#অবুঝ_ছাত্রী
#লেখক_IR_Iman_Islam
#part_17
(16 পর্বের পর থেকে )
এই কথা নিচে শুনে রাফিজার বাবা উপরে চলে আসে।এসে দেখে রাফিজার মেজেতে সুয়ে আছে আর পূরো রূম রক্তে লাল হয়ে আছে।মেয়ের এই অবস্হা দেখে সাথে সাথে ওখানে বসে পড়ে।কারন একমাত্র মেয়ে বলে কথা।আবার আজকে তাকে ছেলে পক্ষ দেখতেও এসেছে।এটা কি করলো রাফিজা।মেয়ের এই অবস্থা দেখে মমিন সাহেব বোবা হয়ে গেছে।
এক মাত্র তোমার জন্য আজ আমার মেয়ের এই অবস্হা।আমার মেয়ের যদি কিছু হয় তাহলে আমি ভূলে যাবো তুমি আমার স্বামী।(রহিমা বেগম )
কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন মমিন সাহেব।শুধু মেয়েকে দেখতেছে মেজেতে সুয়ে আছে।
কি হলো কথা বলো না কেনো আমার মেয়েকে এনে দাও।চূপ করে আছো কেনো।(রহিমা বেগম কান্না করতেছে আর তার স্বামী কে বলতেছে )
চূম করে আছে।
এদিকে ছেলের বাবা বলতেছে,,,
কি বেপার মমিন আর ভাবি উপরে গেলো আর নিচে আসতেছে না কেনো।
হে বাবা চলো তো আমরাও উপরে যাই কিছু হয়েছে নাকি।(রাছেল )যে ছেলেটা রাফিজাকে দেখতে এসেছে তার নাম।
হুম চলো।তারপর উপরে সবাই এসে দেখে তার বন্ধুর মেয়ে মেজেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
এটা কিভাবে হলো মমিন।তোর মেয়ের এই আবস্হা হলো কিভাবে।
রাফিজা সুসাইট করেছে।
কেনো করলো আংকেল (রাছেল )
জানি না বাবা।
তারপর রাসেল রাফিজার কাছে গিয়ে দেখে বেচে আছে নাকি মরে গেছে।দেখে বেচে আছে আর শ্বাস নিচ্ছে।আংকেল ও তো বেচে আছে তারাতারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
এই কথা শুনে মমিন সাহের বসা থেকে উঠে দারালো।
হে আংকেল দেখেন।
মমিন সাহেব তার মেয়ের পাশে দৌড়িয়ে গিয়ে দেখেন যে তার মেয়ে শ্বাস নিচ্ছে।আমার মেয়ে বেচে আছে চলো তারাতারি আমার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।মেয়ের এই অবস্থা দেখে মমিন সাহেব প্রায় পাগল হয়ে গেছে।মেয়ের কাছ থেকে উঠে বিছানায় দেখে একটা কাগজ পড়ে আছে।সেটা মমিন সাহেব হাতে নিয়ে দেখে,,,
প্রিয় বাবা,মা
তোমরা আমার কষ্টটা বুঝলে না।আমি এতো করে বললাম আমি ঈমান স্যারকে ভালোবাসি এবং তাকেই বিয়ে করবো কিন্তু তোমরা আমরা ভালোবাসা মেনে নিলে না।বরং তোমার বন্ধুর ছেলের সাথে জোড় করে বিয়ে দিতে চাচ্ছো।কিনতু আমি তো এই বিয়ে করতে চাই না।আমি শুধু স্যারকেই বিয়ে করতে চাই।আমার তো একটাই মন সেই মন কয়জনকে দিবো বাবা বলো তাই এই কষ্ট সর্য্য করতে না পেরে আমি সুসাইট করতে বাধ্য হলাম।
আর মাকে দেখে রেখো,তোমরা ভালো থেকো।
ইতি তোমার মেয়ে রাফিজা।
এই চিঠিটা পড়ে মমিন সাহেবের চোখের পানি আর বাধা মানে না।তার চোখের পানি চিঠিটা পড়ে কোন বাধা মানতেছে না।তিনি তার ভূলটা বুঝতে পেরেছেন।কিন্তু দেরি হয়ে গেছে।
তোমার ইগোর জন্য আজকে আমার মেয়ের এই অবস্হা।(রহিমা বেগম )
আন্টি এগুলো কথা বাদ দিয়ে রাফিজাকে তারাতারি হাসপাতালে নিয়ে জেতে হবে।আর আংকেল আপনি তারাতারি এ্যামবুলেস্ন ডেকে অনেক।(রাছেল)
ঠিক আছে বাবা।তারপর মমিন সাহের এ্যামবুলেস্ন ডেকে আনেন।রাছের বাবা এ্যামবুলেস্ন এসেছে।
এই কথা রাছেল শুনে রাফিজাকে পাজা কমোরে কোলে তুলে নিয়ে এ্যাবুলেস্নে ওঠায়।তারপর সবাই হাসপাতালে যায় রাফিজার সঙ্গে।মমিন সাহেব এবং তার স্ত্রী এখনো কান্না করতেছে।
হাসপাতালে ডাক্তার রাফিজাকে দেখে সাথে সাথে জরুলী বিভাগে নিয়ে যায়।আর এদিকে সবাই রুমের বাহিরে দারিয়ে আছে।
বাবা আমার মেয়ে বাচবে তো।
হে আন্টি আল্লাহ্ উপরে ভরোসা রাখেন।আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।আর মমিন সাহেব চূপ করে বসে শুধু চোখের পানি ফেলতেছে।রাফিজাকে জরুলি বিভাগে ঢুকানো প্রায় এক ঘন্ট হয়ে গেলো কিন্তু ডাক্তার বাহির হচ্ছে না।সবাই টেনশনে আছে।হঠাৎ একটা নার্স বাহির হয় বলতেছে,,
এখানে রুগির গারজিয়ান কে।
আমরা সবাই।
রুগির হাতের রগ কাটার ফলে শরীল থেকে অনেক রক্ত বাহির হয়ে গেছে তাই ওনার রক্ত লাগবে A+ রক্ত।
আমি দিবো আমার রক্ত a+(মমিন সাহেব বলতেছে )
তাহলে আসেন তারাতারি।নার্স মমিন সাহেব কে সাথে করে নিয়ে রক্ত নিতে একটা রূমে নিয়ে গেল।তারপর মমিন সাহেবের শরীল থেকে এক বেগ রক্ত নিলো।
নার্স বলতেছে,আংকেল আপনি এখানে সুয়ে থাকেন আর রেস্ট করেন।
ঠিক আছে মা।কিনতু মা আমার মেয়েটা বাচবে তো।
হুম আল্লাহ্ উপরে ভরোসা রাখেন।
নার্স এক বেগ রক্ত নিয়ে তারাতারি আবার সেই রূমে ঢুকে গেলো।
নয়টা থেকে দশ টা, দশটা থেকে এগারো টা বেজে গেলো কিনতু ডাক্তার এখনো বাহির হচ্ছে না।প্রায় তিন ঘন্টা হয়ে গেলো।ঠিক এগারোটা তিরিশ মিনিটে ডাক্তার রূম থেকে বাহির হলো।ডাক্তার বাহির হওয়ার সাথে সাথে সবাই ডাক্তারের কাছে চলে আসলো।
ডাক্তার সাহেব আমার মেয়ের কি অবস্হা।(রহিমা বেগম )
হুম আপনার মেয়ে এখন ভালো আছে।বিপদ মুক্ত এখন আপনার মেয়ে।আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদাই করেন।আল্লাহ আপনার মেয়েকে বাচিয়েছেন।
ধন্যবাদ ডাক্তার সাহেব।আমারা কি রোগির সাথে দেখা করতে পারি।
আরে ধন্যবাধ দিতে হবে।এটা তো আমার পেশা।রোগির সাথে এখন দেখা করা যাবে না।কারন রোগিকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।দুই ঘন্টা পরে দেখা করিয়েন তখন রোগির জ্ঞান ফিরবে।
ওকে ডাক্তার সাহেব।সবাই রূমের বাহিরে ওয়েট করতেছে কখন রাফিজার জ্ঞান ফিরে।
একজন নার্স রূম থেকে বাহির হয়ে বলতেছে রোগির জ্ঞান ফিরেছে।আর এখানে ঈমান নামে কে আছে তাকে ডাকতেছে।
(সারে বারোটার দিকে জ্ঞান ফিরলো রাফিজার।)
আন্টি এই ঈমান ছেলেটা কে (রাছেল )
চূপ করে আছে।ভাবতেছে কি বলবে মেয়ের হবু জামাইকে।
কি হলো আন্টি বলেন এই ঈমান ছেলেটা কে।
ছেলেটা হচ্ছে ওর পড়ার টিসার।আমাদের বাসায় এসে রাফিজাকে টিউশন করায়।
আন্টি এই ছেলের জন্য কি রাফিজা আত্মহত্যা করেছে নাকি।
হুম বাবা।রাফিজা ওই ছেলেকে ভালোবাসে।এই কথাটা আমাদের বলেছিলো কিন্ত আমরা এটা মেনে নেই নাই কারন ছেলেটা গরীব দেখে।
গরীব হয়েছে তো কি হয়েছে ভালোবাসা তো সত্যি।আর তাহলে আপনারা রাফিজাকে জোড় করে আমার সাথে বিয়ে দিতে চাচ্ছেন।
মমিন সাহেব এবং তার স্ত্রী দুই জনে রাছেলের কথা শুনে চূপ করে আছে।কি বলবে তারা তো মেয়েকে জোড় করে ভূল করেছে।তারা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।
আচ্ছা আংকেল আন্টি এগুলো পরে ভাবা যাবে এখন চলেন ভিতরে যাই রাফিজাকে দেখে আসি।
প্রথমে রহিমা বেগম রূমে প্রবেশ করলো।তারপর মমিন সাহেব।
রাফিজা তার মা বাবাকে দেখে অভীমান করে মুখ ঘুরে নিয়েছে।
মা আমাদের সাথে কথা বলবি না।আমরা যে তোমার সাথে অনেক অন্যায় করেছি।(মমিন সাহেব)
তাও কথা বলতেছে না।
কি হলো মা মুখ ঘুরে আসিছ কেনো কথা বলবি না আমাদের সাথে।(রহিমা বেগম )
এবার রাফিজা তার মার কথা শুনে তার মায়ের দিকে মুখ করেছে।মা আমি এই বিয়ে করবো না।আমি ঈমান স্যারকে বিয়ে করবো।মা স্যার আসে নাই আমাকে দেখতে।
তোর স্যার তো জানেনা তুই সুসাইট করেছিস।আর কেনো করলি মা এটা তুই।তুই একবারো আমার কথা ভাবলি না তোকে ছাড়া বাচবে কেমনে এই অভাগি মা।
তোমরা আমার কথা শুনতেছিলে না তাই আমি এই কাজটা করেছি।তোমরা আমাকে জোড় করেছিলে তাই।
ঠিক আছে মা তোকে আর জোড় করবো না।তোর স্যার এর সাথেই বিয়ে দিবো।তুই আগে সুস্হ হ।
সত্যি বাবা।
হুম মা সত্যি।
রাফিজা এখন কেমন লাগতেছে এখন।
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো কিন্তু আপনি কে।
আরে ওকে চিনিস না ওটা হচ্ছে তোর বাবার বন্ধুর ছেলে।
ও।
আন্টি মনে হয় রাফিজা আমাকে চিনে না তাই বলতেছে।
হুম আমি তো কখনো আপনাকে দেখি নাই তাই।আর আজকে প্রথম দেখলাম আপনাকে।
(অনেকে বলেছে যে রাফিজাকে বাচিয়ে রাখতে তাই রাখলাম।আর আপনার চাইলে গল্পটা আরো বড় করতে পারি যদি আপনারা মত দেন।আর তাদের মিল ও করে দিবো দুইজনের।আর একটা কথা আমি ভাবতেছি আমার পাঠকদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য মেসেন্জার গ্রুফ খুলতে চাচ্ছি কি বলেন সবাই )
#চলবে,,,,,,?