#আড়ালে ভালোবাসি
#পর্ব: 1
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা
আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না আইরা আমি নিশাত কে ভালোবাসি! বিয়ে বাড়িতে বর এর মুখে এই কথা শুনে সবাই অবাক। আইরা বলে কি বলছো আবির আমাদের তিন বছর এর সম্পর্ক আর তুমি বলছো তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসো এটা মিথ্যা আবির তুমি মজা করছো। আবির বলে মুটেও মজা না আইরা আমি নিশাত কে ভালোবাসি আর তাকে বিয়ে করবো। নিশাত এবার চিৎত্কার করে বলে বেইমান বিশ্বাস ঘাতক তাহলে আমার তিন বছর এর ভালোবাসা কি ছিলো বল কি ছিলো বলেই নিছে বসে চিৎত্কার করে কাঁদতে থাকে। আবির এর বাবা এসে আবির এর গালে ঠাস করে থাপ্পর মেরে বলে আমার লজ্জা লাগছে আমি তোর মতো একটা জানোয়ার কে জন্ম দিয়েছি চিৎ তুই যখন আইরা কে বিয়ে করতে পারবি না তাহলে কেনো এই বিয়েতে রাজি হলি। আবির বলে তোমাদের জোর এর জন্য আর আইরা ভয় দেখিয়েছে ও আত্হত্যা করবে। আইরা এবার উঠে আবির কে থাপ্পর মেরে বলে বেইমা আমি কখোন তোকে এই কথা বলেছি। আমি তোকে অভিশাপ দিলাম তুই কখনো সুখি হতে পারবি না আমার সাথে প্রতারনা ফল তোকে পেতে হবে বলেই বিয়ের আসর থেকে দৌরে চলে যাই।
আবির আর আইরার তিন বছর এর রিলেশন আজকে পারিবারি ভাবে বিয়ে হতে যাচ্ছে। আবির আইরার বাবার বন্ধুর ছেলে পারিবারিক একটা অনুষ্ঠানে দেখা হয় দুইজনের তখন থেকে বন্ধুত্ব এরপর আস্তে আস্তে তা ভালোবাসতে পরিনত হয়। আইরা নিজের ঘরে গিয়ে আবির আর তার ছবি টা ফেলে চিৎত্কার করে কেঁদে বলে কেনো এমন করলে আবির আমার সাথে কেনো করলে এটা আমি তো তোমাকে নিজের থেকে ও বেশি ভালোবাসি কেনো প্রতারনা করলে বলে কাঁদতে থাকে। এই দিখে আবির নিশাত এর বিয়ে হয়ে যাই। আবির এর বাবা আইরার বাবার হাত দরে বলে আমাকে মাফ করে দিস তুই বন্ধু। আইরা মামুনির বিয়ে আমি আমার বড় ছেলে আরসাল এর সাথে দিতে চাই আমি আরসাল কে খবর দিয়েছি। একটু পর আরসাল আসে। আইরার ভাই আরহাম আইরার পাসে বসে। আইরা ভাই কে দেখে জরিয়ে দরে কেঁদে দেই আর বলে ভাইয়া আমার এমন কি দোষ ছিলো আবির আমাকে কেনো টকালো?আরহাম বলে তোর কোনো দোষ নেই পুচকি আবির তোর যোগ্য না আমি আগে বলেছিলাম ও ভালো না তুই তো আমাকে বিশ্বাস করলি না। আইরা বলে সরি ভাইয়া বলেই কাঁদতে থাকে। আরসাল বলে আর কান্না না এবার চল বাহিরে তোর বিয়ে হবে আরসাল এর সাথে। আরসাল এর নাম শুনে আইরা ভয়ে ডুগ গিলে বলে ভাইয়া উনি তুমি তো যানো আমি আরসাল ভাই কে কতো ভয় পাই। আরহাম বলে আরসাল আমার বেস্ট ফেন্ড ও খুব ভালো দেখিস বোন তুই সুখি হবি। আবির যদি তোকে পেলে আরেক জন কে বিয়ে করতে পারে তাহলে তুই কেনো পারবি না তুই ও আবির কে দেখিয়ে দে তুই দুর্বল না। ভাই এর কথা শুনে আইরা মনে মনে বলে ভাইয়া ঠিক বলেছে আবির যদি সুখে থাকে আমি কেনো পারবো না আমি ও আরসাল ভাই কে বিয়ে করবো আর এই বাসাই ডুকবো তোমার বিনাশ আমি নিজের হাতে করবো আবির বলেই কান্না মুছে বলে ভাইয়া আমি রাজি বলেই আরহাম এর সাথে বের হয়। আইরা কে আসতে দেখে আবির অবাক আইরা যে বিয়ের জন্য রাজি হবে আবির ভাবতে পারেনি। এই দিখে আরসাল এর কোনো ভাব মতি নেই এক দেনে ফোন টিপছে । আইরা আবির এর দিখে ঘৃনা ভরা দৃষ্টি তে থাকাই যেটা আবির বুজতে পারে। আর আইরার সেই ঘৃনা যেনো আবির মানতে পারছে না। আবশেষে আইরা আর আরসাল এর বিয়ে হয়ে যাই। আবির এই জিনিস টা মুটেও মানতে পারেনি কিন্তু কেনো আবির যানেনা হয়তো তিন বছর সম্পর্ক ছিলো বলে। আইরা আরসাল আবির নিশাত কে নিয়ে সবাই চৌধুরি বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যাই। আসমা চৌধুরি দুই ছেলের বউ কে বরন করে ঘরে তুলে। নিশাত আইরার কানে কানে বলে বলেছিলাম না আবির কে কেরে নিবো দেখলি নিলাম। আইরা বলে তুই সব সময় অন্যর করুনা নিয়ে থাকিস এবার ও নিলি আমার থেকে তবে তোর এই সুখ বেশি দিন টিকবে না নিশাত মনে রাখিস বলেই ভিতরে ডুকে যাই। নিশাত রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলে তোকে দেখে নিবো আগে এই বাড়িতে যেই উদ্দেশ্যে এসেছি তা সফল করি আর এই গাঁধা আবির এর থেকে মুক্তি নিবো এরপর বলেই ভিতরে ডুকে যাই। নিশাত আর আইরা ইন্টার কমপ্লিট করেছে। আইরার বয়স 18 নিশাত এর 20 আইরার দুই বছর এর বড়ো…
চলবে….
#আড়ালে ভালোবাসি
#পর্ব:2
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা
আইরা আর নিশাত কে খাইয়ে দুই জন কে দুই রুমে দিয়ে আসা হলো আইরা কে আরসাল এর রুমে আর নিশাত কে আবির এর রুমে। নিশাত রুমে ডুকে কাটে বসে ভাবতে থাকে কি করে ওর প্লান সফল করবে। তখনি নিশাত এর ফোনে কল আসে স্কিনে নাম টা দেখে নিশাত এর মুখে হাঁসি ফুটে উঠে। নিশাত বলে হেলো রায়ান জান কি করছো তুমি। অপর দিখ থেকে রায়ান বলে কিছু না বেবি বসে আছি তা তোমার স্বামী কোথায়? নিশাত বলে বাহিরে আছে হয়তো। রায়ান বলে শুনো আবির যেনো কোনো মতে আমাদের প্লান না যানতে পারে এমন কিছু করবে না যাতে ওর মনে সন্দেহ ডুকে যাই ।দরকার পরলে ফিজিক্যাল রিলেশন এ ও যাবে বলেই ফোন কেটে দেই। এই দিখে নিশাত ভাবছে রায়ান এটা কি করে বলতে পারলো ও তো আমাকে ভালোবাসে তাহলে আরেক জন এর সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন এ যেতে বলছে। তখনি মনে মনে বলে না নিশাত রায়ান কে ভুল বুজবি না ও ঠিক বলেছে না হলে আবির সন্দেহ করবে……
আইরা রুমে বসে ভাবছে আবির এর কথা 15 বছর এর কিশোর মনে প্রথম ভালোবার ফুল ফুটিয়ে ছিলো 23 বছর এর যুবক তিন বছর এর ভালোবাসা কি করে ভুলে গেলো আবির চোখের জল মুছে বলে আর কাদবো না বেইমান টার জন্য ও সুখে আছে আমি কেনো কষ্ট পাবো। এই দিখে ছাদের উপর দারিয়ে আইরার কথা ভেবে চোখের জল পেলছে আরসাল। তখনি কেউ পিছন থেকে আরসাল এর কাঁধে হাত রাখে আরসাল ঘুরে দেখে আরহাম। আরহাম আরসাল কে উদ্দেশ্যে করে বলে কাঁদছিস তুই। আরসাল বলে আমার ভুলের জন্য আজ আইরা সবার সামনে অপমানিত হলো কাঁদলো যাকে হাঁসি খুশি রাখার জন্য তিন বছর আগে নিজের সব আবেগ ভালোবাসা মাটি চাপা দিয়ে আবির এর হাতে তুলে দিয়েছি আর সেই আবির ওকে কষ্ট দিলো আমার উচিত ছিলো ওই দিন জোর করে আইরা কে নিজের করা। আরহাম আরসাল এর হাতে দরে বলে কেনো নিজেকে দোষ দিচ্ছিস তুই তোর কোনো দোষ নেই আইরার ভুল সব। তুই তো আইরা আর আবির দুই জন কে ভালোবাসি আর তুই তোর দুই ভালোবাসার মানুষকে এক করতে নিজের ভালোবাসা সেক্রিফাইস করলি এখন কেনো নিজেকে দোষ দিচ্ছিস। আরহাম এর কথা শুনে আরসাল ভাবছে তিন বছর আগের কথা।
তিন বছর আগে
আইরা কে ছোট থেকে পছন্দ করে আরসাল আইরার যখন 13 বছর বয়স তখন থেকে কিন্তু কখনো বলেনি শুধু আরহাম যানতো। আরসাল আইরা কে ভালোবাসলে ও খুব শাসন করতো আইরা কে। আর ছোট থেকে আইরা আরসাল কে ভয় পাই আরসাল এর রাগ এর জন্য। আরসাল আইরা কে ভালোবাসলে ও তা প্রকাশ করেনি। দিন যাচ্ছে আরসার এর ভালোবাসা বারছে ততো টা। এই ভাবে কয়েক বছর কেটে যাই। আবির ছিলো ফুফুর কাছে লন্ডন এ পড়া শুনা করতো আইরার যখন 15 বছর বয়স তখন প্রথম আবির এর সাথে দেখা আইরার জন্মদিন দিন এরপর ভালোবাসা। আইরা যেই দিন আবির কে ভালোবাসি বলেছিলো সেটা আরসাল দেখতে পাই। আরসাল আগে থেকে বুজতে পারতো আইরা আবির এর সাথে থাকলে হাসি খুশি থাকে। আর আবির এর আইরার জন্য পাগলামি সব দেখে আরসাল আর প্রকাশ করে নি নিজের মনের কথা আরহাম অনেক বলেছে কিন্তু আরসাল এর এক কথা সে তার আদরের ছোট ভাই আর ভালোবাসার মানুষ এর মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে থাকবে না যদি ভাগ্য রাখে আইরা ঠিক তার হবে। আরহাম এর ধাক্কা খেয়ে হুঁশ আসে আরসাল এর। আরসাল আরহাম এর হাত দরে বলে তোকে বলেছিলাম না আইরা যদি আমার ভাগ্য থাকে ঠিক আসবে তাই হলো। আরহাম আরসাল এর হাত দরে বলে এবার বলে দে তুই আইরা কে ভালোবাসিস। আরসাল বলে কখনো না আইরা এতো অল্প বয়সে একটা ধাক্কা খেয়েছে এখন ও এসব মানতে পারবে না আমি চাই ও আমার সাথে থেকে আমার প্রতি ওর ভালোবাসা জন্ম হোক। আর ও নিজে থেকে আমাকে বলোক ভালোবাসে। আমি আইরা কে নিজের জীবনের ছেয়েও বেশি ভালোবাসি ওর আড়ালে কখনো ওকে যানতে ও দিবো না যতো দিন না ও আমাকে ভালোবাসতে পেরেছে। আমি ওর কাছে ঠিক সেই ছোট বেলার রাগি আরসাল ভাইয়া হয়ে থাকতে চাই যাতে আইরা কে কনটরুল এ রাখতে পারি। আরহাম বলে তোর ইচ্ছা যাই হোক রুমে যা আইরা এখা আছে। আরসাল মাথা নারিয়ে রুমে দরজার সামনে গিয়ে মুখ টা কে গম্ভীর করে ভিতরে ডুকে………
চলবে……