#অবুঝ_ছাত্রী
#লেখক_IR_Iman_Islam
#part_22
(21পর্বের পর থেকে )
আরে আমি কি তোমাকে ভুলতে পারি।তুমি আমার হচ্ছো কলিজা।এই কলিজাটা ছাড়া আমি কি বাচতে পারি বলো।
সত্যি তো আমাকে কখনো ভূলবে না।
হুম সত্যি কলিজা।তাহলে আমি যাই ওকে।
না গেলে হয় না।আজকে আপনি এখানে থাকেন না।
আরে না বিয়ের আগে এখানে থাকলে বাহিরের মানুষ জানলে খারাপ বলবে।তাই আমি গেলাম ওকে।কালকে দেখা হবে।
ওকে জান দেখে শুনে যাইবেন।কালকে আপনি খুব সকালে আসবেন।আর বাড়িতে গিয়ে আমাকে ফোন দিবেন।
ওকে বাবা আসবো।রাফিজার থেকে বিদায় নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি।রাফিজার পাগলামি গুলো কথা মনে পড়লে হাসি বাড়ায়।এতো ভালোবাসে আমাকে।রাস্তায় এসে একটা রিকশা নিলাম কিছুক্ষন পরে বাড়িতে চলে আসলাম।
বাড়িতে ঢুকলাম।
বাবা তুই এসেছিস।
হে মা।
আমি খুব টেনশনে ছিলাম বাবা।
মা তোমাকে না বললাম আমি আজকে আসবো আর এখানে টেনশনের কি আছে।তোমাকে না টেনশন
করতে ডাক্তার মানা করছে।
বাবা তুই বুঝবি না মার জ্বালা কি।
হুম ঠিক বলেছো আমি কি বুঝতে পারি।
হয়েছে মার সাথে ঝগড়া করতে হবে না।তুই হাতমুখ ধুয়ে আয় আমি খাবার বেড়ে দেই।
না মা আমি খাবো না।ওখান থেকে খেয়ে এসেছি।
ওকে তাহলে তুই রূমে গিয়ে রেস্ট কর।
ওকে মা।
আমি রূমে গিয়ে রেস্ট করার জন্য বিছানায় শুয়ে পড়লাম।কিছুক্ষন পরে ঘুমাই গেলাম।ঘুম থেকে উঠলাম ঠিক বিকাল বেলা।টাইম দেখতে মোবাইটা চেক করে দেখি রাফিজা অনেকগুলো মেসেজ ও কল দিয়েছে।আজকে আমার খবর আছে।পাগলি ত মনে হয় রেগে আগুন হয়ে আছে।তাই আমি দেরি না করে সাথেই ফোন দিলাম কিনতু ফোনটাই রিচিপ করতেচে না।তাই আবার দিলাম এবার রিচিপ হয়েছে,,
ছরি সোনা ফোন দিতে ভূলে গিয়েছিলাম।
চুপ করে আছে।
কি হলো কলিজা কথা বলতেছো না কেনো।ছরি বললাম তো।ফোনের ওপাস থেকে শুধু কান্নার আওয়াজ আসতেছে।
তাও চুপ করে আছে।শুধু কান্নার আওয়াজ আসতেছে।
আমি ফোন কেটে দিলাম তুমি যদি কথা না বলো।
আপনি খালি আমাকে কষ্ট দেন কেনো।আমি কতো টেনশন হচ্ছিলো আমি কতো ফোন দিয়েছিলাম আর আপনি ফোন রিচিপ করেন নাই কেনো হে।
ছরি কলিজা আমি ঘুমাই গেছিলাম তাই ফোন রিচিপ করতে পারি নাই।
আপনি খুব পচা।আপনি খালি আমাকে কষ্ট দেন।
কলিজা এই দেখো কান ধরেছি জীবনো আর কখনো তোমাকে কষ্ট দিবো না সত্যি বলতেছি।
সত্যি আর কখনো আমাকে কষ্ট দিবেন না তো।আর কান ধরতে হবে না।
সত্যি বলতেছি কলিজা আর কষ্ট দিবো না।
ওকে।এখন কি করেন।
সুয়ে আছি কলিজা আর তোমার সাথে কথা বলতেছি।তুমি কি করো কলিজা।
আমিও সুয়ে আছি।
এভাবে রাফিজার সাথে কিছুক্ষন কথা বলে কেটে দিলাম।কারন তার সাথে কথা বলতে বলতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।তাই ভাবলাম একটু পড়তে বসবো।হাতমুখ ধুয়ে পড়তে বসলাম সামনে পরিক্ষা আর ভালো রেজাল করতে হবে তাই।বই পড়লাম দশটা পর্যন্ত তারপর রাতের খাবার খেয়ে আবার রূমে আসলাম।তারপর রাফিজার সাথে ফোনে কথা বললাম।এভাবে চলছিলো আমাদের প্রেম কাহিনী।আংকেল আন্টিদের সাপোর্ট আর ভালোবাসা নিয়ে দিন কাটছিলো।আমি তো ধন্য রাফিজার ভালোবাসা পেয়ে।তারপর এক মাস পরে রাফিজার পরিক্ষা শুরু হলো।তাকে তো আমি সব সময় বই ধরে বসিয়ে রেখেছিলাম।আর সে বলতো
আপনি এখন আর আগের মতো ভালো বাসেন না।আপনি খালি বই পড়তে বলেন।আপনি খুব পচা।
শুনো কলিজা তোমার পরিক্ষা চলতেছে।তাই আমি চাই না তুমি পড়া বাদে অন্যকিছু মাথায় রাখো তাই সব সময় বই।
হুম খুব ভালো কাচ করতেছেন তো।
চুপ করো তো পড়ো।
এখন আর পড়বো না।আপনি আমাকে একটা কিচ করেন তো।
আরে কি শুরু করে দিলে পড় ত।কিচ পরিক্ষার পরেও করা যাবে এখন পড় তো।
না আপনি যদি এখন কিচ না করেন তাহলে বই আর পড়বো না।
কি জ্বালা পড়লাম।তার জেদের কারনে তাকে একটা কিচ করে দিলাম তার গালে।এবার হয়েছে বই পড়ো।
হুম হয়েছে এবার তো পড়বো।
প্রতিদিন পড়াশুনা আর দুষ্টুমি চলেই তার সাথে।এভাবে রাফিজার পরিক্ষা ভালোভাবে শেষ হয়ে গেলো।তারপর সামনে আমার পরিক্ষা শুরু হয়ে গেলো।তাই রাফিজাকে ঠিক মতো সময় দিতাম না তাই সে অভীমান করে আছে।পরিক্ষার সময় পড়া বাদ দিয়ে যদি ওকে বেশি করে সময় দেই তাহলে ভালো রেজার করবো কেমন করে বলেন।তাই ঠিক ভাবে ওর সাথে কথা বলি না।এক মাস চলে গেলো আমার পরিক্ষা শেষ হতে।এই এক মাস রাফিজার সাথে ঠিক ভাবে কথা বলা হয় নাই।তাই আজকে পরিক্ষা শেষ হওয়ার কারনে আমি খুব খুশি কারন আমি এখন থেকে ওর সাথে সবসময় কথা বলতে পারবো।তাই তাকে সাথে সাথে ফোন দিলাম,,
হেলো কলিজা তুমি কই?
আমি কারো কলিজা না।যে আমার সাথে এক মাস ঠিক ভাবে কথা বলে নাই।তার কলিজা আমি না।
আরে কলিজা তুমি অবুঝ গুলোর মতো কথা বলো কেনো।আমার পরিক্ষা চলতেছে তাই তোমাকে সময় দিবো নাকি পড়াতে বলো।
আমাকেউ সময় দিবেন পড়াতেও।
আচ্ছা এগুলো বাদ দাও।আজকে থেকে আমার পরিক্ষা শেষ তাই এখন থেকে যক্ষন তখন কথা বলতে পারবো তোমার সাথে।আচ্ছা বলো কই আছো এখন।
কই আর থাকবো বাসায় আছি।
ওকে থাকো আমি যাচ্ছি তোমার কাছে।
সত্যি তুমি আসবে আমাদের বাসায়।
হুম যাচ্ছি।ওকে ফোন রাখলাম বায় আমি আসতেছি।
ওকে আসেন।
তারপর আমি একটা রিকশায় চড়ে চলে আসলাম রাফিজাদের বাড়ির সামনে।রিকশার ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে খুশি মনে কলিং বেল বাজিয়ে দিলাম।সাথে সাথে গেট খুলে গেলো।আমি তো মনে করছিলাম রাফিজা দরজা খুলেছে কিনতু না দরজা খুলেছে তাদের কাজের মেয়ে।
তোমার রাফিজা আপা কই আছে।
রূমে আছে আপনি যান ভাইয়া।
ওকে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেছে কারন রাফিজা দরজা না খুলে তাদের কাজের মেয়ে খুলেছে তাই।আমি মন খারাপ করে ভিতরে গেলাম।ভিতরে গিয়ে দেখি আংকেল সোফায় বসে আছে।তাই আমি আংকেলের কাছে গিয়ে বসলাম।তারপর
আংকেল কেমন আছেন।
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো বাবা তুমি।
জ্বি আংকেল আমিও ভালো।
তো তোমার নাকি আজকে পরিক্ষা শেষ হয়েছে শুনলাম।রাফিজা বললো তো।
জ্বী আংকেল।
তোমার সব পরিক্ষা শেষ কেমন হয়ে বাবা।
জ্বী আংকেল সব গুলো খুব ভালো হয়েছে।
ওকে এখন শুধু রিজালের অপেক্ষা।
জ্বি আংকেল।
তোমাদের রেজাল বেড় হলে আমি চাচ্ছি তোমাদের এংগেস্ট ম্যানটা করতে।
ঠিক আছে আংকেল।
হুম আর যাও উপরে রাফিজা তার রূমে আছে।
ঠিক আছে আংকেল।তারপর আমি আংকেলের থেকে উপরে চলে আসলাম রাফিজার রূমে।
এসে দেখি যা দেখলাম তা কখনো দেখি নাই।বিনা টিকিটে ছবি দেখতেছি আমি তো বিশ্বাসে করতে পারতেছি না।এটা আমি কি দেখতেছি,,,,,,,,?
#চলবে,,,,,,?
(ভূল হলে ক্ষমা করবেন।)