#আড়ালে ভালোবাসি
#পর্ব :9
#লেখনিতে : রিদিকা আফরোজ রোজা
আইরা আবির কে দেখে রেগে বলে কি চাই। আবির আইরা কাছে গিয়ে বলে তোমার সাথে আমার কথা আছে আইরা। আইরা এবার কিছুটা শান্ত কন্ঠে বলে আপনার সাথে আমার কোনো কথা নেই আর আমাকে তুমি না আপনি বলবেন আমি আপনার বড়ো ভাই এর স্ত্রী হয়। আবির বলে বাহ কয়দিন না হতেই আমি তুমি থেকে আপনি হয়ে গেলাম আর ভাইয়া এতো আপন হয়ে গেলো এমন কি করলো যে একবারে বশ হয়ে গেছো। আইরা রেগে চেঁচিয়ে বলে আপনার মতো নোংরা সবাই না। আর কি যেনো বলছিলেন আপনি কেনো আমি আপনাকে তুমি বলি না সেই অধিকার আপনি নিজে হারিয়েছেন। আর জামাই মানবো না তো কি করবো আপনার সুঘে দেবদাস হবো বুজি সেটা ভুল আপনি আমাকে টকিয়ে ভালো আছেন আমি কেনো কষ্ট পাবো আর আরসাল ভাই এর মতো ছেলে পাওয়া ভাগ্য আল্লাহ কে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার জীবনে না রাখার জন্য তাহলে আরসাল এর মতো কাউকে পেতাম না। আবির রেগে আইরা হাত ধরে বলে এসেছিলাম মাফ চাইতে কিন্তু ভুল ছিলো আসা টা। ভেবেছিলাম তুই কষ্টে আছিস তাই মাফ ছেয়ে নিবো কিন্তু না তুই তো খুব ভালো আছিস কাল নাগিনি তাহলে বিয়ের দিন এতো নেকামী কেনো করলি আসলে এখন মনে হচ্ছে তুই লোভী আইরা আরসাল খান এর আমার থেকে বেশি টাকা বলে থাকে সহজে মেনে নিলি আমাকে ভুলে। আইরা এবার আবির এর গালে ঠাস করে থাপ্পর মেরে বলে আমাল ঘৃনা হচ্ছে তোর মতো জানোয়ার কে এতো দিন ভালোবেসেছি এই তিন বছর এ ও তুই আমাকে ছিনলি না। আরে তোর মতো ছরিএ সবার না যে প্রেমিকা থাকার সত্যে ও তার বান্ধবীর রূপে পাগল হয়ে যাই। আর আরসাল কে মেনে নেওয়ার কথা বলছিস ওর সব কাজ আচরন কেয়ার বাধ্য করেছে থাকে মেনে নিতে। আফসোস জীবনে মানুষ চিনতে পারলাম না যদি চিনতে পারতাম তাহলে তোর মতো প্রতারক কে ভালোবাসতাম না। তবে কথায় আছে না পাপা বাপ কে ও ছারে না দেখবি তুই ও তোর পাপের শ্বাস্তি ঠিক পাবি বলেই রুমে ডুকে যাই। আবির রেগে নিজের রুমে চলে যাই।
আবির রুমে ডুকতে নিশাত নেকামি করে বলে আবির বেবি আর ইউ ওকে কি হয়েছে? আবির রেগে বলে তুমি ঠিক বলেছো আইরা লোভী একটা মেয়ে আমি বিশ্বাস করিন তবে আজ করলাম কতো তারা তারি আরসাল খান কে মেনে নিলো শুধু টাকার জন্য আর ওর কথা ভেবে কষ্ট পেয়ে তোমাকে ইগনোর করেছি আই এম sorry বেবি । নিশাত আবির কে জরিয়ে ধরে শয়তানি হাসি দেই আর বলে যাক নিশাত আবির তো তোর হাতের পুতুল হয়ে গেলো যা বলেছিস তাই বিশ্বাস করে নিয়েছে। আইরা তোর উপর আবির এর যতো টা টান ছিলো সেটাও শেষ করে দিলাম। আবির কে ছেরে নিশাত বলে বেবি আমার বান্ধবীর বাবা অনেক অসুস্থ থাকে দেখতে যাবো তুমি কি অনুমতি দিবে? আবির বলে সমস্যা কি যাও আমি ও বাহিরে যাবো কাজ আছে। নিশাত আবির এর গালে চুমু দিয়ে বলে thank you জান বলেই রায়ান কে মেসেজ করে দেই সে আসছে। নিশাত এর মেসেজ পেয়ে রায়ান হোটেল রুমে তার গালফেন্ড নিধি কে বলে জামা কাপর পরে নিতে নিশাত আসছে। নিধি রায়ান এর গলা জরিয়ে দরে রায়ান এর ঠুঁটে ডিপ কিস করে উঠে ড্রেস পরে চলে যাই।আর রায়ান বিছানা গুছিয়ে নেই।
সন্ধ্যায় আরসাল খুব খুশি মনে বাসাই আসে। কারন যেই কেইস টা হাতে নিয়েছিলো সেটা সাকসেসফুল হয়েছে। আরসাল কলিং বাজাতে নিশাত দরজা খুলে দেই । আরসাল দেখে আবির নিশাত ওর বাবা মা সবাই নিছে আইরা নেই। আরসাল না দারিয়ে উপরে নিজের রুমে চলে যাই গিয়ে দেখে রুম অন্ধ কার। আরসাল আইরা বলে ডাকে কিন্তু কোনো শব্দ নেই। হঠাৎ শুনতে পাই কান্নার আওয়াজ। আরসাল তারা তারি করে লাইট জ্বালিয়ে দেখে আইরা নিছে বসে কাঁদছে। আরসাল দৌরে আইরা পাশে বসে বলে কি হয়েছে আইরা কেউ কিছু বলেছে আমাকে বল আইরা জান আমার কলিজা কে কি বলেছে বলো আমাকে? কিছু না বলে আইরা আরসাল কে জরিয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে। আরসাল বুঝতে পারছে না আইরার কি হয়েছে। আজকে চেয়েছিলো আইরা কে নিয়ে ঘুরতে যাবে একটু পর কিন্তু এসে এমন দেখবে ভাবতে পারেনি। আরসাল বলে আইরা প্লিজ ডেয়ার ডোন্ট ক্রাই তুমি যানো তোমার কান্না আমার কলিজায় গিয়ে আঘাত করে। আইরা কান্না বন্ধ করে হেচকি তুলতে তুলতে বলে আমি এখানে থাকতে চাই না প্লিজ অন্য কোথাও নিয়ে যাও না। আইরা কথা শুনে আরসাল ভাবতে থাকে কি এমন হলো আইরা এই বাসাই থাকবে না বলছে মম ডেড তো ওকে অনেক ভালোবাসে তাহলে কি হলো তখনি মনে হয় আবির এর কথা সাথে সাথে চোখ লাল হয়ে যাই রাগে। আরসাল আইরা কে বুক থেকে তুলে বলে আবির কিছু বলেছে। আইরা ভয়ে পেয়ে মনে মনে বলে এখন যদি এই কথা গুলো বলি তাহলে তো অনেক জামেলা হবে।
চলবে….