অনুরক্তি অন্তরিক্ষ পর্ব-১৭+১৮

0
1435

#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ [১৭ পর্ব]
তাসনিম তামান্না

আত্মীয় স্বজনরা এখনো যায় নি। জারা শান্তিকে সাইডে নিয়ে গিয়ে বলল

-‘ মনি আমি কিন্তু এ বাসা থেকে চলে যাবো ‘

শান্তি অবাক হয়ে বলল

-‘ ওমা কেনো কি হইছে? কেউ কি কিছু বলছে তোকে? বল কে কি বলছে? তাকে এখন দেখে নিচ্ছি ‘

-‘ ওফ্ফ মনি আমাকে কে কি বলবে করছে তো তোমার গুনধর ছেলে আমাকে জ্বালিয়ে মারছে ‘

শান্তি বেগম চমকে উঠে বলল

-‘ ও কি করছে আবার? ‘

জারা কাঁদো কাঁদো মুখে বলল

-‘ কি করে নি সেটা বলো? কাল রাতে আমার রুমে ছিল আমি ইশার রুমে ছিলাম ইনফেক্ট কাল অনুষ্ঠানে যে শাড়িটা পরছিলাম সেটা কা-চি দিয়ে কেটে রেখে কোথায় চলে গেলো। আমার রুমটা এলোমেলো করে রাখছে। আমার আর ভালো লাগছে না মনি আমি চলে যাবো কিন্তু বলে দিলাম’

শান্তি বেগম অবাক হয়ে গেলো মনে মনে খুশি হলেও মুখে বলল

-‘ মানে? ও এগুলো করছে? ‘

-‘ তা আর বলতে মনি তোমার ছেলে আমাকে খুব জ্বালাছে আমি কিন্তু চলে যাবো ‘

-‘ এমন করিস না মা আমার আচ্ছা আমি ওকে বকে দিবো খুশি ‘

-‘ না আর বলে দিবে আমার পিছনে যেনো না লাগে বলে দিলাম ‘

জারা নিজে নিজে বকবক করতে করতে চলে গেলো। শান্তি বেগম হাসলেন হেসে বললেন ‘পাগল দুইটা ‘

জারা রুমে গিয়ে রুম পরিষ্কার করলো কাঁ-চি দিয়ে কাটা শাড়িটা একবার হাত বুলালো এই শাড়ি প্রিয় ছিল সেটাই নষ্ট হয়ে গেলো।

আসলে প্রিয়/ পছন্দের মানুষ বা বস্তু কখনো থাকে না। সেগুলোই সবার আগে নষ্ট হয়ে যায়।

জারা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে গুছিয়ে নিলো সবটা।

সকালে নাস্তা করে অনেক আত্মীয় স্বজনরা চলে গেছে। রয়ে গেছে মামাবাড়ির সবাই ১৫ দিন পর বিয়ে এখন থেকে সবাই সব প্লান শুরু করে দিসে। কে কি পড়বে, কে কিভাবে সাজবে, কে কিভাবে নাচবে আরও কত কি! ইশা মন খারাপ করে রুমে বসে রইলো জারা গেলো ইশাকে দেখতে শান্তি রান্নাঘরের দিকটা দেখছে এতোজনের খাবার ব্যবস্থা করতে হবে। জারা ইশার রুমে গিয়ে দেখলো ইশা জানালা ধরে মেঘলা আকাশ পানে উদাসীন চোখে তাকিয়ে আছে। জারা অবাক হলো ইশার এমন মন মরা অবস্থা দেখে। অবাক হবারই কথা ইশা হাসি খুশি প্রাণ উচ্ছল মেয়ে। তার মন খারাপ কারোরই সহ্য হবে না। জারা ইশাকে ডাকলো

-‘ ইশা!….. তোমার কি মন খারাপ? ‘

ইশা চমকে জারাকে দেখে কৃত্রিম হাসি দিয়ে বিছানায় বসে জারা কেউ বসিয়ে বলল

-‘ আপু তুমি! আরে না কি যে বলো আমার আবার মন খারাপ ‘

-‘ আমি জানি তোমার মন খারাপ বিয়েতে আমাদেরকে ছেড়ে চলে যাবে সে জন্য তাই না? ‘

ইশা ছলছল চোখে তাকালো জারার দিকে জারা দু-হাত বারিয়ে দিলো ইশা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না হাওমাও করে কেঁদে উঠলো। মন খারাপের সময় যখন কেউ আদুরে কন্ঠে কথা বলে ওপর ব্যক্তিটা আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে দেয়। জারা ইশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো কিছু বলল না ইশা কান্না থেমে গেলে জারা বলল

-‘ এভাবে কাঁদলে হয় না-কি? তোমার বিয়ে হচ্ছে তোমার ভালোবাসার মানুষের সাথে তুমি নাচতে নাচতে গাইতে গাইতে বিয়ে করবে তা না তুমি কাঁদছ? আর তুমি মন খারাপ কেনো করছ বলতো তুমি যখন খুশি তখন এবাড়িতে আসবে কোনো বাঁধা নাই। ‘

-‘ কিন্তু তোমাদের খুশিতে নাচ দেখে মনে হচ্ছে আমাকে বিদায় দিতে পারলে তোমরা খুশি ‘

জারা অবাক হয়ে আকাশ থেকে পড়ল

-‘ মানে? আমরা কখন নাচলাম? এই ইশা বল তো কি হয়েছে এতোক্ষণ ভালোভাবে কথা বলছিলাম সহ্য হয়নি তোর? ‘

-‘ হ্যাঁ হ্যাঁ জানি জানি আমি তোমাদের কেউ না আমাকে বিদায় করতে পারলেই বাঁচো? ‘।

-‘ তুই এসব কি বলছিস? কি হয়েছে বলতো?’

-‘ কি আর হবে? ভাইয়া তো বলল আমার বিয়ে হলে পুরো বাড়ি ওর আমি না-কি ওকে জ্বালায় আমি না থাকলে ওর শান্তি আর দেখো সকলে নিচে বিয়েতে নাচ, গান, সাজ নিয়ে কথা বলছে সবাই আমার দিকে কারোর খেয়াল নেই ‘

জারার হাসি পেলো কিন্তু হাসলো না বলল

-‘ দূর পাগলি চল নিচে চল এনজয় কর এসব কারনে কেউ মন খারাপ করে আর তোর ভাই আস্ত শ-য়-তা-ন কি করেছে জানিস? ‘

ইশা সোজা হয়ে বসে চোখ মুখ মুছে বলল

-‘ আমার সাধের শাড়িটা কাঁ-চি দিয়ে কেটে নষ্ট করে দিসে। যেটা তোর এনগেজমেন্টে পরছিলাম সামনে পেলে কি যে করবো আমি নিজেও জানি না। ‘

ইশা ঝংকার তুলে হেসে উঠলো। জারাও হাসলো। জারা ইশাকে নিয়ে নিচে চলে গেলো।

সারাদিন আর শানের দেখা মিললো না। সন্ধ্যায় সবাই নিচে ড্রাইংরুমে বসে নাস্তা আর আড্ডা দিচ্ছে। জারাও আড্ডায় যোগ দেওয়ার জন্য রুম থেকে বের হতেই শানকে ফোন টিপতে টিপতে এদিকেই আসছে। জারার মাথার আগুন ধপ করে জ্বলে উঠলো। হাত মুষ্টি বদ্ধ করে শানের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল

-‘ আপনার সাহস তো কম না আমার রুমে থেকে আমার রুম নোংরা করে আমার ফেভারেট শাড়ি কেটে শেষ করে দিলেন কেমন লোক আপনি? ‘

শানের চলন্ত পা থেমে গেলো ফোন থেকে চোখ তুলে জারাকে রেগে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুখে বাঁকা হেসে বলল

-‘ আমি বারণ করছিলাম শুনিস নি তার ফল এটা ‘

-‘ তাই বলে শাড়িটা নষ্ট করে দিবেন? এমন করছেন কেনো আপনি? ‘

-‘ আমার কথা না শুনলে ওমন হবে ‘

-‘ কে আপনি? কোন দেশের প্রেসিডেন্ট যে আপনার কথা শুনতে হবে ‘

-‘ আমি তোর প্রেসিডেন্ট! ‘

-‘ মানে?’

-‘ ওতো মানে জানতে হবে না। তুই না-কি আমাকে সামনে পেলে কিস করবি বলেছিস ইশাকে ‘

জারা অবাক হয়ে লজ্জায় কান গরম হয়ে মুখে রক্তিম আভা ফুটে উঠলো। মনে মনে ইশাকে ইচ্ছা মতো ধুয়ে দিলো। জারার মনে হচ্ছে এখনি মাটিটা ফাঁক হোক আর ও ঢুকে পরুক।

শান জারার দিকে ঝুঁকে গেলো জারা পিছিয়ে গেলো। শান বলল

-‘ লজ্জা পাচ্ছিস না-কি? ‘

জারা রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল

-‘ আপনার সাথে ফাউল প্যাচাল পাড়ার টাইম নাই ‘

কথাটা বলে জারা আর একদণ্ড দাঁড়ালো না এক প্রকার ছুটে পালিয়ে গেলো। শান ঠোঁট চেপে হাসালো।

—–

সকালে সূর্যের রক্তিম আলো চারিদিকে আলোকিত বেশ বেলাও হয়ে গেছে সকলে বসে চা খাচ্ছে আর গল্প করছে। জারা নিজেও আছে। রান্না ঘরে শান্তি আর মামিদের কাজে হেল্প করতে গেছিল সেই লেভেলের ঝাড়ি খেয়ে এখন মুখ গোমড়া করে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে। শান মুচকি মুচকি হেসে চলেছে।

হঠাৎ ঝংকার তুলে ফোন বেজে উঠলো জারার। ফোন কানে নিয়ে এমন কথা শুনে জারার হাতে পায়ে কম্পন শুরু হয়ে গেলো।

চলবে ইনশাআল্লাহ

#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ [১৮ পর্ব]
তাসনিম তামান্না

পরিবেশটা নিশ্চুপ হয়ে গেলো সকলে দৃষ্টির মধ্যে মনি জারা। জারার ঠোঁট তিরতির করে ক্রমশ কাঁপছে। চোখ লাল হয়ে পানি টলমল করছে কিন্তু কাঁদছে না জারা ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকানোর চেষ্টা করে কাপা কন্ঠে বলল

-‘ কো থায় তু ই? ‘

-‘ ……… ‘

-‘ আমি আসছি ‘

জারা ফোন কেটে সকলের দিকে তাকালো। ইশা বলল

-‘ কি হয়েছে আপু? তুমি কাপছ কেনো ‘

জারা ইশার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলল

-‘ তোমরা গল্প করো আমার একটা কাজ পড়ে গেছে আমি আসছি ‘

কথাটা বলে জারা আর কারোর প্রশ্ন করার সময় না দিয়ে চলে গেলো নিজের রুমে রেডি হতে আর দাঁড়ালো না। জারা তারাতাড়ি রেডি হয়ে রুম থেকে বের হবার সময় শান্তি বেগম এসে বলল

-‘ কি হইছে তোর? এমন বিদধস্ত লাগছে কেনো? ‘

জারা তারাহুরা গলায় বলল

-‘ মনি আমি এখন কিছু বলতে পারবো না আমাকে যেতে হবে আমি এসে সব বলব এখন সময় নেই বলার আমি আসছি ‘

-‘ তুই একা জাবি বাসার গাড়ি নিয়ে যা আমি শানকে বলছি ‘

-‘ লাগবে না মনি তুমি টেনশন করো না আমি ঠিক মতো চলে আসবো ‘

বাসার কারোই বোধগম্য হলো না। জারার কি হইছে। শান বাইরে গাড়ি নিয়ে ওয়েট করছিল জারা আসতেই বলল

-‘ আসো আমি পৌঁছে দিচ্ছি ‘

জারা চলন্ত পায়ে বলল

-‘ লাগবে না ‘

শান জোর করতে গিয়ে ও পিছিয়ে এলো এই মুহূর্তে জারার সাথে ঝগড়া করে মুড খারাপ করার মানে হয় না জারাকে দেখেই মনে হচ্ছে সিরিয়াস কিছু হয়েছে এখন কিছু না বলায় বেটার । বাসার সামনে যেতেই জারা ভাগ্যক্রমে সিএনজি পেয়ে গেলো।
.
.
জারা হসপিটালের করিডোর দিয়ে দৌড়ে অপারেশন থিয়েটারের সামনে এসে রুহানকে দেখতে পেলো হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বলল

-‘ রু হান পু তু ল কই? ঠিক আছে ও? সুস্থ আছে ও বল না কি হলো কথা বলছিস না কেনো? ‘

রুহান জারাকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলল

-‘ শান্ত হ এখানে বস আগে ‘

জারা চোখ গেলো চেয়ারে বসে থাকা পুতুলের মা আর ছোট ভাইয়ের দিকে পুতুলের মা মুখে শাড়ি গুঁজে অঝর ধারায় কাঁধছে। জারা ধীর পায়ে মাথা নিচু করে পুতুলের মায়ের সামনে গিয়ে ফ্লোরে বসে বলল

-‘ আ’ ম সরি আন্টি আমাকে মাফ করবে আমি অপরাধীদের শাস্তি দিতে পারলাম না আবার পুতুলকেও সুরক্ষা দিতে পারলাম না ‘

পুতুলের মা ছলছল চোখে জারার দিকে তাকিয়ে অগোছালো ভাবে বলল

-‘ না মা এমন বলবে না আমি জানি তুমি অনেক কষ্ট করছ কিন্তু কি বলতো আমাদের নিম্নবিত্ত দের কপালে কিছু থাকে না সবসময় খারাপটাই হয় দেখ না আমার মেয়েটা কত কষ্ট পাচ্ছে ও আমার প্রথম সন্তান আমাকে প্রথম মা বলে ডেকেছে আমি ওর কষ্ট কিভাবে সহ্য করব বল তো ও বাবা আজ বেঁচে থাকলে হত এমনটা হত না ভাগ্য আমাদের পালটে যেত কিন্তু হলো না সব এলোমেলো হয়ে গেলো ‘

কথা গুলো বলে আবারও অঝর ধারায় কাঁদতে লাগলো। পুতুলের ছোট ভাইটা বড়বড় চোখ তাকিয়ে আছে অবুঝ বাচ্চা কিছু বুঝতে পারছে না জারার চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে এলো। বাচ্চাটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। জারা আর পুতুলের মাকে কিছু বলল না কি-ই বা বলবে? কি বলে শান্ত না দিবে? একটা মায়ের মেয়ের তার সবটা হারিয়ে ফেলেছে তার জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করলে কখনোই সান্ত্বনা আসবে না। জারা চোখ মুছে উঠে দাঁড়িয়ে রুহানের কাছে গিয়ে কঠিন গলায় বলল

-‘ আমি তোকে বলছিলাম না পুতুলদের বাসায় পুলিশ ফোঁস দিতে তুই আমার কথা শুনলি না? দেখলি এখন ঔ শ-য়-তা-ন গুলো কি করলো? ‘

-‘ আমি পুলিশ ফোঁস দিয়েছিলাম জানি না কিভাবে কি হলো পুলিশ গুলো ওখানেই ছিল গু-লির আওয়াজ শুনতে ওরা ভিতরে গিয়েছে ‘

-‘ কেমন পুলিশ যে ওয়ান ডিউটিতে কাজের ঢিলেমি করে আজ তারা যদি ঠিক মতো ডিউটিটা করতো না তাহলে এখন পুতুল সুস্থ থাকতো আর অপরাধীও ধরা পরত ‘

রুহানের কিছু বলার মুখ থাকলো না চুপ হয়ে গেলো। জারা পুতুলের মায়ের পাশে বসে দোয়া করতে লাগলো যেনো পুতুল সুস্থ হয়ে যায়।

কয়েক ঘন্টা পর দুপুর ১২ টার ওটি থেকে ডক্টর বের হলো। সবাই ডক্টরের কাছে গেলো।

-‘ সরি! সি ইজ নো মোর ‘

পুতুলের মা হাওমাও করে কেঁদে উঠলো এতোক্ষণ আশা করে বসে থাকা মায়ের আর্তনাদ জারা থমকে গেলো চোখ দিয়ে পানি পড়ল না বিরবির করে নিজেকে দোষারোপ করতে লাগলো।

সন্ধ্যা হয়ে আসল জারার ব্যাগে অনবরত ফোন বেজে চলেছে জারা পুতুলদের বাসার সিমেন্টের বাধায় করা ফ্লোরে বসে চোখের পানি ফেলছে কিছুক্ষণ আগেই পুতুলের শেষ বিদায় দিয়েছে। পুতুলের মা কেঁদে যাচ্ছে সকাল থেকে কেউ কিছু খায় নি না খাওয়া আছে সবাই এতো সব কাহিনির পর কে খেতে পারে কোনো মা-ই খাবার মুখে তুলতে পারবে না রুহান জারার কাছে এসে বলল

-‘ জারা ওঠ বাসায় চল সন্ধ্যা হয়ে গেছে বাসাস দিয়ে আসি তোকে ‘

জারা ছলছল চোখে তাকালো রুহানের দিকে রুহান দিয়ে আশাস দিলো। জারা পুতুলের মায়ের পাশে বসলো কিছুক্ষণ।
.
.
জারা বাসায় আসতেই দেখলো সকলে ড্রাইংরুমে চিন্তিত হয়ে বসে আছে। জারাকে দেখে শান উঠে এসে জারার সামনে এসে বলল

-‘ তোকে কতবার ফোন দিয়েছি আর তুই একবারও ফোন তুললি না নিজেকে কি ভাবিস? তোর জন্য সকলে চিন্তায় মরে যাচ্ছে আর তোর কিছু যায় আসে না ফোনটা ধরে তো কথা বলে জানাতে পারিস কোথায় আছিস? ‘

জারা শানের দিকে তাকালো মুখ দিয়ে কোনো টু শব্দ করলো না। শান সহ সকলে চমকে উঠল জারার চোখ অসম্ভব লাল হয়ে ফুলে আছে। জারা কিছু না বলে উপরে চলে গেলো রুমে গিয়ে ফ্রেশ না হয়ে বিছানায় গুটিশুটি মেরে শুয়ে পড়লো। শান্তি বেগম এসে জারার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল

-‘ কি রে কি হইছে বল আমাকে ‘

জারা শান্তির কোলে মাথা রেখে কোমর জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো শব্দ করে কেঁদে উঠে বলল

-‘ জানো মনি আমি ওকে বাঁচাতে পারি নি ও ও চলে গেছে আব্বু আম্মুর মতো জানো মনি ঔ শ-য়-তা-ন গুলো ওকে মেরে ফেলেছে ঔ শ-য়-তা-ন গুলোর আমি শাস্তি দিতে পারি নি ওরা মেয়েটাকে মে-রে ফেললো। জানো মনি ও মা খুব কাঁদছিল আমি অ-ল-ক্ষী তাই না মনি আমার জন্য সবটা হলো আমার জন্য এতো খারাপ হলো কেনো হলো আমি এতো খারাপ কেনো মনি কেনো মনি ‘

শান্তি চুপ করে শুনে বলল

-‘ এটা তো তোমার হাতে ছিল না এটার জন্য কেনো নিজেকে ব্লেম করছো এতো কেদো না মাথা ব্যাথা করবে ‘

জারা কেঁদে গেলো।

চলবে ইনশাআল্লাহ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে