অবুঝ ছাত্রী পর্ব-২০

0
2168

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#part_20

(19পর্বের পর থেকে )

কোন হাসপাতালে আছে রাফিজা।আমাকে নিয়ে চলুন
তার কাছে।আমি রাফিজার সুসাইট করার কথা শুনে প‍্রায় পাগল হয়ে যাওয়ার মতো হয়ে গেছি।আমার পাগলীটা সুসাইট করছে।এই কথা শুনার আগে কেনো আমার মৃত্যু হলো না।কতো কষ্ট না পেয়েছে আমার পাগলী টা।
ঠিক আছে চলো তাহলে রাফিজার কাছে যাই।রাফিজা তোমার অপেক্ষায় বসে আছে।
ওকে আংকেল তাহলে চলেন।
তারপর আংকেল আর আমি হাসপাতালে যাই।প্রথমে আংকেল রূমে ঢুকলো।আমি এখনো রূমে ঢুকি নাই,,, দেখি রাফিজা কি বলে,,

বাবা তুমি আসছো।
হুম মা।
কিন্তু বাবা তুমি যে বললে ঈমান স‍্যারকে আনবে তোমার সাথে।কিন্তু কই বাবা।উনি কি আমাকে দেখতে আসবে না।
না,আসবে না মা।
ও (রাফিজার মন খারাপ হয়ে গেছে যখন শুনেছে তার স‍্যার তাকে দেখতে আসবে না।আমি হাসপাতালে এই কথা শুনে তাও আসলো না।রাফিজার আজকে বড্ড অভীমান জমেছে মনে।)
কি হলো মন খারাপ করলি মা।
না বাবা।
হয়েছে আর মন খারাপ করতে হবে না।তোর ঈমান স‍্যার এসেছে বাহিরে আছে।
সত‍্যি বাবা।
হুম।তাহলে আমি দেখা করে আসি।(খুশিতে আমি ভূলে গেছি যে আমি অসুস্হ)
আরে তোকে বাহিরে যাইতে হবে না আমরা বাহিরে গিয়ে তোর স‍্যারকে পাঠিয়ে দিতেছি।
ওকে মা।তারপর মা বাবা বাহিরে যাচ্ছে আর বলা বলি করতেছে,,,
তোমার মেয়েকে ঈমান খুব ভালো বাসে।এটা তুমি জানো।
না তো।তুমি জানলে কেমন করে।
ওর চোখ দেখে বুঝতে পেরেছি।তোমার মেয়েকে কতোটা ভালোবাসে।
হয়েছে আর জামাইয়ের গুনগান গাইতে হবে না।
দেখতে হবে না জামাইটা কার।
এগুলো কথা শুনে রাফিজা হেসে ফেলে।তারপর দেখতেছি ওনি রূমে আসতেছেন মাথা নিচু করে।আসুক খালি আমাকে কষ্ট দেওয়া তাই না এবার বূঝবে মঝা
আমি রূমের ভিতরে গিয়ে দেখি রাফিজা একটা বেটে সুয়ে আছে উল্ট দিক হয়ে।আমি গিয়ে রাফিজার মাথার কাছে গিয়ে বসলাম।
আমি বুঝতে পারতেছি ওনি কি করতেছে।তাই আমিও উল্ট দিক হয়ে ঘুমানোর ভান করতেছি।
দুই দিনে আমার পাগলীটা এতো শুকিয়ে গেছে।কি মায়াবি মুখ টা কি করে পেলেছে।মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে গেছে।এখন কি করি আমি।ডাক দিবো কি।না থাক ঘুমাক।কিন্তু আমি এখানে কি করবো এখন।হুম রাফিজা ঘুমাক আর আমি তাকে দেখে থাকি।

কি বেপার এখনো কি বলতেছে না কেনো।দেখি তো চলে গেলো নাকি।আমি যে দিকে সুয়ে ছিলাম তার উল্টে দিকে মানে যে দিকে ওনি বসে আছে সেই দিকে ঘুরে দেখি ওনি আমাকে এক ধেনে দেখে আছে।

এই যে মিস্টার কি দেখেন।মেয়ে মানুষ কি কখনো দেখেন নাই।
দেখি নাই দেখে ত তোমাকে দেখতেছি।তুমি কতো সুন্দরী তাই তোমাকে দেখতেছি।
হয়েছে অনেক দেখেছেন এখন এখান থেকে জান।আর আপনি কে এখানে কেনো।বাবা,( বাবা ডাক দেওয়ার সাথে সাথে কে যেনো আমার মুখ চেপে ধরেছে।)

আরে বাবাকে ডাকতেছো কেনো।
ওই কে আপনার বাবা।
কেনো তোমার বাবা মানে তো আমারো বাবা।কারন ওনি আমার হবু শশুর হন।
কি?রাগি লুক নিয়ে।
হুম আর তুমি হচ্ছো অবুঝ ছাত্রী থেকে অবুঝ বউ।
আমি মোটেও না অবুঝ।
অবুঝ না হলে কি সুসাইট করতে।
সুসাইট না করলে কি আপনি এখানে আসতেন বলেন।আর আপনি নাকি আমাকে ভালো বাসেন না।
কে বলেছে ভালো না বাসলে কি আমি এখানে আসি।
হুম আমার বুঝা হয়েছে আপনি আমাকে কতটুকু ভালোবাসেন।
দেখি তোমার হাতটা কলিজা।
না আমি আপনাকে দেখাবো না।আপনি খুব পচা।
আরে না দেখাও আমার কলিজাটা কতো কষ্ট পেছে।দেখি।
না দেখাবো না।
দেখি বলতেছি।এবার রাগ দেখিয়ে কথাটা বলেছি।
কি অবস্হা করেছো হাতটার।তোমার খুব কষ্ট হয়েছে তাই না কলিজা।
না আমার একটুও কষ্ট হয় নাই।আপনি খুব পচা আপনি খালি আমাকে রাগ দেখান।
আসো একটু আদর করে দেই।
না আপানকে আদর করতে হবে না (অভীমান করে বলতেছি )
তোমরা মেয়ে মানুষ পারো ও বটে কথা কথা অভীমান করো।
আর কথা বলবো না আপনার সাথে।
কেনো কলিজা।আমার দিকে তাকাও।
না তাকাবো না।
দেখো এদিকে।
আরে আপনিনিনি বসা থেকে উঠে আসতেছেন কেনো।

চূপ করে থাকো।আমি বসা থেকে রাফিজার খুব কাছে চলে গিয়েছি।আমি ওর কাছে যাওয়াতে ওর ঠোঠ জোড়া কাপতেছে।আমার ওর ঠোঁট গুলোর উপরে খুব লোভ হচ্ছে তাই লোভ সামলাতে না পেরে দুইজনার ঠোট এক করে দিলাম।রাফিজা খালি উউমমমম করতেছে।কিন্তু আমি ছাড়তেছি না।তারপর প্রায় পাচমিনিট পড়ে তাকে আমি ছেড়ে দিলাম।দুইজনে হাপাচ্ছি মনে হচ্ছিলো দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

আপনি কি আমাকে মেরে ফেলবেন।
না তো তুমি মরলে আমি কি নিয়ে বেচে থাকবো।
কেউ এতো ক্ষন কিচ করে।
কেনো সেদিন তুমি যে আমাকে কিচ করলে।
আপনি কি সেই দিনের প্রতিশোধ নিলেন।
না তো।
আসতে পারি কি আমি ভিতরে (রাছেল )
আরে ভাইয়া যে।আসো তুমি ভিতরে আসতে কি পারমিশন নিতে হবে।
তাও।
ঠিক আছে আসো ভিতরে বাহিরে না থেকে।
আমি তো এই ছেলেকে চিনি না তাই ওরা দুইজন কথা বলতেছে আমি দরশোক হয়ে শুনতেছি।
তারপর ছেলেটা রাফিজার পাশে গিয়ে বসলো।
এইটা আমার ভাই রাছেল।
ও।
এই টা তাহলে আমার বোনের টিসার।
হুম ভাইয়া।
হায় আমি রাছেল আহমেদ।
হেলো আমি ঈমান ইসলাম।আমি রাছেলের সাথে টুকটাক কথা বলে পরিচিত হলাম।
শুধূ কি তোমরায় কথা বলবে আমার সাথে কথা বলবে না।
হুম বলবো না।তুই একায় থাক।আমি ইমান ভাইয়াকে পেয়েছি তাই তোর সাথে আর কথা নাই।
ভাইয়া তুমি এটা বলতে পারলে।
আমার তো হাসি বাহির হচ্ছে ভাই বোনের ঝগড়া দেখে।
তারপর আংকেল আন্টি আসলেন ঘরে।
কি হয়েছে তোমাদের ভাই বোন ঝগড়া করতেছো কেনো।
মা দেখো না ওখারা দুই জন খালি কথা বলতেছে আমার সাথে ওরা নাকি এখন কথা বলবে না।
আরে রাছেল তোর সাথে শয়তানি করতেছে।
মা আমি তাহলে যাই আফিসে একটু কাজ আছে।আর বায় বোন আমি চলে যাচ্ছি এখন মন ভরে কথা বলিস ওকে।
হুম যাও।
ওকে বাবা তাহলে যা।
ওকে বাবা গেলাম।
ওকে যাও।
তারপর ছেলেটা চলে গেলো হাসপাতাল থেকে।
বাবা ঈমান রাফিজা তো অসুস্হ তাই তুমি যদি একটু পাশে থাকতে তাহলে ভালো হতো।
হুম ঠিক বলেছো তুমি।বাবা ঈমান তুমি থাকো রাফিজার পাশে আর আমরা দুইজনে বাসায় যাই।বাসায় কতো কাজ।
ওকে আংকেল আন্টি।আপনারা যখন বলতেছেন।
তারপর আংকেল আন্টিও চলে গেলেন।শুধু রাফিজা আর আমি রয়ে গেলাম হাসপাতালে।আমার এখানে আসা প্রায় দুপুর হয়ে গেলো।
মা টেনশন করবে দেখে মাকে ফোন করে বলেছি যে মা আমি আজকে বাসায় যাইতে পারবো না।
কেনো বাবা।
মা আমার এক বান্ধুবি অসুস্হ তাই তার কাছে এসেছি।
ওকে বাবা ভালো করে থাকিস।
ঠিক আছে মা।
কী বললা আমার শাশুড়ি মাকে।
বললাম যে আমার এক বান্ধুবী অসুস্হ তাই আমি তার কাছে গিয়েছি।
কি আমি তোমার বান্ধুবী হই।
আরে রাগ করো কেনো।মা তো আর জানে না তোমার কথা।মাকে এখন তোমার কথা বললে বলবে যে ছেলে প্রেম করতেছে আর আমাকে বলে নাই।এই কথা শুনলে মন খারাপ করবে।তাই মিথ‍্যা বললাম।
ও।আচ্ছা তুমি কি খেয়েছো।
হুম।না সকালে একটু নাস্তা করেছি।
তাহলে এখানে ফল আছে কেটে কেটে খাও।
ওকে বউ।
হাহাহা।
হাসো কেনো।
বউ বললে তাই।
বউ বলেছি দেখে কি তুমি আসবে।
না এমনি।
ঠিক আছে আর হাসবে না।এবার হা করো আপেলের টুকরাটা খাও।
তুমী খাও আগে।
তুমি আগে খাও।কারন তোমাকে তারাতারি সুস্থ হতে হবে।
হুম তুমিও বলো।মাও জোর করে খাওয়ায় এখন তুমিও।
আরে খাও।
ঠিক আছে খাবো এক সর্তে।
ওকে বলো কি সর্ত।
আমি তোমাকে খেয়ে দিবো আর তুমি আমাকে তাহলে খাবো আমি।
ওকে।

#চলবে,,,,,,?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে