#একগুচ্ছ_ভালোবাসা
#অরনিশা_সাথী
|২|
ঠিক ন’টা বেজে পঁচিশ মিনিটে অফিসে ঢুকলো জোনাকি। একপ্রকার তাড়াহুড়ো করেই এসেছে। প্রথম দিনই লেট করতে চায় না ও। এমন কি কোনো দিনই লেট করতে চায় না। নয়তো আবার ওই বদমেজাজি, রাগী দ্যা গ্রেট এ. আর. ধমকাবে৷ যা জোনাকি একদমই চায় না। সোহেলের থেকে কাজ বুঝে নিয়ে নিজের কেবিনে গিয়ে সবে মাত্র বসেছে জোনাকি। এমন সময় টেলিফোন বেজে উঠলো। চমকে যায় জোনাকি। দ্রুত হাতে টেলিফোন তুলতেই ওপাশ থেকে আঁধার বললো,
–“মিস জোনাকি? ফার্স্ট ডে অফিসে এসে আমার সাথে দেখা না করেই কেবিনে গিয়ে রিল্যাক্স মুডে বসে আছেন? কাম টু মাই কেবিন, ইমিডিয়েটলি।”
–“ই্ ইয়েস স্যার।”
লাইন কেটে গেলো। লোকটা দেখলো কি করে ও অফিসে এসে নিজের কেবিনে বসে আছে? এই ভেবে আশেপাশে চোখ বুলাতেই দেখলো আঁধার আর জোনাকির কেবিনের মাঝ বরাবর দেয়ালের বদলে কাঁচ দেওয়া। যার ফলে আঁধার নিজের কেবিনে বসেই অনায়াসে জোনাকি’কে দেখতে পারছে। চোখমুখ কুঁচকে ফেললো জোনাকি। ইতিমধ্যে আবারো টেলিফোন বেজে উঠলো। জোনাকি দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেলো কেবিন থেকে। আঁধারের কেবিনের দরজা খুলে উঁকি দিয়ে বললো,
–“মে আই কাম ইন স্যার?”
আঁধার ল্যাপটপ দেখতে দেখতেই বললো,
–“কাম।”
জোনাকি ভিতরে এসে দাঁড়িয়েছে মিনিট পাঁচেক হবে। অথচ আঁধারের কিছু বলার নাম গন্ধ নেই। সে নিজের মতো ল্যাপটপ চালাতে ব্যস্ত। জোনাকি বিরক্ত হচ্ছে ভীষণ, শেষে না পেরে বললো,
–“কেন ডেকেছিলেন?”
আঁধার ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে বললো,
–“হু ইজ দ্যা বস, ইউ অর মি?”
জোনাকি আমতা আমতা করে বললো,
–“আ্ আপনি।”
আঁধার দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
–“সো হুয়াই আর ইউ আস্কিং মি?”
জোনাকি মাথা নিচু করে বললো,
–“স্যরি স্যার।”
আঁধার আবার ল্যাপটপে মনোযোগ দিয়ে বললো,
–“কফি নিয়ে আসুন আমার জন্য।”
কফি আনার কথা শুনে জোনাকি কপাল কুঁচকে ফেললো। ধীর কন্ঠে বললো,
–“স্যরি স্যার, আমি আপনার পিএ’র পোস্টে আছি। কফি আনা নেওয়ার পোস্টে আমি নিযুক্ত নই।”
ঠাস করে ল্যাপটপ বন্ধ করে দিলো আঁধার। টেবিলে দুহাতের ভর দিয়ে জোনাকির দিকে ঝুঁকে বললো,
–“পিএ মানে বুঝেন আপনি? পারসোনাল এসিস্ট্যান্ট। সো, আমি যা বলবো তাই শুনতে হবে আপনার। নাউ গো এন্ড গেট দ্যা কফি।”
জোনাকি সম্মতি জানিয়ে মাথা নিচু করে চলে গেলো কেবিন থেকে। আঁধার চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে জোনাকির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,
–“আমিও দেখি মিস জোনাকি, আমার অফিসে ক’দিন টিকতে পারেন আপনি।”
মিনিট দশেক বাদে জোনাকি কফি নিয়ে আঁধারের কেবিনে আসলো। কফির মগ এগিয়ে দিলো আঁধারের দিকে। আঁধার কফির দিকে তাকিয়ে বললো,
–“এটা ব্ল্যাক কফি?”
–“আ্ আপনি তো বলে দেননি কোন ক্ কফি___”
–“ব্ল্যাক কফি নিয়ে আসুন উইদাউট সুগার।”
জোনাকি বুঝতে পারলো লোকটা ইচ্ছে করে ওকে দিয়ে এভাবে খাটাচ্ছে৷ কাল ওরকম কথা শুনানোর জন্যই লোকটা ওকে অফিসে রেখেছে হেনস্তা করার জন্য। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে গেলো জোনাকি, কেননা চাকরিটা ওর সত্যিই দরকার। জোনাকি সম্মতি জানিয়ে নিঃশব্দে বেরিয়ে গেলো কেবিন থেকে।
–
একগাদা ফাইলের স্তুপ নিয়ে নিজের কেবিনে বসে আছে জোনাকি। আঁধার ওকে এত্ত এত্ত পুরোনো ফাইল ধরিয়ে দিয়েছে। অফিস টাইমের ভিতর সবগুলো ফাইলের ডিটেইলস নতুন করে নাকি চাই ওর। বসে বসে এসব ফাইল চেক করছে আর মনে মনে হাজারটা গালি দিচ্ছে আঁধারকে৷ ফাইল দেখতে দেখতে রাত আটটা বেজে গেলো। একে একে সবাই কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে৷ আর জোনাকি এখনো ফাইল দেখায় ব্যস্ত। অবশেষে সাড়ে আটটা নাগাদ জোনাকির কাজ শেষ হয়। ক্লান্ত পায়ে আঁধারের কেবিনে প্রবেশ করলো জোনাকি। আঁধার জোনাকি’কে দেখে বললো,
–“আ’ম ওয়েটিং ফর ইউ। এ ক’টা ফাইল দেখতে এত সময় লাগে আপনার?”
জোনাকি কিছু না বলে মাথা নিচু করে নিলো। আঁধার সবগুলো ফাইলে চোখ বুলিয়ে বললো,
–“প্রথমদিন বলে ছাড় পেলেন, নেক্সট টাইম কোনো হেরফের চলবে না। টাইমের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। নাউ ইউ ক্যান গো।”
জোনাকি চলে যেতে নিলেই আঁধার বললো,
–“ওয়েট এ মিনিট।”
জোনাকি আবার পেছন ফিরে তাকায়। আঁধার আবার একটা ফাইল জোনাকির হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো,
–“আই ওয়ান্ট দ্যা ডিটেইলস অফ দিস ফাইলস টুমরো।”
জোনাকি মেকি হেসে বললো,
–“ওকে স্যার।”
কথাটা বলেই আঁধারের কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো জোনাকি। যাক বাবা একটা মাত্র ফাইল”ই দিয়েছে এটা কাল ঠিক সময় মতো জমা করে দিবে। ভেবে স্বস্তির শ্বাস ছাড়লো জোনাকি। ভেবেছিলো আরো একগাদা ফাইল ধরিয়ে দিবে কিন্তু না। একটু হলেও বোধহয় মায়া দয়া আছে মনে।
–
এর মাঝে সপ্তাহ খানেক সময় কেটেছে। আঁধার নানান ভাবে জোনাকি’কে হেনস্তা করেছে। কাজের প্রেশারে দম নিতে পারেনা একদম। কাজ শেষ হতে না হতেই আবার এক গাদা কাজ ধরিয়ে দেয়। হাঁপিয়ে উঠেছে জোনাকি। ও জানে আঁধার ইচ্ছে করে এরকম ব্যবহার করে ওর সাথে।
আজ অফিস থেকে বেরোতে বেরোতে নয়টা বেজে গেছে। আজকেও প্রচুর খাটিয়েছে ওই রাগী রাক্ষসটা। একটু এদিক ওদিক হলেই অযথাই জোনাকি’র উপর চিৎকার চেঁচামেচি করে। হম্বিতম্বি শুরু করে দেয় একেবারে। আজকেও একগাদা ফাইল দিয়েছে সেগুলো রাতের মধ্যে চেক করে কাল সবগুলো ফাইলের ডিটেইলস দেওয়া লাগবে আঁধারকে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে জোনাকি। রিকশা পাচ্ছে না এই মূহুর্তে। তাই ভাবলো দাঁড়িয়ে না থেকে হাঁটা যাক, সামনে রিকশা পেলেই সেটা করে চলে যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। আঁধার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে দেখলো জোনাকি পায়ে হেঁটে যাচ্ছে। অবাক হলো আঁধার। বিড়বিড় করে বললো,
–“আশ্চর্য, এই রাতে মেয়েটা হেঁটে হেঁটে ফিরবে নাকি বাসায়?”
এই ভেবে গাড়ি স্টার্ট দিলো। জোনাকি অনেকটা হেঁটেও কোনো রিকশা না পেয়ে রাস্তার ধারে বসে পড়লো। ক্লান্ত লাগছে বড্ড। মাথাটাও ঘুরাচ্ছে। আঁধার ওর সামনে গিয়ে গাড়ি থামিয়ে বললো,
–“গাড়িতে এসে বসুন, আমি বাসায় ছেড়ে দিবো।”
জোনাকি অবাক চোখে তাকালো আঁধারের দিকে। আঁধার কেমন দৃষ্টিতে যেন দেখছে ওকে। জোনাকি’কে আগের মতোই বসে থাকতে দেখে বললো,
–“আর ইউ ওকে? শরীর ঠিক আছে আপনার?”
–“হ্যাঁ, আপনি চলে যান, আমি যেতে পারবো।”
–“সিট কোয়াইটলি ইন দ্যা কার, আই উইল ড্রপ ইউ এট হোম।”
জোনাকি কিছু বলতে চাইলে আঁধার ধমকের স্বরে বললো,
–“আই সেইড, সিট ইন দ্যা কার।”
জোনাকি আর কিছু বলার সাহস পেলো না। চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসলো। আঁধার বললো,
–“সিট বেল্ট লাগিয়ে বসুন।”
জোনাকি সিট বেল্ট নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করেও ঠিকঠাক ভাবে সিট বেল্ট লাগাতে সক্ষম হলো না। আঁধার এতক্ষণ বিরক্তি চোখে জোনাকির কাজ দেখছিলো। আঁধার জোনাকি’র দিকে ঝুঁকে গেলে জোনাকি একদম পিছিয়ে গাড়ির জানালার সাথে লেগে বসে বললো,
–“কি করছেন? আপনি এগোচ্ছেন কেন এভাবে?”
আঁধার ধমক দিয়ে বললো,
–“জাস্ট শাট ইউ’র মাউথ।”
জোনাকি ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ হয়ে গেলো। আঁধার জোনাকি’র সিট বেল্ট লাগিয়ে দিয়ে সরে আসলো। অতঃপর মনোযোগ দিলো গাড়ি চালানোতে।
–
জোনাকি রাতভর ফাইল চেক করে ঘুমিয়েছে দু ঘন্টাও হয়নি। এর মাঝেই ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো। আচমকা কানের কাছে ফোন বেজে উঠায় লাফিয়ে উঠে বসলো জোনাকি। বালিশের পাশে ফোন বাজতে দেখে বুকে হাত দিয়ে শ্বাস ছাড়লো। একটু হলেই জানটা বেরিয়ে যেতো বোধহয়। বেশ ভয় পেয়ে গেছে। ফোন হাতে তুলে নিলো ওপাশের মানুষটাকে আচ্ছা মতো ঝারবে বলে। জোনাকি কিছু বলে উঠার আগেই ওপাশ থেকে শক্ত পুরুষালি কন্ঠে কেউ হুংকার ছেড়ে বললো,
–“ফোন ধরছিলেন না কেন ইডিয়ট? একটা ফোন ধরতে এত সময় লাগে আপনার?”
জোনাকি মেজাজ হারিয়ে ফেললো। কে ফোন করেছে না জেনে/বুঝেই দ্বিগুণ তেজ নিয়ে বললো,
–“এই কে আপনি? সাতসকালে ফোন দিয়ে আমার কাঁচা ঘুমটা ভাঙিয়ে দিলেন? একে তো ওই বদমেজাজি, রাগী রাক্ষস লোকটার জন্য সারারাত বসে বসে কাজ করতে হয়েছে তার উপর আবার আপনি এখন আমার কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে দিলেন। সামান্য কান্ড জ্ঞান নেই আপনার? এত সকাল সকাল কোন প্রেমালাপ করার জন্য ফোন দিয়েছেন আমায়? ফোন রাখুন, আমায় আসে ধমকাতে, সাহস কত বড়।”
এতক্ষণ যাবত দাঁতে দাঁত চেপে জোনাকি’র এসব কথাগুলো শুনছিলো আঁধার। জোনাকি’র এসকল কথায় রেগে বাঘ হয়ে আছে ও। জোনাকি’কে হাতের কাছে পেলেই যেন কাঁচা চিবিয়ে খাবে। এরকম একটা লুকে আছে এই মূহুর্তে। আঁধার দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
–“আটটার মাঝে আমার বাসায় দেখতে চাই আপনাকে। সাথে ফাইলগুলোও যাতে থাকে৷ আটটা মানে আটটা’ই। এক সেকেন্ডও এদিক ওদিকে হলে___”
ভয় পেয়ে গেলো জোনাকি। লোকটা কি আঁধার? ও কি ভুল জায়গায় ভুল কথা বলে ফেলেছে? আজ অব্দি জোনাকি’র সাথে এই টোনে কেউ কথা বলেনি। একমাত্র আঁধার রেজওয়ান’ই জোনাকির’র সাথে এরকম টোনে কথা বলে। জোনাকি আমতা আমতা করে বললো,
–“ক্ কে বল্ বলছেন?”
–“আঁধার রেজওয়ান।”
কেঁপে উঠলো জোনাকি। ইশ্ উনার কাছেই উনার নিন্দে করে গেলো জোনাকি? এবার কি হবে ওর? জোনাকি কাঁপা স্বরে বললো,
–“স্য্ স্যরি স্যার আমি আসলে___”
–“এইট এ-এম, মাথায় থাকে যেনো।”
কথাটা বলে আঁধার লাইন কাটতে গেলেই জোনাকি দ্রুত বললো,
–“এক মিনিট স্যার, আপনি আমার নাম্বার পেলেন কোথায়? আমি তো আপনাকে নাম্বার___”
–“এতবড় একটা কোম্পানি চালাই। আর তাছাড়া আপনি আমার অফিসে চাকরি করেন মিস জোনাকি, আপনার নাম্বার পাওয়া এতটা’ও টাফ ব্যাপার না।”
কথাটা বলেই খট করে লাইন কেটে দিলো আঁধার। জোনাকি ভাবতে বসলো আঁধার কি করে পেলো ওর নাম্বার। পরমূহুর্তে মনে পড়লো অফিসে চাকরির জন্য এপ্লাই করার সময় পেপারে নিজের নাম্বারটাও দিয়েছে৷ আর ওরা তো ওকে নাম্বারে ফোন করেই ডেকেছিলো ইন্টারভিউ’র জন্য। এ. আর. গ্রুপে কাজ করে ও। আর এই কোম্পানির সকল এমপ্লয়িদের ডিটেইলস’ই আছে আঁধার রেজওয়ান এর কাছে। সুতরাং নাম্বার পাওয়াটা কোনো ব্যাপারই না। একদম ইজি এটা। নিজের বোকামির কথা ভেবে নিজের উপরই বেশ রেগে গেলো জোনাকি।
দ্রুত রেডি হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো জোনাকি। জোনাকি’কে তাড়াহুড়ো করে বেরোতে দেখে জল এসে বললো,
–“এত সকালে কোথায় যাচ্ছিস তাড়াহুড়ো করে?”
–“আপুই, আঁধার স্যারের বাড়ি যেতে হবে এই ফাইলগুলো দিতে। হাতে সময় নেই একদম। আমি আসছি। মাকে বলে দিস।”
জল আর কিছু বলে উঠার আগেই জোনাকি বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো। এই মেয়েটার না সব কিছুতে বড্ড তাড়াহুড়ো। জোনাকি’র মা ওর বাবাকে ধরে এনে সোফায় বসালো। জল’কে বললো,
–“জোনাকি কোথায় গেলো এভাবে তাড়াহুড়ো করে?”
–“ওর অফিসের এমডির বাড়িতে। কি ইমপোর্টেন্স ফাইল নাকি ছিলো ওর কাছে সেগুলো দিতেই।”
–“নাস্তা করে গেলো না মেয়েটা?”
জল দুই কাপ চা ওর বাবা-মাকে দিয়ে বললো,
–“তোমার মেয়ে কোনো কথা শুনলে তো।”
–
ব্যালকোনিতে রাখা ফুলের টবগুলোতে পানি দিচ্ছিলো জল। জলে’র হাত ফসকে পানির মগটা নিচে পড়ে যায়। জল দ্রুত রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে নিচের দিকে ঝুঁকতেই দেখলো নিচে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলো। পানিগুলো ছেলেটার উপর পড়ায় ছেলেটা ভিজে যায় অনেকটা। ফোন কান থেকে নামিয়ে বললো,
–“হোয়াট রাবিস।”
কথাটা বলে উপরে তাকাতেই দেখতে পেলো জল দুহাতে নিজের মুখ আটকে দাঁড়িয়ে আছে। ভয়ার্ত চোখ। ঘনঘন চোখের পলক ফেলছে জল। এক মূহুর্তের জন্য থমকে গেলো ছেলেটা৷ জল মুখ থেকে হাত সরিয়ে ভয়ার্ত কন্ঠে বললো,
–“স্যরি আমি আসলে ইচ্ছে করে করিনি।”
ছেলেটা কিছু বলার আগেই পাশ থেকে একজন লোক বললো,
–“মিস্টার স্বচ্ছ?”
জল এর দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিলো স্বচ্ছ। লোকটার দিকে তাকিয়ে বললো,
–“ইয়েস।”
–“স্যরি অপেক্ষা করানোর জন্য। এই যে আপনার ফাইলটা।”
–“থ্যাংকিউ মিস্টার মেহতা।”
–“এ-কি আপনি তো একেবারে ভিজে গেছেন এভাবে ভিজলেন কি করে?”
স্বচ্ছ আরেকবার তাকালো ব্যালকোনিতে দাঁড়িয়ে থাকা জলের দিকে। জল অবশ্য তখন ব্যস্ত পাখিকে খাবার খাওয়াতে৷ স্বচ্ছ চোখ সরিয়ে নিয়ে বললো,
–“এক্সিডেন্টলি ভিজে গেছি। আচ্ছা আসছি মিস্টার মেহতা, আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলে প্রজেক্টের ব্যাপারে কনফার্ম করবো আপনাকে।”
চলবে~