অন্ধকারে এক চিলতে আলো পর্ব-০৯

0
1533

#অন্ধকারে_এক_চিলতে_আলো
#লেখিকা- শারমিন আঁচল নিপা
#পর্ব-৯

তানভীর আলোর কাছে এসে যা বলল তা শুনে রীতিমতো আলোর গা, হাত, পা আবার কাঁপতে লাগল। কারণ তানভীর আলোর কাছে এসে চাপা গলায় তাকে বলল

– যে মেয়েটার খবর শুনে আপনি জ্ঞান হারিয়েছিলেন সে মেয়েটার মা,বাবার,খুঁজ পাওয়া গেছে। মেয়েটার নাম নীলা। আশ্চর্যের বিষয় হলো মেয়েটা বেশ কয়েকদিন যাবত নিখোঁজ ছিল। সবার ধারণা মেয়েটা তার প্রমিকের সাথে পালিয়েছে। তারপর হয়তো তার প্রেমিক তাকে বিক্রি করে দিয়েছে। মেয়েটাকে শেষ দেখা যায় একটা পতিতালয়ে। সেখান থেকে মেয়েটাকে এক লোক কিনে নিয়ে যায়। সে লোকের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, সে লোকটাও মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। কে বা কারা যেন তাকে খুন করেছে। সেখানে নাকি লোকটা তার বউকে নিয়ে থাকত। তবে বউকে কেউ দেখে নি। কারণ বউ নাকি সবসময় ঘরে বসে থাকত। ধারণা করা যাচ্ছে এই নীলা মেয়েটাকে নিয়ে তার বউ আর লোকটার মধ্যে ঝামেলা হওয়ার এক পর্যায়ে তার বউ তাকে খুন করে পালিয়েছে আর নীলা মেয়েটাকে খুনের পেছনেও হয়তো সে লোকটার বউয়ের হাত রয়েছে। তবে কে সে মেয়ে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি কেউ। তদন্ত চলছে। কেইস টা নিয়ে বেশ মাতামাতি আর তুলপাড় শুরু হয়ে গেছে সামাজিক মাধ্যমে। মেয়েরা কত বোকা একটা ছেলেকে বিশ্বাস করে কেন তার হাত ধরে চলে আসবে। এই দেখুন না এ মেয়েটার কী হাল হলো।

আলোর ভয়ে বুকটা ধুকধুক করতে লাগল। পালপিটিশান বেড়ে যাওয়ার উপক্রম। হঠাৎ করে হার্টবিট ব্যাপক ভাবে বেড়ে যাওয়াকে মেডিকেলের ভাষায় পালপিটিশান বলা হয়। আলো ঘামতে লাগল। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল

– এক গ্লাস পানি হবে।

তানভীর আলোর এমন অবস্থা দেখে তাড়াতাড়ি করে পানি এনে তাকে দিল। আলো পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে এক ঢুকে সবটা পানি খেয়ে ফেলল। তার গা,হাত,পা ঠান্ডা হয়ে যেতে লাগল। সারা শরীর পুনরায় নিস্তেজ হতে লাগল। মানুষের ধারণা কতটা ভিত্তিহীন সেটা ভাবতে লাগল। সবাই ভাবছে নীলাকে খুন করার পেছনে আলোর হাত রয়েছে। অথচ কেউ জানে না নীলাকে নরক থেকে বের করতে আলো ঐ লেকটাকে খুন করেছে। সবাই ভাবছে নীলা প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে। অথচ কেউ জানে না নীলা তার নিজের আপন মামা কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছে। মানুষ একটা বিষয় যাচাই বাছাই না করেই সেটা নিয়ে মাতামাতি শুরু করে দেয়। আলোর ভয়ের মাত্রাটা প্রখর হতে লাগল। আলো কী ধরা পড়ে যাবে। নাকি আলোকে ভুল বুঝবে সবাই। এখন কী তানভীরকে কিছু বলা ঠিক হবে নাকি লুকাবে। দুয়ের মাঝে পড়ে যাওয়া বিষয়টা কাটিয়ে উঠা বেশ কষ্টদায়ক। আলো নিজেকে সামলালো। হালকা গলায় বলল

– এটা কী করে নিশ্চিত হলেন যে মেয়েটা তার প্রেমিকের সাথেই পালিয়েছে? এমনও তো হতে পারে এর বাইরে অন্য কারণ রয়েছে। না জেনে একটা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত?

তানভীর ভ্রুটা কুচকে বলল

– বিষয়টা আমি না সাংবাদিকরা বলছে। আর আপনি এমন ভাব ধরছেন মেয়েটাকে আপনি চেনেন আর মেয়েটার নিখোঁজের কারণও জানেন।

তানভীরের কথাটা শুনে আলোর মুখটা আরও শুকনো হয়ে গেল। শীতের মধ্যেও বেশ ঘামতে লাগল। তবুও কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে বলল

– চিনি বা না চিনি সেটা প্রশ্ন না। একটা মেয়ে বাসা থেকে নিখোঁজ মানেই কী প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে? এ মেয়েটার সাথে অন্যকিছু ও তো ঘটতে পারে। না জেনে এমন বলাটা মোটেও উচিত হচ্ছে না। আর তদন্ত না করেই ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া সাংবাদিকদের আর কোনো কাজ নেই। একটা লোক পতিতালয় থেকে মেয়ে কিনে আনবে তাকে নিয়ে বউয়ের মাঝে ঝামেলা হয়ে যদি লোকটাকে মেরেও ফেলে তার বউ, তাহলে তো অন্যায় কিছু করে নি। আর লোকটার বউ যে নীলাকে খুন করেছে সেটাও তো ভিত্তিহীন। সাংবাদিকদের কথা অনুযায়ী লোকটার বউ বাসা থেকে বের হত না। তাহলে তো সে মেয়ের বাইরের কারও সাথে যোগাযোগ থাকার কথা না।একটা মেয়ের বাইরের কারও সাথে যোগাযোগ নেই সে হুট করে একটা মেয়েকে বাইরের লোক দিয়ে ধর্ষণ করে খুন করাবে এটা কেমন কথা? কতটা যুক্তিসঙ্গত?

তানভীর আলোর কথা শুনে এবার একটু নির্বাক। আলোর কথায় যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে৷ তবে সামাজিক মাধ্যম আর সাংবাদিক তো আলোর কথায় লাফাবে না। তারা তাদের পথ অনুসরণ করবে৷ এখানে আলো বা তানভীর কী বলল তাতে তাদের কিছু যাবে আসবে না। তানভীর কিছুক্ষণ চুপ থেকে আলোর দিকে তাকিয়ে বলল

– আপনি তো উকিল হলে ভালো হবে। যুক্তি দিয়ে সব পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। তবে আমাদের কথায় এখানে কিছু আসবে যাবে না। পুলিশ বিষয়টা তদন্ত করছে। ঐ মেয়েটাকে খুঁজে বের করার ব্যবস্থা নিয়েছে। দেখা যাক কী হয়।

তানভীরের কথা শুনে যদিও আলোর বুকটা ধুক করে উঠেছে। তবুও আলো মৃদু গলায় জবাব দিল

– পুলিশ আর কী করবে? তারা কিছুদিন বিষয়টা নিয়ে লাফালাফি করবে সে সাথে বাংলাদেশের জনগণও লাফালাফি করবে। আর একটা সময় পর বিষয়টা দমে যাবে। এ দেশে একটা বিষয় নিয়ে হুলুস্থুল শুরু হয় আবার বিচার কার্যকর হওয়ার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা হচ্ছে হাস্যকর রম্য ব্যবস্থা। এখানে আইন মানেই নিরাপত্তা দানের পরিবর্তনে নিরাপত্তা কেড়ে নেয়া। এ দেশের পুলিশ কেমন সেদিনের রাতেই বুঝে গেছিলাম। যে পুলিশ একটা অপরিচিত মেয়েকে রাতের আধাঁরে নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে নিরাপত্তা কেড়ে নেয় সে আর যাইহোক মানুষ না। এদের উপর ভরসা করাও বোকামো।

তানভীর তার থুতুনীটা নিজের হাত দিয়ে মুষ্টি করে ধরে বলল

– তা ঠিক বলেছেন। তবে দেখা যাক বিষয়টা কতদূর যায়। আপনার শরীর কেমন এখন? মনে হচ্ছে কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তিত এখনও?

আলো চুপ হয়ে আছে৷ তানভীরের কথার কী জবাব দিবে সে বুঝতে পারছে না। একটা মিথ্যা চাপা দিতে আলোকে হাজারটা মিথ্যা বলতে হচ্ছে। এ মিথ্যার খেলা সামনের দিকে এগিয়ে নিতেও আলোর ইচ্ছা হচ্ছে না। আলো এটাও জানে নীলার বিষয়টা ঘাটলেই আলোর পরিচয় টা খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ পেয়ে যাবে। তখন তানভীর বিষয়টা কীভাবে নেবে কে জানে। এর চেয়ে আগে বলে দেওয়ায় শ্রেয়। কিন্তু তানভীরকে সবটা বলার পর সে ও যদি ভুল বুঝে অথবা আলোর সরলতার সুযোগ নেয় সেটা ভেবে আলো কিছু বলতেও পারছে না।আলো শুধু ঘামছে। আলোর এমন অবস্থা দেখে তানভীরের কাছে আলোর বিষয়টা স্বাভাবিক লাগছে না। নীলার ব্যপারটাতেও আলোকে বেশ সিরিয়াস মনে হচ্ছে। তাহলে কী নীলার সাথে আলোর কোনো যোগ রয়েছে। তানভীরের মাথায় বিষয়টা আসতেই তানভীর বুদ্ধি করে আলোকে বলে উঠল

– ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী নীলার যেদিন মৃত্যু হয় সেদিন আপনাকে আমি এ বাসায় নিয়ে আসি। মানে গতকাল। তাহলে কী নীলার সাথে আপনার কোনো যোগ রয়েছে। আপনি এ পর্যন্ত যা বলেছেন সেটা কী সত্যি নাকি মিথ্যা? আপনার কথায় আমি কেন জানি কোনো সত্যতা খুঁজে পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে মুখে এক বলছেন ভেতরে অন্য পুষে রাখছেন। দেখুন আপনি কে বলেন তো?

কথাটা বলে তানভীর আলোর দিকে তীব্র সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাল। আলো ঢুক গিলতে লাগল। সারা শরীরে কোনো বল পাচ্ছে না। শত লুকাতে চাইলেও আলো আর কিছু লুকাতে পারবে না। কারণ আলো এখন যদি সত্যিটা না বলে তাহলে পরবর্তীতে এ মিথ্যা আলোর জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনবে। আলো তানভীরের চোখে তাকাল। এ নিষ্পাপ চোখে যেন আলো ভরসা খুঁজে পাচ্ছে। হলকা গলায় তানভীরকে আলো বলল

– নীলাকে আমি চিনি। সেদিন রাতে নীলা আর আমি দুজন একসাথে পালিয়েছিলাম। তারপর নীলা কোথায় যায় সেটা জানি না। নীলার যে এ পরিণতি হবে চিন্তাও করতে পারে নি।

আলোর কথা শুনে তানভীর বিস্মিত হলো৷ তাহলে কী আলো ঐ লোকটাকে খুন করেছে। তানভীরের এবার নিজেকে ছন্নছাড়া মনে হচ্ছে। আলো এত বড় সত্যি লুকিয়েছে সে সেটা মানতেই পারছে না। খকানিকটা কষ্টও পেয়েছে। কিছুটা অসংগতি নিয়ে আলোকে জিজ্ঞেস করল

– তাহলে আপনার প্রেমিকের ব্যপারটা,বাবা,মায়ের ব্যপার,বিয়ের ব্যপার টা কী মিথ্যা?

আলো মাথা নেড়ে জবাব দিল

– জি।

– তাহলে এত বড় মিথ্যা কেন বলেছিলেন?

– সেটারও কারণ আছে।

– আপনিই কী তাহলে ঐ লোকটাকে খুন করেছেন?

আলো চুপচাপ। কোনো জবাব দিচ্ছে না। আলোর নীরবতা দেখে তানভীর জোরে চেঁচিয়ে বলল

– কী হলো জবাব দিচ্ছেন না কেন? খুন করেছেন কী না বলুন? আপনার নীরবতা বলে দিচ্ছে আপনি খুনী।তার মানে একটা খুনীকে সাহায্য করছিলাম আমি? অর্থাৎ ঐ লোকটা আপনার স্বামী। নিজের স্বামীকে নিজে খুন করেছেন। কতটা হিংস্র আপনি।

কথাটা তানভীর শেষ করতে না করতেই আলো চেঁচিয়ে বলল

– হ্যাঁ আমি হিংস্র।আমিই আমার স্বামীকে খুন করেছি। কেন করেছি জানেন? না জেনে তো জোরে জোরে বুলি আওরাচ্ছেন। মানুষকে বলে ফেলা খুব সহজ। তার ভেতরের সব জেনে তাকে বলা উচিত।কতদূর চেনেন আমাকে? কী মনে হয় আপনার? চৌদ্দ বছরের একটা মেয়ে আমি৷ কিন্তু আমার কথা বার্তায় কখনও তা মনে হয় না। মনে হয় বেশ বড় আর ম্যাচুর আমি৷ কিন্তু সেটাও কীভাবে হয়েছি জানেন? কতটা আঘাত পেয়ে হয়েছি জানেন? আমার মতো মেয়ে কেন খুন করেছে জানেন? না জেনেই চেঁচিয়ে উঠলেন? তাহলে শুনোন।

এরপর আলো তার জীবনে ঘটে যাওয়া কালো অধ্যায়ের বর্ণণা করতে লাগল। একের পর এক তার সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের কথা বলে যেতে লাগল। কীভাবে তাকে একের পর এক কষ্ট দেওয়া হয়েছে কত নোংরা সম্পর্কে সে জড়িয়েছিল।কীভাবে সে সেখান থেকে বের হয়েছে। কীভাবে তার নীলার সাথে পরিচয় হয়। সবটা বলেই আলো চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে কাঁদতে লাগল। আলোর বুক ফেটে কান্না আসছে। বুকের ভেতর জমে থাকা সকল কষ্ট কান্না হয়ে নামছে।

এদিকে আলোর কথাগুলো শুনে তানভীর নিশ্চুপ। এতটুকু মেয়ে এত কষ্ট সহ্য করেছে সেটা তার সরল মনকে বেশ নাড়া দিয়েছে। বুকের ভেতর কিছু একটা চেপে আছে মনে হচ্ছে কথা গুলো শুনে। তানভীর জানে না বিষয়টা সে কীভাবে সামলাবে। তানভীরের মা এসব জানলে কীভাবে নিবে বিষয়টা। সন্ধ্যায় তানভীরের মা আসলে কী করে তাকে বুঝাবে। তবে আপাতত তার মাকে কিছু বলা যাবে না। ভেবে চিন্তায় সময় বুঝে সবটা বলতে হবে। আপাতত আলোর থাকার ব্যবস্থাটা করতে হবে। এসব ভেবেই আলোর দিকে তাকিয়ে আলোর পাশে বসে মৃদু স্বরে বলল

– দুঃখিত আলো। আপনাকে এভাবে সবকিছু না জেনে বলা ঠিক হয়নি।

– সমস্যা নেই। মানুষ মাত্রই এমন। জেনে, না জেনে কিছু বলে দেওয়াতেই আনন্দ পায়। আমি কিছু মনে করেনি৷ এখন আপনার ইচ্ছা আমাকে সাহায্য করবেন নাকি ছুরে ফেলে দিবেন। জীবনে অনেক কষ্ট সহ্য করেছি আরও হলেও পারব। অন্ধকারে এক চিলতে আলোর খুঁজে বের হয়েছিলাম আমি আর নীলা। সেখানে নীলা অলরেডি অন্ধকারে তলিয়ে গেছে আর আমি অনিশ্চয়তা নিয়ে এখানে বসে আছি। হয়তো আমার জীবনেও সে আলোর দেখা মিলবে না।

তানভীর আলোর দিকে তাকিয়ে বলল

– অন্ধকারে এক চিলতে আলো হয়েই আপনার জীবনে থাকব। পথচলা বেশ কঠিন তবে দুজন মিলে সামনে এগুবো। রুশি ছিল আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের মতো। রুশিকে বুঝে উঠার আগেই অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল আপনার ক্ষেত্রে সেটা হতে দিব না।

তানভীরের কথায় যেন আলো স্বস্তি পেল। চুপচাপ হয়ে বসে স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস নিল। এর মধ্যেই আলোর কানে একটা মেয়েলি কন্ঠের চিৎকার ভেসে আসলো। আলো চমকে গেল চিৎকারটা পেয়ে। তানভীরও প্রস্তুত ছিল না এমন চিৎকারে। আলো আওয়াজটা লক্ষ্য করে দেখল আওয়াজটা উপরের ঘর থেকে আসছে। আলো ভাবতে লাগল চিৎকারটা কার? চিৎকারটা শুনেই বুঝা যাচ্ছিল কোনো মেয়েকে রুমে তালাবদ্ধ করে রেখেছে আর সে মেয়েটা রুমের দরজায় জোরে জোরে কড়া নাড়ছে আর বলছে আমাকে বের করো। এ ঘরে থাকতে আমার একদম ইচ্ছা হচ্ছে না। তাহলে কী কোনো মেয়েকে তানভীর এনে আটক করে রেখেছে? আলোর ভয়ে গা শিউরে উঠল।কড়া সন্দেহের দৃষ্টিতে তানভীরের দিকে সে তাকাল। তানভীরের দিকে আলোর এমন চাহনি বেশ অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করল। তানভীর কোনো কথা না বলেই রুম থেকে তড়িঘড়ি করে বের হলো।বিষয়টা আলোর কাছে সন্দেহজনক লাগাতে সেও তানভীরের পিছু নিল। তানভীরও উপরের রুমের দিকে ছুটতে লাগল। আলোও ছুটতে লাগল তানভীরের পেছনে। এক পর্যায়ে তারা রুমের কাছে এলো। তানভীর তাড়াহুড়ো করে দরজাটা খুলল।দরজা খুলার সাথে সাথে আলোর ভয়টা বেড়ে গেল। কারণ…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে