আমার অভিমান তোমাকে নিয়ে পর্ব-৪৫ এবং শেষ পর্ব

0
991

#আমার_অভিমান_তোমাকে_নিয়ে(45)
#অন্তিম_পর্ব

“পাপ্পা আম্মু তি তরচে জানো? আব্বুল তবি দেখে কাঁতছে। অন্নেক তান্না তরছে।”

ছোট্টো আয়ানের কথা শুনে পাশের টেবিলে রাখা ফোনটা হতে নিয়ে তারিখটা চেক করলো আদিত্য। ঘাড় ঘুরিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো রাত প্রায় এগারোটা বাজে। সূক্ষ্ম দীর্ঘশ্বাস ফেলে বুকে টেনে নিলো তিন বছরের আয়ানকে। বিভিন্ন গল্প করতে করতে এক সময় আয়ানের ভারী ভারী নিঃশ্বাসের শব্দে সেদিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো আদিত্য। আয়ান একেবারে আদিলের জেরক্স কপি। একই রকম দেখতে, চোখ, নাক আকৃতি সবই আদিলের থেকে পেয়েছে। ঘুমন্ত আয়ানের কপালে বেশ সময় ধরে চুমু খেল আদিত্য। তারপর চাদরটা গায়ে টেনে দিয়ে খুব সন্তর্পনে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।

হটাৎ রুমের দরজায় নক হওয়ায় হকচকিয়ে গেল নূর। পরক্ষনে নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক করে ভেতরে আসার অনুমতি দিতেই দরজা খুলে প্রবেশ করে আদিত্য। নূর খানিকটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করে,

“তোমাকে কি আমার কাছে আসার জন্য অনুমতি নিতে হয় নাকি আদিত্য?”

“অন্য কোনো দিন হলে হয়তো নিতাম না। কিন্তু আজকের দিনে তুমি আদিলের স্ত্রী। আজকের দিনটা শুধু তোমাদের। আদিল ভাইয়া তো তার সবকিছু আমার হাতে তুলে দেওয়ার বদলে এই একটা জিনিসই চেয়েছিলেন আমার থেকে। আমি তার নূরপাখিকে তার থেকে কেড়ে নিতে চাইনি, বরং নূরের একাংশে একটু জায়গা চেয়েছিলাম।”

আদিত্যের বুকে মাথা রেখে ডুকরে কেঁদে উঠলো নূর। ডান হাতে রাখা বড়ো একটা ফটো ফ্রেম থেকে উঁকি দিচ্ছে হাস্যচ্ছল আদিল আর নূরের ছবি। কাশ্মীরের ভারী তুষারপাতের মাঝে নূরের সামনে হাঁটু মুড়ে বসে আছে আদিল। দুইহাতে নূরের কোমর জড়িয়ে সামান্য উঁচু হয়ে থাকা পেটে চুমু এঁকে দিচ্ছে। হাতদ্বয় দুইদিকে ছড়িয়ে তুষারপাত উপভোগ করা নূর কোমরে হালকা সুড়সুড়ির স্পর্শে খিলখিল করে হেঁসে ওঠে। সেখানে ঘুরতে আসা ভিনদেশী এক ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় আচমকা বন্দী হওয়া এই ছবিটা বাড়িতে আসার পর পরই ফ্রেমে বন্দি করেছিলো আদিল। বেডরুমের ঠিক সামনের ওয়ালে টাঙানো ছিলো দুজনের সুখময় স্মৃতি। কিন্তু হটাত আসা দমকা এক ঝোড়ো হাওয়াতে সবকিছু ছারখার করে দিলো।

🍁অতীত🥀

ডেলিভারি ডেটের প্রায় একসপ্তাহ আগেই নূরকে হসপিটালে অ্যাডমিট করা হয়েছে। মূলত নূর আর আগত সন্তানকে নিয়ে কোনো প্রকার রিস্ক নিতে চায়নাআদিল, তাই আদিত্যের পরামর্শে আগেভাগেই অ্যাডমিট করে নূরকে। তিনদিন পর হটাত পেইন বেড়ে যাওয়ায় প্রথম আদিত্যকে দেখেছিলো নূর। পেটে হাত চেপে অবাক নয়নে বেশ কিছুটা সময় তাকিয়ে ছিল নূর আদিত্যের দিকে। নার্সের মাধ্যমে নূরের প্রতিটা মুহূর্তের খবর নখদর্পণে আদিত্যের। সরাসরি নূরের জাগ্রত অবস্থায় ইচ্ছে করেই আদিত্য যায়নি। নূর আদিত্যকে দেখে বিব্রত হোক এটা চায়নি আদিত্য। চেক আপ করে এটা নরমাল পেইন বুঝতে পেরে একটা ইনজেকশন পুষ করে দেয় আদিত্য।

ক্লান্তমূখে নূরের পাশে বসে আছে আদিল। নূরের একহাত মুঠোয় ভরে বেশ কয়েকবার শব্দ করে চুমু দেয়। জোরপূর্বক হেঁসে নূরের দিকে তাকাতেই মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নেয় নূর।

“এই নূরপাখি! তাকাও আমার দিকে।”

“উহু”

“আহা, এত রাগ করতে নেই তো।”

“রাগ করবোনা তো কি আদর করবো আপনাকে? আম্মু আমাকে বলেছে সেই কাল রাত থেকে কিচ্ছু খাননি আপনি। এটা কি ধরণের পাগলামি হ্যা? আমাকে জবাব দিন কেনো করছেন আপনি এমন?”

“এই তো আমার ঠোঁট, মুখ সব তোমার সামনেই আছে। চাইলে আদর করে দিতেই পারো। আমি অবশ্য এতে কিছু মনে করবোনা।”

আদিলের মশকরা বুঝতে পেরে ফুঁসে উঠলো নূর। দুইহাতে কলার চেপে ধরে আদিলের উপর রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে ওঠে,

“মজা করা হচ্ছে আমার সাথে খুব তাইনা? ঠিক আছে আমিও একরাত অর্ধেক দিন না খেয়ে থাকবো।”

“এই পাগল হয়েছো তুমি? এসব কথা একদম মাথায় আনবেনা তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা।”

“বাহ বাহ! মিষ্টার আদিল আপনি করলে সব ঠিক আর আমি করলে ভুল তাইনা?”

নূরের রণমূর্তি রূপ দেখে শুকনো ঢোক গিললো আদিল। তারপর কণ্ঠস্বর নরম করে মিনমিন করে বললো,

“খাবো তো আমি।”

“নার্স একটু পর খাবার দিয়ে যাবে, পুরোটা যেনো ফিনিশ করা হয়। নো মোর ওয়ার্ডস।”

“কেউ যদি খাইয়ে দিতো একটু।”

আদিলের মিনমিনিয়ে বলা কথা শুনে হালকা হাসলো নূর। কিছুক্ষনের মাঝেই একজন নার্স এসে দরজায় নক করে খাবার দিয়ে যায়। নার্সকে আরোও এক প্লেট খাবার আনতে বলে আদিলের হাত ধরে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে যায় নূর।

“সব কি আমাকেই খাইয়ে দেবে নাকি নূরপাখি? তুমিও একটু খাও।”

“বলেছি না নো মোর ওয়ার্ডস। আমার জন্য খাবার নার্স নিয়ে আসছে। আপাতত আপনি এটা শেষ করুন।”

নূরের হাতে খেতে খেতে তৃপ্তির হাঁসি হাসে আদিল। খাওয়ার মাঝে মাঝে দুষ্টুমি করে নূরের হাতে কামর দিয়ে হেঁসে ওঠে আদিল। এভাবেই দুষ্টু মিষ্টি খুনসুটির মাঝেই পুরো খাবারটা ফিনিশ করে আদিল। খাবারের প্লেটটা রাখতেই রুমে প্রবেশ করে হিয়া। এতদিন পর হিয়াকে দেখে বেশ খুশি হয় নূর।

“খাওয়া শেষ নাকি নূর?”

“হ্যা ওই…”

“আরে আরে কিছুক্ষনের অতিথী এখন তুমি। বেশী কথা বলোনা।”

“মানে?”

“আরে ওই এই হসপিটালে তো কিছুদিনের জন্য আছো তাইনা? তারপর তো বাড়িতে যাবে।”

“ওহ আচ্ছা। হ্যা। ফুফি কেমন আছেন? আর তুমি কেমন আছো?”

“আমি আর আম্মু দুজনে এতদিন ভালো ছিলাম না। অনেক অশান্তির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে সব অশান্তির অবসান ঘটতে চলেছে। সমস্যার মূলকে উপড়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে পেরে শান্তি লাগছে।”

হিয়ার কথায় অবাক হয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগে আদিলের দিকে চোখ পড়তেই চমকে ওঠে নূর। জোরে জোরে চিৎকার করে ডক্টরকে ডাকতেই সেখানে উপস্থিত হয় আদিত্য। নূরের এভাবে চিৎকারের শব্দে ভয় পেয়ে ছুটে আসে কেবিনের দিকে। নূরের দৃষ্টি বরাবর দৃষ্টি মেলতেই হাত পা অবশ হয়ে যায় আদিত্যের। নিজের অনুভূতিগুলোকে মাটি চাপা দিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায় আদিলের দিকে। আদিলকে নিয়ে বেরোতে নিলে আদিত্যের হাত ধরে থামিয়ে দেয় আদিল।

“আদিত্য, আমার কথাগুলো মন দিয়ে শোন। কেউ নূরকে মারতে চেয়েছিলো। এই খাবারে পইসন মেশানো ছিলো। সৌভাগ্যক্রমে এই খাবার নূর খায়নি, আমি খেয়েছি। তোকে আসল মানুষকে খুঁজে বের করতে হবে। নূরের ক্ষতি করার চেষ্টা যে করেছে তাকে কড়া শাস্তি দিতে হবে।”

“আদিল ভাইয়া তুমি আগে সুস্থ হয়ে ওঠো, তারপর দুজনে মিলে সব করবো। এখন প্লিজ চলো আমাদের সাথে।”

“আদিত্য আমার হাতে সময় নেই বেশি। আমার নূরপাখিকে তোর হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্তে মরতে চাই আমি। আমাকে কথা দে আমাদের সন্তান আর আমার নূরপাখিকে আজকে রাখবি, কখনও ওদের চোখে পানি আসতে দিবিনা। আমার নূরের বিধবা রূপ দেখে ওপরেও শান্তি পাবোনা আমি। নূরকে বিয়ে করে নিবি প্লিজ। বিশ্বাস কর, নূর ফুলের মতো পবিত্র।”

“ভাইয়া, এসব কি বলছো তুমি? দেখো নূর কিভাবে কান্না করছে। এমন করলেন বাচ্চার ক্ষতি হবে।”

“আদিত্য প্লিজ আমার নূর আর আমার বাচ্চার যেনো কিছু না হয়। আর একটা অনুরোধ রাখবি আমার? বছরের এই একটা দিন নূরকে আমার থাকতে দিবি, শুধুই আমার নূর হয়ে। প্লীজ। ভাবতে পারিস তোর ভাইয়ার শেষ চাওয়া এটা।”

এদিকে নূরের অবস্থা খারাপের দিকে যেতে দেখে ওটি রেডি করতে বলে আদিত্য। খুব দ্রুতই নূরের সিজার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আর আদিলকে কেবিনে শিফট করার ব্যবস্থা করা হয়। দ্বায়িত্ব আর ভাতৃত্বের মাঝে দায়িত্বকে বেছে নিয়ে নূরের কাছে গেলো আদিত্য। আদিলকে বেষ্ট একজন ডক্টরের হাতে শিফট করে এগিয়ে যায় ওটির উদ্দেশ্যে।

প্রায় চার ঘণ্টা পর ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় নূর। কেবিনে শিফট করে আদিলের কাছে ছুটে যায় আদিত্য। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। এ জগতের মায়া ত্যাগ করেছে আদিল।

নূরের কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে প্রস্তুত করলো আদিত্য। তরপর কেবিনের দরজা খুলতেই পিটপিট করে নূরকে তাকাতে দেখে ভড়কে গেলো। এতক্ষণের গুছিয়ে রাখা সব কথা অগোছালো হয়ে গেলো।

“আদিল আর নেই তাইনা?”

নূরের ছোট্টো একটা বাক্যে ভেতরটা হু হু করে কেঁদে উঠলো আদিত্যের। কোনোমতে নিজেকে শান্ত করে নূরকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই নূর আবারো বলে উঠলো,

“আমাকে মিথ্যে বলে লাভ নেই। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি আমার আদিল আর নেই। আমার ছেলের মাথার উপর থেকে বাবার ছায়া সরে গেছে। আমার বুকটা কেমন খালি খালি লাগছে, এখানেই তো আদিল থাকতো। সে তো আর নেই।”

নূরের সামনে নিজেকে আর বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারলনা আদিত্য। বেরিয়ে এলো কেবিন থেকে। একজন নার্সকে নূরের স্যালাইনের সাথে ঘুমের ইনজেকশন দিতে নির্দেশ দিয়ে বেরিয়ে গেলো হসপিটালের মনিটরিং রুমে। বেশ কিছুটা সময় ধরে সবটা লক্ষ্য করতেই চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো আদিত্যের। রাগে সারা শরীর পুড়ে যাচ্ছে যেনো।

আদিলের কেবিনে আসতেই সেখানে হিয়াকে দেখে দাঁড় করিয়ে টেনে চড় মারে আদিত্য। কেবিনে উপস্থিত সবাই কান্নার মাঝেও চমকে ওঠে। এমন পরিস্থিতির মাঝে এটা কেউ আশা করেনি। আদিত্য কিছু বলতে যাবে তার আগেই হিয়া বলে ওঠে,

“আদিল মরতে পারেনা। আমি তো আদিলকে মারতে চাইনি। আমি তো নূরকে মারতে চেয়েছিলাম। আমার আম্মুর অপমানের বদলা নেওয়ার জন্যই তো নূরকে মরতে হতো। কিন্তু কিন্তু আদিল। নাহ আদিল। এটা হতে পারেনা। আমি তো নূরের খাবারে কড়া ডোজের পইশন দিয়েছিলাম।”

আর কিছু বলার আগেই সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। হিয়া মানষিক ভারসাম্য হারিয়েছে তাই আপাতত পুলিশ কাস্টাডিতে রাখা হয় তাকে। সেখান থেকে বেরিয়ে নুরের দাফন কাজ নিজের হাতেই শেষ করে আদিত্য। শেষবারের মতো নূরকে দেখা করতে দিলে কান্নায় ভেঙে পড়ে নূর। যেহেতু নতুন স্টিচ তাই নূরকে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে দেওয়া হয় শান্ত করার জন্য।

“আদিল আমি তোকে বলেছিলাম না, নূরকে আমি মারতে চাইনি। সেদিন আমাকে বিশ্বাস করলিনা বাবা। দেখ আজ সবটা প্রমাণ হয়ে গেলো, অথচ চাইলেও আর তোকে বোঝাতে পারবনা।”

🍁বর্তমান🌼🍂

আদিলের কথা ভাবতে ভাবতে কাদতে কাদতে আদিত্যের বুকে ঘুমিয়ে পরে নূর। আদিত্যর মণে পড়ে যায় নূরের সেই অভিমানী বাণী,

“আদিলকে সেদিন আমি জোর করে খাইয়ে না দিলে এতকিছু হতনা। আমার হতেই আদিল শেষ স্পর্শ করেছিল। কেনো এমন করলে আদিল? কেনো তোমার নূরপাখিকে এই নিষ্ঠুর প্রকৃতির মাঝে ছেড়ে চলে গেলে? আমাকে কি সাথে নেওয়া যেতনা? আমার অভিমান ভাঙাতে তো তুমি আসবেনা তাও কেনো এত অভিমান জমে?”

আদিত্য নূরকে কোলে নিয়ে বেডে শুইয়ে নিজেও শুয়ে পড়ে। অনেকটা সময় লেগেছে নূর আর আদিত্যর সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে। কিছু বিশেষ দিনগুলোতে আজও নূর আদিলকে ভীষণ মিস করে। এতে অবশ্য আদিত্যের একটুও রাগ হয়না, বরং ভালো লাগে। নূর যে আদিত্যকে ভোলেনি, বরং মনের একটা বিশেষ জায়গা জুড়ে আদিল রয়ে গেছে আর আদিত্য মিশে আছে মনের জমিতে অল্প জায়গায় কিন্তু বাস্তবে পুরোটা জুড়েই।
______________

“পাপা, মাম্মি আমাকে শুনতে পাচ্ছে?”

“হ্যা বাচ্চাটা। মাম্মি সবসময় ঐখান থেকে আমাদের ফলো করে। তার ছোট্ট অরুর জন্য সবসময় দুয়া করে।”

চার বছরের অরুনিকাই এখন আদাভানের প্রাণ। রাস্তার আস্তাকুড়ের মাঝে কুড়িয়ে পেয়েছিল অরুনিকাকে আদাভান। সেই ছোট্ট ছোট্ট মায়া ভরা দৃষ্টি ভীষণ টেনেছিল তাকে। সেদিন থেকেই নিজের পরিচয় আর অরুনিকার নামে বড়ো করে ছোট্টো অরুনিকাকে।

“এখানে মাম্মা ঘুমিয়ে আছে তাইনা পাপা?”

অরুনিকার কবরের সামনে দাড়িয়ে আদাভানের মনে পড়ছে জসিমউদ্দিনের সেই কবিতা,

“এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।”

সমাপ্ত।
#Fiza Siddique

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে