অবাধ্য অনুভূতি পর্ব-০১ | বাংলা কষ্টের গল্প

0
6472

অবাধ্য অনুভূতি
#পর্ব_০১
#লেখিকা_আমিশা_নূর

আজ সূচনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে তারই জমজ বোন ভূমিকার বিয়ে হচ্ছে।মনের কোণে কষ্টের পাহাড় জমা রেখে সূচনা ঠোঁটে বাঁকা হাসি’র রেখা রেখে সবকিছু সামলাচ্ছে।সূচনা আর ভূমিকা দেখতে একই রকম হলেও তাদের মাঝে সামান্য অমিল আছে।তা হলো ভূমিকা’র নাকের বা’পাশে রয়েছে একটি বড় তিল।যেটা ভূমিকা’কে সূচনার থেকে সুন্দর দেখায়।আজ বিয়েতে বাড়ির সবাই খুশি থাকলেও মন থেকে খুশি নেই সূচনা-ভূমিকা।

সূচনার বয়ফ্রেন্ড সমুদ্রের সাথে তার সম্পর্ক তিন বছরের।সমুদ্র জানে আজ তার সাথে সূচনার বিয়ে হচ্ছে।কিন্তু সূচনা জানে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ভূমিকার বিয়ে হচ্ছে।সবকিছু কেমন যেনো ঘোলাটে করলো সূচনার।

“সূচনা এই নে,গয়নাগুলা ভূমিকা’কে পরিয়ে দিয়ে আয়..”

চেনা কন্ঠস্বর কানে আসায় সূচনা হাঁটা থামিয়ে পেছন ফিরলো।তাকিয়ে দেখলো তার জন্মদাতা মা ‘আমিশা আলম’ দুহাতে গয়নার বক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।তা দেখে সূচনা মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে তুললো।এটা সূচনার অভ্যাস কথায় কথায় হাসি দিবে।হোক সেটা আসল বা নকল।সূচনা তার মায়ের কাছ থেকে বক্সটি নিয়ে বললো,

“ভূমি’র রুমে কে কে আছে?”
“তোর ফুফি’রা মনে হয়।তুই মনে করে গয়না পড়িয়ে দিস।”
“হুম।”

সূচনা হাসিমুখেই ভূমিকা’র রুমের দিকে এগোতে লাগলো।বরযাত্রী আসার সময় হয়েছে।কিছুক্ষণের মধ্যে চলেও আসতে পারে।সূচনার ভয় হচ্ছে,সমুদ্র যখন জানতে পারবে ভূমিকার সাথে তার বিয়ে হয়েছে তখন সে কী করবে?সূচনা মনে মনে প্রার্থনা করলো শান্তি মতো যেনো বিয়েটা মিটে যায়।

ভূমিকা’র রুমে পা রাখতেই সূচনার কানে ভেসে আসলো,”সে কি ভূমিকা?তুই চুপ করে বসে থাক আমার ইচ্ছে মতো সাজিয়ে দিচ্ছি।”

রুমে ঢুকতেই এ কথা শুনে সূচনা বললো,”বড় ফুফি!আমার বোন কীভাবে সাজবে সেটা নাহয় ওকেই ঠিক করতে দাও”

সূচনা ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে কথাটি বললেও তার বড় ফুফির কাছে তা সুচের মতো শরীরে ছেদ করলো।তিনি বরাবরই সূচনার কাছ থেকে অপমানিত হোন।একরকম তেজ নিয়ে তিনি বললেন,”বিয়ের সময় সাজ’টা একটু গাড় দিতে হয়।”
“ভূমি’র যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে মেকাপ করবে।ইজ ইট ক্লিয়ার?”

অপমানে সূচনার বড় ফুফির মুখটা থমথমে হয়ে গেলো।তিনি আরো কিছু বলার আগে সূচনা বললো,”এখন সবাই বের হয়ে যাও।আমি ভূমি’র কাছে থাকছি।”

সূচনার কঠোর নির্দেশ শুনে রুমে উপস্থিত থাকা সবাই বেরিয়ে গেলো।সবাই বের হলে সূচনা রুমের দরজা লাগিয়ে ভূমিকার সামনে বসলো।এখন ভূমিকা রেডি হয়ে গেছে।শুধু সূচনার আনা গয়না পরিয়ে দিতে হবে।

সূচনা আয়নার দিকে তাকিয়ে গয়না পরাচ্ছিলো।তখন ভূমিকা বললো,”বিয়েটা তুই কর না সূচি।”

একথা শুনে সূচনার হাত স্থির হয়ে গেলো।আয়নায় তাকিয়ে দেখলো টুকটুকে লাল শাড়িতে ভূমিকা’কে বেশ মানিয়েছে।যদি শাড়িটা সূচনা পড়তো তাহলে তাকেও ভালো লাগতো।কারণ দুজনে দেখতে একই রকম।একসময় সূচনা স্বপ্ন দেখতো এমন সাঁজে একদিন সমুদ্রের বউ হবে।কিন্তু স্বপ্নটা স্বপ্নই রয়ে গেলো!

“সূচি,তুই তো সমুদ্র’কে ভালোবাসিস তাহলে আমাকে কেনো বাধ্য করছিস বিয়েটা করতে?”
“সময় হলে সব জানতে পারবি।”

ভূমিকা কথা না বলে মাথা নিচু করে রইলো।সে সবসময় মাথা নিচু করে ভদ্র হয়ে থাকে।কম কথা বলে।তবে সূচনার ক্ষেত্রে সেটা সম্পূর্ণ বিপরীত।সূচনা চঞ্চল প্রকৃতি’র!

ভূমিকা তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা শুরু থেকে জানতো তাই ভেবেছিলো হয়তো সূচনার সাথে সমুদ্রের বিয়ে হবে।কিন্তু হয়ে গেলো সব উল্টো।কিছুদিন আগে সমুদ্রের পরিবারের লোক আসে মেয়ে দেখতে।তারা সেদিন ভূমিকা’কে এনগেজড করিয়ে যায়।ভূমিকা সেদিন সূচনাকে সবকিছু খুলে বললে সূচনা বলে বিয়ে করে নিতে।কিন্তু ভূমিকা সেদিন রাজি না হওয়ায় কসম করে।যার জন্য ভূমিকা বাধ্য হয় বিয়েতে হ্যা বলতে।সূচনা’র এমন করার কারণ ভূমিকা জানে না।তবে এটুকু বুঝতে পারছে সামনের দিনগুলা বেশ ভয়াবহ কাটবে।

বাহির থেকে গাড়ি’র আওয়াজ ভেসে আসছে।তারা দুজনে বুঝে গেলো বর যাত্রী এসেছে।সূচনা হাসিমুখে ভূমিকা’কে গয়না পরিয়ে দিয়ে সাঁজ সম্পূর্ণ করলো।

সূচনা’র কান্না পাচ্ছে।ক’জনে পারে নিজের ভালোবাসা’কে অন্যের হাতে তুলে দিতে?প্রত্যেক প্রেমিকের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো নিজের ভালোবাসা ত্যাগ করা।আর সূচনা সেই কঠিন কাজটা করে কীভাবে না কাঁদতে পারে?

সূচনার ইচ্ছে করছে চিৎকার করে কাঁদতে।সমুদ্র’কে ভূলা যে ভিষন কষ্টকর।তবে সূচনা জানে ভূমিকা সমুদ্র’কে সামলে নিবে।কারণ ভূমিকা অনেক বুঝদার!আজ সূচনার আফসোস হয় কেনো যে সে ভূমিকা হয়ে জন্মালো না?

এদিকে ভূমিকা খেলার পুতুল হয়ে আছে।যার রশ্মি আছে সূচনার হাতে।ভূমিকা বুঝতে পারছে না সূচনার এমন করার কারণ কী?দু’দিন আগেও তো সমুদ্রের সাথে সূচনার সব ঠিক ছিলো।তাহলে সূচনা এমন কেনো করছে?আর সমুদ্র কী তাকে কোনোদিন বউ হিসাবে মেনে নিবে?কারণ সে তো সূচনা’কে ভালোবাসে!

ভূমিকা তাচ্ছিল্যের সুরে হাসলো।ভালোবাসা’টা সবার ভাগ্য জুটে না।আর সূচনা পেয়েও তাকে হারিয়ে ফেলছে।আর ভূমিকা পেয়েও খুশি না!


ভূমিকা’কে ঘোমটা দিয়ে বরের সামনে নিয়ে যাওয়া হলো।তাদের দু’জনের মাঝখানে একটি পাতলা পর্দা আছে।নিয়ম’টা হচ্ছে বিয়ের আগ পর্যন্ত বর কনে’র মুখ দেখতে পারবে না।ভূমিকা বুকটা ধপ ধপ করতে লাগলো।ভূমিকা ঘোমটা ভিতর থেকে চারপাশে চোখ বুলালো।সূচনাকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না।হয়তো আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে!ভূমিকা’র মনে প্রশ্ন জাগলো,”বিয়েটা ঠিক ভাবে হবে তো?”

কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করলেন।সে সময় সমুদ্র কাজীর বলা নাম স্পষ্টভাবে খেয়াল করলো না।কারণ সে জানে “অনামিকা সূচনা’র” সাথে তার বিয়ে হচ্ছে।যে নামটা গত তিনবছর ধরে শুনে এসেছে সেটা আজ নতুন করে শুনার কী দরকার?

সমুদ্র কবুল বলার পর বিয়ের কাগজে সাইন করলো।তারপর খাতা এগিয়ে দেওয়া হলো ভূমিকা’র দিকে।কাঁপা কাঁপা হাতে ভূমিকা সাইন করলো।

দু’জনের বিয়ে সুস্থভাবে সম্পূর্ণ হলে উপস্থিত সবাই বলে উঠলো,”আলহামদুলিল্লাহ!”
.
সূচনা দাঁড়িয়ে ছিলো দরজার আড়ালে।সবার বলা “আলহামদুলিল্লাহ!” শুনে তার বুকটা ফেটে আসলো।সে খুব করে চেয়েছিলো বিয়েটা হোক।কিন্তু এখন মনে হচ্ছে,কেনো একরকম ম্যাজিক হয়ে বিয়ে বন্ধ হলো না?”

নিঃশব্দে চোখের জল গড়িয়ে পড়তে লাগলো।কাঁদতে কাঁদতে সূচনা দরজা’র পাশে বসে পড়লো।বুকের ভিতর খুব জ্বালা করছে।কেউ যেনো লঙ্কা গুড়ো ছিটিয়ে রেখেছে।সূচনা’র খুব কষ্ট হচ্ছে।খু-ব!


কনে বিদায়ের সময় ভূমিকা চারপাশে চোখ বুলাতে লাগলো।কিন্তু সূচনার কোনো দেখা নেই।ভূমিকা তার মা’কে জড়িয়ে ধরে কান্না করলো।তার কাছে আপন বলতে শুধু সূচনা আর তার মা!তার বাবা অনেক আগে মারা গিয়েছিলো।যখন তাদের বয়স ছিলো তেরো।

ভূমিকা তার মায়ের কাছে বললো,”বোন কোথায়?”

আমিশা আলম চারপাশে চোখ বুলালো।তিনিও সূচনা’কে দেখতে পেলেন না।ভূমিকা আর কিছু বলার আগেই তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলে উঠলো গাড়িতে গিয়ে বসতে।তখন ভূমিকা আর কিছু বলতে পারে না।

বরের গাড়ি করে যাওয়ার সময় গাড়িতে অনেক লোকজন ছিলো বিধায় সমুদ্র ভূমিকা’কে তখনো দেখেনি।এতো মানুষ থাকার বিষয়টা সমুদ্রের কাছে বিরক্তিকর লাগলো।ভূমিকা প্রচন্ড ভয়ে আছে।কী হবে সমুদ্র সত্যি’টা জানলে?


ভূমিকা’কে বরের বাড়িতে আনার পর তাকে সমুদ্রের রুমে নিয়ে যায় কয়েকজন মেয়ে।ভূমিকা’কে রুমে বিছানায় বসিয়ে তাদের মধ্যে একজন মেয়ে বললো,

“বড় ভাবি তুমি আমাদের কাউকে চিনেছো?”

ভূমিকা এপাশ-ওপাশ মাথা নাড়ালো।যার অর্থ সে কাউকে চিনে না।তখন মেয়েটা আবার বললো,”আমরা যে যৌথ পরিবার এইটা জানো?”

ভূমিকা এবার উপর-নিচ মাথা ঝাকালো।যার অর্থ সে জানে।সূচনা’র কাছ থেকে শুনেছে সমুদ্রের পরিবার অনেক বড়।এবার ভূমিকা বা’পাশে থাকা মেয়েটা বললো,”তোমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিই।বড় ভাই মানে সমুদ্রের বাবা’রা তিন ভাই।প্রথম জন হলো সমুদ্রের বাবা,নাম নয়ন হক।উনার স্ত্রী মানে তোমার শ্বাশুড়ি’র নাম নূরি হক।দ্বিতীয় জন হলেন আমার শ্বশুর মানে তিহানের বাবা।তিহানের একটা ছোট আছে নাম অধরা।সমুদ্রের বড় বোন আছে একটা।নাম হলো তাঞ্জিলা।ছোট্ট করে সবাই তাঞ্জুদি বলে।তারপর সবার ছোট হলো মিহু মানে ওর বাবা।বুঝেছো?”

ভূমিকা হা করে তাকিয়ে রইলো।এসব কথা’র সে কিছুই বোঝনি।হঠাৎ আগের কথা বলা মেয়েটি বললো,”দূর ছোট ভাবি।তুমি কী আবোল বুঝালে?আমি বুঝাচ্ছি।”

ভূমিকা চোখ তুলে এই মেয়েটা দিকে তাকালো।মেয়েটি বললো,”আমি মিহু,আর উনি হলো রাফিয়া।রাফিয়া হলো তিহানের বউ মানে বাড়ির ছোট বউ।বয়স কম হলেও তারা দু’জন পালিয়ে বিয়ে করে।”

মিহু মেয়েটির কথা শুনে বা’পাশের মেয়েটি তার মাথায় চড় দিলো।বিপরীতে মিহু নামের মেয়েটি ভ্যাংচি কাটলো।এবারে ভূমিকা বুঝতে পারলো কিছুটা।তবে সে বেশি কিছু বুঝার প্রয়োজন মনে করলো না।কারণ তার মাথায় ঘুরছে কীভাবে সমুদ্র তাকে এক্সপেক্ট করবে?

এখন সময় বারোটা।রুমের বিছানায় একা বসে ভূমিকা ভয় প্লাস শীতে কাঁপছে।ভূমিকা’র ভয় তখন বেড়ে গেলো যখন দরজা নড়ার শব্দ পেলো।হয়তো সমুদ্র এসেছে।ভূমিকা’র কাঁপাকাপি বেড়ে গেলো।

সমুদ্র বিছানার একপাশে বসে বললো,”ফাইনালি সূচনা!তিনবছর আমাদের বিয়ে হলো।কতো স্বপ্ন ছিলো আমাদের একসাথে পথ চলা নিয়ে।তুমি চিন্তা করো না সূচনা,আমি তোমার সব স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করবো।তোমাকে আমার জীবন সাথী হিসাবে পেলাম এটাই আমার বড় চাওয়া!”

ভূমিকা’র চোখ থেকে টুপ টুপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে।রুমটা এখন স্তব্ধ!ঘড়ির কাটার শব্দ ছাড়া অন্য কোনো শব্দ আসছে না।এখন রাত গভীর!চারপাশের সবকিছু ঘুমন্ত!

সমুদ্র ভূমিকা থেকে দু’ফুট দূরে বসে তার ঘোমটা উঠাতে চাইলে ভূমিকা নড়ে পেছনে গেলো।তখন সমুদ্র রসিকতা করে বললো,”কী হলো ‘বকবক মণি’?তুমি এতো কাপড় নিয়ে কীভাবে বসে আছো শান্ত হয়ে?এতোক্ষণ কথা না বলে কী করে থাকছো?বাই চান্স তুমি লজ্জা পাচ্ছো নাতো?”

একথা ভূমিকা শুনের কিছু বললো না।তার ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আছে।

এবারেও কোনো উত্তর না আসায় সমুদ্র অবাক হলো।সে সূচনা’র কাছে উত্তর আসা করেছিলো এমনটা,”তোমাকে লজ্জা পাওয়ার কোনো মানেই হয়না হাম্বা ম্যান।”

কিন্তু চুপচাপ থাকায় সমুদ্র হালকা ভয় পেলো।সে সূচনা মনে করে ভূমিকা’র হাত জোড়া নিজের মাঝে নিয়ে বললো,”কী হয়েছে?বাড়ির কেউ কিছু বলেছে?”

ভূমিকা সমুদ্রের ছোঁয়া পেয়ে কেঁপে উঠলো।বিদ্যুৎ’র শকট যেমন গায়ে লাগে তেমন অনুভূতিকে হলো।সে তাড়াতাড়ি হাতটা ছাড়িয়ে নিলো।

এমন ব্যবহারে সমুদ্র অবাক হলো।সে আবারো জিজ্ঞেস করলো,”সব ঠিক আছে সূচনা?”

এবারে ভূমিকা কী করবে বুঝতে পারলো না।সে আগের মতোই ঘোমটার আড়ালে রইলো।তখন সমুদ্র তার মুখের উপর থেকে ঘোমটা সরিয়ে নিলো।সাথে সাথে সমুদ্র দু’পা পিছিয়ে গেলো।মুখ থেকে বেরিয়ে এলো,”ভূমিকা?”

তার মনে অটোমেটিক্যালি প্রশ্ন জাগলো,”তিল চিহ্ন ওয়ালা ভূমিকা এখানে কী করছে?”

পরক্ষণে মাথায় এলো সূচনা প্রায় সময় ভূমিকা’র মতো নকল তীল চিহ্ন লাগিয়ে নাটক করে।আজও তা করছে ভেবে বললো,”সূচনা ফাজলামো তোমার আজও করতে হয়?এই নকল তিল চিহ্ন উঠিয়ে নাও।”

একথা শুনে ভূমিকা কাঁপা স্বরে বললো,”আ..আমি ভূ..ভূমিকা!”

[চলবে]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে