#অবহেলা (পর্ব ০১)
#রনি_হাসান
.
.
.
আমিঃমিমি দাড়াও প্লিজ…!
মিমিঃকি হইছে তোর আমাকে কেন এতো বিরক্ত করিস…
আমিঃবটো ভালোবাসি তোমাকে…
মিমিঃকি ভালোবাসিস (বলে ঠাসস করে গালে থাপ্পড় মারল)
আমিঃমিমি তুমি যতোই থাপ্পড় মারো না কেন তারপরও বলব আমি তোমাকে ভালোবাসি…!(আপনারা হইতো ভাবছেন মিমির হাতে কেন মার খেলাম তাহলে শুনুন মিমিকে আজকে যে ভাবে বল্লাম গত দুই বছর ধরে বলে আসছি।আর তার বিনিময়ে আজকের মতো থাপ্পড় উপহার পেয়েছি। আচ্ছা সময় নষ্ট না করে গল্পে চলুন)
মিমিঃআসলে তোর বাবা মার ঠিক নেই। এর জন্য গত দুই বছর ধরে বিরক্ত করছিস(অনেকটা রেগে)
আমিঃকি বললি… এতো বড় সাহস তোর। আজ এমন হাল করব না জীবনে ও ভুলতে পারবি না(বলে মিমিকে জুর করে স্কুল রুমে নিয়ে গেলাম)
মিমিঃছাড় বলছি
আমিঃচুপ আর আরেকটি কথাও তুই বলবি না। আমার বাবা-মার নামে গালি দেস
মিমিঃআমাকে প্লিজ ছেড়ে দাও প্লিজ
আমিঃমিমির কোনো কথা আমি শুনছি না
মিমিঃআমার এমন সর্বনাশ করো না তোমার পায়ে পড়ছি (কান্না করে)
আমিঃমিমির কোনো কথাই শুনলাম না।আমার চাহিদা মিটাতে ঝাপিয়ে পড়লাম…!
মিমি অনেক কান্না কাটি করছে কিন্তু তার কথা একটুও শুনিনি।
অবশেষে মিমিকে ভোগ করলাম
মিমিঃশান্তি পেয়েছিস আমাকে ভোগ করে(কান্না করে)
আমিঃ….
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
মিমিঃআমি তোকে জীবনেও ক্ষমা করব না(কান্না অবিরাম চলছে)
আমিঃ(আমি কীভাবে মিমিকে এতোটা কষ্ট দিলাম।তার একটা গালি দিবার জন্য তাকে ধরশন করলাম। )
কিছুক্ষণ পর বাহিরে পুলিশ দেখতে পেলাম।
সাথে প্রফেসর স্যার
আমি আর পালালাম না।
মিমিকে তার বান্ধবীরা মিমির বাড়িতে নিয়ে গেলো আর আমাকে পুলিশ থানাতে নিয়ে গেলো। কোর্টে বিচারে রাই দিলো ৩দিনের রিমান্ড। আমি শুধু ভাবতাম মিমি যে কষ্ট দিয়েছি তার কাছে এটা সামান্য। আমার পরিবার বলতে মা-ভাই বোন আর ভাবি
বাবা অনেক আগেই না ফেরা দেশে চলে গেছেন।ভাইয়া আমাদের বড় তিনি এই পরিবার চালান। বোন্টা আমার থেকে একবছরের ছোট এটাই আমার পরিবার।
আজকে দুইদিন ধরে থানাই আছি কেউ দেখতে আসে না। কেমনে আসবে হইতো লজ্জাই আসতে পারে না
পুলিশঃরনি কে
আমিঃজ্বী স্যার আমি
পুলিশঃচল তাহলে
আমিঃকোথায়
পুলিশঃরিমান্ডে মার খেতে
আমিঃঅনেক্টাই ভয় পেয়ে তার সাথে গেলাম
তারপর রিমান্ডের মার খেতে শুরু হলো
পুলিশঃদেখে তো ভালো পরিবারের সন্তান মনে। আর এমন জঘন্য কাজ করলি দ্বারা (বলে তাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করতে লাগল)
এদিকে মিমি
মিমির মাঃমা কান্না করিস না।
অই শয়তান ছেলে শাস্তির ব্যবস্থা ও করেছি
মিমিঃঅকে সামান্য শাস্তিতে কাজ হবে না।
মিমির মাঃসামন্য শাস্তি না মা। তিন দিনের রিমান্ডের ওকে নেওয়া হয়েছে
মিমিঃমা তুমি সত্যিই বলছো
মিমির মাঃহ্যা রে মা। আর শুনলাম তার পরিবার নাকি তাকে দেখতে যাইনি
মিমিঃবেশ করেছে। এবার বুঝুক
এদিকে রিমান্ডের মার খেতে খেতে আমার অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে গেছে
১৫দিন পর ভাইয়া থানাই আসল
ভাইয়াকে দেখে অনেক খুশি হয়েছিলাম।ভাইয়াকে ডাক দিলাম
আমিঃভাইয়া….আমি এদিকে
ভাইয়াঃছি…তুই আমার ছোট ভাই ভাবতেই খারাপ লাগছে…
আমিঃ আমাকে বের করো প্লিজ…!
ভাইয়াঃচুপ তোকে এখানেই ঠিক আছে।
আমিঃএখানে আমি একদম ভালো নেই। রিমান্ডের মার খেতে খেতে অনেক করুন অবস্থা হয়েছে এইদেখ..! হাত দেখালাম।
ভাইয়াঃ..(কি করব বল তোকে এই অবস্থাই দেখতে হবে আমি ভাবতেই পারিনি)
আমিঃকি ভাবছো..?
ভাইয়াঃনা কিছু না
আমিঃবাড়ি থেকে তো কেউ দেখতে আসল না
ভাইয়াঃআসলে তুই যে কাজ করেছিস। সেটা শুনে তারা তোর কাছে আসতে চাই না
আমিঃআমাকে এতটাই ঘিনা করে।
ভাইয়াঃহে রে তোর নাম শুনতেই পারি না।
তারপর ভাইয়া জামিন নিয়ে দিল এখন বাড়িতে যাচ্ছি। মনে হচ্ছে অনেক দিন পর বাড়িতে যাচ্ছি। অবশেষে বাড়িতে আসলাম।
.
.
.
চলবে……………..