#আড়ালে ভালোবাসি
#পর্ব:4
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা
আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস পেলছে আবির। আবির আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে আমি তো নিজে থেকে এই বিয়ে করেছি তাহলে এখন কেনো মানতে পারছি না। আইরা তো ছিল আমার মোহ তাই থাকে চেরে দিয়েছি নিশাত কে ভালোবাসি বলে তাহলে এখন কেনো নিশাত এর সাথে ফ্রি হতে পাচ্ছি না কেনো বার বার আইরার কথা মনে হচ্ছে আমার। আইরা আমার ভাই এর বউ আমার কেনো তাতে কষ্ট হচ্ছে এসব ভাবতে তাকে তখনি পিছন থেকে নিশাত জরিয়ে দরে বলে এতো রুমে যাচ্ছো না কেনো কখোন থেকে বসে আছি। আবির বলে তুমি যাও আসছি। নিশাত বলে না তোমাকে নিয়ে যাবো বলেই আবির কে টানতে টানতে রুমে নিয়ে যাই এরপর বলে আজ তো আমাদের বাসর রাত এটার জন্য কতো অপেক্ষা তে ছিলাম দুইজন তাই না আজকে সেই আশা পূরন হবে। আবির নিশাত এর হাত চারিয়ে বলে আমি ক্লান্ত আজকে নিশাত প্লিজ লিভ মি বলেই ওয়াশ রোমে ডুকে যাই নিশাত বির বির করে বলে ভালোই হয়েছে রাজি হয়নি বাসর করতে যা ইচ্ছা করোক আমার কি বলেই ড্রেস পাল্টে শুয়ে পরে। আবির ও এসে শুয়ে পরে নিশাত এর পাশে তবে ঘুমাতে পারছে না বার বার আইরার মুখ টা বেসে আসছে। আবির এবার উঠে ব্যালকনিতে বসে সিগারেট দরিয়ে সারা রাত পার করে দেই।
সকাল বেলা আগে আরসাল এর ঘুম ভেঙ্গে যাই আজান এর শব্দ শুনে। আরসাল উঠে আইরার দিখে তাকিয়ে থেকে আইরার কপালে চুমু খেয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে আইরা উঠ। আইরা একটু নরে আবার ঘুমিয়ে পরে। অরসাল আবার ডাকে আইরা তখন ও শব্দ করে না। আরসাল বলে আমার ঘুম কুমারী বলেই নিজেকে সামলে নিয়ে আইরার মুখে পানি ডেলে দেই আইরা লাফ দিয়ে উঠে বলে আরসাল ভাই বৃষ্টি ছাঁদ ফুটো হয়ে বৃষ্টি পরেছে আমার শরির এ। আইরার কথা শুনে আরসাল ঠোঁট টিপে হাসে পরক্ষণে নিজেকে সামলে রাগি গলায় বলে ইডিয়েট এতো দুর্বল রট আর সিমেন্ট দিয়ে বাড়ি করিনি ছাদ ফুটো হয়ে তোর উপর বৃষ্টি পরবে। আমি তোকে পানি মেরেছি। আইরা বলে কেনো আপনার সাথে আমার কোন জন্মের শত্রুতা বলেই মুখে হাত দিয়ে বলে এই রে আইরা এটা কি করলি আরসাল ভাইয়ার মুখে মুখে কথা বলেই আরসাল এর দিখে তাকিয়ে দেখে আরসাল রাগে ফুঁসছে। আরসাল জুকে আইরার দুই পাশে হাত রেখে বলে তোর সাহস দেখছি খুব বেরে গেছে আইরা তুই ভালো করে যানিস মুখে মুখে কথা আমার পছন্দ না। আইরা ভয়ে ভয়ে বলে আর কখনো এমন হবে না প্লিজ মেরো না। আরসাল এবার গম্ভীর গলায় বলে ওযু করে আই নামাজ পরবি। আইরা মাথা নারিয়ে এক দৌরে ওয়াশ রুমে ডুকে যাই। ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে দেখে আরসাল রেডি হচ্ছে মসজিদে যেতে। যাওয়ার আগে আইরা কে বলে নামাজ পরে রুমে শুয়ে তাকবি একদম বের হবি না আর যদি আমি যানতে পারি বের হয়েছিস তাহলে তোর কপালে দুঃখ আছে বলে বেরিয়ে যাই। আইরা বির বির করে বলে উঠে ডেভিল কালি বকে সারাদিন বলেই নামাজ এ দারিয়ে যাই। নামাজ শেষ করে আরসাল রুমে এসে দেখে আইরা ঘুমে। আরসাল আইরা গালে হাত রেখে বলে আমার পিচ্চি রানী খুব ভালোবাসি তোকে পাগলি তবে সেই ভালোবাসা টা চাইলে ও প্রকাশ করতে পারছি না বলেই কপালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে যাই আইরা খাবার আনতে।
ঘুম থেকে উঠে নিশাত দেখে পাশে আবির নেই। নিশাত বলে গেলো কোথায় বলে ব্যালকনিতে গিয়ে দেখে দোলনাতে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে আবির পাশে সিগারেট পেলে রাখা অনেক গুলো। নিশাত মনে মনে বলে দেবদাস একটা লোকে বলে ভাবিয়া করিয় কাজ করিয়া ভাবিও না সেটাই হলো আবির এর না পারছে আইরা কে ভুলতে না পারছে আমাকে মানতে। আমি ভালো করে বুজে গেছি মিঃ আবির আমার প্রতি তোমার মহো ছিলো আর সেইটা তুমি ভালোবাসা বলে চালিয়ে দিলে আমি ও হেল্প করেছি এটা বিশ্বাস করাতে। তোমার ভালোবাসা তে আমার কিছু যাই আসে না আমার কাজ শেষ হলে চলে যাবো তুমি আইরার প্রতি দুর্বল হলেও আমার কিছু না তবে সেটা এখন বুজতে দেওয়া যাবে না এসব ভাবতে থাকে তখনি আবির বলে তুমি এখানে? আবির এর ডাকে নিশাত এর হুঁশ আসে নিশাত এবার একটু ঠিক হয়ে ডং করে বলে আবির জান তুমি এই কানে কেনো বসে আছো কখোন এলে আমাকে বলতে সাথে আসতাম আমি। আবির মনে মনে বলে ওকে বলা ঠিক হবে না রাতে এসেছি। আবির বলে ফজর এর সময় এসেছি আমি
নিশাত বলে ও আচ্ছা রুমে চলো তোমার জামা কাপর বের করে রেখেছি অফিস যাবে তো আমি তোমার জন্য খাবার রেডি করছি নিছে আসো বলেই নিশাত চলে যাই। আবির ভাবতে থাকে আমি কি নিশাত এর সাথে অন্যায় করছি ওর তো কোনো দোষ নেই আমি ওকে ভালোবেসে বিয়ে করছি আর আইরা আমি তো ওর সাথে ও অন্যায় করছি কি করবো আমি কিছুই মাথায় আসছে না বলেই মাথায় দুই হাত দিয়ে নীচু হয়ে বসে থাকে।
চলবে……..