আড়ালে ভালোবাসি পর্ব-১২

0
1302

#আড়ালে ভালোবাসি
#পর্ব:12
#লেখনিতে: রিদিকা আফরোজ রোজা

ঘুম থেকে উঠে আরসাল ফ্রেশ হয়ে চলে যাই থানাতে আইরা কলেজে। এই দিখে আবির থাকিয়ে দেখে নিশাত রেডি হচ্ছে। আবির বলে কোথায় যাচ্ছো? নিশাত বলে কলেজে যাচ্ছি তুমি কোথায় যাবে ? আবির কিছু কোন চুপ থেকে বলে আমি মিটিং এ যাবো রাত হবে আসতে তুমি চিন্তা করো না। নিশাত বলে তুমি লান্স এ আসবে না? আবির বলে না। নিশাত তো পারলে মনে মনে ডান্স দেই। আবির মনে মনে বলে আজকে আমি ঠিক যেনে ছারবো তুমি কোথায় যাও আর এই রায়ান কে। আবির বের হতেই নিশাত বেরিয়ে পরে।

আবির দেখে নিশাত কলেজের উল্টো দিখে যাচ্ছে আবির ও পিছন পিছন যাই। অনেকটা যেতেই একটা বড়ো হোটেল আবাসিক। আবির ভাবতে থাকে এই হোটেলে তো মানুষ অবৈধ কাজ করে আমি যানি তাহলে নিশাত বলেই তারা তারি করে ডুকে যাই। ভিতরে ডুকতে এক গার্ড আটকে দিয়ে বলে কতো নাম্বার রুম নিয়েছেন? আবির বলে না নেই নি আমি রিসিপশান থেকে নিবো বলেই রিসিপশানের মেনেজার এর কাছে যাই। মেনেজার বলে sir কয়টা রুম লাগবে আর কেমন মেয়ে লাগবে প্লিজ বলুন। আবির বলে রুম পরে নিবো আপনাকে একজন এর ইনফরমেশন দিতে হবে। মেনেজার বলে সরি আমরা আপনাকে কোনো ইনফরমেশন দিতে পারবো না। আবির বলে যদি টাকা দেই। মেনেজার বলে কতো দিবেন। আবির শয়তানি হাসি দিয়ে বিশ হাজার টাকা বের করে হাতে দেই। মেনেজার বলে একটা নাম এর জন্য এতো টাকা? আবির বলে ইয়েস এবার বলুন। মেনেজার নাম দেখে বলে রায়ান হলো আমাদের রেগুলার কাস্টমার আর ওর রুম 302 এটা সব সময় নেই কারন প্রতিদিন নতুন নতুন মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করে। আবির ধন্যবাদ বলেই 302 নাম্বার রুমের দিখে যাই। আবির রুমের কাছে যেতে দেখে দরজা হালকা কুলা। আবির আর একটু ধাক্কা দিয়ে যা দেখে আবির এর পায়ের তলার মাটি সরে যাই নিশাত রায়ান এর সঙ্গে আপত্তি কর অবস্থায় এটা দেখে রাগে আবির হাত মুটো করে নেই। রায়ান নিশাত এর হাতে দলিল দিয়ে বলে আবির কে ড্রাগস খাইয়ে পরে সাইন নিয়ে নিবে ওর সম্পত্তির পারবে তো? নিশাত বলে কেনো পারবো না বেইবি এই আবির তো পুরা বোকা নাহলে কেউ আইরার মতো মেয়েকে ছেরে দেই। আবির আমার কথায় উঠ বস করে যা বলি সেটাই বিশ্বাস করে তাই তো আইরা কে ও ওর চোখে লোভি বানিয়েছি। রায়ান বলে মানে? নিশাত বলে আসলে বিয়ে পর আবির এর আচরন পাল্টে যাচ্ছিলো আইরা কে মুটেও অন্য কারো সাথে মানতে পারছিলো না ওর প্রতি ভালোবাসা থেকে গেলো আবির এর। তখন ভাবলাম আবির কে আইরার প্রতি দুর্বল হতে দিবো না তাই তো যেই দিন আইরা আবির এর ঝগরা হয় সেই দিন আমি গিয়ে আইরাকে বিভিন্ন কথা বলে আপমান করি আর বলি আমার আর আবির এর মাঝে না আসতে আমাদের মাঝে ফিজিক্যাল রিলেশন হয়ে গেছে আবির তোকে ভালো কখনো বাসেনি তাহলে আমার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন এ যেতো না তাই আমার আর আবির এর লাইফ থেকে দুরে থাক এই গুলো বলে চলে আসি কারন আমি যানি আইরা আবির কে কতো টা ভালোবাসতো ওর প্রথম ভালোবাসা ছিলো আবির। এরপর আবির আইরার কাছে যেতে আবির কে অপমান করে আর বলে আরসাল ভাই কে মেনে নিয়েছে। আবির আইরা কে লোভী ভাবে। আমি যেমন আবির ও নামে আইরার কানে বিষ ডেলেছি আবির এর কানে ও আইরার নামে বিষ ডুকিয়েছি। আবির দরজা টা মেরে হোটেল থেকে বেরিয়ে যাই। গাড়ি তে বসে আবির চিৎত্কার করে কাঁদতে থাকে আর বলে আই এম সরি আইরা মাফ করে দিস তোর সাথে যা করেছি আমি ও সেটার ফল পেয়ে গেছি আমি কি করে পারলাম তোকে টকাতে এই চললাময়ীর ফাঁদ এ পরে। আমি তো যানতাম তুই আমাকে কতো টা ভালোবাসিস তবুও আমি তোকে বাজে কথা বলে অপমান করেছি যেখানে তোর কোনো দোষ ছিলো না মাফ করে দিস আমাকে বলে আবির গাড়ি নিয়ে ক্লাবে চলে যাই। ক্লাব থেকে মাতাল হয়ে বের হয় গাড়ি নিয়ে হঠাৎ আবির এর গাড়ির সামনে আরেকটা গাড়ি চলে আসে আবির গাড়ি সাইড করতে গিয়ে গাছের সাথে লেগে যাই আবির ছিটকে নিছে কাঁদায় পরে যাই আর অস্পষ্ট সুরে বলে i am sorry আইরা।

আরসাল বাসাই এসে ফ্রেশ হয়ে আইরা কে খাওয়াচ্ছে ওমনি দেখে আরসাল এর বন্ধু আকাশ এর ফোন আরসাল রিসিভ করতেই আকাশ বলে তারা তারি করে হসপিটালে চলে আই আবির এর মারাত্মক এক্সসিডেন্ট হয়েছে কথা টা শুনে আরসাল এর হাত থেকে ফোনটা পরে যাই। যতোই রাগ থাকোক এটা সত্যি আবির কে আরসাল নিজের জীবনের ছেয়েও বেশি ভালোবাসি। আইরা জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে। আরসাল বলে আবির এক্সসিডেন্ট করেছে। আইরা বলে কিইই। আরসাল আইরা কে নিয়ে হসপিটালে চলে যাই গিয়ে দেখে আরসাল এর বাবা মা কাঁদছে। আরসাল সবাই কে শান্ত করে। এই দিখে আইরা দেখে নিশাত কোথাও নেই আইরা মনে মনে বলে আবির এর এতো বড়ো এক্সসিডেন্ট আর নিশাত নেই। একটু পর ডক্টর বেরিয়ে আসে বলে রক্ত লাগবে। আবির এর বাবা আর আরসাল রক্ত দেই। এরপর কেটে যাই দুই ঘন্টা ডক্টর বেরিয়ে এসে বলে রোগী বিপদে মুক্ত কাঁদার মাজে পরাতে হাত পা ভাঙ্গে নি তবে মাথায় হাতে লেগেছে কিছু দিন বেড রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে
চলমান….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে