অবুঝ ছাত্রী পর্ব-২৬

0
1868

#অবুঝ ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#part_26

(25পর্বের পর থেকে )

কে মেয়ে ভাই এক সময় আমাকে কষ্ট দিয়েছে অবহেলা করেছে এখন সে আমার পিছনে পড়ে আছে।রাফিজা তুমি আমাকে এখনো চিনলে না বউ তো তোমাকেই করবো।কিন্তু একটু তো কষ্ট দিবোই তোমাকে বুঝাবো কাউকে ধোকা দিলে কেমন লাগে।তারপর মেনে নিবো তোমাকে।

আর একটা কথা রাফিজা আর আগের মতো নাই।শুখিয়ে গেছে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে।আগে মতো মায়া কাজ করে না।

ভালোবাসা এমন জিনিস যা একটা সুন্দর মন থেকে তৈরি হয়ে থাকে।ভাই যে আপনাকে একবার ধোকা দিয়েছে পরে সে যদি আপনার জীবনে আবার ফিরে আসে তখন আপনার মনে তার জন‍্য আগের মতো ফিলিংস হবে না।বার বার মনে হবে আবার ভূল করতেছি নাকি।

এদিকে রাফিজা রূম থেকে যাওয়ার পরেই আন্টি বলতেছে

ঈমান বাবা আসো খেতে।

জ্বি আন্টি যাচ্ছি।আপনি জান আমি যাচ্ছি।কিছুক্ষন পরে আমি নিচে আসলাম খেতে।কিন্তু দেখতেছি রাফিজা আমার আগে থেকে বসে আছে।তার সাথে আংকেল ও বসেছে।আর একটা চিয়ার বাকি আছে সেটা আবার রাফিজার পাশে।দেখে তো আমি খুশি হলাম কারন বহু দিন পরে হবু বউ এর পাশে বসে খাবো।কিন্তু আমি যে খুশি হয়েছি এটা রাফিজাকে বুঝতে দেওয়া যাবেনা।

কি বেপার বাবা দারিয়ে আছো কেনো বসো রাফিজার পাশে।

এমনি আন্টি বসতেছি।

আমার এই কথা শুনে রাফিজা মনে হয় অনেক খুশি হয়েছে।

আমি আন্টির কথা শুনে রাফিজার পাশে গিয়ে বসলাম।আন্টি সবার প্লেটে খাবার তুলি দিচ্ছে।তার আমার প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছে।দেখতেছি তরকারির অনেক আইটেম যা দেখে জ্বিবে জল চলে এসেছে।দেরি না করে সাথে সাথে খাওয়া শুরু করলাম।

আরে আস্তে খাও এতো জোরে খাচ্ছো কেনো।

আমি তো রাফিজার কথা শুনে একটু লজ্জা পেলাম।

রাফিজা এটা কি বলতেছিস।ঈমান কেমন করে খাচ্ছে খাক তোকে বলতে হবে।

তাও মা এতো জোরে খাইলে গলায় আটকে যাবে তো।

আমি এই কথা শুনে রাগি লুক নিয়ে রাফিজার দিকে তাকালাম।আমার রাগি লুক দেখে আর কিছু বলে নি।চূপ করে খাওয়া শুরু করেছে।

খাও বাবা রাফিজার কথা শুনিও না।

জ্বি আন্টি।

ঈমান জানো বাবা আমি আজকে খুব খুশি।

কেনো আংকেল।

কারন আজ তিন বছর পরে আমার মেয়েকে খুশি থাকতে দেখতেছি তূমি এখানে আসাতে।ঠিক তিন বছর পরে আজকে এক সাথে বসে এক টেবিলে খাচ্ছি।

তাই আংকেল।

জ্বি বাবা।

আংকেলের সাথে কথা বলতেছি আর খাইতেছি।হঠাৎ মনে হচ্ছে কে জেনো আমার পায়ে চিমটি দিচ্ছে।আবার আমার পার উপরে পা দিয়ে সুরসুরি দিচ্ছে।এভাবে খাওয়ার সময় এমন করলে খাওয়া যায় বলেন।রাফিজার দিকে তাকিয়ে দেখে ও মিঠি মিঠি হাসতেছে।এটা দেখে তো আমার রাগ হচ্ছে খুব।এবার এমন জোরে চিমটে ধরে ছে আমি জোড়ে আহ বলে ফেলেছি।

কি হলো বাবা এমনি করে আহ করে উঠলে কেনো।কোন সমস‍্যা।

না আন্টি মনে হচ্ছে পিপড়া কামরায়েছে।

কি বলো বাবা এখানে পিপড়া কোথায় থেকে আসবে।

আন্টি এটা হচ্ছে বিশাল বড় পিপড়া।

তাই কই দেখি কই পিপড়া।

আন্টি এই পিপড়া তো আপনার সামনে বসে আছে।আস্তে আস্তে

কি বললে বাবা।

কিছু না আন্টি।কি বাবা আস্তে আস্তে বললাম তাও শুনতে পাচ্ছে।

আরে তুমি এত কথা বলো কেনো ঠিক মতো খাইতে দাও।(আংকেল)

আরে আমি কই বেশি কথা বললাম।

হয়েছে শান্তি মতো খাইতে দেও।

ঠিক আছে খাও।

রাফিজার খাওয়া আমাদের আগে খাওয়া হয়েছে দেখতেছি। এতো তারাতারি খেয়েছে মনে ই হচ্ছে না।আমার এখনো প্লেটের অর্ধেক খাবার শেষ করতেই পারি নাই আর ও শেষ করে ফেলেছে।রাফিজা উঠে যাওয়ার সময় আমাকে এমন জোড়ে চিমটি দিয়ে আমি কাউকে বলতেও পারতেছি না লজ্জা।আবার আগের মতো আহ বললে আন্টি যদি বলে কি হয়েছে বাবা।তাই খুব কষ্ট করে সর্য‍্য করে আছি।থামো আমি খালিরূমে যাই মজা দেখাবো।তারপর আংকেলের সাথে খাওয়া শেষ হলো।তারপর আমি বলতেছি

আংকেল আর আন্টি আপনাদের সাথে একটা কথা ছিলো।

হুম বলো বাবা।(এক সাথে )

আমি তো এখানে এসেছি রাফিজাকে বিয়ে করতে। আজকে সোমবার আর আমি সামনে বৃহস্পতিবারে ওকে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যাবো আপনাদের কোন সমস‍্যা না থাকলে।

আর আমাদের কোন সমস‍্যা নাই বাবা।

আর একটা কথা আমি যে রাফিজাকে বিয়ে করবো এটা ও জেনো না জানে।

কেনো বাবা।

এমনি আপনারা কেউ ওকে বলবেন না।আমি ওকে বলেছি আমার বিয়ে অন‍্য একটা মেয়ের সাথে তাই আপনারা ওকে কিছু বলবেন না।

ঠিক আছে।কিন্তু বাবা এই কথা শুনলে মেয়েটা তো অনেক কষ্ট পাবে।এমনিতে অনেক কষ্ট পেয়েছে।আজকে তোমাকে দেখে অনেক খুশি হয়েছি।

আরে আংকেল কয়েক দিনের বেপার সমস‍্যা নাই।

বাবা ও যদি ওর ক্ষতি করে।

আরে আংকেল আপনি টেনশন করিয়েন না।আমি আছি তো নাকি।

তাও বাবা একটাই মেয়ে আমাদের যদি কিছু হয়ে যায়।

আচ্ছা আন্টি আমার উপর ভরোসা আছে তো।

হুম আছে বাবা।

তাহলে আর কোন চিন্তু করতে হবে না।আমি উপরে রূমে গেলাম।

ঠিক আছে যাও যাবা।

আমি রূমে চলে আসলাম।

দেখছো ওদের দুই জনকে কেমন মানিয়েছে।

হুম তুমি ঠিক বলেছো।দেখতে হবে না কার মেয়ে।

হুম হয়েছে আর বলতে হবে না।তুমি রূমে যাও।

ওকে।

আমি রূমে এসে দেখি মহারানি আমার রূমে পায়ে উপর পা দিয়ে বিছানায় বসে আছে।

আরে আপনি কেনো আমার রূমে।বাহিরে জান আপনাকে না বললাম আমার আশে পাশে আসবেন না।

আমি আমার হবু জামাইয়ের রূমে আসছি।আর আমি এই রূমে যখন তখন আসবো তোমার কি?

আমার রূম আর আপনি বলতেছেন আপনি যখন তখন আমার রূমে আসবে।আপনি একটা মেয়ে হয়ে একটা ছেলের রূমে আসতে সরম লাগে না।

কিসের সরম হবু জামাইয়ের রূমে আসতে।আরে কি খালি আপনি আপনি করে বলতেছো।তুমি করে বলো আর আমাকে আগের মতো করে ভালোবাসো না।ভূল তো মানুষে করে ক্ষমা করো না সোনা।

কেনো আপনাকে কেনো তুমি করে বলবো আপনি আমার কে হন যে তুমি করে বলবো।আর আমি কেনো আপনাকে ভালো বাসবো আমি তো আমার বৃহস্পতিবারে যেই মেয়েটা সাথে বিয়ে হবে তাকে ভালো বাসবো।

না আমাকে ভালোবাসতে হবে।দেখা যাবে ওই দিন কার সাথে বিয়ে হয় আমাকে ছাড়া।আর আমি কে হই দেখবা কি।

হুম আমি ও দেখি আপনি কে হন আমার।

তাহলে দেখো

আরে আপনি আমার দিকে আসতেছেন কেনো। আপনি যেখানে ছিলেন সেখানে থাকেন।

আরে ভয় পাচ্ছো কেনো।তোমাকে দেখাতে হবে আমি তোমার কে??

না দেখাতে হবে আপনাকে।যত বলতেছি ততই আমার দিকে এগিয়ে আসতেছে।আমার তো হার্ডবিট 100 ইস্পিরিটে ঢক ঢক করতেছে।আমি পিছনে পিছাতে পিছাতে দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছি।রাফিজা আসতে আসতে আমার কাছে এসেছে।এখন রাফিজা আমার এতো কাছে আছে মনে হচ্ছে একটুও ফাকা নাই দুই জনের মধ‍্যে।হঠাৎ রাফিজা আমার মাথা নিচ করে ওর ঠোট দুটো আমার ঠোটের সাথে এক করে দিলো আমার তো চোখ দুইটো বড় বড় হয়ে গেছে রাফিজার কাজ দেখে।আমি খালি উমমম উমম করতে কিন্তু ও আমাকে ছাড়তেছে না।অনেকক্ষন পরে ওর ছেড়ে দিলো আমার দুইটি ঠোট।আমার ঠোট দুইটো লাল করে দিয়েছে।

কি এবার বুঝতে পেরেছো আমি কে তোমার।

হুম বুঝতে পেরেছি।আমি কই আছি মনে করতে পারছিনা।কিছুক্ষন আগে কি করলো এটা রাফিজা।ওর দেখতেছি মিটি মিটি হাসতেছে।কি নিলজ্জ মেয়ে রে বাবা লজ্জা সরম কিছুই নাই।যাকে কষ্ট দিতে আসলাম কিনতু তাকে কষ্ট দেওয়া তো দূরের কথা ওর মায়ায় পড়ে যাচ্ছি।এক দিনে যে মায়ায় পড়ে গেছি তাহলে বাকি দিনগুলো কি হবে আল্লাহ।আমার জানা মতে আমি রাফিজাকে কষ্ট দিতে পারবো না।যাকে আপনি সত‍্যি ভালোবাসবে তাকে কি কখনো কষ্ট দেওয়া যায়।যখনে কষ্ট দিতে চাবেন তখন তার চোখের দিকে তাকালেই রাগ অনুরাগ দুঃখ কষ্ট সব ভূলে যাই তাহলে কষ্ট দিবো কেমনে।

কি হলো কি ভাবতেছো।আমাকে নিয়ে ভাবতেছো তাই না সোনা।

হুম।এটা আমি কি বলে ফেললাম সাথে মুখে দিয়ে ফেলেছি কি বলতে গিয়ে কি বলে ফেলেছি।

দেখছো তুমি এখনো আমাকে ভালোবাসো আগে মতো।কেনো আমাকে কষ্ট দিচ্ছো আর তুমিও কষ্ট পাচ্ছো।আমি তো তোমাকে বলেছি ভূল করেছি আবার ক্ষমাও চাচ্ছি।

তুমি যাও তো এখান থেকে।কথা বলতে ইচ্ছা করতেছে না তোমার সাথে।

না আমি যাবো না।

যাও বলতেছি আমার ভালো লাগতেছে না।

না আমি যাবো না।আগে বলো আমাকে মেনে নিবো।

ঠাস ঠাস ঠাস এই তোকে না বলতেছি এখান থেকে যা।শুনতেছিস না কেনো।

তুমি আমাকে মারতে পারলে।(কান্না করতে বলতেছি )

হে মেরেছি (রাগ উঠার কারনে মেরে দিয়েছি )

তারপর রাফিজা রূম থেকে কান্না করতে করতে চলে গেলো।আমি বিছানায় গিয়ে বসলাম এটা আমি কি করলাম রাফিজার শরীলে হাত তুললাম।

নতুন গল্প শুরু করেছি #অসহায়_আমি আশা করে সবাই পড়বেন।গল্পটি প্রথম পর্ব পোস্ট করেছি সবাই পড়বেন ভালো লাগবে।

#চলবে,,,,,,?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে