অবুঝ ছাত্রী পর্ব চার

0
3012

#অবুঝ_ছাত্রী
#লেখক_IR_Iman_islam
#পর্ব_চার

আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে আমার বাড়িতে চলে আসছি।বাসায় এসে সাথে মা বলতেছে।

কি রে বাবা আজকে আস্তে এতো দেরী হলো যে।
আর বলো না মা।আমার ছাত্রীর মা ছাড়তেছে না যদি আজকে ওদের ওখানে না খাই। তাই খেয়ে আসলাম এতো দেরী হইলো।
ও আচ্ছা।
মা তাহলে আমি রূমে যাচ্ছি তুমি কাজ করো।আমি রেস্ট করি।
ওকে যা তাহলে।আর কি খাবি তুই বাবা।

না,মা আর খাবো না।
তারপর আমি রূমে এসে বিছানায় শুয়ে ভাবতেছি।আমার ছাত্রী এতো বোকা,মানুষ যেটাই বলে সেটাই করতে চায়।আর এগুলো আমি ভাবতেছি আর হাসতেছি ওর কথা শুনে আজকের।
তারপর কখন যে ঘুমাই গেছি আমি নিজেই জানি না।ঠিক সন্ধ‍্যা সাতটার দিকে ঘুম থেকে উঠলাম।ঘুম থেকে উঠে আমি অবাক কারন সন্ধ‍্যা সাতটা বাজতেছে কিন্তু কেউ আমাকে ডাকে নাই।তাই আমি মাকে ডাগতেছি
মা,মা,মা কই তুমি।
আমি রান্না ঘরে বাবা কাজ করতেছি।কেনো কি হয়েছে।(রান্না ঘর থেকে কথা বলতেছে )
তারপর আমি মার কাছে গিয়ে বলতেছী।তুমি আমাকে আজকে ঘুম থেকে ডাকো নাই কেনো।

এমনি ডাকি নাই।আর আমি মনে করছিলাম টিউশন করে এসে তুই টায়ার্ড হয়েছিস তাই ডাকি নাই।

ঠিক আছে এখন খাইতে দেও খুব খুদা লেগেছে।

ঠিক আছে তুই গিয়ে টেবিলে বস আমি তোকে খাইতে দিচ্ছি।
ওকে।তারপর মা আমাকে খাইতে দিলো তাই খেয়ে আবার রূমে আসলাম।ভাবলাম অনেক দিন থেকে ফেসবুকে ঢুকি নাই তাই একটু ফেসবুকে ঢুকে ঘাটা ঘাটি করতেছি।তারপর দেখতেছি অচেনা নাম্বার থেকে কে যেনো ফোন দিয়েছে।ভাবতেছি এটা আবার কে।কি করবো আমি আবার অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলে ধরি না।আবার ভাবতেছি ধরি নাকি,কি হবে হবে।
তারপর ফোনটা রিচিপ করার সাথে একটা মেয়ে মিষ্টি কন্ঠে বলতেছে
আসসালামু লাইকুম,কেমন আছেন।
ওলাইকুম আসসালাম।আলহাদুল্লিলাহ ভালো কিন্তু আপনি কে?আপনাকে তো চিনতে পারলাম না।

আপনি আমাকে জিগ্যেসা করবেন না আমি কেমন আছি।
আমি অচেনা মানূষকে জিগ্যেসা করি না।তো এবার বলে কে আপনি আর আমাকে ফোন দিয়েছেন কেনো।

আমি আপনাকে ফোন দিয়েছি আপনার সাথে প্রেম করার জন‍্য।আপনি আমার সাথে প্রেম করবেন।

আরে আজব মানুষ তো আপনি চেনা নাই জানা নাই বলতেছেন প্রেম করবেন।আপনার পরিচয় দেন না হলে আমি ফোন কেটে দিলাম।আপনার সাথে প্রেম করার শক নাই।

না,না আমি আমার পরিচয় দিচ্ছি।আমি আপনার ছাত্রি রাফিজা।
(কি ছাত্রি ভাই আমার।আমাকে আমার বাসাও ভালো ভাবে থাকতে দিবে না।এতো দুষ্টু হলে হয়।)

কি হলো স‍্যার কথা বলেন না কেনো।কোথায় হারিয়ে গেলেন।আমার কথা শুনে ভয় পাইলেন নাকি।

হুম বলো।তোমাকে ভয় পাবো কেনো।

ভয় না পাইলে কথা বলেন না কেনো।

বলতেছি ত।এটা আবার কার নাম্বার।তুমি না সেই দিন আর একটা নাম্বার দিয়ে ফোন দিলে।এখন আবার আর একটা।

এটা আমার আম্মুর নাম্বার। আর সেদিন যেটা দিয়ে ফোন দিয়েছিলাম ওটা আমার নাম্বার।

কালকে কথা মনে আছে তো।
কিসের কথা।(আমার মনে আছে ও কিসের কথা বলতেছে।ওকে রাগানোর জন‍্য বলতেছি )

কেনো আমার সত‍্যের কথা ভূলে গেলেন।

কিসের সত‍্য আর কি ভূলার কথা বলতেছো।

ঠিক আছে কালকে খালি আপনি আমাদের বাড়িতে আসেন তারপর দেখতে পারবেন।

(এবার মনে হয় খুব রেগে গেছে।)
রাফিজা শুনো।এই যা ফোনটা কেটে দিলো।তাই আমি ছরি বলার জন‍্য আবার আমি ফোন দিতেছি কিন্তু ফোন বার বার বন্ধ বলতেছে।মজা করতে গিয়ে ঝামেলা করে ফেললাম।কালকে আমার কপালে শনি আছে এটা আমি শিয়র।আল্লাহ্ কালকে আমাকে বাচাইও ।
তারপর আমি ফোনটা পাশে রেখে ঘুমাই গেলাম।সকালে ঠিক সাতটার সময় উঠলাম।কারন ফোনে এলার্ম দেও ছিলো সাতটার।আর এতো তারাতারি ঘুম থেকে উঠার কারন হচ্ছে রাফিজাকে পড়াতে যেতে হবে।আগে তাকে সন্ধ‍্যার দিকে পড়াতে যেতাম।আর এখন যে দেশের পরিস্থিতি স্কুল কলেজ সব বন্ধ করোনার জন‍্য তাই সকালে পড়াতে যেতে হয়।আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে 7:30 বেজে গেছে।তাই তারাতারি ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে আসলাম।
মা নাস্তা দেও তারাতারি দেরি হয়ে যাচ্ছে।

বস আর এতো তারা কিসের (মা নাস্তা দিতে দিতে বলতেছে )
টিউশন করতে যেতে হবে।
ও কিন্তু আস্তে তো খা।গলায় আটকে যাবে তো।

কিছু হবে না।আমি তারাতারি নাস্তা করে মাকে বলতেছি। মা আমি গেলাম
ঠিক আছে বাবা যা।দেখে শুনে যাস ওকে।

ঠিক আছে মা।কিছুক্ষন রাস্তা দারিয়ে থেকে দেখতেছি একটাও রিকশা আসতেছে না।আমার হাত ঘড়িতে টাইম দেখতেছি 7:75 আর পনেরো মিনিট আছে তাই হেটে যাচ্ছি।কিছু দূর যাইতে দেখতেছি একটা আইসক্রিম এর দোকান।তাই দুইটা আইসক্রিম নিলাম।না নিলে আমাকে মেরে ফেলবে ওর বাবাকে দিয়ে।তাই ভয়ে নিলাম আমার ছাত্রীর জন‍্য।আইসক্রিম নিয়ে হেটে যাচ্ছি কিছুদূর যাই তে দুইটা ছেলে একটা মেয়েকে বলতেছে,,,,
হায় saxse কি হবে নাকি এক রাতের জন‍্য।হাজার টাকা দিবো।
এটা শুনে মেয়েটা মনে হয় লজ্জা পেয়েছে।

আমি মেয়েটার দিকে দেখতেছি পরোনে সেই কাপড়।মানে পড়ছে ছেলেদের প‍েন্ট আর গেন্জি বুকে কোন ওরনা নাই।আমি ভাবতেছি এই জন‍্য ছেলেরা মেয়েদের বাজে কমেন্ট করে।আপনাদের এই কাপড় দেখে তো ছেলেরা বাজে কমেন্ট করে।বাজে কমেন্ট করলে নাকি এই ছেলে খারাপ।আরে আপনাদের কাপড় দেখে তো ছেলেদের বাজে কমেন্ট মুখ থেকে বাহি হয়।
প্রতিদিন যেখানে সেখানে শুনা যায় যে আজকে ওমুক একটা মেয়ে ধর্ষন হয়েছে।কিন্তু কেউ কি শুনে কেনো মেয়েটা ধর্ষন হয়েছে।আজকে মেয়েরা কেনো ধর্ষন হচ্ছে সেটা হচ্ছে তাদের কাপড়ের জন‍্য অন‍্য কিছু না।যদি আপনারা পড়নের কাপড় চেন্জ করেন তাহলে অনেক মেয়ে ধর্ষনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
মেয়েদের বলতেছি আপনার কেনো ছেলেদের পোষাক পড়বে আরে মেয়েদের পোষাকের কি অভাব পড়েছে না পড়ে নি।আমরা সব সময় ভাবি কেমন করে ছেলেদের নিজের প্রতি আকর্ষশন করা যায়।এটা আমাদের চিন্তা এবং চেতনা।কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে আমরা কতো পাপ কাজ করতেছি সেটা আল্লাহ্ শুধু জানে।তাই আমরা আল্লাহ্ কাছে ক্ষমা চাই আর নামাজ আদায় করি।আমি আগের পর্বে বলেছি যে মেয়েদের আসল সুন্দর্য হচ্ছে পর্দা।এটা আমরা সবাই জানি।আমরা সবাই দোয়া করবো আল্লাহ যেনো আমাদের দেশের এই মহামারি অসুখ করোনা তুলে নেয় সবাই বলি আমিন।

তো এবার গল্পে আসি।
তারপর ছাত্রীর বাসার সামনে এসে মনে পড়লো।ফোনে মজা করতে গিয়ে ঝামেলা করছি ছাত্রীর সাথে।কি যে হবে আজকে।আল্লাহ আল্লাহ্ করতেছি।মনে শক্তি নিয়ে দরজার সামনে গিয়ে কলিং বেল দিতেই সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো আর দরজার সামনে দারিয়ে আছে আমার ছাত্রী রাফিজা।
আর ওর দিকে তাকিয়ে দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি ,,,,,,

চলবে,,,,,?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে