আমার পুরো শরীরেরর ভেতরটা যেন কেঁপে উঠল। ও আমার ঘারে, গালে, হাতে অনেক গুলো কিস করলো। আমি ওকে বাধা দিলাম না। তারপর কখন যেন ওর আর আমার ঠোঁট দুইটা এক হয়ে গেলো। ও আমার হাত ছেড়ে দিয়ে কোমড় জড়িয়ে ধরলো। অনেকক্ষন পর ছেড়ে দিয়ে কানে কানে বললো।
-লিপিস্টিকের স্বাদটা খুব একটা ভালোনা। এবার থেকে ভালো ব্রান্ডের লিপিস্টিক ইউজ করবে না হলে আমার পেট খারাপ করবে। আর তাড়াতাড়ি লিপিস্টিকটা ঠিক করে নিচে আসো আমি গাড়িতে তোমার জন্য ওয়েট করছি।(বলে ও নিচে চলে গেলো)
আর আমি ওখানেই পাথরের মুর্তির মতো দাড়িয়ে রইলাম। এটা কি হলো আর কি বলে গেলো ও আমাকে। আমি ভাবতে ভাবতে মা রুমে এলো।
-কি রে নাশু মেঘ নিচে চলে গেলো তুই এখনো দাড়িয়ে আছিস কেন।(মায়ের কথায় আমার হুশ ফিরলে আমি মায়ের দিকে তাকালাম)
-কি রে তোর লিপিস্টিক এমন লেপ্টে আছে কেন? আর ভেজা,,,,,,,,(এতটুকু বলেই মা বুঝতে পারলেন আসলে কি হয়েছে। আর নিজেই লজ্জা পেয়ে রুম থেকে চলে গেলেন)
ইস মা কি ভাবলো ছিঃ। লজ্জায়তো আমার মাটির নিচে চলে যেতে ইচ্ছা করছে। হঠাৎ ফোনে একটা মেসেজ আসলো মেঘ দিয়েছে,,
-সামান্য লিপিস্টিক ঠিক করতে এতো সময় লাগে? তাড়াতাড়ি আসো।
পাজি ছেলে একটা কখন কি যে করে আল্লাহই জানে। আমিও তাড়াতাড়ি সব ঠিক ঠাক করে মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিচে এলাম। মায়ের সামনে যেতে খুব লজ্জা লাগছিলো কিন্তু তার থেকে বেশি লজ্জা লাগছে মেঘের সামনে যেতে। আমি কোনো রকম মাথা নিচু করে গাড়িতে বসলাম। ওর দিকে সামান্য মাথা উচু করে তাকাতেই দেখলাম ও মুচকি মুচকি হাসছে। তাড়াতাড়ি মাথা নিচু করে ফেললাম।
-এই টুকুতেই এতো লজ্জা এরপর কি যে করবে,,,, (বলে জোরে জোরে হাসতে লাগলো)
ওর মাথায় কি চলছে আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।
চলবে,,,

#মেহজাবিন_নাশরাহ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে