#আধিকার
#অষ্টম_প্রহর
লিখাঃ Yasira_Abisha (Fatha)
অবিবাহিত অবস্থায় এক বিছানায় রুহির সাথে থাকতে অস্বস্তি লাগছে ইরাদের,, কেমন যেন অস্বাভাবিকতা কাজ করছে।
তারপরেও ড্রিমলাইট অন করে বিছানায় গিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে চোখ বন্ধ করতেই বুকে নরম কিছু অনুভব করতে পারলো ইরাদ,, তাকিয়ে দেখলো
রুহি হাত রেখেছে ওর বুকে
আর ওর দিকে কেমন এক দৃষ্টিতে রুহি তাকিয়ে আছে,,, ড্রিমলাইটের আবছা আলোতে রুহির চেহারা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
ইরাদ কিছু না বলে আস্তে করে হাতটা সরিয়ে দিয়ে অন্য পাশে ফিরতে চেষ্টা করে তখন রুহি ওকে হাত দিয়ে টেনে ধরে বাধা দিয়ে,,
ঠোঁট ভেটকিয়ে জিজ্ঞেস করে
– দেখতে ভাল্লাগেনা আমাকে? অন্য দিকে ফিরছো কেন? বলো?
রুহির কথা শুনে ইরাদ ভেবাচেকা খেয়ে যায়।
চোখ বড় বড় করে তাকায় ওর দিকে,
ইরাদকে তাকাতে দেখে রুহি একটা মিষ্টি করে হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করে,,
-বলো না?
-অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমিয়ে পরুন।
-পরে,, এখন খুদা পেয়েছে।
-আচ্ছা খাবার অর্ডার দিন ফোন আছে ওই পাশে,,
আদুরে কন্ঠে রুহি বলে
-এই খাবার না,,
-তাহলে?
-চুমু খাবো তোমার থেকে।
এমনিতেই মেয়েটাকে ইরাদের ভালো লাগতে শুরু করেছে, তার মধ্যে এমন কথা বার্তা একদম ভালো লাগছেনা শুনতে,,
তাই রাগে ইরাদ বলে উঠে
-আপনি আমার স্ত্রী না সে এসব উল্টাপাল্টা আবদার করে বসেছেন।
কথাটা রুহির ইগোতে লাগলো অনেক বেশি,,
সাথে সাথে উঠে রুমের বাইরে চলে গেলো
ইরাদ অবাক হয়ে গেলো এমন করছে কেন মেয়েটা,,
নিচে রুহি রিসিপশনে চলে এসেছে
-ম্যানেজার,, ম্যানেজার আমার একটা কাজি লাগবে এখন
-সরি, ম্যাম বাট কাজি এত রাতে?
-আমি বিয়ে করবো ইরাদকে।
লবিতে কয়েক জন স্টাফ আর এক দম্পতি দাঁড়িয়ে আছে,,
ইরাদ রুহির পিছু পিছু চলে এসেছে এসব শুনে ও পুরপুরি চমকে গিয়েছে আর বলে
-একচুয়ালি আমার ওয়াইফের সাথে আমার ঝগড়া হয়েছে একটু তাই ও বলেছে আবার বিয়ে করতে হবে ওকে,, আমি বুঝিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
রুহি কিছুই বলছেনা
-রুহি চলেন।
-না যাবো না, বিয়ে করতে হবে এখনি
সেই মাঝ বয়সী দম্পতি একসাথেই এগিয়ে এসলো
মহিলাটা বললো রুহিকে
-আপনি চাইলে আমরা আপনার সাহায্য করতে পারি,, আমার স্বামী বিয়ে পড়ানোর কাজ করতেন একটা সময় উনি কাজী।
ইরাদের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো এবং সাথে সাথে বললো,,
-না থাক দরকার নেই উনার রাগ এমনিতেই কমে যাবে,,
ইরাদের কথায় ভ্রুক্ষেপহীন হয়ে রুহি
মহিলার কথা শুনে বলে
– এখানে এই অবস্থায়ই আমাদের বিয়ে দেন,,
-রুহি বিয়ে করবে কিভাবে? সাক্ষী লাগবে,, কিন্তু এখানে তো কেউ নেই সাক্ষী দেবার
ইরাদের মাথায় এর থেকে বেশি আর কোনো বুদ্ধি আসলো না,,
-পিয়াল ভাই আর আরিশা আপুকে ডাক দেন
ইরাদ কিছু শুনছেনা দেখে রুহি নিজের মোবাইল দিয়েই আরিশাকে কল দিয়ে নিচে আসতে বললো,,
এদিকে কাজী সাহেব ও প্রস্তুত,,
আরিশা আর পিয়াল ব্যাপারটা খুব ইঞ্জয় করছে,,
রুহির চোখ খুশিতে চকচক করছে,,
আর ইরাদের মাথায় খেলছেনা রুহি এমন কেন করছে??
কিছুসময়ের মধ্যেই ওদের বিয়ে সম্পন্ন হলো।
ঘোরে থাকতে থাকতেই রুহি আজ ইরাদের স্ত্রী হয়ে গেলো। একটা বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেলো ওরা
পবিত্র একটা বন্ধন। রুহি কেন এত পাগলামি করলো কি আসল কারণ হতে পারে এটা ইরাদের মাথায় নেই। বিয়ে তো ছেলে খেলা না,, যে মেয়ে মুখ ফুটে পছন্দ করে কিছু খেতে পর্যন্ত চায় না আজ সে জোর করে বিয়ে করে নিলো।
রুহিকে পাশে শুতে বলে ইরাদ ও শুয়ে পরলো
রুহি ওর কোমড় জড়িয়ে ধরে বললো
-এবার দাও না খেতে।
ইরাদ বুঝেছে রুহি কি চাইছে কিন্তু ও কিছু না বলেই এবার রুহির হাত সরিয়ে অন্য দিকে ফিরে শুয়ে পরতে নেয়, রুহি এবার রাগে ইরাদের পেটের উপরে উঠে বসে।
ইরাদের অস্বস্তি বেড়ে গেছে অনেকাংশ,, মেয়েটা করছে কি আর কি আবলতাবল বলছে এসব,,
-ইরাদ আমাকে ভাল্লাগেনা তোমার?
রুহির এখন একরকম অস্বাভাবিক অবস্থায় আছে যা দেখে ইরাদের মনে হচ্ছে ওকে নিরুৎসাহিত করতে হবে,, তাই উত্তরটাও তেমনিভাবেই দিলো ইরাদ
– না লাগেনা একটুও,, এবার সড়ুন।
-ভালো মত দেখেছো আমাকে কখনো?
-দেখার ইচ্ছেই নেই
কথাটায় রুহির খুব রাগ উঠে গেলো
একটানে শাড়ির আঁচলটা টেনে ফেলে দিলো ও
ইরাদ এবার নিজের চোখ ঢেকে ফেললো হাত দিয়ে,,
– কি করছেন আপনি?
– তুমি আমাকে দেখছো না কেন?
-ভালো লাগেনা তাই
এবার কোল থেকে সড়ে রুহি শাড়ির সাথে ব্লাইজটাও খুলে ফেলে দিলো মাটিতে,,
ইরাদ চোখে হাত দিয়ে ঢেকে রেখেছে এইজন্য রুহির মন খারাপ হয়ে গেলো সে কান্না শুরু করে দিলো। ইরাদ কান্নার আওয়াজে তাকিয়ে দেখে,, এবার আর কিছু বলতে পারছে না। মেয়েটাকে দেখলে এমনিতেই হার্টবিট কেমন যেন দ্রুত উঠানামা করতে থাকে। আর এমন রাতের বেলা হুট করে বিয়ে এরপরেই এই অবস্থায় ওকে এরকম কামনীয় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে দেখে নিজেকে আর সামলে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।
ইরাদকে তাকাতে দেখে রুহি আবারও জিজ্ঞেস করলো
-সত্যি কি একটুও ভালো লাগেনা আমাকে?
ইরাদ এবার মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে বলে ফেললো
-লাগে, ভালো লাগে অনেক।
রুহি এবার একটা হাসি দিয়ে এক ঝাটকায় ইরাদকে জড়িয়ে ধরে ওর বুকে লেপ্টে গেলো,, ইরাদের বুকে আস্তে আস্তে মুখ ঘষে চলছে ও
ইরাদ ওকে ধরছেনা।
রুহির হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে,, ইরাদ তা স্পষ্ট অনুভব করতে পারছে,,
-তাহলে একটুও আদর করো না কেন আমাকে ইরাদ? আমি যে কত বাহানা খুজে বেড়াই তোমার থেকে একটু আদর পাওয়ার,,
ইরাদ এসব কথাতে অনেক বেশি দুর্বল অনুভব করছে রুহির প্রতি,,
তারপরেও তার হাত দুটো একদম সংযত করে রেখেছে,,
ইরাদের একটা হাত নিয়ে রুহি ওর উনমুক্ত কোমড়ে রেখে বললো,,
-আদর করো আমাকে।
-…
-আমাকে এভাবে দেখে আদর করতে ইচ্ছা করছেনা তোমার? আমি তো আমার সর্বোস্ব দিয়ে তোমাকে চাইছি। বিয়েও করেছি এখন তো আমি তোমার বউ,, আমাকে আদর দিচ্ছো না কেন?
ইরাদ এবার এর নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে রুহিকে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে নিজের টি-শার্টটা খুলে ফেলে রুহিকে জড়িয়ে ধরে ওর কপালে, গালে, গলায়, কানে অজস্র চুমুতে ভরিয়ে দিলো,, রুহিও একই কাজ করছে,, কেমন একটা গভীর মোহনীয়তায় ডুবে যাচ্ছে দুইজন,, রুহির ফর্সা চেহারা উত্তেজনা,, ভালো লাগা সব মিলিয়ে লাল হয়ে গেছে। ঠোঁট দুটো কাপছে,, সারা শরীর গরম হয়ে গেছে,, ইরাদ আজকে ওকে নতুন করে আবিষ্কার করছে,, প্রতিটি স্পর্শ ইরাদের মনে আর রুহির পুরো শরীরে একটা কম্পন তৈরি করে চলছে,, কেমন যেন একটা নেশা আছে রুহির ঠোঁটে,,
ইরাদ যখন রুহির ঠোঁটে চুমু দিতে যাবে তখন হঠাৎ করেই মনে পড়লো যাই হোক মেয়েটা ওর স্ত্রী হলেও এভাবে মোহোর ঘোরে থেকে সবকিছু করে ফেলা ঠিক না,, এতে রুহির অনেক বড় ক্ষতি হবে,, যদি শুধু মাত্রই এটা রুহির শারীরিক চাহিদা হয়ে থাকে? যদি ইরাদের মনে ওকে নিয়ে যেমন একটা টান কাজ করে ওর মনে এমন কিছু কাজ না করে থাকে?? তাহলে কাল সকালে রুহি ইরাদকে মাফ করতে পারবেনা,, আর ইরাদ চায় না রুহি ওকে খারাপ ভাবুক। কিন্তু রুহির এমন আচরণ,, এরকম স্পর্শ,, এরকম কথা সব মিলিয়ে ওকে পাগল করে দিচ্ছে,, কোনো ভাবেই নিজেকে সামলাতে পারছেনা আর।
-আদর দাও,, থেমে যাচ্ছো কেন? হুম?
ইরাদ এবার দাঁড়িয়ে ওকে কোলে তুলে নিলো,, রুহি ওর গলা জড়িয়ে ধরে খিলখিল করে হেসে দিলো।
ইরাদ সোজা ওকে বাথরুমে নিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে বেড় হয়ে যেতে চাইলো,, এই শীতে একমাত্র ঠান্ডা পানিতে গোসল যদি রুহিকে শান্ত করতে পারে এই আসায়।
শাওয়ার ছাড়তেই রুহি একটানে ইরাদকেও ভিজিয়ে দিলো অনেক ক্ষন চোখ বন্ধ করে ইরাদের বুকে মাথা দিয়ে দাড়িয়ে রইলো রুহি।
ইরাদের অনেক শান্তি লাগছে রুহির মাথাটা ওর বুকে নিয়ে রাখতে।
রুহি এখন কিছুটা শান্ত হয়েছে,, ইরাদ ওকে কাপড় এনে দিয়েছে,, এখন ও নিজেই চেঞ্জ করে নিয়েছে,, একটা আকাশি সালোয়ার কামিজ পরে বেড়িয়ে এসেছে বাথরুম থেকে। আর ইরাদ ও চেঞ্জ করে নিয়েছে,,
ওদের কাপড় গুলো ইরাদ বারান্দায় নেড়ে দিয়ে রুমে এসলো রুহি আধশোয়া অবস্থায় বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে চোখ বন্ধ করে।
ইরাদ বিছানায় এসে শুয়ে পরেছে,,
রুহি ওকে দেখে এবার আস্তে করে ওর বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে আর এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলো,,
-ঠান্ডা লাগছে অনেক
এখন ইরাদ কোনো বাধা দিচ্ছেনা। বরং হাত বুলিয়ে দিচ্ছে রুহির মাথায়,, ব্ল্যাংকেটটা ওদের ওপরে টেনে আকড়ে ধরলো রুহিকে,,
মেয়েটা এত শান্তি দেয় কেন আমাকে? ওর চোখ ও যেন আমার সাথে কথা বলে। রুহি ঘুমিয়ে গিয়েছে। ইরাদের অনেক ভালো লাগছে রুহিকে বুকে নিয়ে। মনে একরাশ সুখ,, এসে জমা হয়েছে। কিন্তু অনুভূতি গুলো এমন কেন? ইরাদ কি প্রেমে পড়লো আবারও??
কে যেন বলেছিলো প্রেম জীবনে একবারই আসে?
উক্তিটি ইরাদের আজকে মিথ্যা মনে হচ্ছে,, কারণ আজকে হঠাৎ করেই মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেছে ইরাদ। এই প্রেম যেন নিজেকে পূর্ণতা দিচ্ছে,, আগুনে পানি ঢেলে দিয়েছে,, মনের সব দুঃখ কষ্ট মুছে দিয়েছে,, স্বস্তি আর সজীবতা এনে দিয়েছে।
এ মেয়ে না যেন একটা আদুরে বাচ্চা যে ইরাদকে বাধ্য করেছে নিজের প্রেমে পরতে।
বেশ করে যখন রুহি ঠোঁট জোড়া বাচ্চাদের মত করে বলছিলো
-আমাকে তোমার ভালো লাগেনা?
কথাটায় অনেক কিছুই উপলব্ধি করতে পারলাম যে হ্যাঁ তোমাকে আমার ভালো লাগে,, একটু বেশিই লাগে। যা ভালোবাসায় রূপ নিয়ে নিয়েছে।
এসব ভাবতে ভাবতেই ইরাদও রুহিকে বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলো,,
১০টার দিকে রুহির ঘুম ভাংলো,, চোখ খুলেই নিজেকে ইরাদের বুকে আবিষ্কার করলো রুহি,, ইরাদ ঘুমের মধ্যেও স্মাইল করছে। মনে হচ্ছে খুব আরামের একটা ঘুমে সে আছে,,
রুহির মাথাটা একদম ঝিমঝিম করছে। আর ও এই অবস্থায় ইরাদের বুকে শুয়ে আছে।
অনেক লজ্জা লাগছে,,
গায়ের জামাও অন্যটা পরা।
কিছুই বুঝতে পারছেনা,, কেমন যেন ভয় ভয় করছে,, কাল রাতে কি ইরাদ ওকে?
না ইরাদ তো এমন না।
তবে কি ও নিজেই?
কিন্তু ওর তো কিছু মনেই পরছেনা।
কিছুই মনে আসছেনা কেন?
রুহি এবার উঠে তাড়াতাড়ি নামাজটার কাজা পরে নিলো ফ্রেশ হয়ে এসে,,
মোনাজাতে কান্না করতে শুরু করলো,, ও তো কখনো চায়নি বিয়ের আগে এমন কিছু করতে কিন্তু নিজেকে এই অবস্থায় দেখে ওর মনে অনেক কথাই আসছে। ইরাদকে ও ভালোবাসে ঠিকি কিন্তু বৈধতা দিয়ে ওকে নিজের সবটা দিতে চায় রুহি।
মনের ভিতরে এক অজানা ভয় বিরাজ করছে রুহির। এমন কষ্ট থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়ই হচ্ছে সত্যিটা জানলে।
রুহিকে নামাজে কাদতে দেখে ইরাদের ঘুম ভেংগে যায়।
সাথে সাথে উঠে বসে,,
রুহি নামাজ শেষে ইরাদের দিকে অসহায়ের মত তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো
-রাতে কি আ আমাদে..
-আপনার কিছু মনে নেই?
-রুহি,, উহুম আমি মেডিসিন খাওয়ার পরে ঘুমাতে গিয়েছি বেডে এরপর থেকে আর কিছুই মনে আসছেনা ।
-আপনি কিসের মেডিসিন খেয়েছিলেন কালকে?
-নামটা দেখিনি, মাথা ঠান্ডা রাখার একটা মেডিসিন ছিলো সম্ভবত।
-আরিশার ব্যাগ থেকে দিয়েছিলো?
-হুম
ইরাদের আর বুঝতে বাকি নেই সেটা যৌন উত্তেজক কোনো ঔষধ ছিলো,,
রাতের বিয়ের ঘটনাটা রুহিকে খুলে বললো ইরাদ কিন্তু এর বেশি কিছুই বললো না।
ইরাদ চায় না রুহিকে ও বিয়ে করেছে দেখে রুহি জোর পূর্বক স্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করুক।
মন থেকে যদি মানতে পারে তাহলেই ইরাদ ওকে গ্রহণ করবে আর যদি রুহি ওকে ছেড়ে যেতে চায় তাতেও ইরাদের কোনো সমস্যা নেই।
রুহি খুশিতে লজ্জায় ভয়ে কান্না করে দিলো
-কান্নার মত কিছু হয়নি। আপনি যা ডিসিশন নিবেন তাই হবে। সব আগের মতই আছে ভয় পাবেন না।
রুহি মনে মনে ভাবছে কাল রাতে যা যা হলো ইরাদকি এগুলো মেনে নিতে পেরেছে? নাকি সমাজের জন্য বাধ্য হয়েছে??
আমার কি একটা সরি কি বলা উচিত?
ইরাদ উঠে বাথরুমে যাচ্ছে এমন সময় রুহি
বলে
” সরি কাল রাতের জন্য ”
ইরাদ রুহির দিকে তাকিয়ে হাসলো, তারপর চলে গেলো।
এই হাসির অর্থটা কি? আর কেনোই বা
এত সুন্দর হাসি এই ছেলেটার?
একদম কলিজায় লাগে রুহির।
ইরাদ ফ্রেশ হয়ে এসেছে রুহি বারান্দায় বসে আছে ওদের কফি চলে এসেছে,,
কফি হাতে রুহির কাছে গেলো ইরাদ,,
শ্রীমঙ্গল এত সুন্দর করে ইরাদকে ওর ভালোবাসা বুঝিয়ে দিবে এটা ইরাদ জীবনেও ভাবেনি।
ইচ্ছে করছে রুহিকে বলতে
” ভালোবাসি ঝড়ের রাতে আগত হুরপরী
অনেক ভালোবাসি তোমাকে
আমার হয়ে থাকবে আজীবন??”
কিন্তু রুহির মনের খবর না জেনে যে কিছু বলতে পারছেনা ইরাদ।
আর এদিকে কফিতে একবার রুহি চুমুক বসাচ্ছে আর অন্যদিকে ইরাদের দিকে তাকিয়ে ভাবছে
“দিনে দিনে তো তোমার প্রেমে পাগল করে ফেলছো মিঃ ইরাদ,, তোমার মনে একটা ছোট জায়গা দিবে আমাকে??”
প্রেম ক্রমান্বয়ে দুই জনের মনেই বেড়ে চলছে,,
নিখাঁদ ভালোবাসা তৈরি হয়ে গেছে,, বিয়ে হয়েছে ঠিকি কিন্তু কাজ করছে একটা জড়তা।
প্রেমটা কি তাহলে বিয়ের পরেই হবে ওদের?
রুহি আর ইরাদ দুজনেই ভাবছে অপর পাশের মানুষটার বাম পাশের ছোট হৃদয়ে কি একটু খানি জায়গা পাওয়া যাবে??
নতুন দিনের সূচনায় আজকে একজোড়া নতুন পবিত্র প্রেমিক জুটির জন্ম হলো,, বৈধ প্রেম।
সামনে ভাগ্য কি রেখেছে তাদের জন্য এর কোনো আভাস নেই,, মনে আছে একরাশ ভালোবাসা আর একসাথে ভালো থাকার একটা অদম্য ইচ্ছা…