আঁধার পর্ব-৩৮

0
1214

আঁধার

৩৮.

” এভাবে হাবার মতো তাকিয়ে না থেকে ভেতরে এসে বসো। ” মাহমুদ ভাই হাসতে হাসতে বললেন।
রাকাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ” রাকা মাই সুইটি, তোমার আশিককে ভেতরে এনে দরজাটা সুন্দর করে আটকে দাও তো। ”
আল্লাহর রহমতে ধরা খেয়ে গেছে রাকা। কিন্তু একটা ভয় ভেতরে জেগে উঠেছে। মাহমুদ ভাই আমার উপর পুরোপুরি দোষ চাপিয়ে দিবেন না তো? দোষ আমার অবশ্যই আছে কিন্তু সম্পূর্ণ একার না। এখানে রাকাও ভাগীদার। ওশানকে তো আশেপাশে দেখছি না। মাহমুদ ভাই এভাবে হাসি হাসি মুখে কীভাবে বসে আছেন? রাকার চেহারার দিকে তাকানোই যাচ্ছে না। ওর চেহারার ভঙ্গি দেখেই বুঝে গেলাম যে আমাদের না রাকার প্ল্যান ফ্লপ হয়েছে। মাহমুদ ভাইয়ের পাশের সোফায় বসলাম।
” প্ল্যান তো একা আমার ছিলো না৷ রাকারও ছিলো। ” এখন অন্ততপক্ষে আমাদের মধ্যে যা সা হয়েছে সব খোলামেলা ভাবে বলতে হবে। তা নাহলে মাহমুদ ভাই আমাকে ঝামেলায় ফালাবেন। আর রাকাকে ধোয়া তুলসীপাতা বানিয়ে ঘরে পূজা করবেন।
” জানি তো আমি। এবার বলোতো আমাদের বিয়ে নিয়ে রাকা মাই সুইটি তোমাকে কী কী বলেছিল? ” মাহমুদ ভাই দুই হাত ছড়িয়ে সোফায় বসলেন৷ আমি বলতে যাবো তখন মাহমুদ ভাইয়ের নাম্বারে ফোন আসলো। ফোনে কাউকে পিৎজা, বিরিয়ানি, সেভেন আপ আনতে বললেন। ফোনে কথা শেষ করে আমার দিকে ফিরে বললেন, ” বলতে শুরু করো। ” তারপর রাকাকে উদ্দেশ্য করে বলল, ” সুইটি তুমি ওভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেনো? বসো তুমি। পা ব্যথা হলে রাতে তোমার আশিকের সাথে খেলাধুলা করবা কীভাবে? ”
রাকা সাপের মতো ফণা তুলে বলল, ” মাহমুদ বেশি বলে ফেলতছ। তোমার এইসব নাটক দেখার জন্য রাসেল আসেনি। ”
” আহা, রেগে যাচ্ছ কেনো? রাসেল তো নাটক দেখতে আসেনি। সে সিনেমা দেখতে এসেছে। তাকে আমি টুইস্টে ভরা সিনেমাই দেখাবো। ”
” মাহমুদ ” রাকা চাপাস্বরে বলল।
” আহা সুইটি চিলি হওয়ার চেষ্টা করবা না। তাহলে পেস্ট করে তোমার আশিকদের ঢ্যাস ঢ্যাসে লাগায় দিয়ে আসবো। ” মাহমুদ ভাই হো হো করে হাসতে লাগলেন। হচ্ছেটা কি এখানে? আশিকদের মানে? মিলার বলা কথাগুলো এখনই মাথায় ভালো করে ঢুকলো।
” আশিকদের মানে? ওর আমি বাদেও অন্য একজন আছে? ”
মাহমুদ ভাই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালো হাসি থামিয়ে। তারপর রাকাকে বলল, ” যাও রান্নাঘর থেকে দুই কাপ চা বানিয়ে আনো। কাজের লোকেরা আজকে শুধু সিনেমা দেখবে। ”
” তোমাকে আগে যেটা বলেছি সেটা করো। তোমার কপাল ভালো যে আমি এখনো তোমাকে এভাবে আস্ত রেখেছি। চাচ্ছিলাম তোমাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে ডুবো তেলে ভেজে রাকাকে খাওয়াতে। কিন্তু তোমার স্ত্রীর জন্য ছেড়ে দিলাম। ”
আমার হাত পা জমে গেল ভয়ে। হায় আল্লাহ আমি কোথায় ফেঁসে গেলাম।
” আমাকে বলেছিল, খালু ওকে জোর করে বিয়ে দিয়েছে। এই বিয়েতে ও রাজি হয়েছিল একমাত্র খালুর জন্য। ”
” আর আমাকে তোমার সাথে সম্পর্ক নিয়ে কী বলেছিল জানতে চাও? ” মাহমুদ ভাই আমাকে প্রশ্ন করে রাকার দিকে ফিরে বললেন, ” চা নিয়ে আসো। আর একবার বলবো আমি তারপর ডট ডট ডট হবে। ”
রাকা রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেল।
” তুমি ওর সাথে জোর করে প্রেম করেছ। জোর করে ওর সতীত্ব হরণ করেছো। সে তোমার হাত থেকে বাঁচতে চায়। আমি ছাড়া তোমার কাছ থেকে কেউই তাকে বাঁচাতে পারবেনা। কারণ আমাকে সে খুবই ভালোবাসে। ” মাহমুদ ভাই থামলেন।
” জোর করে আমি ওর সাথে কিছুই কখনো করিনি। বিয়ের আগে বিছানায় যাওয়ার জন্য ওই আমাকে জোর করতো। আমি আপনাদের বিয়ের পরে ওর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ”
” তারপর এমন কী ঘটলো যে তোমাদের যোগাযোগ শুরু করতে হলো? ” মাহমুদ ভাইয়ের কণ্ঠ অদ্ভুত রকমের শান্ত। এতো শান্ত কীভাবে আছেন উনি? আমার তো রাকার মিথ্যা বলার কথা শুনেই মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
” ও-ই যোগাযোগ করতে শুরু করে। আমাকে বলে, সে আমাকে ছাড়া থাকতে পারবেনা। আপনি তাকে বিছানায় স্যাটিসফাই করতে পারেন না এবং মনের দিক থেকেও পারেন না। ”
” নাউজুবিল্লাহ। আমার পৌরুষত্ব নিয়েও। এই কথা শুনে তুমি তার কোলে ঢলে পড়লে? ”
” আমি তখনও ওকে ভালোবাসতাম। মানে ভালোবাসা না ঠিক। মরীচিকা, ভালোবাসার মরীচিকা। ”
” তারপর আমার আড়ালে দুজনেই অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে গেছ। প্রেগন্যান্ট হওয়ার পরে তো তোমার সরে যাওয়া উচিৎ ছিল। রাসেল আমি ভাবতাম তুমি এতোটা গাধা হবা না। মানুষ এতো বিবেকবুদ্ধি ছাড়া হয় কীভাবে? ”
” আমি তখন ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ও বলল যে, বাচ্চাটা আমার। আল্ট্রার রিপোর্ট দেখালো যে ভ্রুণের বয়স তিন মাস। আর আপনি ঢাকায় আসছেন দুই মাস আগে। ”
” কী? ওশান তোমার ছেলে? এটা রাকা তোমাকে বলেছে? ” মাহমুদ ভাইয়ের মুখে এখন কোনো হাসি নেই।

মারিয়া কবিরের দ্বিতীয় একক উপন্যাস ‘ হলুদ খাম ‘ সংগ্রহ করতে চাইলে নিম্নের যেকোনো অনলাইন বুকশপ থেকে নিতে পারেন।

বইটি অর্ডার করার জন্য নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন ।রকমারি

https://www.rokomari.com/book/207068/holud-kham

” হ্যাঁ এটা বলেই তো এতদিন আমাকে আটকে রেখেছে। আর আমিও গাধার মতো আটকে ছিলাম। ”
” ভাগ্যিস ওশানকে আম্মার বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি। ও এসব নিতে পারতো না। ”
” আমাকে তো আজকে এখানে এনেছে থ্রেট দিয়ে। ”
” আমার ভাবতেও অবাক লাগে তুমি একজন পুরুষ! একবারও সন্দেহ হয়নি এই মেয়ে তোমাকে মিথ্যার উপর মিথ্যা বলে যাচ্ছে। ” রাকা চায়ের ট্রে নিয়ে আসলো।
” আমি জানিনা আমি এই বারো তেরোটা বছর কীসের মধ্যে ছিলাম। মিলা পর্যন্ত রাকাকে একদিন দেখেই কত কিছু বুঝে ফেলেছে। আর আমি? ”
” ব্যাপার না। আমিও তোমার মতো অন্ধভাবে বিশ্বাস করে ছিলাম। তো তোমাকে কি থ্রেট দিল যে বউ রেখে এই কালনাগিনীকে নিতে চলে এসেছ? ” রাকা চোখ মুখ শক্ত করে মাহমুদ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
” আমি না আসলে বা ওর প্ল্যানের কথা কাউকে জানালে সে আর ওশান ঘুমের মেডিসিন খেয়ে সুইসাইড করবে। এমনকি ওশানকে আমার বাসায় ঘুমের মেডিসিন খাইয়ে নিয়ে গেছিল। আমি বললাম, মাহমুদ ভাই আমাদের ঝামেলায় ফেলাবে৷ ও বলল, মাহমুদকে এমন করবো যে ও একটা শব্দও বলতে পারবে না। ”
” হ্যাঁ, ও আমার নামে ফেইক নারী নির্যাতন কেস সাজিয়েছিল। ফেইক মেডিকেল রিপোর্ট, ফেক সাক্ষী এমনকি আমি নাকি যৌতুকের জন্য তাকে অনেক নির্যাতন করি। আর এসব ও করেছে ওর ওই ফেইক ফেমিনিস্ট ক্লাবের মিন্ডার সাথে মিলে। ”
” নারী নির্যাতন কেস? ” আমি আকাশ থেকে পড়লাম যেন। রাকা মাথা নিচু করে বসে আছে। কী ভয়ংকর এই মেয়ে।
” হ্যাঁ, আমি ওর আলমারিতে সব পেয়েছি। ও ভাবতেই পারেনি আমি এইসময় আসবো। ও তোমার কাছে যাওয়ার দিনই আমি লোক দিয়ে আলমারি থেকে কেস সম্পর্কিত কাগজ পত্র, মেডিকেল রিপোর্ট আরো অনেক কাগজ পত্র সরিয়ে ফেলি। আর ওইখানে একইরকম দেখতে কাগজ রেখে দেয়াই। ”
” তা না করলে তো আপনাকে মিথ্যা কেসে জেল খাটতে হতো। ”
” আমার সবকিছু হারায় ফেলতাম। আমার ওর উপরে খুব বেশি বিশ্বাস ছিল। আমার এক কলিগ হঠাৎ একদিন একটা ভিডিও দেখালো। সেও শিওর ছিলো না যে ভিডিও এর মেয়েটা রাকা। তাই আমাকে দেখালো। আমি ভিডিওটা দেখে বুঝতে পারলাম। এটাই রাকা। ভিডিওতে ডেট আর টাইম দেখাচ্ছিল এক পাশে। অর্থাৎ আমাদের বিয়ের পরে ওশান হওয়ার পরের ঘটনা। বিশ্বাস হচ্ছিল না। কলিগের সাথে পরামর্শ করে ওর পেছনে স্পাই লাগালাম৷ এমনকি এই বাসায় কাজের লোকগুলো প্রতিনিয়ত আমাকে খবর জানাত। কারণ তারা আমাকে খুব ভালোবাসেন। তারা চায়না আমি ভুলের মধ্যে থাকি। আমি জানতাম এক তোমার সাথে ওর সম্পর্ক। পরে স্পাইয়ের মাধ্যমে ভিডিও সহ তথ্য পেলাম যে ওর একজন না অনেক অনেক আশিক। একেক সময় একেকজন। কিন্তু আমার কিছু করার ছিলো না৷ কারণ ওকে ডিভোর্স দেয়াটা এতো সহজ না। ওর বাবা অনেক ক্ষমতাশালী মানুষ। তার উপর ও নিজে খুব পাওয়ারফুল একটা উগ্র ফেমিনিস্ট ক্লাবের সদস্য। আমি ডিভোর্স দিতে গেলেই রাকা ঝামেলা করবে এটা শিওর। ওশানকে নিয়েও আমি অনেক চিন্তায় পড়ে যাই। তারপর ভাবলাম যা করতে হবে সাবধানে তবে খুব দ্রুত। রাকা কোথায় কখন যায়, কী করে, কার সাথে ঘোরাঘুরি করে। সবকিছু জানার চেষ্টা করলাম স্পাইয়ের মাধ্যমে। আল্লাহর রহমতে পারলামও। তোমার সাথে পালানোর জন্য শুধু এই প্ল্যান করেনি ও। ও জানত একসময় আমি সবকিছু জানতে পারবো। তখন আমি যেন কোনোভাবে তাকে তালাক দিতে না পারি সেজন্য সে এই কাগজ পত্র জোগাড় করে রেখেছিল। তবে বাসার কোথায় রাখেনি। পরে তোমার কাছে যাওয়ার আগে বাসায় এনে রাখে। আমি কাজের বুয়াকে দিয়ে ওর চাবির নকশা নিয়ে নকল চাবি বানিয়ে রেখেছিলাম। ব্যস ও যে কাগজ পত্র ওখানে এনে রেখেছে সেটা তো কাজের লোক দেখেছেই। তারপর আমাকে জানিয়েছে আর আমি আমার লোককে দিয়ে জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলেছি। কাজের লোকদের এই লুকিয়ে লুকিয়ে গোপন কাজগুলো দেখার অভ্যাস দারুণ ভালো। ফরিদপুর থেকে ফিরে আসার পরে সে আমার সাথে বেশ ভালো ব্যবহারই করতে শুরু করে। আমার স্পাই বলেছিল রাকা ছেলে নিয়ে তোমার বাসায় গেছে কিন্তু এটা বলেনি যে বাসায় গিয়ে কী করেছে। এটাও বলল, তোমার বউও তার বাপের বাড়ি যায়নি। তখন আমার খটকা লাগলো। বাধ্য হয়ে তোমার বউয়ের সাথে যোগাযোগ করলাম। রাকা ফরিদপুরে গিয়ে যা যা করেছে সব জানাল। ও যদি না জানাত তাহলে আজকে তোমাকে আমি আস্ত রাখতাম না। ” মাহমুদ ভাই এবার রাকার দিকে তাকিয়ে বলল, ” মাই সুইটি আমি কি এখানে এক আনাও মিথ্যা বলেছি? ”
” না ” রাকা এমনভাবে বলল যেন কিছুই হয়নি।
” তোমার মোট কতজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে? ” মাহমুদ ভাইয়ের প্রশ্নে রাকার ঠোঁটের কিনারে হাসির রেখা দেখা গেল। তারপর বলল, ” সেটা কি আর গুণে রেখেছি? ”
” ওশান আসলে কার ছেলে আমার না রাসেলের?” মাহমুদ ভাইয়ের প্রশ্ন করার ভঙ্গিতে মনে হলো সে অনেক কষ্টে তার কষ্টগুলো আটকে রেখেছে।
” আমিও জানিনা। ও গর্ভে আসার আগে আমার মোট চারজনের সাথে সম্পর্ক ছিল। এই চারজনের কেউ একজন হবে। ”
” কী? তারমানে এতদিন তুমি আমাকে মিথ্যা বলে আটকে রেখেছিলে?”
” তোমার মতো দুই টাকার রাসেলের আটকে রাখার প্রয়োজন আমার ছিলো না। ”
” তাহলে আটকে রেখেছিলে কেনো? ”
” আমি আটকে রাখিনি তুমিই আটকে ছিলে। ”
” তাহলে আমার সংসার ভাঙলে কেনো?”
” তুমি আমার শুধু তাই। ” রাকার বলার ভঙ্গিতে আমার ঘিন্না লাগল নিজেকে। ছিঃ এরকম একটা কুৎসিত বিকৃত চরিত্রের মানুষের কথায় আমি উঠেছি বসেছি।
” তাহলে বিয়ে কেনো করাইছ আমাকে? ”
” আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই। ”
মাহমুদ ভাই বললেন, ” এই হচ্ছে আমাদের রাকার আসল রূপ। এজন্যই আমি এক বছর যাবত এই মহিলার সাথে অভিনয় করে যাচ্ছি। কারণ এ যেকোনো সময় ছোবল মেরে বসবে। ”
” আমার পুরো জীবনটাই ও নষ্ট করে দিল। ”
” জানো তো রাসেল মানুষকে বিশ্বাস করতে হয় চোখ কান খুলে। চোখ কান বন্ধ করে না। আমি প্রথমটা করেছি আর তুমি দ্বিতীয়টা। কারণ জানোতো আমি ডাক্তার আকাশ হতে চাইনা৷ উনার মতো প্রচণ্ড ভালোবেসে, লয়াল থেকে, সবকিছু উজাড় করে দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিতে পারিনা। নিজেকে শেষ করে দিলেও এইসব ক্যারেক্টার লেস হোরদের শান্তি দিতে পারিনা। ”
” মাহমুদ অনেক বলেছ তুমি। যথেষ্ট হয়েছে। আমার বাপি এখনো তোমাকে জেলের ভাত খাওয়াতে পারে। ”
” তোর বাপির ব্যবস্থাও আমি করেছি। খালি দ্যাখ আমি কী করি। এতদিন তুই খেলছিস আজকে আমি খেলা দেখাবো। এই মাহমুদের সাথে ফাজলামি করার সাহস মাটির সাথে পিষে দিব। ” মাহমুদ ভাই চিৎকার করে বললেন।
আমার মাথা শূন্য হয়ে গেছে। রাকার এই রূপ দেখে। ওশান আমার বাচ্চা না। এতদিন আমি বিরাট মিথ্যার মধ্যে ছিলাম।

চলবে…

~ Maria Kabir

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে