উত্তরাধিকার (পর্বঃ-১২)
লেখাঃ-মোর্শেদা রুবি
***********************
প্রান্তিকের মনে হচ্ছে এক লহমায় যেন জীবনটা কেমন বদলে গেলো!অনেক মানুষের ভীড়ে একটি অচেনা মুখ হঠাৎ করে বিশেষ হয়ে উঠলো!যাকে ভাবতে ভালো লাগে,যার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে,নিজের অনুভূতিগুলো ভাগাভাগি করতে মন চায়,তাকে দেখলে মনের ভেতরের সুপ্ত চাওয়াগুলো ডানা ঝাপটে বলে উঠে আমরা আছি…এতদিন ঘুমিয়ে ছিলাম,এখন জেগে উঠেছি।তখন সেই চাওয়াগুলোকে ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়ে সান্তনা দিয়ে বলতে হয়-‘একটুখানি সবুর করো রসুন বুনেছি!’
আর মাত্র দুদিন পরেই প্রান্তিকের ফ্লাইট।জান্নাতের সাথে দেখা করে বিদায় নিতে হবে।নাহ্,অফিসিয়াল দেখা না আনঅফিসিয়ালি!এই কোথাও একটু কফি খেতে খেতে নতুবা আইসক্রিমে দু একটা বাইট দিতে দিতে দুজনে একটু চটুল গল্প করা, চোখে চোখ রেখে বিরহ বেদনায় কাতর হওয়া আর পুনর্মিলনের স্বপ্ন দেখা।
কাজ করতে করতেই কীবোর্ডটা ঠেলে একটু ভেতরে পাঠিয়ে দিয়ে মোবাইলটা টেনে নিলো প্রান্তিক!
একটা বিশেষ নম্বর চাপলো!
কিছুদিন আগেও এই নম্বরটির কোনো অস্তিত্ব ওর মোবাইলে ছিলোনা আজ এটি ভিআইপির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে!
ওপাশ থেকে সালামের শব্দে হাসলো প্রান্তিক।
সহাস্যে সালামের উত্তর দিলো।
তারপর দুজনে বিভোর হলো কুহূ কূজনে!
প্রিয়ন্তী ঘরে ঢুকে হালকা কাশলো।প্রান্তিক কিছু একটা বলে ফোনটা কেটে দিলো।
প্রিয়ন্তী টিপ্পনী কাটলো-“বাব্বাহ,
দুদিনেই এতো প্রেম?এতো প্রেম কই ছিলো রে? যখন প্রথম দেখে এলি তখন তো খুব বুলি ঝাড়লি এরকম মুরীদ মার্কা ফ্যামিলি বিয়ে করবোনা…এই সেই!এখন কই গেলো দ্বীনদারী?”
-“খোঁচা দিচ্ছিস?দে!এটা বেশীরভাগ মেয়ের প্রধান অভ্যাস! কিন্তু তোর কথাগুলোর উত্তর আমি দিতে পারি।প্রথমতঃ প্রথম দেখায় মেয়েটা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না,ধরেই নিয়েছিলাম সি ইজ ওয়ান অফ দেম বাট সি ইজ নট সো!দ্বিতীয়তঃ আমার এক বন্ধুর সাথে সেদিন আলাপ করছিলাম! ও জানতো আমি বিয়ের জন্য দ্বীনদার পাত্রী খুঁজছি!আম্মু তো দ্বীনদারীর চেয়ে রূপসী আর মালদার খুঁজে বেশী।বন্ধু তখন পরামর্শ দিলো এই মেয়েটি যেহেতু দ্বীনদার।অন্তত ব্যাসিক দ্বীনদারীটা তো তার আছে যেমন নামাজ রোজা পর্দা ঈমান।বাকী যেটুকু নেই সেটুকু তুমি উত্তম নসীহতের মাধ্যমে আনতে পারবে ইনশাআল্লাহ্!ও একটা চমৎকার উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিলো।ও কি বলেছিলো জানিস?বললো-‘একটা চলন্ত গাড়ীর স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে তার দিক বদলানো যায় কিন্তু একটা থেমে থাকা নষ্ট গাড়ী কোনো দিকেই নেয়া যায়না বা চালানো যায়না।মেয়েটির মধ্যে আল্লাহর ভয় আছে, তাকে নসীহতের মাধ্যমে টার্ন করানো সম্ভব কিন্তু যে মেয়ের মধ্যে নামাজ রোজা পর্দার কোনো সেন্স নাই,আখেরাতের চিন্তা নাই তাকে কি দিয়ে ভয় দেখাবে?সে তো পুরো বসা গাড়ীর মতো বিকল।মেরামত করে চালানোর ঝুঁকি নেবার চেয়ে চলন্ত গাড়ী টার্ন করানোর ঝুঁকি তুলনামূলক সহজ ও সঠিক! তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম!”
প্রিয়ন্তী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো-“ভালোই তো, দুজনে চুটিয়ে প্রেম করছিস!পরশু চলে যাবি,দেখা করবিনা?”
-“আলবৎ দেখা করবো।আর ঐ যে বললি চুটিয়ে…ওসব চুটিয়ে ফুটিয়ে বুঝিনা। হালাল প্রেম করছি এটা জানি।সারা পৃথিবীতে এই একটি মেয়ে আল্লাহ আমার জন্য হালাল করেছেন।এর সাথে আমি ঘুরবো না তো কে ঘুরবে!”
-“খুব ভালো কথা।দুজনে মিলে প্রেমের রেকর্ড ব্রেক কর আমার কোনো আপত্তি নাই খালি হাত পা ভাঙ্গিস না!”
বলে প্রিয়ন্তী প্রান্তিকের মাথায় মৃদু চাঁটি মেরে চলে গেলো!প্রান্তিকের হঠাৎ মনে হলো,প্রিয়ন্তীর মেজাজ অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বেশ ফুরফুরে,কারনটা কি!
রাফিজের সাথে ডিভোর্স হবার কোনো আক্ষেপই ওর মধ্যে নেই,এমনকি মা’কেও নরমাল দেখেছে।ব্যপারটা কি!
প্রান্তিক ওদের প্রশ্ন করেনি তবে বিষয়টা ওর চোখে ঠেকেছে।
★
★
★
প্রান্তিক চলে যাবার পরপরই শাজিয়া ক্যানবেরাতে যোগাযোগ করলো।প্রিয়ন্তীর বড়মামা শওকত জানালেন,আজ রাতেই সব ব্যবস্থা করে ওদের বিয়েটা পড়িয়ে দিতে চান তিনি।স্থির হলো,রাত আটটার দিকে স্কাইপের মাধ্যমে বিয়েটা পড়ানো হবে।
বড়মামা হালকা গলায় জানালেন, ফ্রিক সামান্য অসুস্থ বিধায় সে বসে থাকতে পারবেনা!শুনে শাজিয়া কিছুটা অবাক হয় বললেন,'”কি হয়েছে ওর?”
ফ্রিকের মা জানালেন-“নাথিং সিরিয়াস!সামান্য ফ্লু মতো হয়েছে!ডাক্তার দেখানো হয়েছে।”
মায়ের মন,সন্দেহ তবু গেলোনা।সন্দেহটা কাঁটার মতো বিঁধে রইলো।তবু মেয়ের দিক ভেবে খুব বেশী কিছু বললেন না।
প্রিয়ন্তী বউ সাজতে রাজী হলোনা।কেবল স্কার্ট টপস বদলে একটা শাড়ী পড়লো।
বিয়ের কিছুক্ষণ আগে ও মামীকে জানালো সে একটু ফ্রিকের সাথে কথা বলতে চায়।মামী আঁইগুঁই করছিলেন পরে ফ্রিক নিজেই ফোন চেয়ে নিলো।ফ্রিকের মা ইঙ্গিতে ছেলেকে নিষেধ করলেন তার অসুখের ব্যপারে অতিরিক্ত কোনো কথা না বলতে!ফ্রিক শুকনো মুখে হেসে ফোনটা কানে ঠেকালো।রিসিভার কানে চেপে ধরতেও অসুবিধা হয়।চাপ লাগলে ব্যথাবোধ হয় ওর।দিনকে দিন ওর র্যাশগুলো ঘা তে রূপ নিচ্ছে।ডাক্তাররা কেউই তেমন কোনো প্রতিকার দিতে পারছে না!
প্রিয়ন্তী জানতে চাইলো-“হঠাৎ বিয়েতে রাজী হলো কেন?”
ফ্রিক জানালো সে এখনো বিয়েতে রাজী না কারন তাতে প্রিয়ন্তীকে ঠকানো হবে!”
প্রিয়ন্তীর কপালে ভাঁজ পড়লো-“ঠকানো হবে মানে?”
ফ্রিক অকম্পিত স্বরে বললো-“জীবনে এ পর্যন্ত কেবল খারাপ কাজগুলোই করে এসেছি।তার পাপে ধরেছে আমাকে।এ জীবনে নারীকে শুধু ভোগ্যবস্তু হিসেবেই দেখে এসেছি।আজ একজন নারীর জীবনকে নষ্ট হতে দেয়া থেকে বাঁচাতে চাই!খুব সামান্য প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই!”
প্রিয়ন্তী বিভ্রান্ত বোধ করছে-“তুই এসব আবোল তাবোল কি বকছিস?”
-“বকছি না,সত্য বলছি।আমাকে মরণ রোগে ধরেছে রে প্রিয়।তুই এ বিয়েতে রাজী হোসনা।বাবা-মা তাদের উত্তরাধিকারীর আশায় আমাকে তোর সাথে বিয়ে দিয়ে আমাদের সন্তানকে বৈধ বানাবার চেষ্টা করছে।”
এতটুকু বলেই ফারিক হাঁপিয়ে উঠেছে।
প্রিয়ন্তী স্থানুর মতো ফোন হাতে নিয়ে বসে আছে।ফারিক ফোন ছেড়ে দিয়েছে।প্রিয়ন্তীকে ওভাবে বসে থাকতে দেখে শাজিয়া জিজ্ঞেস করলেন-“কি রে,কি হয়েছে তোর?”
প্রিয়ন্তী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো-“কিছু না মা!কাজী সাহেব কখন আসবে?”
-“তোর বাবার ফোন দেবার পরপরই তো উনি চলে এসেছেন!ফারিকের সাথে কথা হলো?”
প্রিয়ন্তী মাথা নাড়লো!
-“কি বললো ও?সব ঠিক আছে তো?”
-“হ্যাঁ,সব ঠিকআছে।আমি বিয়ের জন্য প্রস্তুত মা।তোমরা ব্যবস্থা করো!”
দ্বিধান্বিত শাজিয়া মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা খোঁজার চেষ্টা করলেন তারপর চলে গেলেন।
প্রিয়ন্তী চুপচাপ বসে ভাবছে।
তার আচমকা গর্ভপাতের খবর ফারিক জানলে হয়তো বিয়ে করতে রাজী হবেনা।
কিন্তু প্রিয়ন্তী যে ওকে ভালোবেসে ফেলেছে।
অবশেষে গুটি কয়েকজনের উপস্থিতিতে প্রিয়ন্তী আর ফারিকের বিয়েটা অনলাইনে হয়ে গেলো!
সিদ্ধান্ত হলো আগামী মাসে প্রথম সপ্তাহেই প্রিয়ন্তী অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে।
মেয়ের সিদ্ধান্তের কাছে শাজিয়াকে হার মানতেই হলো!
★
★
★
ঢাকায় আসার পর থেকে বোনেরাই নাযিয়াতের দেখাশোনা করতে লাগলো!নাযিয়াতের শরীরটা এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভারী হয়েছে। সে এখন ধীরে সুস্থে চলাফেরা করে। বাইরে একদমই যায়না।বোনেরা কেউই ওকে যেতে দেয়না!
ওরা প্রত্যেকেই টিউশনি করে সংসারটাকে কোনোমতে চালিয়ে নিচ্ছে!
দেশ থেকে কিছু চালডাল আসে আর বাকীটা ওরা চালাচ্ছে।নাযিয়াতের খুব খারাপ লাগে ও কিছু করতে পারছেনা।
তবু ও বসে নেই,হাতের কিছু কাজ জানতো।এই পরিসরে সেটাই করতে লাগলো।কলেজে থাকতে চমৎকার ওয়ালম্যাট বানিয়ে ফার্ষ্ট প্রাইজ জিতেছিলো।এবারও নাদিয়াকে বলে কিছু র’ম্যাটেরিয়াল আনিয়ে চার পাঁচটা ওয়াল ম্যাট বানিয়ে ফেললো নাযিয়াত।
নাদিয়া তো সেসব দেখে যারপরনাই মুগ্ধ।সে চট করে সেগুলো মোটামুটি একটা দাম ধরে অনলাইনে দিয়ে দিলো।অবাক হলেও সত্য যে,কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়াল ম্যাট গুলো বিক্রি হয়ে গেলো।নাযিয়াত তো বেশ অবাক,শখের বশে বানিয়েছে সেটা যে এতো ভালো রেসপন্স করবে ও ভাবেনি!
নাদিয়ার পরামর্শে আবারও কিছু বানাবার চিন্তা করলো।তবে এবার আরো সুচিন্তিত ভাবে ডিজাইনগুলো সেট করলো।এগুলোও চড়া দামে বিক্রি হয়ে গেলো!
নাযিয়াত ভেবে অবাক হলো,এখন তো দেখি ঘরে বসেই আয় করার অনেক পথ হয়েছে!
দেখতে দেখতে নাযিয়াতের ডিলেভ্রী ডেট চলে আসলো।নাযিয়াতের মনে আনন্দ,উদ্বেগ, হতাশা আর দুশ্চিন্তার এক অদ্ভুত মিশেল।তবু রবের দয়া আর রহমতে নাযিয়াত নরম্যালি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করলো।
বেলা চৌধুরীর অতি কাঙ্খিত উত্তরাধিকারী “রণ”!
ওর বুদ্ধিদীপ্ত চোখজোড়ায় জাগতিক কৌতুহলে ভরপুর।নানু আর খালামনিদের ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠতে লাগলো “রণ”!
সে এখন নানুর চোখের মনি,খালামনিদের হিরার খণি আর মায়ের চোখের পানি।
কারন ওকে দেখলেই নাযিয়াতের রাফিজের কথা মনে পড়ে।রণ’র থুতনীতে একটা খাঁজ আছে যা হুবহু রাফিজের মতো!গম্ভীর হয়ে যখন বসে থাকে দেখে মনে হয় রাফিজের ছোট্ট জেরক্স কপি বসে আছে।
ওকে নিয়েই নাযিয়াত সব দুঃখ ভুলে যেতে চায় তবু নির্জন মুহূর্তগুলোতে রাফিজ যখন স্মৃতি হয়ে হানা দেয় তখন নিজেকে ধরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে নাযিয়াতের!
‘রণ’কে দেখে রাখা নিয়ে এখন কোনো সমস্যাই হয়না।তাই নাযিয়াত এবার বাইরে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলো।নাদিয়ার স্বামী রিফাতকে আগে থেকেই বলে রাখা হয়েছিলো।সে একটা কিন্ডারগার্টেনে নাযিয়াতের চাকরীর ব্যবস্থা করলো।সেখানে চাকরীর সুবাদে ভালো কিছু টিউশনিও পেয়ে গেলো সে।
আধাবেলা স্কুল আর সন্ধ্যের পর টিউশণি এ দুইয়ের মাঝখানে বিকেলটা অলস লাগে নাযিয়াতের! ‘রন’ তো বেশীরভাগ সময় নানী আর খালাদের কাছেই থাকে।কেবল রাতে ঘুমুবার সময় তার মা’কে চাই!
স্কুলের ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সময়টা বেশ কেটে যায় নাযিয়াতের।আয় কিছুটা বাড়ায় হাত খোলাসা হয়েছে ওর! নাযিয়াত আগে কখনো মোবাইলের ব্যবহার করেনি ।এর ওর মোবাইল থেকেই কথা বলতো।
এবার ওয়ালম্যাট বিক্রির সুবাদে নাদিয়া,নাঈমা ওরা একরকম জোর করেই একটা নতুন এন্ড্রয়েড কিনে দিয়েছে নাযিয়াতকে।ওকে আইডি খুলে তা চালাতে শিখিয়ে দিয়েছে।এখনও মাঝে মধ্যে ওর হস্তশিল্পের জিনিসগুলো প্রায়ই অনলাইনে এড দিয়ে দিলে আগ্রহী ক্রেতারা রিপ্লাই দেয়!
নাযিয়াতের আইডির নাম দিয়েছে “উম্মুল রণ”
এবং সেটাকে ওনলি সিষ্টার্স করে রেখেছে।
কিছুদিন পরেই একটা মেল আইডি থেকে ওর কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট আসলো।নাযিয়াত সেটা ডিলিট করে দিলো।নাযিয়াত নিজের কিংবা বাচ্চার কোনো ছবি ফেবু’তে দেয়নি, কেবল ওর স্কুলের নাম দিয়ে নিজের আইডেনটিটিতে এসিসট্যান্ট টিচারের পদবীটা উল্লেখ করেছে।
★
★
রাফিজ এখন একটা জীবন্ত রোবটে পরিণত হয়েছে।সারাদিন নিজেকে কাজে ডুবিয়ে রাখে আর গভীর রাত হলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে তারাগুলোর দিকে চেয়ে থাকে আর মনে মনে ফিসফিসিয়ে বলে-“নাযিয়াত, তুমি কোথায় আছো,কেমন আছো সোনা?”
তারপর ক্লান্ত হয়ে পড়লে বিছানায় আসে তার আগে না!মাঝেমধ্যে মোবাইলটা খুলে একটু ফেসবুক ঘাটাঘাটি করে।
রাফিজ একসময় নাযিয়াতকে খুব করে বলেছিলো একটা মোবাইল সাথে রাখো,কত কাজে লাগে।একটা সেটও দিয়েছিলো।যাবার সময় সব কিছু রেখে গেছে সে।
অভ্যেসবশতঃ মোবাইলটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ফেসবুক ঘাটলো।বন্ধ করতে যাবার মুহূর্তে হঠাৎ একটা নামের উপর চোখ আটকে গেলো রাফিজের।সে কি ভেবে ঐ আইডি টাতে গেলো কিন্তু দেখলো শুধু কিছু ওয়ালমেটের ছবি ছাড়া আর তেমন কিছু নেই।রাফিজ আঁতিপাতি করে আইডিটা ঘুরে এলো।সন্দেহ করার মতো কিছুই পেলোনা।
তবু সিদ্ধান্ত নিলো, ঐ কিন্ডারগার্টেনে যাবে ও!ব্যাপারটা কি জানতে হবে।
এই আইডির মহিলাটি কোন্ “রণ’র আম্মু? ”
……
চলবে…..