অবুঝ ছাত্রী পর্ব-১২

0
1987

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#part_12

আজকে আমার মা শুধু মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়াতে মনে হচ্ছে মা ছাড়া তো আমি অচল মাকে ছাড়া বাচবো না আমি।সেই জন‍্য বলতেছি মাকে অবহেলার চোখে না দেখে ভালোবাসার চোখে দেখেন।।
তারপর রাতে মাকে খাবার খেয়ে দিয়ে এবং ঔষধ খাওয়ায় দিলাম।মাকে বললাম মা তুমি এখন ঘুমাও।আমি যাচ্ছি।
ঠিক আছে বাবা যা।
তারপর মার রুম থেকে আমি আমার রূমে আসলাম।কাল থেকে তো আর রাফিজাকে পড়াতে যাবো না।তাই ভাবতেছি আমাকে আর একটা ছাত্র ঠিক করতে হবে কালকে।এগুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমায় গেছি নিজেই জানি না।
ঘুম ভাঙ্গলো ফোনে টনের কারনে।ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি প্রায় 50 টা মিচ করল। এতোগুলো কল কে করলো ভেবে পাচ্ছি না।ফোনে লক খুলে তো আমি অবাক কারন রাফিজা এতো গুলো ফোন দিয়েছে। ফোনটা আবার বেজে উঠলো তাই ফোনটা রিচিপ না করে বন্ধ করে রাখলাম।ফোন রিচিপ করলেই শুধু ফাজলামী করবে। ওকে তো আমি আর পড়াতে যাবো না।
কি বেপার স‍্যারকে এতো গুলো কল দিলাম কিনতু রিচিপ করতেছে না কেনো।দেখে আর একবার ফোন দিয়ে দেখি।কিন্তু ফোন তো বন্ধ বলতেছে,আবার দিলাম এক কথায় বলে শুধু।কি হলো স‍্যার এর কোন বিপদ হলো না তো।
কি বেপার রাফিজা এতো ছটপট করতেছিস কেনো।আর মনে হচ্ছে টেনশনে আছিস।(আপু)

আর বলো না স‍্যার আজকে পড়াতে আসতেছে না কেনো।আমার যে খুব টেনশন হচ্ছে।(কান্না কান্না ভাব)

তো কি হয়েছে মনে হয় কোন সমস‍্যা হয়েছে।তাই আজকে তোকে পড়াতে আসে নাই।

কিন্তু স‍্যারকে আমি অনেক ফোন দিলাম রিচিপ করতেছে।আমার না খুব টেনশন হচ্ছে।(এবার কান্না করে দিয়েছে )

কান্না করতেছিস কেনো রে রাফিজা।আচ্ছা একটা কথা বল তো তুই কি তোর স‍্যারকে ভালোবাসিস।

কিছু বলতেছে না।

কি হলো বল।তোর স‍্যার কে কি তুই ভালোবাসিস।

হুম।

কবে থেকে।

প্রথম যে দিন আমাকে পড়াতে আসে সে দিন থেকে।

তো তোর ভালোবাসার কথা তোর স‍্যারকে বলেছিস।

হুম কিন্তু রাজি হয় নাই।না করে দিয়েছে।আমি বড়লোক দেখে ও আমাকে ভালোবাসবে না।আমাদের সম্পর্ক কেউ নাকি মেনে নিবে না।

এটাও ঠিক।কিন্তু

আমি অত কিছু বুঝি না যদি স‍্যারকে আমি না পাই তাহলে বিষ খেয়ে মারা যাবো।

এটা কি বলতেছিস বোন।এটা হয় না,তুই কই আর তোর স‍্যার কই।এই সম্পর্ক কখনো কেউ মেনে নিবে না।আর তুই এখন ছোট আবেগের বসে এগুলো বলতেছিস।এগুলো না ভেবে মন দিয়ে পড়ালেখে কর ওকে।

তুমি বুঝতেছো না, আমি কতোটা স‍্যারকে ভালোবাসি।স‍্যারকে আমি একদিন না দেখলে মনে হয় হারিয়ে ফেলছি।আমি স‍্যারকে চাই।

এই রকম করিস না বোন।আন্টি শুনলে কষ্ট পাবে।

না আমি কিছু চাই না।আমি শুধু স‍্যারকে চাই।

কি হয়েছে রে মিম,রাফিজা সকালে উঠে কান্না করতেছে কেনো।

তোমার মেয়ে নাকি তার স‍্যারকে ভালো বাসে।আজকে ওর স‍্যার পড়াতে আসে নাই দেখে ও কান্না করতেছে।

কি বলতেছিস ও ওর স‍্যারকে ভালোবাসে মানে।

(এদিকে রাফিজা মাথা নিচ করে দারিয়ে ওর মা এবং বোনের কথা শুনতেছে।)

এটা কিভাবে সম্ভব।ও ছেলের কি আছে আর কি দেখে ওর প্রেমে পড়েছে হে।আর তোর বাবার কিসের অভাব হে যে তুই একজন গরীবকে ভালোবেসেছিস।না দিতে পারবে তোকে ঠীক মতো ভাত কাপড়।এগুলো বাধ দিয়ে মন দিয়ে পড়াশুনা কর।না হলে এগুলো কথা তোর বাবাকে বলে দিবো।

না আমি স‍্যারকে বিয়ে করবো।আমি স‍্যারকে চাই না হলে আমি আত‍্যহত‍্যা করবো।

ঠাস ঠাস ঠাস আমি কি তোকে এই শিক্ষা দিয়েছি হে।আমাদের মান সম্মান ত তুই ধূলোই মিশে দিবি।

মা তুমি আমাকে মারতে পারলে।

ঠিক করেছে।তোকে মাথায় চড়ে চড়ে বাদর করে ফেলছি।তোর বাবা আজকে বাসায় আসুখ।

এই কথা শুনে রাফিজা কান্না করতে করতে দৌড়ে তার রূমে গিয়ে দরজা লাগায় দেয়।আর ভাবতেছে কেউ আমার ভালোবাসাটা বুঝতেছে না।এগুলো ভাবতেছে আর কান্না করতেছে।

আন্টি এটা কি করলা ওকে থাপ্পর মারলে কেনো।

ঠিক করেছি ও একটু বেশি বেড়ে গিয়েছে।দেখতো মা ও রূমে কি করতেছে।
ঠিক আছে।

আর এদিকে আমি সকালের নাস্তার করে বাড়ি তে বাহির হলাম একটা ছাত্র খুজতে।রাফিজাকে যে আর পড়াবো না সেটা মাকে এখনো বলি নাই।কারন বললে মা অনেক প্রশ্ন করবে তাই বলি নাই।সকাল থেকে প্রায় দুপুর হয়ে গেলো কিন্তু একটা ছাত্র ও খুজে পেলাম না।এদিকে খিদার জ্বালায় আর হাটতেও পারতেছি না।কি করি পকেটে দেখি একটাকাও না যে কিছু খাবো।পাশে দেখি একটা টিউবওয়েল তাই সেখানে কি অল্প একটু পানি পান করলাম।এখন একটু ভালো লাগতেছে পানি খাওয়ার পরে।আর হাটা যাবে না পেটে খুদা নিয়ে।তাই বাড়ির দিকে হাটা শুরু করলাম।

এই রাফিজা দরজা খুল সকাল থেকে কিছু খাস নাই।না খেয়ে থাকলে শরীল খারাপ করবে।

আমি খাবো না।আমার ভালোবাসাটা কেউ বুঝলে না।

এই রকম করে না বোন আমার খেয়ে নে।আংকেল শুনলে রাগ করবে।

আমি খাবো না আপু।তুমি এগুলো নিয়ে চলে যাও।

রাফিজা,এই রাফিজা দরজা খুল।

আপু অনেকক্ষন ধরে দরজা খোলার চেষ্ট করেছে কিন্তু খুলতে পারে নাই।তাই বেরস্হ হয়ে চলে গেছে মনে হয়।আর আমার তো কান্না পাচ্ছে স‍্যার কেনো আজকে আসলো না।আর ফোনটাও বন্ধ করে রাখছে।

আন্টি রাফিজা তো দরজায় খুললো না।

ঠিক আছে ওর বাবা আসুক আগে।

ঠিক আছে আন্টি।আর খাবারগুলো কই রাখবো।

ওই টেবিলে রেখে যাও।

ওকে।

আমি হাটতে হাটতে বাসা চলে এসেছি।মা একটু ভাবার দাও তো খুব খুদা লাগছে।

বস বাবা।আজকে খুব ক্লান্ত লাগতেছে যে।

এমনি মা খাবার দাও।গোসল করি নি কারন খুদার জ্বালায় মনে হচ্ছে শরীলে শক্তি নাই।

প্রশ্ন সবার কাছে,,,,,

1″”গল্প টা কি হেপিইন্ট দিবো।
2″”নাকি ছেড।
3″”প্রেমের মাঝে ফাটল ধরাবো।

#চলবে,,,,,,,,?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে