আংটি পর্ব_১০( শেষ_পর্ব)

0
1601

#গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্প_প্রতিযোগিতা_২০২০
লেখনীতেঃ- অনামিকা ভট্টাচার্য্য

আংটি পর্ব_১০( শেষ_পর্ব)

পরদিন খুব সকালেই তারা সন্ন্যাসী বাবার উদ্দেশ্য রওয়ানা হলেন।অনেক পথ পেরিয়ে এক গভীর জঙ্গলে গিয়ে দেখলেন একটা গুহার ভেতর একজন সন্ন্যাসী গভীর তপস্যায় মগ্ন।ওদেরকে দেখে চোখ খুলে তাকালেন সন্ন্যাসী বাবা।এসব সাধু সন্ন্যাসীদের অনেক অলৌকিক ক্ষমতা থাকে।যার ফলে তারা অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যতের অনেককিছুই আগে থেকেই জানতে পারেন।গুহার ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন সন্ন্যাসী বাবা।অরণ্য আর উপমার কাছে এসে বললেনঃ-

-এসো,বিজয় কুমার আর মহুয়া।আমি এতো বছর ধরে তোমাদের অপেক্ষায়ই আছি।

ওরা অবাক হয়ে একে ওপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলো।অরণ্য বললোঃ-

-কে বিজয় কুমার?আর কে-ই বা মহুয়া?

-অরণ্য,তুমি আর উপমা চোখ বন্ধ করে এখানে পাশাপাশি বসো।আমি যা বলবো তা তোমাদের চোখের সামনে ছবির মতো ভেসে উঠবে।আর বাকীরাও মনযোগ দিয়ে আমার বলা কাহিনী শুনো।এতে তোমাদের মনে জমে থাকা অনেক প্রশ্নের উত্তরই পাবে।বলতে শুরু করলেন সন্ন্যাসী বাবাঃ-

বহু বছর পূর্বে বৈজয়ন্তী নগরী নামে এক রাজ্য ছিলো।সেই রাজ্যের রাজা ছিলেন মহারাজ বিক্রম আদিত্য।উনার একমাত্র পুত্র ছিলো রাজপুত্র বিজয় কুমার।এই পুত্রের জন্মের সময় মহারাণী কঙ্কাবতী মৃত্যুবরণ করেন।প্রিয়তমা স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে মহারাজ খুব মর্মাহত হোন।তিনি আর পুনরায় বিবাহ করেন নি।একমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্ত্রী বিয়োগের বেদনা ভুলে থাকেন মহারাজ।রাজপুত্র বিজয় কুমার ধীরে ধীরে বড় হতে লাগলো।রূপে,গুনে,বিদ্যাশিক্ষা,অস্ত্রশিক্ষা সব ক্ষেত্রেই সমান পারদর্শী সে।রাজপুত্রের শৌর্য-বীর্যের কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো।রাজপুত্রের বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলেই রাজ অভিষেকের মাধ্যমে তাকে রাজ সিংহাসনে বসিয়ে রাজ মুকুট পরানো হবে।তারপর থেকে রাজপুত্র বিজয় কুমারই হবে এই বৈজয়ন্তী নগরীর রাজা।২৫ বছর পূর্ণ হতে তখন আরো কয়েকমাস বাকী।একদিন রাজপুত্র রাজার কাছে আবদার করলোঃ-

-পিতা মশাই,আপনার অনুমতি পেলে আমি এই রাজ্য ছদ্মবেশে ঘুরে দেখতে চাই।দেখতে চাই প্রজাদের কার কি সমস্যা আছে।এতে করে ভবিষ্যতে রাজ্য পরিচালনা করা আমার জন্য সহজ হবে।

-এতো অতি উত্তম প্রস্তাব পুত্র।তুমি ঘুরে এসো তবে।

এরপর পথিক বেশে রাজপুত্র বিজয় কুমার সারা রাজ্য ঘুরে দেখতে লাগলেন।দেখলেন রাজা বিক্রম আদিত্যের রাজ্যে কোথাও কোন দুঃখ-জরা নেই।প্রজারা সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করছে।

ঘুরতে ঘুরতে একদিন রাজপুত্র বিজয় কুমার এক পাহাড়ী এলাকায় গেলেন।সেখানে কিছু গরীব সম্প্রদায়ের বাস।তারা কেউ বা মালির কাজ করে,কেউ ধুপার কাজ,আবার কেউ বা পাহাড়ে জুম চাষ করে।

পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।এমন সময় একটা মিষ্টি সুরেলা মেয়েলি কন্ঠের গান শুনতে পেলেন তিনি।সুরের পিছু পিছু ছুটতে ছুটতে দেখলেন এক ষোড়শী তরুণী গুনগুন করে গান গাইছে।সদ্য স্নান করা তরুণীর পরনে ছাপা প্রিন্টের ডোরা শাড়ী।মাথায় গামছা পেঁচানো আছে।ফুল তুলতে তুলতে আপন মনে গাইছে সে।ছিপছিপে গড়নের,শ্যামলা বরণের সেই মেয়েটিকে প্রথম দেখেই প্রেমে পরে যান রাজপুত্র।মেয়েটি গান শেষে চমকে তাকালে রাজপুত্র ইচ্ছে করে নিজের পরিচয় গোপন করে বললেনঃ-

-আমি এক ক্লান্ত পথিক।বড্ড পিপাসা পেয়েছে।এক গ্লাস পানি খাওয়াতে পারবে?

তরুণী টি ছুটে গিয়ে মাটির সানকিতে করে কয়টা নারকেলের মুয়া আর এক গ্লাস জল নিয়ে আসে।

-খালি মুখে জল পান করতে নেই। এগুলো খেয়ে নিন।আপনার বাড়ি কোথায়?

-আমি এক ভীনদেশী।বেরিয়েছে নগর ভ্রমণে।পথে যেতে যেতে ওমন মিষ্টি কন্ঠ আমাকে থামিয়ে দিলো।

এ কথা শুনে লজ্জা পেয়ে পালিয়ে যায় তরুণী টি।এরপর থেকে প্রায়ই এদিকে আসতেন রাজপুত্র সেই তরুণী কে দেখার আশায়।কিন্তু আর তার দেখা মেলে নি।একদিন এক পাথরে ধাক্কা খেয়ে রক্তাক্ত হয়ে যান রাজপুত্র।আর তখুনি সেই তরুণীটি কোত্থেকে দৌড়ে এসে কিছু বনের লতাপাতা দিয়ে মলম বানিয়ে রক্তাক্ত স্থানে লাগিয়ে দেয়।

ধীরে ধীরে প্রণয়ের সূত্রে বাঁধা পড়েন দুজনে।রাজপুত্র বাঁশি বাজায়।মহুয়া গান শুনায়।রাজপুত্রের চোখের মায়ায় ডুবে থাকে মহুয়া।বড় মায়াকাড়া চোখ দুটি যে বিজয় কুমারের।ওই চোখের মায়ায় পড়ে মহুয়া ভুলে যায় তাদের সমাজ কখনো ভীনদেশী কারো সাথে বিবাহ মেনে নেয় না।এই প্রেমের পরিণতি ভয়াবহ।সর্দার জানতে পারলে প্রাণ নেবে দুজনের। তার ওপর সর্দারের ছেলে রঘুনাথের মহুয়াকে পছন্দ।যদিও মহুয়া ওকে পাত্তা দেয় না।মহুয়া মজে আছে ভীনদেশীর প্রেমে।সুখের দিনগুলো এভাবেই যেতে লাগলো।

কিন্ত কোন সুখই চিরস্থায়ী হয় না।একদিন মহুয়া জানতে পারে তার ভীনদেশী হলো ছদ্মবেশী রাজপুত্র বিজয় কুমার।রাগে,দুঃখে,অপমানে জলে ডুবে মরতে চায় মহুয়া।তখনই রাজপুত্র এসে বাঁচায় মহুয়া কে।

-আমাকে মরতে দিন রাজকুমার।আপনি কখনো এই গরীব মালির মেয়ে কে বিয়ে করবেন না।শুধু শুধু আমার মনটা আমি অপবিত্র করলাম।না আমাদের সর্দার এই বিয়ে মানবেন,না মহারাজ এই বিয়ে মানবেন।

-এটা ঠিক যে আমি আমার মিথ্যা পরিচয় দিয়েছি।কিন্তু আমার ভালোবাসা মিথ্যা নয়।

এসো মহুয়া।বলেই মহুয়া কে হাত ধরে টেনে একটা মন্দিরে নিয়ে যান রাজপুত্র।সেখানে মহুয়ার সীঁথি তে সিঁদুর পরিয়ে ওকে বিয়ে করেন তিনি।তারপর মহুয়ার হাতে একটি আংটি পরিয়ে দেন।যে আংটি তে বি লেখা আছে।
-মহুয়া, এই আংটি আমাদের রাজবংশের চিহ্ন।এই আংটির ইতিহাস হলোঃ-

আমাদের বংশের ওপর কিছু অশুভ আত্মার কুদৃষ্টি পড়ে।আমার পূর্বপুরুষরা অতি অল্প বয়সে মারা যেতেন।তাদের স্ত্রীরা অকাল বিধবা হতেন।এই অভিশাপ ছিলো আমাদের এক পূর্ব পুরুষের কুকর্মের ফল।তিনি বহু নারীর ওপর অত্যাচার করে তাদের মেরে ফেলতেন।এদের মাঝে অনেকেই গর্ভবতী ছিলেন।এদের আত্মার অভিশাপেই এমনটা হতো।ওরা এই রাজবংশ কে নির্বংশ করতে চাইতো।পূর্বপুরুষের পাপের শাস্তি আমরা ভোগ করছি।এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে আমাদের বংশের এক পূণ্যবতী রাণী কাজলরেখা রাজ পুরোহিতের নির্দেশে সাত দিন সাত রাত উপোস থেকে এক বিশেষ তপস্যা করেন।সেই তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তিনি এক দৈবিক আংটি লাভ করেন।এই আংটিই আমাদের বংশের পুরুষদের বিপদ থেকে বাঁচাবে আর মহিলারা বৈধব্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবেন।বংশানুক্রমে সব রাজবধুরা এটা পরে আসছেন।আমার মায়ের মৃত্যুর পর বাবা এটা আমাকে দিয়েছেন আমি যাতে বিয়ের পর আমার স্ত্রী কে এটা দিতে পারি।তুমি এটা যত্নে রেখো।আর কয়মাস পরই আমি রাজা হবো।তখন তো আর কেউ রাজ আদেশ অমান্য করতে পারবে না।তখন তোমাকে আমার রাণী করে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাবো।

তারপর মহুয়া বাড়ি চলে আসে।দুদিন পর মহুয়া কে এসে এক গুপ্তচর খবর দেয় হুট করে শত্রুপক্ষ এসে রাজ্য আক্রমণ করেছে।অন্যায়ভাবে আক্রমণ করায় রাজবাড়িতে ভয়ানক যুদ্ধ চলছে।অনেক সৈন্য শত্রুপক্ষের হাতে নিহত হয়েছে।রাজপুত্র বিজয় কুমার তুমুল যুদ্ধ করছেন।মুহূর্তে মহুয়ার আংটির কথা মনে পড়ে যায়।রাজ কুমার কে বাঁচাতে হলে এই আংটি একবার ওর মাথায় ছুঁয়ে দিতে হবে।দিকবিদিক জ্ঞান শুন্য হয়ে ছুটতে থাকে মহুয়া।যে করেই হোক রাজ বাড়িতে তাকে পৌঁছাতে হবে।দৌড়াতে দৌড়াতে মস্ত বড় এক পাথর খন্ডে ধাক্কা খেয়ে পাহাড়ের নীচে গড়িয়ে পড়ে যায় মহুয়া।সেখানে এক সন্ন্যাসী বাবা বসে তপস্যা করছিলেন।তিনি মহুয়াকে বাঁচাতে না পারলেও ওর মুখে সব কথা শুনে ঐ আংটি টা সযত্নে তোলে রাখেন।আর মহুয়ার মৃতদেহ সৎকার শেষে গুহার কাছেই সমাধি দেন।

এদিকে রাজাসহ প্রায় সবাই শত্রুপক্ষপর হাতে নিহত হোন।যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যাওয়া যদিও বীরের ধর্ম নয়,তবুও শুধুমাত্র মহুয়ার কথা চিন্তা করে রাজপুত্র বিজয় কুমার নিজের প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসেন।রাজ্য,পিতা সব হারিয়ে বিজয় কুমার যখন জানতে পারেন মহুয়া গৃহত্যাগী হয়েছে তখন বিজয় কুমার নিজেও মহুয়ার খোঁজে পথে পথে ঘুরে বেড়ান।এক সময় জঙ্গলে ঐ সন্ন্যাসীর সাথে দেখা হয় বিজয় কুমারের।সন্ন্যাসীর কাছ থেকে সবটা শুনার পর মহুয়ার শোকে পাগল হয়ে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে বিজয় কুমার।

আমি হলাম সেই সন্ন্যাসী।আমি জানতাম বিজয় কুমার আর মহুয়া আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে।বিয়ে করলেও মিলন হয় নি ওদের।ওদের মনে যে সংসার করার কামনা বাসনা রয়ে গিয়েছে।এই কামনা বাসনার জন্যই বার বার পৃথিবীতে আসতে হয়।

এই ঘটনার কয়েক বছর পর উর্মিলা আর উত্তম সন্তানের আশায় আমার কাছে আসে।মহুয়ার সমাধিতে বেড়ে উঠা ডালিম গাছ থেকে ডালিম ফল খেয়েই জন্ম হয় উপমার।মহুয়ার আত্মাই আছে উপমার মাঝে।সেজন্যই ঐ আংটি আমি উপমাকে দেই।জানতাম এই আংটিই একদিন বিজয় কুমার কে খোঁজে নেবে।মহুয়ার আত্মা উপমার সাথে থাকায়ই উপমা কে বিয়ে করতে চাইলে সবাই কে বাঁধা দেয় অশুভ আত্মারা।বাঁধা না মানলে ক্ষতি করে।যেমনটা ঐ ডাক্তার ছেলেসহ অনেকেরই করেছে।আর তাই তো ঐ আংটিটাও আর কেউ বানাতে পারে না।স্বপ্নে নিষেধ করা হয়।

এমন সময় অরণ্য বলে উঠেঃ-

-আমার সব মনে পড়েছে।আমি মহুয়াকেই স্বপ্নে দেখতাম।আমার মহুয়া।

উপমা বলেঃ-

-আমিও তোমায় চিনতে পেরেছি রাজ কুমার।ঐ চোখ দুটি যে আমার বড্ড চেনা।বলেই দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে।

এতোক্ষণে কথা বললেন অরণ্যের বাবা।

-এর সমাধান কি সন্ন্যাসী ঠাকুর।এই জনমে ওদের বিবাহ কি করে সম্ভব?

-স্বপ্নের কথা ভেবে তোমরা বিচলিত হইও না।এর সমাধান আছে।একজন শতবর্ষীয় পূণ্য আত্মার মৃত্যুতেই সব অশুভ আত্মার বিনাশ হবে।

-কোথায় পাবো সেই পূণ্য আত্মা?আর কে-ই বা নিজের জীবন দেবে।

-সেই আত্মা যে চোখের সামনেই আছে।আমি স্বেচ্ছায় দেহত্যাগ করবো আজ।আমার চিতায় ঐ আংটি পুড়িয়ে দিও।আর আমার সমাধি তে যদি আতাফলের গাছ হয়ে তবে বুঝবে অরণ্য আর উপমার পুত্র সন্তান হবে।আর ডালিম ফলের গাছ হলে বুঝবে কন্যা সন্তান হবে।বিয়ে নির্দিষ্ট তারিখেই হবে।বিয়ের পর উপমাকে যে কোন একটা ফল খাওয়াবে আমার সমাধিতে জন্ম নেওয়া গাছ থেকে।

-আপনি আমাদের জন্য এতো বড় ত্যাগ করবেন সন্ন্যাসী বাবা?

-মা রে,তোরা দুজন বার বার পৃথিবীতে আসবি আর মিলনের অতৃপ্তি নিয়ে চলে যাবি সেটা কি হয়?এবার এর একটা শেষ মীমাংসা হোক।

এরপরই সন্ন্যাসী বাবা দেহত্যাগ করেন।

***************

নির্দিষ্ট তারিখেই বিয়ে হয়ে যায় অরণ্য আর উপমার। নববধূ সেজে বাসরঘরে বসে আছে উপমা।একটু পর বর বেশে অরণ্য রুমে প্রবেশ করলো।টুকটুকে লাল কাতান শাড়ীতে উপমাকে পরীর মতো সুন্দর লাগছে।অরণ্য উপমার হাতে একটা সোনার আংটি পরিয়ে দিলো।সাথে ওর পায়ে একজোড়া নূপুরও দিলো।উপমার কানে কানে বললোঃ-

-আমার জনম জনমের সাথীকে সোনা-রূপা দিয়ে বরণ করে দিলাম।

-তুমি নিজেই আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান উপহার।

-উপমা,একটা বিষয় ভেবে দেখলাম।গত জনমের সাথে এ জনমের কিছু মিল আছে।গত জনমে তুমি মালির মেয়ে ছিলে বলে বোধহয় এ জনমেও তুমি ফুল এতো ভালোবাসো।টব ভর্তি ফুলগাছ লাগিয়েছো।আবার এ জনমেও বিছানাকান্দি বড় এক পাথর খন্ডে ধাক্কা খেয়ে ডুবতে বসেছিলে।আর গানটাও এ জনমেও এতো ভালো গাও।

-হুম।আর তুমি তো এ জনমেও এতো মায়াকাড়া চোখ পেয়েছো।আবার মনটাও সেই রকমই আছে।বার বার পৃথিবীতে আসবো আমরা।শুধু রঙ,রূপ বদলে যাবে।আমাদের ভালোবাসা কিন্তু একই থাকবে।

এক বছর পর অরণ্য আর উপমার একটা পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।সন্ন্যাসী বাবার সমাধিতে জন্ম নেওয়া আতাফলের গাছ থেকে একটা আতাফল খেয়েছিলো উপমা।সবার আদরে বড় হতে থাকে সেই ছেলে।অরণ্য আর উপমার জীবনে আর কোন অশান্তি আসে নি।

#সমাপ্ত

#বিঃদ্রঃ- এই পৃথিবীতে কতো রকম রহস্য লুকিয়ে আছে।তার সবটার সমাধান কি আমরা জানি?অরণ্য আর উপমার গল্প টা ছিলো এরকমই একটা রহস্য গল্প।যেটা আমি আমার কল্পনাশক্তি দিয়ে সৃষ্টি করেছি।তাই কেউ এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চাইবেন না।যারা কষ্ট করে পুরো গল্পটা ধারাবাহিকভাবে পড়েছেন তাদের প্রতি একমুঠো ভালোবাসা রইলো।আমি মাত্র দুদিন আগে এই প্রতিযোগিতার কথা জেনেছি।তাই তাড়াহুড়া করে লিখতে গিয়ে হয়তো অনেক ভুল ত্রুটি রয়ে গেছে।সবাই ধরিয়ে দেবেন।আর গল্পটা কেমন লেগেছে জানালে খুশী হবো।এডমিন ও মডারেটরদের বিশেষ ধন্যবাদ এরকম একটি প্রতিযোগীতার আয়োজন করার জন্য।সকল লেখকদের জন্য শুভকামনা রইলো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে