অপূর্ণতা পর্ব-১২+১৩

0
1462

#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_১২_১৩

প্রায় দেড় বছরপর আমি এভাবে আমার ব্লাক কুইনকে দেখবো তা ভাবতেই পারিনি।আমার চোখ- মুখ লাল হয়ে গেছে। তীব্র এক যন্ত্রণা হচ্ছে নিজের বুকের ভিতরে। সবকিছু কেমন যেন বিষাক্ত লাগছে।কোন ভাবেই নিজেকে শান্ত করতে পারছি না। কি করেই বা পারবো কেউকি পারবে তার নিজের ভালোবাসার মানুষকে অন্য কারো সাথে মেনে নিতে, পারবে না তো।তবে আমি কি করে পারবো।দোষ তো আমারই ছিল আমার জন্যই তো আজ আমি তোমাকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেললাম। যাই হয়ে যাক আমি তোমাকে ভালোবেসেছি আর তোমাকেই ভালোবেসে যাবো।অন্য কেউ কখনো আমার লাইফে তোমার জায়গা নিতে পারবে না।সবার ভালোবাসাই তো আর পূর্ণতা পায় না। আমারটাও না হয় অপূর্ণই থেকে যাবে।হয়তো এই #অপূর্ণতা আমাকে ভেতরে ভেতরে কুরুে কুরুে খাবে তবুও তো আমি বেঁচে থাকবো। তোমাকে নিজের করে নাই বা পেলাম চোখের দেখা তো দেখতে পারবো। এটাই আমার জন্য যথেষ্ট।আমি কখনো তোমার জীবনে কোন সমস্যা সৃষ্টি করবো না।তোমার সব বিপদে আমি সব সময় তোমার একজন ভালো বন্ধু হিসেবে পাশে থাকবো। লাইফপাটনার নাই বা হলাম।তবুও আমি তোমার জন্য ওয়েট করবো।মনে মনে কথা গুলো ভাবছে সে।

আরিয়ান হঠাৎ করেই দরজার দিকে তাকালো।ওনাকে দেখে খুশি হলাম।আমি ভাবতেই পারিনি ওনী আসবেন।তাই তাড়াতাড়ি ওনার কাছে গেলাম। থ্যাংকস্ ফর কামিং স্যার। আসুন আপনাকে আমার ওয়াইফের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।

আরিয়ান মনে মনে ভাবে এখন আমাকে সবাইকে দেখানোর জন্যে ওর সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। সবার সাথে তাকে নিজের ওয়াইফ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। ভাবতেই নিজের ওপর রাগ হতে লাগলো। যাকে আমি সহ্যই করতে পারি না তাকে হেসে সবার সামনে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।তবে কি আর করার বাধ্য হয়েই আমাকে তা করতে হবে।

আরিয়ার ওনাকে তার ওয়াইফের সামনে নিয়ে যায় আর বলে সি ইজ মাই ওয়াইফ অদ্রিতা। এন্ড অদ্রিতা হি ইজ মি. নিলয় চৌধুরী A.R Group of company er নিউ ওনার৷আমি ওনার কোম্পানিতে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করি।

নিলয় নিজের কষ্ট লুকিয়ে হাসি মুখে বলে, “Congratulations মিসেস অদ্রিতা।কেমন আছো?”

অদ্রিতা স্বাভাবিক ভাবে বলে,”আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আপনি?”

অদ্রিতা মনে মনে বলে ওনার সাথে কথা বলার এখন আমার কোন ইচ্ছে নাই।আমি তো ওনাকে আমার অনেক ভালো বন্ধু মনে করতাম হয়তো ভালোবাসতে শুরু করছিলাম আর ওনীও তো আমাকে ভালোবাসতো তবে কেন হঠাৎ কিছু না বলে এভাবে চলে গেলেন আর চলেই যখন গিয়েছিলেন তবে এখন কেনই বা আমার জীবনে চলে এসেছে।এখন আমি আর আগের কোনো কথা ভাববো না,এইসব কথা ভাবাও এখন আমার জন্য পাপ।

নিলয় অদ্রিতার মুখের দিকে এক পলক তাকিয়ে বলে আলহামদুলিল্লাহ। পরে মনে মনে বলে এই সাজে তো তোমাকে আমি সব সময় দেখতে চেয়েছি কিন্তু আফসোস একটাই এই সাজটা আমার জন্য নয় অন্য একজনের জন্য। কি করে সহ্য করবো আমি এটা বলতে পারো?আমার ভিতরটা যে জ্বলে- পুঁড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি জানি তুমি এখন আমার সাথে আর কথা বলতে চাও না। তাইতো মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে আমার সাথে কথা বলছো।সেইদিন সত্যিই আমার কিছু করার ছিল না।পরিস্থিতি এমন ছিল যে তোমাকে কিছু না বলে চলে যেতে হয়েছে আর যখন সব কিছু ঠিক হলো তোমার সাথে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। ছোটবেলা থেকেই আমি মেয়েদেরকে ঘৃণা করতাম কিন্তু তোমাকে যেইদিন প্রথম দেখিছিলাম তখনই কেন জানি ভালো লাগে আর ধিরে ধিরে তোমার সম্পর্কে জেনে তোমাকে ভালোবেসে ফেলি কিন্তু আপসোস তোমাকে আমি আগলে রাখতে পারি নি।পারি নি তোমাকে ভালোবেসে সারাজীবনের মতো নিজের করে নিতে। আমি চাই তুমি সবসময় সুখী হও। ভালো থাকো।

অদ্রিতা নিলয়ের দিকে তাকিয়ে বলে,”নিলদা আপনি তো অনেক ভালো গান গাইতে পারেন। আমি চাই আমার জীবনের এমন একটি সুখের দিনে আমাদের সবার জন্য একটি গান গান।গাইবেন তো একটি গাণ?”

অদ্রিতা এইটা বলে নিলয়ের দিকে একপলক তাকায়। পরে নিজের চোখ অন্য দিকে ফিরিয়ে নিয়ে মনে মনে বলে আমি চাই না নিলদা কোনো ভাবে এইটা বুঝোক যে আমার আগের কথা ভেবে কষ্ট পাই। আমি চাই নিলদা এইটা ভাবুক আমি আগের সব কথা ভুলে গেছি। আরিয়ানের সাথে আমি অনেক সুখী। আমি চাই না ওনী আবার আমার জীবনে প্রবেশ করুক।আমি এখন আরিয়ানকে অনেক ভালোবাসি আর স্বামী হিসেবে তাকে মন থেকে মেনে নিয়েছি। তাই অন্য কোনো কিছু আর ভাবতে চাই না।

আরিয়ান অবাক হয়ে অদ্রিতাকে প্রশ্ন করে, “তুমি কি করে নিলয় স্যারকে চিন?”

অদ্রিতা শান্ত স্বরে বলে, “আমরা একই ভার্সিটিতে পড়তাম।ওনী আমার সিনিয়র ছিলেন আর,,,

অদ্রিতার কথার মাঝেই নিলয় গান গাওয়া শুরু করে আর সবাই তার দিকে চেয়ে মুগ্ধ হয়ে তার গান শুনতে লাগলো……

Kaise kahun ishq mein tere
Kitna hun betaab main
Aakhu se Aakhe mila ke
Chura lun tere khawaab main
Kaise kahun ishq mein tere
Kitna hun betaab main
Aakhu se Aakhe mila ke
Chura lun tere khawaab main
Mere saaye hain saath mei
Yaara jis jagah tum ho
Main jo jee raha hun
Wajah tum ho
Wajah tum ho
…………………….

(বাকিটুকু ইচ্ছে হলে নিজ দায়িত্বে শুনে নিবেন)

পুরোটা গানই সে অদ্রিতার দিকে তাকিয়ে গায় কিন্তু অদ্রিতা অন্যদিকে তাকিয়ে থাকায় তা খেয়াল করে নি। অন্য কেউ তা খেয়াল না করলে কি হবে আরিয়ান তা খেয়াল করে। গান গাওয়া শেষ হতেই নিলয় আরিয়ানকে বলে তার কোন জরুরি কাজ আছে তাই সে চলে যাবে।অদ্রিতার সাথে কোন কথা না বলেই সে চলে যায়।

আরিয়ান ভাবছে অন্য কথা।কেন জানি তার এইটা মনে হচ্ছে যে নিলয় স্যার অদ্রিতাকে পছন্দ করে আর অদ্রিতা সে কি পছন্দ করে নিলয়কে?
.
.
.
চলবে……..

( গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লাগছে, কোন চরিত্র ভালো না লাগলে বলবেন। শুধু নাইস আর নেক্সট লিখলে তো গল্প আপনাদের কাছে কেমন লাগছে তা বুঝা যায় না। গঠনমূলক কমেন্ট করলে ভালো লাগে)

#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_১৩

আরিয়ান ভাবছে অন্য কথা কেন জানি তার মনে হচ্ছে নিলয় স্যার অদ্রিতাকে পছন্দ করে আর অদ্রিতা সে কি পছন্দ করে নিলয়কে?সে তো অদ্রিতাকে পছন্দ করে না তাকে তার স্ত্রী হিসেবে মানে না তবে তার ভিতরে কেন এমন লাগছে?অদ্রিতাকে সে ছাড়া অন্য কেউ ভালোবাসবে, স্পর্শ করবে এই কথা ভেবেই রাগে তার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে।বাড়ি ভর্তি মেহমান তাই তাদের সামনে সে কিছুই করতে পারছে না আবার তার রাগটাও কন্ট্রোল করতে পারছে না।সে বুঝতে পারছে না হঠাৎ তার এমন কেন লাগছে?কেন তার এমন মনে হচ্ছে অদ্রিতার উপর শুধুই তার অধিকার। সে তাকে স্ত্রী হিসেবে মানুক আর নাই মানুক সে শুধুই তার থাকবে।হঠাৎ করেই তার কাছে সব কিছু বিষাদময় লাগছে।

বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষ হতেই আরিয়ান অদ্রিতাকে টেনে রুমের ভিতরে নিয়ে যেতে থাকে।আরিয়ানের চোখ মুখ লাল হয়ে আছে, অদ্রিতা একবার তার দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বার আর তার দিকে তাকানোর সাহস হারিয়ে ফেলে।তার মনে হচ্ছে আরেক বার সে যদি আরিয়ানের চোখের দিকে চায় তবে সেই দৃষ্টিতে সে ভস্ম হয়ে যাবে।বুঝাই যাচ্ছে আরিয়ান অনেক রেগে আছে। আরিয়ানের এমন ব্যবহার করার মানে সে কিছুই বুঝছে না। এতক্ষন তো সবই ঠিক ছিল তবে হঠাৎ করে কি এমন হলো যার জন্য ওনী এততা রাগে আছেন।সে তো কিছুই করে নি তবে আরিয়ানের এমন রেগে থাকার কারণ সে বুঝতে পারছে না।

রুমে ঢুকেই আরিয়ান দরজা বন্ধ করে দেয়।অদ্রিতা তা দেখে ভয়ে বড় বড় করে ঢোক গিলতে থাকে।আল্লাহই জানে এখন তার কপালে কি আছে।এততা রাগ করতে সে আরিয়ানকে আগে কখনো দেখেনি।দরজা বন্ধ করেই আরিয়ান ধীরে ধীরে অদ্রিতার দিকে এগিয়ে যায় আর অদ্রিতা তা দেখে পিছুতে থাকে।পিছাতে পিছাতে দেওয়ালে তার পিঠ ঠেকে গেছে।ভয়ে তার মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হচ্ছে না।আরিয়ান এসেই অদ্রিতার দুইবাহু জোরে চেপে ধরে ব্যাথায় অদ্রিতা আহ.. শব্দ করে তার চোখে পানি এসে পরে।

আরিয়ান রেগে ভ্রু কুচকে বলে, “তোর সাথে নিলয় স্যারের কি সম্পর্ক? সারা অনুষ্ঠানে কেন সে তোর দিকে ঐ ভাবে তাকিয়ে ছিল?তোদের মতো মেয়েদের তো আবার কোন বিশ্বাস নেই। বড়লোক ছেলে দেখলেই তো তাদের ফাঁসাতে চাস। কিন্তু এই বাড়িতে থেকে এইসব হবে না।তোকে আমি আমার স্ত্রী হিসেবে মানি আর নাই মানি মা বাবা তোকে এই বাড়ির বউ করে নিয়ে এসেছে। আমি চাই না তোর জন্য তাদের বা আমাদের বাড়ির কারো মাথা নতো হউক বা এই বাড়ির সম্মান নষ্ট হউক বুঝেছিস্,,,”

আরিয়ানের কথা শুনে অদ্রিতার সারা শরীর রাগে আর ঘৃণায় রি রি করছে। একটা মানুষের চিন্তা- ভাবনা এতটা নিকৃষ্ট কি করে হতে পারে তা সে ভেবে পাচ্ছে না। সে কালো তাই তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয় নি। কথায় কথায় সে তাকে অপমান করে এইসব কিছুই সে মেনে নিয়েছে কিন্তু তাই বলে তার চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বললে তা সে কি করে মেনে নিবে? সে রেগে বলে, আপনার সাহস হয় কি করে আমার চরিত্র নিয়ে এইসব কথা বলার।আপনাদের সবার সম্মান আছে,মান- অপমান বোধ আছে আর আমার নেই।আমাকে কি আপনার মানুষ বলে মনে হয় না? নাকি এইটা মনে করেন আমি কালো বলে আমাকে যা খুশি বলা যাবে তাতে আমার কষ্ট হবে না। আমার ভিতরে কোন যন্ত্রণা হবে না। কোনটা বলেন? এখন চুপ করে আছেন কেন?
আমাকে এতটা খারাপ বলে যখন আপনার মনে হয় তবে আমাকে বিয়েটা না করলেই তো পারতেন।আমি তো আর আপনাকে জোর করি নি আমাকে বিয়ে করার জন্য। আপনার মা- বাবা আপনাকে বিয়ে করতে জোর করেছে তাতে তো আমার কোন দোষ নেই। আপনি যদি আমাকে একবার বলতেন যে আমি এই বিয়েটে রাজি নন তবে আমি নিজেই এই বিয়ে ভেঙে দিতাম।কিন্তু আপনি তো আমাকে কিছুই বলেন নি।বলার পরেও যদি আমি আপনাকে জোর করে বিয়ে করতাম তবে সেখানে আমার দোষ থাকতো, এখানে আমার দোষটা কোথায় বলতে পারেন? আমি কালো এটাই কি আমার দোষ বলেন?আমি তো আর ইচ্ছে করে কালো হয়নি তবে এই রঙের জন্য কেন আপনি সেই প্রথম থেকে আমাকে অপমান করছেন, কালো বলে আমাকে আপনি আপনার স্ত্রী হিসেবে মানতে পারেন না।আমিও তো মানুষ আমারও তো মন আছে, আমারও যে কষ্ট হয়, তা কেউ কেন বুঝে না!আর এই সব সহ্য করতে পারছি না।কেন সব সময় মেয়েদেরকে তাদের চরিত্র নিয়ে কথা শুনতে হবে?কেন তাদের কোন সখ – আহ্লাদ থাকতে পারে না,কেন তারা নিজেদের মতোন করে বাঁচতে পারে না?বিয়ে আগে মা- বাবা বলে তোরা পরের আমানত তাই এমন কিছু করবি না যাতে আমাদের সম্মান নষ্ট হয়।বিয়ে পরে যা মন চায় করবি আর বিয়ের পরে স্বামী, শ্বশুরবাড়ির মানুষই সব। তাদেরকে না জানিয়ে নিজের মা- বাবার সাথেও দেখা করা যায় না।আর আমার মতো মেয়েদের তো কষ্ট আরও অনেক বেশি হয়। অদ্রিতা কখনোই আরিয়ানকে এত গুলো কথা বলতো না কিন্তু কেউ তার চরিত্র নিয়ে কিছু বললে তো আর চুপ করে থাকা সম্ভব নয়। এর থেকে যদি মেরে ফেলতো তবুও ভালো হতো। এত কষ্ট তো আর সহ্য করতে হতো না।

অদ্রিতার কথা গুলো শুনে আরিয়ানের এখন নিজেরই খারাপ লাগছে। রাগের মাথায় এই কথাগুলো বলা তার একদমই ঠিক হয়নি।সে সাথে সাথে অদ্রিতার হাত ছেড়ে দেয়। নিজের ব্যবহারের জন্য তাকে সরি বলে সেখান থেকে সুজা বেলকনিতে চলে যায়।আর অদ্রিতা ওইখানে বসে বসেই কাঁদতে থাকে। কেন আল্লাহ তাকেই এত কষ্ট দিচ্ছে। সে তো কখনোই কারো খারাপ চায়নি কখনো কাউকে কোন কষ্ট দেয়নি। তবে কেন তাকেই এই সব কিছু সহ্য করতে হবে?

আরিয়ান বেলকনি থেকে এসে দেখে অদ্রিতা এখনো সেখানে বসে ওইভাবেই কান্না করছে সে তাকে কিছু না বলেই খাটে গিয়ে শুয়ে পরে কখন যে ঘুমিয়ে পরে তার কোন খেয়াল নেই।মাঝ রাতে উঠে দেখে অদ্রিতা কান্না করতে করতে সেখানেই ঘুমিয়ে পরেছে।কান্না করায় চোখ-মুখ ফোলে লাল হয়ে গেছে। তাই কিছু না ভেবেই সে অদ্রিতাকে পাঁজা কোলে করে খাটে এনে শুয়িয়ে দেয় আর সেও অন্য দিক ফিরে ঘুমিয়ে পরে।
.
.
.
চলবে……..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে