#আম_সন্দেশ
#পর্ব_০৭
#রিমি_ইসলাম
বাবার মুখে হাসি খুঁজে পাচ্ছি না। বোঝাই যাচ্ছে আমার বিয়ের সিদ্ধান্ত তাঁর মত বিরোধীও নয়,আবার স্বাচ্ছন্দ্যেও নয়। প্রভাত ভাই কি কোনো ভাবে বাবাকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন? হতে পারে! তিনি জটিল অনেক কাজ অতি সহজেই করে ফেলতে পারেন। বাবাকে বিয়েতে রাজি করানোর মতো অসাধ্য কাজ যখন করে নিয়েছেন, তখন সব পারেন।
বাবা এক হাতে মাথা ধরে সোফায় খুব চিন্তিত ভঙ্গিতে বসে আছে। দাদি তাঁর পাশে। আমি তাদের সামনে দাঁড়িয়ে। একটু আগে বাবা আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে। যদিও জানি বিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপারে বাবা আলাপ করবে। তবুও ভীষণ চিন্তা হচ্ছে।
এভাবে বেশ খানিকটা সময় পার করে বাবা বললো,
___’ তোর বিয়ে আগামী শুক্রবার জানিস তো? না জানলেও অসুবিধে নেই। কারণ যে কান্ড ঘটিয়েছিস এরপর ওই ছেলের সাথে বিয়ে না দিয়ে পথ নেই। কথা বুঝলি? ‘
আমি মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ ধরলাম। এরপর বাবা কিছু কথা বললো বিড়বিড় করে। বাকিটা আমাকে জ্ঞান দিয়ে। রুমে ফিরে শুয়ে থেকে ভাবলাম ঠিক কোন কারণে বাবা বিয়েতে রাজি হলো। ব্যাপারটা এখনো আমার কাছে ধোঁয়াশা।
এদিকে ফোনটা রিং হচ্ছে। অচেনা নাম্বার। আমি আননোন নাম্বার কখনো রিসিভ করি না। তবু এই নাম্বারের দিকে তাকালেই মনে হচ্ছে খুব চেনা কোনো ব্যক্তি রয়েছে ফোনের ওপাশে। যার আমার ফোনটা রিসিভ না করার দরুন গলা আটকে রয়েছে। একবার নয়, পুরো বিশটা রিং বেজে একুশ বারের বেলায় রিসিভ করলাম। আর করেই বুঝলাম আমার ধারণা যথার্থ ছিল। আপনারাও হয়তো আন্দাজ করতে পারছেন কে হতে পারে?
___’ তোকে কতবার ফোন করা লাগে হ্যাঁ? কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি। বাইরে আই।’
আমি থতমত খেয়ে যায়। বাইরে মানে কি? গতবার একরাতের ঘটনায় আমার জীবনে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন করে দিয়েছে। এবার আর সেই রিস্ক নিতে চাই না।
___ ‘আমি কোথাও যাচ্ছি না।’
ফোনের বিপরীতে প্রভাত ভাইয়ের স্বচ্ছ হাসির আওয়াজ শুনতে পেলাম। তিনি বললেন,
___’ ভয় পাস না। জাস্ট কিছু কথা বলে ছেড়ে দেব। তবে কথা না শুনলে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে। হতে পারে বিয়েটা সবার মতে যেখানে খুশি খুশি আগামী শুক্রবার হবে। সেখানে মামা আজ রাতেই তোকে বিদায় করে দিবেন। ‘
ভয়ে শরীরে কাটা দিয়ে উঠলো। যেন হিমালয়ের হিমশীতল বাতাসের স্রোত রক্তে বয়ে গেল। এক মুহূর্ত আর থামলাম না। লাইন কেটে ওড়না দিয়ে ভালো মতো মাথা ঢেকে নিচে নেমে এলাম। একদম মেইন গেটের সামনে, যেখানে বরাবরের মতো আজও প্রভাত ভাইয়ের গাড়ি থামানো। আমি ধীর হাতে গেইট খুলতে গাড়ি থেকে তিনি নামলেন। আমার হাত ধরে বললেন,
___’ আই, গাড়িতে বসবি। একটা কথাও বলবি না। যেথায় নিবো সেথায় তোকে যেতে হবে। ‘
আমি দু’ দফা কথা বলার সুযোগ পেলাম না। গাড়িতে একরকম জোরপূর্বক তিনি আমায় বসিয়ে দিলেন। তারপর নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি ছাড়লেন। মাথার ওড়না টেনে একহাত ঘোমটা দিয়ে বসে আছি। ভয়ে হার্টবিট দ্রুত হতে দ্রুততর হচ্ছে। আকাশ কুসুম ভাবনা নিয়ে বসেছি। কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি? জানি না।
______
সেই ব্রীজটা। যেখানে প্রথমবার তিনি আমাকে এনেছিলেন। চোখের সামনে যেন সকল স্মৃতি ভেসে উঠলো। আবার কি আমায় ব্রীজে ঝুলিয়ে হুমকি ধামকি দেবেন? এই লোকের উপর ভরসা করা দায়।
প্রভাত ভাই আমার পাশে দাঁড়ানো। রাতের অন্ধকারে চাঁদের ফিনকি আলোয় রহস্যময়ী এক জগৎ তৈরি হয়েছে। যেখানে পাশে থাকা মানুষকে রহস্যময় মানব ভাবতে বাধ্য করছে। সত্যিই প্রভাত নামক মানুষটা বড্ড রহস্যজনক! আমি বুঝতে পারিনি তাঁকে। ভবিষ্যতেও পারব কি না জানিনা।
উনি প্যান্টের পাশ পকেটে হাত ঢুকিয়ে বললেন,
___’ বল তো বিয়েটা কিভাবে হচ্ছে? আই মিন, তোর না অন্য কোথায় বলে বিয়ে ঠিক ছিল? কি হলো সেটার? ‘
আমি হতভম্ব, নির্বাক, বিহ্বল। যে সব প্রশ্ন আমার করা উচিত সেই লাইনগুলো তিনি আওড়ে নিলেন। অথচ উত্তর আমারও চাই। আমি তাঁর চোখে চোখ রাখতে চাইলাম। বুঝতে চাই তাঁর মনে কি চলছে, কিন্তু ব্যর্থ আমি। কারণ তাঁর দৃষ্টি গিয়ে বিঁধেছে দূর অসীমে। প্রশ্ন করলাম।
___’ আপনি-ই বলুন কিভাবে কি হলো? সমস্ত কৃতকর্মের দায়-দায়িত্ব তো আপনার। উত্তর জান্তাও নিশ্চয়ই আপনি!’
প্রভাত ভাই লম্বা সময় নিয়ে নিঃশব্দে হাসলেন। তাঁর চওড়া ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে সাদা দাঁতগুলো দেখা যাচ্ছে। তাকালে বোঝা যাচ্ছে মানুষটা হাসছে। নয়তো টের পাওয়া মুশকিল। তিনি বললেন,
___’ এখন উত্তর দিতে ইচ্ছে করছে না। বিয়ে হচ্ছে এটাই যথেষ্ট। আম পেয়েছিস আমের স্বাদ গ্রহণ কর। কোথ থেকে এলো, কেন এলো এসব জেনে তোর কাজ নেই। তোকে যে জন্য এনেছি সেটা বলি?’
দমে গেলাম। একবার এই ছেলে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তাঁকে নড়ানো যাবে না। হতাশ হয়ে বললাম,
___’ বলুন।’
___’ তোর কোথাও ঘুরতে ভালো লাগে? মানে লং জার্নি? লং ট্যুর, মাস্তি এইসব?’
___’ এসব কার না পছন্দ? হ্যাঁ, ভালো তো লাগে। তবে সেভাবে কোথাও যাবার সুযোগ হয়নি। ‘
প্রভাত ভাই এবার হাতে তুড়ি বাজিয়ে বললেন,
___’ ওকে, দ্যান ডান। আমরা যাচ্ছি কাল। জমিয়ে প্রেম করব, তারপর বিয়ে। বিয়ের আগে প্রেম করতে না পারলে জীবন বৃথা!’
আবারও আমার নতুন উদ্বেগ সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে এসে আমার ছোট্ট মস্তিষ্কে ভর করলো। ‘আমরা যাচ্ছি ‘ এই লাইনটুকু একটি অসম্পূর্ণ লাইন। এর দ্বারা কোনো মানুষের পক্ষে কিছু বোঝা কি সম্ভব?
প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
___’ কোথায় যাচ্ছি? তাছাড়া যাচ্ছি মানে কি? গেলে আপনি যাবেন। আমি বাসা থেকে একচুল নড়বো না।’
___’ তোকে কিডন্যাপ করে হলেও নিয়ে যাবো। সবাইকে ম্যানেজ করার দায়িত্ব আমার। তুই যেয়ে টুকটাক গোছগাছ শুরু কর। চল এবার ফেরা যাক। অনেক রাত হচ্ছে। আমার ঘুম পাচ্ছে। ‘
আমাকে হাত ধরে আবার গাড়িতে বসিয়ে দিলেন। রাতটা বোধ হয় আমার নির্ঘুম কাটবে। এই ছেলের মাথায় না জানি কি ফন্দি ভর করেছে!
চলবে……..
#আম_সন্দেশ
#পর্ব_০৮
#রিমি_ইসলাম
___’ এ্যঁই!কি হলো রে সন্ধ্যা? রাত বিরাতে রোমান্স, আহা! প্রভাত ভাই এত রোমান্টিক আগে জানলে আমিই লাইনটা সেট করে নিতাম। মিস হয়ে গেল রে, ডাহা মিস!’
লিনা আপুর উদ্ভট কথার বারোটা বাজিয়ে দিতে পারলে শান্তি হতো। তাদের বলতে ইচ্ছে হলো, প্রভাত ভাই অতি ভদ্র ছেলের মতো আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেছেন। কোনো রোমান্স টোমান্স হয়নি। এমনকি গাড়িতে ফিরতি পথে আমার দিকে একঝলক দেখেননি পর্যন্ত। আর আমার বোনেরা কিনা আকাশ কুসুম কল্পনা করে বসেছে!
তানিয়া আপু আমার বাহুতে জোরে টোকা দিয়ে বললো,
___’ গোপন করছিস কেন, বল না? আমরাও একটু শুনে শুনে পাকাপোক্ত হই। কোথায় গিয়েছিলি রে তোরা? প্রভাত ভাই কি সারপ্রাইজ দিলো? বল না? মুখ দেবে বসে থাকিস না। উই আর সো মাচ কিউরিয়াস! ‘
___’ কিচ্ছু হয়নি, কোনো সারপ্রাইজ ছিল না। গাড়িতে নিয়ে গেছেন, নিজের কথা আমার ওপর ঝেড়ে আবার স্বদেহে ব্যাক করেছেন। ‘
আমার কথায় ওরা দু’জন হতাশ হলো। হাল ছেড়ে দিয়ে বললো,
___’ কিছুই করেনি? একটু রোমান্টিক কথাও না?’
দাঁত চেপে বললাম,
___’ না।’
______
সকালে ডাইনিংয়ে সবার থমথমে মুখ দেখে আরো একদফা ভয় আঁকড়ে ধরলো আমাকে। বাবা তো আছে সাথে দাদির চেহারাও থমথমে। মা এর চেহারা স্বাভাবিক। বোন দুজনে মুখ টিপে হাসছে। ওই লোক নতুন করে কোন আপদ হয়ে এলেন কে জানে! খাওয়া শেষে নিজের রুমে পা বাড়ালে দাদি আমাকে হাত ধরে তাঁর রুমে নিয়ে এসে দরজা বন্ধ করে দিলেন। আমি বিস্মিত। দাদি এমন কখনো করে না।
___’ ওই পাগলে করছে কি তুই জানিস কিছু? বলছে তোরে কিছু?’
আমি না সূচক মাথা নাড়লাম। দাদি আমাকে বসতে ইশারা করায় বিছানার এককোলে বসে পড়লাম। তার বিপরীতে দাদি বসে খুব চিন্তিত গলায় বললেন,
___’ তোর বাবারে বলছে তোর সাথে ঘুরতে যাবে কই জানি। আমি বুঝতেছিনা তোর বাবা কিভাবে রাজি হইলো? ভাবলাম তুই হয়তো কিছু জানিস। তোর বাপে আমারে কিছু বলতেছে না। আমিও আগ বাড়ায়া প্রশ্ন করতে যাই নাই। ‘
ঝড়ের প্রকৃত কারণ পেয়ে গেছি। বাবা তাহলে এই কারণে থমথমে মুখ করে রেখেছে। অসহায় মুখ করে বললাম,
___’ ব্যবস্থা করো দাদি, আমি ওই লোকের সাথে কোথায় যেতে চাই না। তার ওপর একা তো ভুলেও না।’
দাদি মুখটা এগিয়ে এনে কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করলো।
___’ প্রভাতের সাথে একা যাইতে চাসনা কেন? ওই কি তোরে কখনো কিছু করছে? অসভ্যতা, গায়ে হাত কিংবা……….’
___’ ছিঃ না, কক্ষনো না। উনি একটু উড়নচণ্ডী, রগচটা, ভাবী। তাই বলে তুমি তো তাঁকে চেনো। এমন কাজ তাঁর স্বভাব পরিপন্থী। আর আমার সাথে তো ভুলেও একাজ করবেন না। এই বিশ্বাসটুকু আছে। একা কোথাও তাঁর সাথে যেতে চাই না শুধুমাত্র উনার টর্চার থেকে বাঁচতে। আমাকে রোবটের মতো পরিচালনা করেন। উঠতে বললে উঠতে হবে, বসতে বললে বসতে হবে। উফ, রিডিকিউলাস!’
দাদি একগাল হেসে বললো,
___’ ভয় নাই। তানিয়া, লিনা তোর সাথে যাবে। কি করে ভাবলি তোর বাবা তোরে একা ছাড়বে? এখন যা, আমি একটু আরাম করব। আমার প্রশ্ন শেষ। ‘
______
একবার যদি মনে হয় প্রভাত ছেলে খারাপ না। তো আরেকবার মনে হয় তিনি একটা রহস্যজনক মানুষ। একটা মানুষকে ঠিক চিনতেই পারছি না তবে তাঁকে আপন করবো কিভাবে? আর ভালোবাসা? সেটা কি আদৌ সম্ভব? আমি জানি, তিনি আমার ওপর প্রচন্ড রকম দূর্বল। সব করতে পারেন আমায় পেতে। কিছুটা দূর্বলতা আমারও রয়েছে তাঁর প্রতি। কিন্তু এই দূর্বলতা দিয়ে তো একটা সম্পর্কের মজবুত গঠন হয় না। যদিও দূর্বলতা থেকেই সম্পর্কের শুরু হয়। তবে শেষ অবধি তা গড়ায় কি?
এইযে কেবল প্রভাত ভাই ম্যাসেজ করলেন। তাঁর বার্তা পড়ে আমার মুখে যে এক চিলতে হাসির ঝলক এলো এটা কিসের ইঙিত? ভালোলাগার! তাঁর বাস্তবতায় ফেঁসে যাচ্ছি আমি। নিজেকে ইতোমধ্যে তাঁর অংশ হিসেবে ভাবতে শুরু করেছি। কিছু পরিকল্পনা জপতে লেগেছি। বিয়ের পর এই ত্যাঁড়া লোককে কিভাবে ঠিক করবো, সংসার কিভাবে সামলাবো সব না চাওয়া আকাঙ্খা, ভাবনা এসে পাহাড় জমেছে।
আমি ফোনের ম্যাসেজগুলো একে একে পড়ে রিপ্লাই করলাম।
” Kothai jabi bol to? I can’t decide alone. Can you help? ”
” Kothaou jabo na. Apni Tania, Lina apuke sathe niye jan.”
” Jan bolchis abar jeteo bolchis? Call dile dhorbi? Kotha bolbi?”
কথা বলবো? কিন্তু কি বলবো? যাঁকে দেখলে আমার প্রতি মুহূর্ত ভয়ে কাটে কখন কি করে বসবেন এই ভাবনায়। তাঁর সাথে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে একদন্ড কথা বলার সাহস আমার নেই। তাই ঝটপট লিখে ফেললাম।
” Na.”
আর কোনো ম্যাসেজ এলো না। ফোনটা সাইলেন্টে রেখে বাইরে চলে এলাম। আমি জানি, আমার কথায় প্রভাত ভাই প্রচন্ড রেগে যাওয়ার পাশাপাশি হতাশ হবেন। তবুও আমি কোথাও যেতে চাই না। একটু সময় দরকার আমার। সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে মানতে। তাঁকে বুঝতে এবং নিজেকে বুঝাতে। সম্পর্ক গড়তে সময় নিতে হয়। তাড়াহুড়োর সম্পর্কের ফিতে ঢিলে হয়।
মাকে রান্নার কাজে হেল্প করা হয় না। আমার স্বভাব মা রান্না করবে আর পাশে একটা টুল পেতে বসে গল্প করবো আমি। কখনো কখনো এমন হয় গল্পের মশগুলতায় মা তরকারিতে লবণ দিতে ভুলে যায়। তবে এই সময়টুকু বেশ কাটে আমাদের। প্রতিদিনের রুটিনে আজও ব্যতিক্রম নেই। মায়ের সাথে বসে গল্প করছি। এমন সময় হুড়মুড় করে প্রভাত ভাই রান্নাঘরে ঢুকে বললেন,
___’ সন্ধ্যা বাইরে আই, আই নিড টু টক।’
মা রান্না ভুলে হতবাক হয়ে তাঁকে দেখছে। আমি চোখ তুলে তাঁর দিকে ফিরতে তিনি আরও একবার চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন দ্রুত বাইরে আসতে। তারপর চলে গেলেন। মাঝে মাঝে এতটা অবাক হই। এই মানুষটার এত সাহসের মূল উৎস কি? একটু সাহস আমার ধার নেওয়া দরকার ছিল। তাহলে আমিও জোর গলায় সেদিন বলতে পারতাম, এই বিয়ে আমি করবো না। কক্ষনো না!
চলবে………..