#আমার_তুমি
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ১১
,
,
,
,
,
ঘুমন্ত নওশিনের কপালে কিস করে বিছানা থেকে উঠে পরে আকাশ।নিজের টি-শার্ট নওশিনের শরিরে দেখে মৃদু হাসে সে।নওশিনের উপর চাদর দিয়ে সে ছাদে যায়।ছাদে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে ঠোঁটের কোনায় হাসি ফুটে ওর। শয়তানী হাসি যাকে বলে।
আকাশঃএতো রাতে ছাদে কি করছিস(ঈশানের কাধে হাত দিয়ে)
ঈশানঃএকই প্রশ্ন তো আমার ও করা উচিৎ। (হাতে থাকা সিগরেট ফেলে)
আকাশঃফেললি কেন। আর স্মোক করা শুরু করলি কবে(সিগারেট এর আগুন নিভায়ে)
ঈশানঃকতো কিছুর অভ্যাস লেগেছে। বাদ দে তুই এতো রাতে স্ব,,ভাবি তো রুমে একা
আকাশঃহুম যাচ্ছি।(কাধে চাপড় মেরে)
ঈশানঃএকটা কথা জিজ্ঞেস করি ভাই(পিছন থেকে ডাক দিয়ে)
আকাশঃহুম বল(পিছনে না ঘুরেই)
ঈশানঃআমাকে এখানে আনার কারন
আকাশঃভাই হোস আমার। তাই আমার বাড়িতে থাকবিনা তো কার বাসায় থাকবি
ঈশানঃতো এতো বছর ভাই এর কথা মনে ছিলো না হঠাৎ করে বাহ
আকাশঃআজকে খুজে পেলাম তাই
ঈশানঃকথাটা অন্য কেউ বিশ্বাস করলেও আমি বিশ্বাস করবোনা ভাই। তোকে আর কেউ না চিনলেও আমি চিনি তুই আসলে কে আর তোর আসল রুপ কোনটা
ঈশানের কথার পৃষ্ঠে আকাশ কোন কথা না বলে হাসতে হাসতে চলে গেলো।
আকাশের যাওয়ার পর পর ই ঈশান ছাদে হাটু মুরে বসে পড়লো। চোখ বেয়ে তার পানি পড়ছে অবিরাম চোখের পাতায় ভাসছে আকাশের পিঠে থাকা আচরের দাগ গুলো যা স্পষ্ট বলে দিচ্ছে আকাশ আর নওশিনের সুখকর সময়।
ঈশানঃকেনো আল্লাহ আমার সাথেই কেনো কি দোষ ছিলো আমার আল্লাহ।যখন সবাই খুনির অপবাদ দিয়ে দূরে ঠেলে দিয়েছিলো দুই হাতে আগলে নিয়েছিলাম বুকে। শক্ত করে উঠে দাড়াতে শিক্ষিয়েছিলাম হ্যা মানছি আমি তার থেকে দূরে সরে গেছিলাম ৩ টা বছর শুধু মাত্র তার দোষীদের খুজতে কিন্তু তুমি কি করলা আল্লাহ আমার স্বপ্ন বধূকে আমার ভাই এর জীবনসঙ্গিনী করে দিলা সে তো ভালোওবাসতোনা তাহলে কেনো আল্লাহ।(চিৎকার করে কান্না করতে লাগলো
আকাশঃমাফ করে দিস ভাই আমাকে আমি চাইনি তোকে কষ্ট দিতে কিন্তু নিজের ভালোবাসাকে দিয়ে দিবো এতোটা উদার হতে পারলাম না রে। স্বার্থপরের ট্যাগ লাগায়ে রাজি আছি কিন্তু মায়াবিনী কে হারাতে না সে শুধু আমার #আকাশের_ছোয়া সে।
(ফ্লোর থেকে উঠে চোখের পানি মুছে নিজের রুমে চলে যায় আকাশ।চাদর টেনে নওশিন কে বুকের মাঝে শক্ত করে জড়ায় ধরে। নওশিনের উমুক্ত গলায় মুখ ডুবায়ে দেয়)
_________
ঈশান চুপচাপ বসে আছে ছাদের মাঝখান টাই মাথা নিচু করে। হঠাৎ ঘাড়ে কারো স্পর্শ পেয়ে সামনে তাকায়
ঈশানঃতুই এখানে(ভ্রু কুচকে)
রামিসাঃআপনি ঈশান ভাইয়া না(ফ্যালফ্যাল চোখে)
ঈশানঃনাহ তার ভুত। কি চায় এখানে(ধমক দিয়ে)
রামিসাঃনা মানে এতো রাতে এখানে (ভয়ে ভয়ে)
ঈশানঃসে কৈফিয়ত তোকে দিতে হবে আমার(দাতে দাত চেপে)
রামিসাঃক ক কৈফয়াত(কৈফিয়ত) কি
ঈশানঃনিচে যা
রামিসাঃযাবোনা (মাথা নিচু করে)
ঈশানঃকেন
রামিসা কিছু না বলে ঈশান এর পাশে বসে পড়লো।ঈশান বিরক্ত হয়ে উঠে যেতে নিলেই রামিসা ঈশানের হাত ধরে নেয় ঈশান চোখ গরম করে তাকালেও রামিসার হেলদুল হয় না।
রামিসাঃবসেন না প্লিজ
(মোহনীয় স্বরে)
ঈশান কেন যেনো আর পা সামনের দিকে ফেলতে পারলোনা বসে পড়লো নিচে।
ঈশানঃকোন ক্লাসে পড়ছিস
রামিসাঃএবারে ইন্টারে উঠলাম
ঈশানঃএই জন্যই তো পিচ্চি লাগছে
রামিসাঃপিচ্চি কি হ্যা কই মাস পরে ১৮ হবে হু(ভাব নিয়ে)
ঈশানঃপাগলী (মুচকি হেসে বিরবির করে বলে)
রামিসা ঈশানের বলা কথা না শুনলেও ঈশানের ঠোঁটের কোণায় লেগে থাকা হাসি টা চোখ এড়ালোনা।রামিসার চোখ জোড়ায় মুগ্ধতা ছেয়ে গেলো।।
রামিসা আর ঈশান টুকি টাকি কথা বলছিলো এর ই মাঝে রামিসা বলে উঠলো
রামিসাঃএকটা গান শুনাবেন প্লিজ।।(চোখ দুইটা ছোট ছোট করে কিউট বাচ্চাদের মতো মুখ করে বলে উঠলো)
ঈশান চেয়েও না বলতে পারলোনা আর গেয়ে উঠলো
pass aya duriya phirbhi kam na huyi
ak adhuri si hamari khanani rahi
asma ko jami a jarori nahi
ja mila ja mila….. ishq sacha ohi jinko milti nahi manjila
manjilaaaaa.
lut gaya asman mil gaya do jaha
janlaaaaa janlaaaaa
rang tha nur tha jab karib tu tha
ak jannaat sa tha a jahaaaaa
bak ki rat si kuch mara hal sa
. likhaa chor gaya tu kahaaaa
hamari adhuri kahani hamari adhuri kahani……
গান শেষ করতেই ঈশান তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে চোখের কোনে মুছে থাকা পানি টুকু মুছে ফেললো।ঘাড়ে ভারি কিছু অনূভুতি হতেই পাশে তাকায় দেখে রামিসা ঈশানের কাধে মাথা রেখে ঘুমাই গেছে।
ঈশান রামিসা কে কোলে তুলে নিলো।আর ছাদ থেকে নেমে রামিসাকে তার রুমে থুয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।।।
______
নওশিন ঘুম থেকে উঠতেই তার চোখ গেলো আকাশের কালো চুল গুলোর দিকে।আকাশ নওশিনের গলায় মুখ গুজে দুই হাত দিয়ে শক্ত করে আকড়ে রেখেছে যেনো বাধন টা হালকা হলেই সে পালায় যাবে।নওশিনের কি মনে হলো সে আকাশের চুল গুলোতে হাত ডুবায়ে ওর চুলের ঘ্রাণ নিতে লাগলো।।অন্য হাত আকাশের ঘাড়ে।আকাশ খানিকটা নড়ে চড়ে উঠলো যার দরুন নওশিনের গলায় আকাশের খোচা খোচা দাড়ি গুলো গলায় সুরসুরি অনুভূতি করালো।
নওশিন এর সর্বাঙ্গ কেপে উঠলো চুলে থাকা বাধন টা শক্ত হতেই আকাশ চোখ মেলে তাকালো।আকাশ মাথা উচু করতে দেখতে পেলো নওশিন চোখ বন্ধ করে জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিছে। আর ঘন ঘন ঢোক গিলছে।আকাশ নওশিন কে শুয়ে দিয়ে তার উপরে উপর হয়ে শুয়ে পরলো ভর না দিয়ে।
নওশিনঃ কি করছেন(কাপা কাপা গলায়)
আকাশঃরোমেন্স(চোখ টিপ দিয়ে নেশালো কন্ঠে)
নওশিনের গাল দুইটা লাল হয়ে গেলো লজ্জায় চোখ দুইটা নামায় নিলো
আকাশঃরেয়লি সুইট,,,হার্ট এখনো রোমেন্স এর নাম শুনে লজ্জায় লাল হচ্ছো যেখানে তোমার পুরো শরীরে আমার ছোয়া এমনকি কামড় ও (নওশিনের কানে কানে)
নওশিনের কান গরম হয়ে যায়।আকাশ আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই নওশিন নিজের লাজ লজ্জা ভুলে আকাশের ঠোঁটের ভাজে নিজের ঠোঁট ডুবায় দিলো।। আকাশ নওশিন কে উলটে নিজের উপর তুলে নিলো। আকাশ এক হাত দিয়ে নওশিনের চুলে হাত বুলাচ্ছে আরেক হাত নওশিনের টি শার্টের বোতামে। উপরে দুইটা বোতাম খুলে নিজের ঠোঁট ছোয়াতে শুরু করে।
_________
রেয়ানাঃআমাকে এখানে বন্ধি করে রাখার মানে কি ছাড়ো আমাকে বলছি।প্লিজ খুলো আমার ভয় লাগছে প্লিজ ওপেন দা ডোর প্লিজ(ভাংগা ভাংগা গোলায়)
আজ ২ সপ্তাহর মতো এই বন্ধ রুমে আবদ্ধ রেয়ানা।সময় মতো দরজার নিচ দিয়ে খাওয়ার দিয়ে দেয়। ব্যাস।কতো দিন হয়ে গেলো তার চোখে সূর্যের আলো পড়ে না।আর না বাহিরের দুনিয়া তার চোখের সামনে ভাসে চোখ জোড়া অসম্ভব রকমের লাল হয়ে আছে সাথে চোখের নিচে কালো দাগ স্পষ্ট।চেহারার লাবন্যতা এই কয়েকদিনে হারিয়ে গেছে।
মাটিতে লুটিয়ে ছিলো রেয়ানা ঠিক সে সময় মুখে হাহা গরম পানি কেউ ছুড়ে মারে।চিৎকার করে উঠে রেয়ানা।
ঃকি জ্বলছে তাই না প্রচন্ড পুরছে তাইনা(ভয়ংকর কন্ঠে)
রেয়ানাঃকে কে আপনি কেন আমাকে আটকে রেখেছেন কি চান আপনি হ্যা(ব্যাথায় কাতর হয়ে)
ঃহা হা জ্বলছে তাই না আরও জ্বলছে পুরো শরীরে আগুন ধরাবো আমি
আমার আমার মায়াবিনীকে তুই কষ্ট দিয়েছিস আমার কলিজাকে তুই পুরিয়েছিস সবার সামনে এনে অপমান করেছিস। আর আমি তোকে ছারবো ন্যাহ(মাথা কাত করে)
হঠাৎ করে কিছু বডিগার্ড দরজা খুলে রুমে আসায় আলো এসে পড়ে ব্যাক্তিটির মুখে রেয়ানা ব্যাক্তিটির মুখ দেখেই অবাক হয়ে যায়
রেয়ানাঃআ আকাশ(কাপা কাপা কন্ঠে)
আকাশ হো হো করে হেসে উঠে।রেয়ানার মনে হচ্ছে এ যেনো কোন বদ্ধ উম্মাদ কোন পাগল এই সে আকাশ না যাকে সে চিনতো।।।
চলবে!