#অবুঝ_ছাত্রী
#লেখক_IR_Iman_Islam
#part_11
কালকে তোমাকে মারবো আর না হলে তোমার আম্মাকে বিচার দিবো।
কি আম্মুকে বিচার দিবেন আমিও দিবো বিচার।
কিসের বিচার।
কেনো আপনি যে আজকে আমাকে কিচ করলেন।
আরে এটা তো তুমি করছো।
সেটা তো আপনি আর আমি জানি আম্মু তো না।
সেটাই তো।কি জ্বালা আমাকে জ্বালায় মারবে।
ঠিক আছে আমি আর তোমাকে পড়াতেই যাবো না।
কেনো স্যার।
এমনিতে যাবো না।
তাহলে আপনি চলবেন কেমন করে যদি আপনি আমাকে না পড়ান।
সেটাও তো ঠিক।ওকে পড়ায় যে টাকা পায় সেটা দিয়ে আমরা চলি।আবার ভাবতেছি যে ওকে আর পড়ালে আরো ঝামেলাই পড়বো।ওর যে দিন দিন ফাজলামী বেড়ে যাচ্ছে।এভাবে চললে ত ওর পড়াশুনা হবে না।যদি ওর মা বাবা বুঝতে পারে তাদের মেয়ে তার স্যার এর সাথে প্রেম করতেছে তাহলে তো আরো বেশি ঝামেলা হবে।তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আর আমি ওকে পড়াতে যাবো না।আমার সমস্যা হয় হোক কিন্তু আমি আর ফাফিজাকে কাল থেকে আর পড়াতে যাবো না।
কি হলো স্যার কথা বলতেছেন না কেনো।
আমি আর রাফিজার মেসেজের উত্তর দেই নাই।ভাবতেছি এই সিমটা আর রাখবো না।পরে ভাবতেছি এই সিম টা আমার অনেক পূরোন তাই একবা চেন্জ করতেও চাচ্ছি না।এভাবে ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে এসেছি।বাসায় গেট দিয় ঘরে ঢুকতেই মা বলতেছে।
বাবা তুই এসেছি।
হে মা।কেনো কি হয়েছে মা।
কিছু না।এটা বলতেই মা হঠাৎ করে পরে যাচ্ছি লো।তাই আমি দৌড়ির ধরে ফেললাম।
মা,মা, মা তোমার কি হয়েছে মা।কথা বলো মা।(কান্না চলে এসেছে কারন মা ছাড়া পৃথিবীতে আমার আর কেউ নাই।)
তারপর দেরী না করে মাকে কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দিলাম। এভাবে ঘরে থাকলে হবে না।ডাক্তার আনতে হবে মার কিছু হয়ে গেলে আমি কি নিয়ে বাচবো।তাই তারাতারি ডাক্তার ডাকতে বাড়ি থেকে বাহির হলাম।
ডাক্তার ডাকতে বেশি সময় লাগে নাই কারন আমাদের বাসার পাশে একজন ডাক্তার আছে তাকে ডেকে আনলাম।
আংকেল দেখে তো আমার মার কি হয়েছে।মার কিছু হলে আমি বাচবো কি করে।
বাবা শান্ত হও।তোমার মার কিছু হবে না,আমি দেখতেছি।
ওকে আংকেল দেখেন।
ডাক্তার আংকেল মাকে দেখে বলতেছেন যে
তোমার মা মনে হয় বেশি টেনশন করে আর খাবার ঠিক মতো খায় না।আমি একটা ঘুমে ইনজেকশন দিয়ে যাচ্ছি আর কিছু ঔষধ লিখে দিচ্ছি এগুলো খাওয়ালে তোমার মা ঠিক হয়ে যাবে।
ধন্য বাদ আংকেল।
ধন্যবাদ দিতে হবে না।এখন যাও এগুলো ঔষধ নিয়ে আসো।দুই ঘন্টা পরে তোমার মার জ্ঞন ফিরবে।
ওকে আংকেল।আর আপনাকে কয়টাকা দিবো।
আমাকে টাকা দিতে হবে না।তুমি ওই টাকা দিয়ে তোমার মার ঔষধ কিনে আনো।
এটা কি বলেন আংকেল।টাকা কেনো নিবেন না।
আরে দিতে হবে না।তাহলে আমি আসি।
ঠিক আছে চলেন আমি আপনাকে এগিয়ে দিয়ে আসি।
ওকে চলো।
তারপর ডাক্তার আংকেল কে এগিয়ে দিয়ে ওই পাশ দিয়ে মার জন্য ঔষধ কিন্তে গেলাম।ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ কিনে নিয়ে বাসায় আসতেছি।বাসায় এসে দেখি মার জ্ঞন ফিরে এসেছে।
মা তুমি ঠিক আছো।
হে বাবা আমি ঠিক আছে।তখন যে কি হয়েছিলো হঠাৎ করে মাথা ঘুরতেছিলো।
তুমি কি এতো টেনশন করো আর ঠিক মতো খাওয়া করো না কেনো।আমি তো আছি নাকি।
এমনিতে বাবা।
তুমি এখন থেকে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করবে আর কোন টেনশন করবে না।
ঠিক আছে বাবা।
তারপর মাকে খাবার খাওয়ায় ঔষধ খাওয়ায় দিলাম।
মা তুমি এখন রেস্ট করো।
ঠিক আছে বাবা।
আমি আমার রূমে আসলাম।আর ভাবতেছি মা কি নিয়ে টেনশন করে।ভেবে পাচ্ছি না।এভাবে বাড়িতে টুকটাক কাজ করতে করতে সারাটা দিন চলে গেলে।কিছু ভালো লাগতেছে না তাই একটু ফেসবুকে ঢুকলাম।
ঢুকে দেখি সেই দিনের মেয়েটা অনেক গলো মেসেজ দিয়েছে।
কেমন আছে।কি করেন ইত্যাদি অনেক মেসেজ দিয়েছে।
আমি মেসেজ গুলো দেখতেছি।তাতে আবার নতুন একটা মেসেজ আসলো।
কেমন আছেন।আর আপনি ফেসবুকে বেশি আসেন না কেনো।
ভালো নাই।একটু বেস্ত থাকি দেখে প্রতিদিন ফেসবুকে আসা হয় না।
ও আচ্ছা।আপনি ভালো নাই কেনো বলা যাবে কি?
আমার মা আজকে অসুস্থ তাই ভালো নাই।
ও।তো আপনার মাকে ডাক্তার দেখিয়েছেন কি?
হুম।
তো কি বললো ডাক্তার।
কিছু না বললো যে খাবার ঠিক মতো না খাওয়ার জন্য।
ও।
এভাবে মেয়েটার সাথে অনেক কথা হলো।এক সময় আমি ফেসবুক থেকে বাহির হলাম।আর ভালোলাগতেছে না তাই।মোবাইলে দেখি রাত আটটা বেজে গেছে।তাই খাওয়ার জন্য রূম থেকে বাহির হলাম।
দেখতেছি মা খাবার প্লেটে বেড়ে দিচ্ছে।
মা তুমি এই শরীল নীয়ে বাহিরে এসেছো কেনো।
আমি ঠিক হয়ে গেছি বাবা তুই সব এখানে আমি খাবার দিয়েছি।
ঠিক আছে দাও।
(ভাই মা যে কি জিনিস সেটা যার নাই সেই বুঝে।আমার মার জন্য শ্রেষ্ট মা।যে আমাকে দশমাস গরভে ধরে লালন পালন করেছে।এই মাকে আমরা আজকে কতো অবহেলা করতেছি।ভাই বউ পাইলে মাকে ভূলে যাই।এটা ভাবতে হবে মা তো আমাদের জন্ম দিয়েছে আবার খেয়ে না খেয়ে ছোট থেকে বড় করেছে।বড় হয়ে মাকে ভূলে যাচ্ছি।ভাঈ মার আগে বউ না।মা বাবা হচ্ছে আমাদের জান্নাত আর জাহান্নাম।মার পায়ের নিচে আমাদের জান্নাত।মাকে সম্মান দিতে শিখুন।মা যদি আমাদের ব্যবহারে না রাজ হয় তাহলে আমাদের দুনিয়াআর আখিরাতে কিছুই নাই।ভাই বউকে পেয়ে মাকে ভূলে যাইয়েন না।মা কি জিনিস সেটা বুঝবেন মা যখন থাকবে না।কথা আছে না যে আমরা দাত থাকতে দাতের মর্ম বুঝি না সেটাই হচ্ছে মা থাকতে মার মর্ম বুঝি না।মাকে অবহেলা না করে ভালোবাসতে সিখুন।ভাই আপনারা যারা বউ পেয়ে মাকে ভূলে গেছেন প্লিজ মাকে আবার আগের মতো ভালোবাসে।যেমন শিশুকালে ছাড়া কিছু বুঝতেন না সেই রকম।বউ গেলে বউ পাওয়া যাবে কিন্তু মা পাওয়া যাবে।
আজকে আমার মা শুধু মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়াতে মনে হচ্ছে মা ছাড়া তো আমি অচল মাকে ছাড়া বাচবো না আমি।সেই জন্য বলতেছি মাকে অবহেলার চোখে না দেখে ভালোবাসার চোখে দেখেন।।)
#চলবে,,,,,,,,?