#অবুঝ_ছাত্রী
লেখক:IR Iman Islam
#part_8
(আসসালামু লাইকুম প্রথমে সালাম দিয়ে শুরো করলাম)
আমি মেয়েটাকে দেখে অবাক হলাম কারন এই মেয়েকে কখনো এই বাড়িতে দেখি নাই তাই আবাক হলাম।মেয়েটার পরোনে কলো রংগের একটা থ্রিপিস চোখে চোশমা লাগানো যাকে বলে চার চোখা হাহাহা।
তারপর মেয়েটা আমাকে বলতেছে,,
এই যে মিস্টার কে আপনি?
কে মানে।আপনি কে আর আপনাকে তো কখনো এই বাড়িতে দেখি নাই।
আমি কে হই হোক কিন্তু আপনি কে?আর এতো সকালে এই বাসায় কি হে।আপনি কি চোর নাকি।
আরে আমি কেনো চোর হতে যাবো।আমি একজন ভদ্র ছেলে ঠিক আছে।
দেখে তো বুঝা যাচ্ছে কতো ভালো আপনি মনে হয় কখনো মেয়ে মানুষ দেখেন নাই জীবনে।
কেনো।আর মেয়ে মানুষ দেখি নাই মানে দেশে কি মেয়ের ওভাব পড়েছে নাকি হে।
তাহলে আমার দিকে তখন তাকিয়ে ছিলেন কেনো।
কখন।
কখন মানে একটু আগে।
কি হয়েছে রে আপু কার সাথে এতো সকালে ঝগড়া করতেছিস।
দেখতো রাফিজা কে ছেলেটা?দেখে তো মনে হয় চোর টোর হবে।
(কি মেয়েরে ভাই ভালো মানুষ কে চোর বলে )
কই দেখি সর তো আপু।দরজার সামনে এসে দেখি স্যার এ কাম সারছে স্যারকে আপু চোর বলতেছে।
আরে স্যার আপনি।আসসামুলাইকুম স্যার।আপু এটা আমার স্যার আমাকে প্রায়ভেট পড়ায়।আর তুমি তাকে চোর বলতেছো।
তোর স্যার এটা আমাকে আগে বলবি না।আর তোর স্যার ত দেখতেছি খুব লুচ্ছা।মেয়ে মানুষ দেখলে লোভ সামলাতে পারে না।
চুপ করো তো আপু।
(মনে হয় রাফিজা রাগ করছে।তাই তার চোখগুলো লাল হয়েছে মনে হচ্ছে আমাকে মেরে ফেলবে।)
আমি তো ওদিকে দেখে ভয় পেয়ে গেয়েছি।আজকে কি যে করে আমাকে।(ভয়ে ঢোব গিলতেছি)
স্যার আপনি রূমে আসেন।
তারপর আমি রাফিজার কথা শুনে রূমের ভীতরে গেলাম।
তারপর রাফিজা আমার পিছনে পিছনে আসতেছে।
আর তার বোনকে বলতেছে
আপু তুমি রূমে যাও আমি পড়তে বসি।স্যার আসছে।
ওকে যা।
কেমন আছো রাফিজা।
কথা বলতেছে না।
কি হলো রাফিজা কেমন আছো বলো না কেনো।আর তুমি কি কোন কারনে রাগ করছো।আর এই নেও তোমার আইসক্রিম।
তাও কিছু বলতেছে না।
কি হলো আইসক্রিম নেও।
তারপর নিলো কিন্তু কথা বলতেছে না।কি যে হলো।আর কথা না বললে কিভাবে পড়াবো বলেন তো বন্ধুরা।
বই বের করো।
বই না বের করে,চূপ করে বসে আছে।
কি করি তাই ভাবতেছি।তারপর আবার ওকে জিগ্যেসা করলাম কি হয়েছে তারপর ও বলতেছে
আপনি এতো খারাপ কেনো হে।
আমি আবার কি করলাম।
কেনো আপনি আমার বোন এর দিকে চেয়ে ছিলেন কেনো।আপনাকে ও খারাপ বললো কেনো।
ও এই কথা আমি তো ওই মেয়েকে চিনি না আর ওকে কোন দিনদেখি নাই তাই চেয়ে ছিলাম।
দেখেন নাই দেখে আপনি ও দিকে চেয়ে থাকবেন।আআর চেয়ে কি আমার আপু ভালো।আমি ওর চেয়ে ফর্সা আপনি শুধু আমার দিকে চেয়ে থাকবে অন্য কার দিকে না।এর পর যদি শুনি আপনি অন্য কোন মেয়ের দিকে চেয়ে ছিলেন তাহলে আপনাকে মেরে ফেলবো নাহলে চোখ তুলে নি বো।
কি মেয়ে রে ভাই এতো রাগ।আজকে প্রথম আমি রাফিজার রাগ দেখলাম।আমি তো ভয়ে শেষ।চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে রাগ করার কারনে।
কি হলো বলে।আমি কি বললা আপনাকে।
ঠিক আছে আর কোন দিন কোন মেয়ের দিকে তাকাবো না।
হুম এবার ঠিক আছে।
তো এবার তো বই বের করো।
হুম।তারপর ও বই বের করলো।
আগে গনিত বই বের করো।
ঠিক আছে স্যার।তারপর ও বই বেড় করলো।হঠাৎ মনে হলো ওকে যে আমি আইসক্রিম দিলাম ও ওটা কি করলো না খেলে তো গলে যাবো।তারপর পাশে দেখতেছি রেখে ওগুলো তো গলতে শুরো করছে তাই ওকে বললাম
রাফিজা তুমি আগে আইসক্রিম গুলো খাও।তারপর না হয় বই পড়িও ওকে।না হলে গলে যাবে ওগুলো।
ঠিক আছে স্যার।
তারপর ও আমাকে একটা দিতে চাচ্ছিলো কিন্ত আমি নেই নাই কারন ওর জন্য আনলাম আর আমি খাবো এটা কেমন দেখায় না।
স্যার আপনি একটা নেন না।
আরে না তুমি খাঈলে হবে।
ওকে।
তারপর দেখেতেছি ও আইসক্রিম খাচ্ছে ছোট বাচ্চাদের মতো ঠোটে মুখে আইসক্রিম ভরে একাকার করেছে।দেখে একদম বাচ্চা লাগছে।আমি এগুলো দেখে আসতেছি।
কি স্যার আপনি হাসতেছেন কেনো।আর আপনি আমার দিকে এমন ভাবে দেখতেছেন কেনো।
*ওর কথায় আমার হুস আসলো।ওর কথা শুনে একটু লজ্জা পাইলাম )
(ব্যস্হতার মাঝে কিছু সময় পাইছি তাই গল্পটা লিখছি।গল্পটা ছোট হলো তাই ক্ষমা করবেন।কিছুদিন এই রকম হবে কারন বাড়িতে কাজের খুব চাপ তাই।)
তারপর ওকে বলতেছি আমি
আরে কিছু না তোমার আইসক্রিম খাওয়া দেখতেছি।আর তুমি বাচ্চা দের মতো আইসক্রিম খাচ্ছো তাই এগুলো দেখে হাসতেছি।
ও আমি এভাবেই আইসক্রিম খাই।
তাই নাকি হাহাহাহা।
হুম।
ঠিক আছে খাও।
চলবে,,,,,,,?