অভিমান হাজারো পর্বঃ১৮
আফসানা মিমি
উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটছে লাবণ্য। মাথায় তার ঘুরঘুর করছে সামিরের সাথে কিভাবে কথা বলতো। কত অপমানই না করতো সামিরকে সে। অথচ মানুষটার মুখে এর জন্য কখনো কোন কষ্ট অথবা ক্লান্তিভাব দেখেনি। বরং একবার অপমান করলে দ্বিতীয়বার যেন দ্বিগুণ উদ্যমে এসে ভালবাসার কথা বলতো। কিন্তু সে রনকের ভালবাসায় এতোই অন্ধ হয়ে গিয়েছিল যে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ তা চোখে পড়েনি। বরং সে যা করতো সেসবই ঠিক মনে করতো সে। সেদিন যদি সামির তাকে না রক্ষা করতো তাহলে হয়তো সে আজ এখানে থাকতো না। হয়তোবা সেদিন তার দেহটা কিছু মানুষরূপী পশু খুবলে খুবলে খেয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যেত। হয়তোবা তার এমন অবস্থা করতো যা দেখে কেউ চিনতেও না পারে। কিন্তু সেই মুহূর্তে আল্লাহ্ তাকে সাহায্য করার জন্য সামিরকে ফেরেশতা হিসেবে প্রেরণ করেছিল। তার সম্মান নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল সেই সামির, যে সামিরকে সে দিনের পর দিন অপমান, অবহেলা, গালমন্দ করে এসেছে। ভাবতেই অপরাধবোধ কুরে কুরে খেতে লাগলো তাকে। সেদিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত মনের স্বস্তির দেখা সে পায়নি। তার মন তাকে বারবার বলছে সামিরের কাছে ক্ষমা চায়তে হবে। এতে করে যদি একটু স্বস্তি পাওয়া যায়।
রাস্তার ফুটপাত ধরে এসব ভাবনায় বিভোর ছিল লাবণ্য। কখন যে এলোমেলো পায়ে রাস্তার মাঝখানে চলে গেল টেরও পেল না সে। হঠাৎই তার বাম হাতে কারো হেঁচকা টানে তার সম্বিৎ ফিরলো। এবং সেই মুহূর্তেই সাঁই সাঁই করে একটা মোটরসাইকেল তরিৎ গতিতে তার পাশ দিয়ে চলে গেল। কারো অস্ফুট আর্তনাদ তার কানে প্রবেশ করা মাত্র তার হুঁশ হলো। তার হাত ধরে টান দিল কে! সেদিকে তাকিয়েই লাবণ্য অবাক হয়ে গেল। অতশী রাস্তার সাইডে পড়ে আছে। লাবণ্যকে টান দিয়ে সরিয়ে দিতে গিয়ে সে ভারসাম্য না রাখতে পেরে রাস্তার সাইডে পড়ে গেল। এবড়োখেবড়ো ভাঙা ইটে পড়ে গিয়ে তার কনুইয়ের বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে জখম হয়ে গিয়েছে। তা থেকে রক্ত ঝরছে ফোঁটা ফোঁটা। লাবণ্য হতবাক হয়ে গেল অতশীকে এখানে দেখে। বিস্মিত ভাবটা সে এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অতশীকে যে মাটি তুলে ফার্মেসীতে নিয়ে যেতে হবে সেটাও তার মাথায় খেলছে না। ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে আচমকা সামিরের আগমন। সামিরকে দেখে লাবণ্যর বুকের ভিতরটায় হঠাৎ কেমন করে উঠলো। কেউ হঠাৎ খুব জোরে খামচে ধরলে যেমন লাগে ঠিক তেমন। হৃদয়টাও কম্পিত হচ্ছে ক্ষিপ্রগতিতে। এবং ভিতরে ভিতরে যেন কুঁকড়ে যাচ্ছিল। সে যাচ্ছিল অতশীকে তুলতে। কিন্তু তার আগেই সামির অতশীর হাত ধরে তাকে তুলতে তুলতে চিন্তাগ্রস্ত হয়ে বললো
—“পড়ে গেলে কিভাবে অতশী? বেশ রক্ত ঝরছে দেখি! দেখি উঠো উঠো।”
লাবণ্য এগিয়ে গিয়ে বললো
—“ভাবী তোমার হাত ড্রেসিং করে দ্রুত ব্যান্ডেজ করতে হবে। বেশ খানিকটা কেটে গেছে। আমাকে শুধুশুধু বাঁচাতে গেলা কেন? আমার জন্য তুমি এখন কত বড় ব্যথাটা পেলে।”
লাবণ্যর মুখে ‘ভাবী’ ডাক শুনে কিছুটা চমকে উঠলো অতশী। এই প্রথম লাবণ্য তাকে ‘ভাবী’ ডাকলো। অবাক ভাবটা লুকিয়ে চিন্তিত হয়ে বললো
—“তোমার কোথাও লাগেনি তো লাবণ্য?”
লাবণ্য এতে বেশ অবাক হলো। তাকে বাঁচাতে গিয়ে অতশী এমন ব্যথা পেল। অথচ নিজের চিন্তা না করে তার চিন্তা করছে এখনো!
—“না না আমার কোথাও লাগেনি।”
—“এভাবে আনমনা হয়ে রাস্তার মাঝখানে গিয়ে হাঁটছিলা কেন? বড় কোন এক্সিডেন্টও হয়ে যেতে পারতো।”
লাবণ্য ফের কিছু বলার আগে সামির বলে উঠলো
—“অতশী আগে তোমার হাত ব্যান্ডেজ করা উচিৎ। এসব নিয়ে পরেও কথা বলা যাবে। এখন চলো তো। কাছেই একটা ফার্মেসী আছে। সেখানে চলো তাড়াতাড়ি।” সামির এমনভাবে কথাটা বললো যেন মনে হচ্ছে এখানে লাবণ্যর অস্তিত্বও নেই। লাবণ্যকে সে দেখেইনি। অথচ লাবণ্য তো আর জানে না যে অতশীর মুখে তার রাস্তার মাঝখানে হাঁটার কথা শুনে অজানা আশঙ্কায় কতটা ধুকপুক করছিল তার বুকের ভিতর। যদি আজ কিছু হয়ে যেত লাবণ্যর! লাবণ্য জানে না কেন জানি তার প্রচণ্ড খারাপ লাগা শুরু করলো ভিতরে ভিতরে। ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল বুকের ভিতরটা। সে আর কিছু না বলে ওদের পিছুপিছু ফার্মেসীতে গেল।
…
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
—“তোমার হাতে কী হয়েছে অতশী? ব্যান্ডেজ করা কেন?” বাসায় আসতে না আসতেই স্পন্দনের মুখোমুখি হলো অতশী। স্পন্দন বেশ অবাক হয়েই জিজ্ঞাসা করলো কথাটা।
—“ঐতো সামান্য একটু ব্যথা পেয়েছি।” পাশ কাটানো উত্তর দিল অতশী।
—“কিন্তু কিভাবে?”
—“না মানে… ঐ ইয়ে… আসলে…” আমতা আমতা করতে লাগলো অতশী। স্পন্দনকে সত্যিটা জানানো যাবে না। নয়তো রেগেমেগে ফায়ার হয়ে যাবে। কী বলা যায় এখন!
—“দ্যাখো অতশী, একদম কথা লুবাবার চেষ্টা করবা না। সত্যিটা বলো বলছি।” স্পন্দনের জেরার মুখে পড়লো অতশী।
—“আমি বলছি ভাইয়া।” পিছন থেকে লাবণ্য বলে উঠলো। স্পন্দন অবাক হয়ে তাকালো বোনের দিকে। অতশী ইশারায় নিষেধ করছে বলতে। কিন্তু লাবণ্য সেদিকে পাত্তা না দিয়ে বলে চললো
—“আমাকে বাঁচাতে গিয়ে ভাবী ব্যথা পেয়েছে।”
স্পন্দনের কপালে কয়েকটা ভাজ পড়লো। অতশী হাল ছাড়ার ভঙিতে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। জোড়া ভ্রু কুঞ্চিত করে জানতে চায়লো
—“মানে?”
—“আমাকে এক্সিডেন্টের হাত থেকে বাঁচাতে ভাবী আমাকে টান দিয়ে সরিয়ে নিজে গিয়ে রাস্তার পাশে ইটের সাথে কনুইয়ে ঘর্ষণ খেয়ে ব্যথা পেয়েছে। তাতে বেশ খানিকটা জখম হয়েছে কনুইয়ে।”
সব শুনে স্পন্দন রেগে গিয়ে বললো
—“চোখ কই রেখে হাঁটিস যে এক্সিডেন্ট করতে গিয়েছিলি? একবার কি ভেবে দ্যাখ তো কী হয়ে যেত যদি অতশী সেখানে না থাকতো! রাস্তাঘাটে দেখেশুনে চলবি না? আর হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরছিলি কেন? গাড়ি ছিল না?”
লাবণ্য আজ স্পন্দনের এমন ব্যবহার দেখে ভয় পেয়ে গেল। আসলেই তো অতশী সেখানে না থাকলে কি হয়ে যেত আজ! অতশী লাবণ্যর আতঙ্কিত মুখটা দেখতে পেয়ে স্পন্দনকে থামাতে চায়লো
—“যা হওয়ার হয়ে গেছে। বাদ দাও না এখন এসব।”
—“তুমি কোন কথা বলবা না। বড্ড বাড় বেড়েছে তোমার। কি এমন রাজকার্য ছিল যে বাইরে যেতে হয়েছে? আজ যদি তোমার বড় কিছু হয়ে যেত! পাগল করে ছেড়ে দিবা আমাকে। শান্তিতে থাকতে দিবা না?” ধমক দিয়ে বললো স্পন্দন।
—“আরে আমি তো…..”
—“চুপ!”
অতশীর কথার মাঝখানেই তাকে থামিয়ে দিয়ে গটগট করে চলে গেল সেখান থেকে। সেদিকে এক পলক তাকিয়ে থেকে লাবণ্যর দিকে অসহায়ভাবে চেয়ে বললো
—“দেখলা তো কী রাগ করলো! কেন বলতে গেছিলা শুধুশুধু?”
অতশীর কাছে এসে তার হাতদুটো ধরে মাথানিচু করে লাবণ্য বললো
—“ভাবী, এতোদিন তোমার সাথে আমি অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি। কত বাজে বাজে কথা বলে অপমান করেছি। পারলে ক্ষমা করে দিও আমাকে। আমি…..”
লাবণ্যকে থামিয়ে দিয়ে ওর গালে হাত রেখে মুচকি হেসে বললো
—“ক্ষমা চায়ছো কেন লাবণ্য? আমি তো তোমার ওপর রেগে নেই। শুধুশুধু ক্ষমা চায়তে হবে না।”
—“কিন্তু তবুও……”
—“আর কোন কথা না। যাও রুমে যাও।”
—“যাচ্ছি। তুমি গিয়ে ভাইয়ার রাগ ভাঙাও। যে রাগী!”
—“ওর রাগ কিভাবে ভাঙাতে হয় তা আমার জানা আছে।”
—“আচ্ছা তাহলে যাও।
অতশী আজ বেশ অবাক হয়েছে। তবে বেশ কয়েকদিন যাবৎই খেয়াল করছে লাবণ্যর আচার আচরণ। কেমন যেন স্থির হয়ে গেছে হঠাৎ করেই। আগের মতো আর উড়োউড়ো স্বভাবটা নেই তার মাঝে। সারাক্ষণ কেমন গম্ভীর হয়ে থাকে। তার রুমের পাশ দিয়ে গেলে দেখা যায় মাঝে মাঝে নিঃশব্দে কাঁদে। এমন আচরণের হেতু খুঁজে পায়নি অতশী।
…
রুমে এসে অতশী দেখে স্পন্দন ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। উল্টোদিকে ঘুরে থাকায় তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। পা টিপে টিপে তার কাছে এগিয়ে গিয়ে পিছন থেকে আস্তে করে ওর দুই হাত স্পন্দনের বুকে রেখে মাথাটা পিঠে রেখে দাঁড়ালো। কয়েকটা মুহূর্ত নিঃশব্দেই কাটলো। স্পন্দন নিশ্চুপ থাকায় মাথা তুলে পিঠে একটা চুমু খেল অতশী। এতে করে স্পন্দন সাথে সাথেই ঘুরে অতশীকে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিল। ওর মাথায় একটা চুমু দিয়ে নিজের চিবুক ঠেকিয়ে রাখলো অতশীর মাথার তালুতে। অতশী খেয়াল করলো স্পন্দনের বুকের ভিতর প্রচণ্ডগতিতে বিট করছে হার্ট। মাথা তুলে তার মুখের দিকে তাকিয়ে ডাক দিল
—“স্পন্দন…”
অতশীর মাথাটা ফের তার বুকে ঠেকিয়ে বললো
—“এভাবেই থাকো।”
—“তুমি কি আমার ওপর রেগে আছো?”
কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থেকে
—“না।”
—“তাহলে এমন চুপচাপ কেন?”
অতশীকে বুকের সাথে আরেকটু পিষিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় উত্তর দিল
—“তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় আমার বুকের ভিতর কামড়ে ধরেছে অতশী। আমার কেন বারবার এমন মনে হচ্ছে যে আমার খুব আপন কেউ আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে! কেন এমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে বুকের ভিতরটা? আমার কাছে এর উত্তর জানা নেই। তুমি কি এর উত্তরটা জানো অতশী? বলো না কেন এমন লাগছে আমার? বআড্ড অসহায় হয়ে পড়ছি দিন দিন।”
হঠাৎই অতশীর হৃদপিণ্ড নামক মাংসপিণ্ডে কে যেন খামচে ধরলো। প্রচণ্ড বেদনা শুরু হলো আচমকা সেখানে। স্পন্দনের এভাবে ধরায় যতটা না ব্যথা পাচ্ছে, তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি ব্যথা পাচ্ছে সেখানটায়। এ মানুষটা তাকে ছেড়ে কী করে থাকবে! স্রেফ পাগল হয়ে যাবে তার বিরহে।
—“প্লিজ শান্ত হও! তোমার এমন অস্থিরতা আমায় বড্ড পুড়ায় স্পন্দন।”
—“আজ যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো আমি মরেই যেতাম অতশী। নেক্সট টাইম নিজের লাইফের রিস্ক এভাবে নিও না। কারণ তুমি একা নও। তোমার লাইফে আমিও জড়িত আছি। তোমার তিল পরিমান কিছু হলেও আমি জাস্ট পাগল হয়ে যাব।”
অতশীর কান্না পাচ্ছে। এ পাগলটা তাকে ছেড়ে কিভাবে থাকবে? নিয়তি তাকে কোথায় এনে দাঁড় করালো? তার এই অনিশ্চিত জীবনের সাথে আল্লাহ্ স্পন্দনকে কেন জড়ালো? এতে মঙ্গল কিছু নিহিত আছে কী!
…
—“ননদিনী, এই নাও কফি।”
বিকেলবেলা অরুনিমা ছাদে বসে ছিল বিষণ্ণ মনে। সামিরকে বড্ড মনে পড়ছে এই মুহূর্তে। সেই মুহূর্তে আফরা এসে তার হাতে কফির মগ ধরিয়ে দিল।
—“ওয়াও! বৌমণি তুমি কি করে জানলে এখন আমার কফি খেতে ইচ্ছে করছিল?”
—“উম্ম… ভেবে নাও ম্যাজিক।” বলেই মুচকি হাসলো আফরা।
—“জানো বৌমণি! আম্মুকে না আমি খুব মিস করি। খুব আদর করতো আমাকে। আমার মনের কথা কিভাবে যেন বুঝে যেত। আমার কখন মন খারাপ থাকতো, কখন ভালো থাকতো সবকিছু কিভাবে যেন আমার দিকে তাকালেই বুঝে যেত। অনেকবার তো মিথ্যে বলতে গিয়েও ধরা খেয়েছি। এখন তোমাকে দেখলে, তোমার কাজকর্ম দেখলেই আম্মুকে প্রচণ্ডভাবে মনে পড়ে। আমার আম্মুর সাথে তোমার অনেক মিল, জানো! তুমিও কিভাবে যেন আমার মনের কথা আমি না বলতেই বুঝে যাও।”
—“সত্যিই কী আমি বুঝতে পারি?” ভ্রু কুঁচকে বললো
—“না বুঝতে পারলেই কী আর বলছি?”
—“আচ্ছা তাহলে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি! যদি এটা সত্যি হয় তাহলে মনে করবো তোমার মনের কথা বুঝতে সক্ষম আমি।” রহস্যময় হাসি হেসে বললো আফরা।
—“কি কথা?” বেশ অবাক হলো অরুনিমা।
দুষ্টু হেসে আফরা অরুনিমার চোখের দিকে চেয়ে জিজ্ঞাসা করলো
—“য়্যু’র ইন লাভ উইথ সামির ভাইয়া, অ্যাম আই রাইট মাই ডিয়ার ননদিনী?”
চলবে……..