#এক_পশলা_বৃষ্টি
#লেখনীতে-ইশরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব-১১
চৌধুরী বাড়িতে মানুষের সাড়াশব্দ পাওয়া যায়না বললেই চলে। রোমেলা সারদিন চুপচাপ বসে থাকেন, মাঝেমাঝে কেঁদে উঠেন। কি থেকে কি হয়ে গেলো। আচ্ছা, ওনার তো কোনো দোষ ছিলোনা। স্বামী সন্তানের পাপের ফল কেন ওনি পাচ্ছেন? শেষ বয়সে এসে এসব দেখে ওনার বাঁচার আর ইচ্ছা হয়না। শোভা! মেয়েটা কোথায়? একবার ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ কি দিবেনা? কতই না কষ্ট পেয়েছে মেয়েটা! এমন কুলাঙ্গার ছেলে জন্ম না দিলেই ভালো হতো।
‘ আসবো মা?’
সাদের কথায় রোমেলা তাকালো।
‘ আয়।’
সাদ মায়ের বিছানায় এসে বসে। খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে ওকে।
‘ কী হয়েছে? শোভার কোনো খবর জানিস?’
‘ এখনো পাইনি ঠিকঠাক।’
‘ তুই কি মরার আগে আমাকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দিবিনা?’
‘ এমন করে বলছো কেন মা? অবশ্যই পাবো।’
‘ তোর মতো ছেলে যাতে আর কোনো মা জন্ম না দেয়। আমার জীবনটা তুই শেষ করে দিয়েছিস। কত আশা করেছিলাম, তোর থেকে। একটা ভালো মানুষ হবি, ভালো একটা মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেবো।’
‘ এসব কথা থাকনা মা।’
‘ না। আমাকে বলতে দে। তুই সবকিছুর জন্য দায়ী। ভালোর সঙ্গে সবসময় ভালো হয়, আর খারাপের সঙ্গে খারাপ। সেজন্য টিনার মতো মেয়ে তোর কপালে ছিলো। আমাদের পরিবারটাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেলো।’
বলতে বলতে রোমেলা কেঁদে ফেললো। বিশ্বাসঘাতকতার কোনো ক্ষমা নেই। রোমেলা জানে, সাদ যদি শোভার পায়ে ধরে ক্ষমা চায় তাহলে ওকে ক্ষমা করে দিলেও কখনো ওর কাছে ফিরবেনা শোভা। আর ইসলাম ও তাই বলে। কারণ ওদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে। তবুও শোভা আর নাতিদের দেখে কিছুটা হলেও রোমেলার দুঃখ ঘুচবে। মনটা বড্ড অস্থির হয়ে আছে।
সাদ মাথা নিচু করে বসে ছিলো। ওর বুকের ভেতরটা জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে। ভেতরটা ছাই হয়ে গিয়েছে। অহংকার, হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা, বিশ্বাসঘাতকতা কখনোই মানুষকে ভালো থাকতে দেয়না। সেও ভালো নেই। পাঁচ পাঁচটা বছর পর সাদ বুঝতে পারলো ওর ভুলগুলো। যার জন্য ও শেষ হয়ে গিয়েছে। ক্ষণিকের সুখের জন্য ও শোভাকে না যতোটা কষ্ট দিয়েছে, সৃষ্টিকর্তা দ্বিগুণ কষ্ট সাদকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। সন্তান থেকেও নেই, বাবা ডাক শোনা দূরের কথা। ছেলে না মেয়ে হয়েছে তাও জানেনা। ক্রোধগুলো নিমিষেই পরিণত হলো মায়ার চাদরে। একবার খুঁজে পাক, শোভার পা ধরে বসে থাকবে, গোলামী করবে। তাও যদি শোভার মনে একটু জায়গা করে নিতে পারে!
এমন সময় সাদের মোবাইল বেজে উঠলো। নিয়নের ফোন। সাদ রিসিভ করলো।
‘ হ্যালো।’
‘ সাদ বলছিস?’
‘ হুম।’
‘ তোকে একটা খবর দিতে ফোন করলাম!’
‘ কী খবর?’
‘ আমি চট্টগ্রামে আসছিলাম অফিসের কাজে।’
‘ কিছু দরকার?’
‘ না। আসলে আমি শোভাকে দেখেছি!’
সাদ বিস্মিত গলায় চিৎকার করে বললো, ‘সত্যি? কোথায়? কোথায় দেখেছিস? এক্ষুনি বল!’
নিয়ন বললো, ‘জানিনা।’
‘ মানে?’
‘ আমি আসলে অফিসের কাজে এসেছিলাম। গাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একটা মেয়ে। প্রথমে চিনতে পারিনি, তারপরে মনে পড়লো এটা শোভা। দোকান থেকে কিসব যেন কিনছিলো। পরে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলো ড্রাইভার, আমি আর ওকে দেখিনি। আমি শিওর ওরা চট্টগ্রামেই আছে।’
সাদ খুশি হয়ে বললো, ‘ধন্যবাদ বন্ধু। তোর এই উপকার কোনোদিন ভুলবোনা।’
‘ তুই আসবি?’
‘ আমি একটু পরই রওয়ানা দিচ্ছি!’
‘ এতরাতে আসার দরকার নাই। কাল আসিস, এখন এসে তো কোনো লাভ হবেনা।’
‘ না আমি এক্ষুণি যাবো। কত কষ্টে ওদের খুঁজে পেয়েছি। এবার আর হারাবোনা।’
নিয়ন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, ‘মনে হয়না লাভ হবে। আর যদি শোভা বিয়ে করে ফেলে? তাহলে? দেখেতো বিবাহিত বলেই মনে হলো?’
সাদ ফোন কেটে দিলো। ওর কোনোকিছু ভালো লাগছেনা। নিয়ন কি বললো এটা?
রোমেলা জিজ্ঞেস করলো, ‘কী হয়েছে?’
‘ শোভার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।’
‘ কোথায়?’
‘ চট্টগ্রামে। আমি যাবো।’
রোমেলা আনন্দিত গলায় বললো, ‘আমাকেও নিয়ে যাস। মেয়েটার কাছে ক্ষমা চেয়ে যদি পাপের প্রায়শ্চিত্ত কিছুটা কর্তে পারি।’
‘ তুমি তো কিছু করোনি।’
‘ তোদের পাপই যে আমার পাপ। আমিই তোদের আটকাতে পারিনি। আসল পাপ তো আমি করেছি, তাইতো আমার সংসারটা শেষ হয়ে গিয়েছে।’
সাদ কিছু না বলে ঘরে চলে গেলো। সুটকেস গুছিয়ে দারুণ একটা শাওয়ার নিলো। আজ মনটা বেশ ফুরফুরে লাগছে। ভালো লাগছে। তবুও বুকের ভেতরে কেমন খচখচ করছে। সাদ পাত্তা না দিয়ে সাউন্ড বক্সে গান লাগালো। “বধূ কোন আলো লাগলো চোখে!”
গানটা সুন্দর! শোভার মতোই। আচ্ছা, শোভা কি সত্যি আরেকটা বিয়ে করে ফেলেছে? এমন হয়? না কিছুতেই হতে পারেনা। সাদ যদি একবার ওর সামনে যেয়ে দাঁড়ায় ভালোবাসার দাবি নিয়ে তাহলে শোভা কখনোই ওকে ফেরাতে পারবেনা। গুনগুনী মন নিয়ে মোবাইল স্ক্রল করে শোভা আর ওর পুরাতন ছবিগুলো দেখতে লাগলো। কত ছোট ছিলো তখন শোভা। তারপর আগামীকালের ট্রেনের টিকিট বুকিং করলো। সারারাত অস্থিরতায়
ঘুমাতে পারলোনা। আর টিনা? ওর সাথে সাদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে চারমাস হলো। কারো সংসার ভেঙ্গে কেউ কখনো সুখী হতে পারেনা সেটা আবারও প্রমাণিত হলো।
________
রমজান সাহেব মেয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তা করেন আজকাল। দু’দুটো বাচ্চা নিয়ে সারাজীবন একলা কাটানো খুবই কষ্টের। সারাজীবন তো আর মেয়ের কাছে থাকতে পারবেন না। ইদানীং শরীরটাও ভালো যাচ্ছেনা। শোভা এমনিতেই খুব কষ্ট করে আজকের জায়গায় নিজেকে পৌঁছাতে পেরেছে। আর কষ্ট সইতে পারবেনা। কিন্তু একা একা জীবন কাটানো খুবই কঠিন। একটা গতি করতে পারলে চিন্তাটা কমবে। শাফিন তো বিয়ে করে নিয়েছে বাবামায়ের কথায়। বউ সায়মা’কে নিয়ে আছে বিদেশে! সায়মা খুব ভালো একটা মেয়ে। এমন পুত্রবধূ পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। কাজের চাপে পড়ে দেশেও আসতে পারছেনা। কিন্তু তাও রোজ তিনবার ফোন দিয়ে বাড়ির সবার সাথে কথা বলবেই৷ রাফু আর তুতুলকে নিজের সন্তানের মতো দেখে। যাবতীয় খরচ শাফিনই দেয়। সায়মা তো পারলে কলিজাটাই কেটে দেয়। রাফু, তুতুল শাফিনকে ছোটআব্বু, আর সায়মাকে বড়মা বলে ডাকে।
রমজান সাহেব শাফিনের সাথে শোভার বিষয়ে আলোচনাও করেছেন। কিন্তু শাফিন সাফ মানা করে দিয়েছে শোভাকে যাতে বিয়ের কথা বলা না হয়। যদি কখনো নিজের ইচ্ছায় ও বিয়ে করতে চায়, তাহলেই যেন আগায়। শাফিন জানে, শোভা কখনোই বিয়ে করবেনা এবং এই কথা শুনলে খুব কষ্ট পাবে আর নিজেকে বোঝা মনে করবে। যা শাফিন চায়না। বোনকে খুব ভালোবাসে ও।
মা-বাবা, মিলি, সন্তানদের নিয়ে ছিমছাম পরিবার শোভার। ঝামেলাহীন জীবন পার করছে। স্কুলের চাকরিটা খুবই ভালো। বেতনও বেশ ভালো। চলে যাচ্ছে জীবন এভাবেই! বেডরুমের বিছানায়
বসে শোভা এক্সামের খাতা দেখছিলো। এমন সময় রাফু এসে বললো, ‘আম্মু!’
‘ বলো বাবা।’
‘ তোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।’
শোভা চোখ তুলে মিষ্টি করে হাসলো। বললো, ‘তাই?’
‘ হুম।’
‘ হঠাৎ আমাকে তোমার কাছে এমন লাগছে কেন?’
‘ জানিনা।’
‘ তোমার ছোটআম্মু কোথায়?’
‘ বোনকে ঘুম পাড়ায়।’
‘ আচ্ছা। ডিস্টার্ব করোনা।’
‘ হুম।’
বলে রাফু মায়ের শিয়রে দাঁড়িয়েই রইলো। রাফু শোভার চোখের চশমাটা খুলে হাতে নিলো। শোভা কিছু বললোনা। মনোযোগ খাতার দিকেই। রাফু হঠাৎ শোভাকে অবাক করে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘আম্মু, আমাদের কী আব্বু নেই?’
শোভা চমকে তাকালো। রাফুর নিষ্পাপ চাহনি ওর গায়ে কাঁটা ফুটালো। চুপ করে রইলো। রাফু আবারও বললো, ‘বলোনা আম্মু। আমাদের কী আব্বু নেই?’
শোভা ছেলেকে কাছে টেনে নিলো। শান্ত কন্ঠে বললো, ‘আছে তো। তোমার ছোটআব্বুই তো আব্বু।’
রাফই জেদ করে বললো, ‘ছোটআব্বু আমার মামা হয়। কীভাবে আমার আব্বু লাগবে?’
শোভা রেগে বললো, ‘ওটাই তোমাদের আব্বু।’
‘ তুমি মিথ্যে বলছো। আমাদের স্কুলের সবার আব্বু আছে। আমাদের কেন নেই? আমি ছোটআব্বু চাইনা, আব্বু চাই।’
‘ কেন? ছোটআব্বু তোমার পছন্দ নয়?’
‘ পছন্দ। কিন্তু আসল আব্বু ও চাই আমার।’
‘ দরকার নেই!’
‘ আছে৷ আমি আমার বন্ধুদের বলেছি যে আমাদের আব্বু আছে, একদিন ঠিক আসবে।’
‘ কখনোই আসবেনা।’
‘ আসবে। আসলে আমি আব্বুর সাথে চলে যাবো।’
শোভা ছেলের কথায় বাক্যহারা হয়ে গেলো। চোখ ভিজে এলো। বলে কি এই ছেলে? শোভা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বললো, ‘কিছুতেই যেতে দেবোনা।’
রাফু স্বভাবতই খুব মাতৃভক্ত, শান্ত ছেলে। কিন্তু আজ কী এমন হলো যে ও নিজের আব্বুকে চাচ্ছে? আবার চলে যাবে তাও বলছে? রাফু গাল ফুলিয়ে বললো, ‘যাবো আমি।’
‘ রাফু!’
রাফু মাথা নিচু করে বসে আছে। শোভা বললো, ‘তুমি আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে? ছোটআম্মুকে ছাড়া থাকতে পারবে?’
রাফু মাথা নাড়িয়ে না জানালো। শোভা বললো, ‘রাফু! তোমারও আব্বু আছে। কিন্তু সে আমাদের চায়না।’
‘ কেন?’
‘ কারণ আমাদের ওর ভালো লাগেনা।’
‘ কিন্তু আমরা খুব ভালো।’
‘ জানি তোমরা ভালো। কিন্তু সে বুঝতে চায়নি। এজন্য আমি তোমাদের নিয়ে চলে এসেছি। আমাদেরকে খুব কষ্ট দিয়েছে তোমার আব্বু। তুমিই বলো কোনো বাবা কী তার সন্তানদের কষ্ট দেয়?’
‘ কখনোই না।’
‘ এখন বলো তার কাছে কি আমাদেত ফিরে যাওয়া উচিৎ?’
‘ না।’
‘ আমরা সবাই তো তোমাকে কত ভালোবাসি। এখন তোমার বাবা এসে যদি তোমাকে নিয়ে যেতে চায়, তাহলে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে তুমি?’
রাফু গালে হাত দিয়ে ভাবছে। কি করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছেনা। আচ্ছা, ওর বাবা কেন ওদের চায়না? সবাই বলে ওরা কত মিষ্টিবাচ্চা, ভালোবাচ্চা। তাহলে ওর বাবা কেন ভালোবাচ্চা চায়না? রাফু শুনেছে যারা ভালোদের ভালোবাসেনা, তাদের সাথে খারাপ হয় সবসময়। ভাবছে কি করবে, সত্যিই যদি বাবা আসে তাহলে কি বাবার সাথে চলে যাবে? নাকি মায়ের কাছেই থাকবে! ভাবনা নিয়েই রুম থেকে বেরিয়ে যায় গুটিগুটি পা ফেলে।
শোভা মনে মনে ভয় পায়। জানে সাদ যদি একবার খুঁজে পায় তাহলে বাচ্চাদেরকে ইম্প্রেস করবে কোনো না কোনোভাবে। কারণ সাদ বাচ্চাদের সাথে খুব সহজেই মিশতে পারে। একেবারে জাদুকরের মতো! এমন সময় মোবাইল বেজে উঠে। সাইফের ফোন।
‘ আসসালামু আলাইকুম।’
‘ ওয়ালাইকুম সালাম। শোভা বলছেন?’
‘ জি ভাইয়া। কোনো দরকার?’
‘ হুম। আসলে আমি চট্টগ্রামে বাসায় এসেছি।’
‘ ওহহ। আমাদের বাসায় অবশ্যই আসবেন কিন্তু।’
‘ আসবো। কিন্তু একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম।’
‘ কী কথা?’
‘ আসলে আম্মু আমাকে এখন বিয়ে দিতে চায়। অনেক তো বয়স হলো। কিন্তু!’
শোভা হেসে বললো, ‘কিন্তু আপনি কাউকে পছন্দ করেন। আর সেটা আমার পাগল বান্ধবী মিলি।’
সাইফ লজ্জ্বা পেলো। তারপর বললো, ‘কিন্তু ওনাকে তো আমি সেই কথাটা বলতে বা বোঝাতেই পারছিনা। যা রাগী।’
‘ মিলি বিয়ে করবেনা।’
‘ কেন?’
‘ ও ছেলেদের ঠিক বিশ্বাস করতে পারেনা। কতকিছুই তো ঘটে গেলো ওর বোনের সাথে, আমার সাথে। সেজন্যই আরকি।’
‘ সব পুরুষ তো একরকম হয়না।’
‘ জানি। আপনি খুব ভালো, নইলে এতোবছর অপেক্ষা করতেন না। আচ্ছা, আপনি আপনার আম্মুকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসুন। মিলিকে সোজা করার দায়িত্ব আমার।’
‘ আসবো?’
‘ হুম। ঘাড়ত্যাড়ামি করা মেয়েকে ভালোবেসে সোজা করে নিবেন। পারবেন না?’
‘ ওনাকে দেখলেই ভয় লাগে!’
‘ ভয়কে জয় করে নিবেন। আমি আছিতো, ওকে ঠিক রাজি করাবো।’
সাইফ কিছুক্ষণ থেমে বললো, ‘আপনার জীবনটা গুছাবেন না! বাচ্চারা তো বড় হচ্ছে, ওদের তো একটা বাবা চাই!’
শোভা ফোন রেখে দিলো। বুঝতে পারছে না আজ সবাই ওকে পুরোনো কথাগুলো কেন মনে করিয়ে দিচ্ছে। একটা মেয়ে কি এতোই দুর্বল যে নিজে একা বাচ্চাদের নিয়ে বাঁচতে পারবেনা? কে তৈরি করেছে এই নিয়ম? এই নিয়মের বাইরে কেন যাওয়া যাবেনা? বাবা ছাড়া কি সন্তান একা বড় করা যায়না? রাস্তাঘাটে কতশত এতিম বাচ্চারা পড়ে থাকে, কই! প্রকৃতির নিয়মে ওরা তো ঠিকই বেঁচে আছে। শোভা তো আছেই, পারবে সন্তানদের সামলাতে। কেন মানুষ এটা বুঝতে পারছে না?
গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি। আপনারা নেক্সট না লিখে একলাইনে মতামত জানালেও ভালো হবে। দু’দিন গল্প না দেওয়ার জন্য দুঃখিত। জানি ছোট হয়েছে, দুঃখিত। ভুল ত্রুটি মাফ করবেন।
চলবে….ইনশাআল্লাহ!