#অনুভূতির_সুপ্ত_কোণে🍂
#কায়ানাত_আফরিন (মাইশা)
পর্ব : ১৯
” স্বামী স্ত্রীকে সময় দেয় না দেখে স্ত্রীর হাতে স্বামীর নির্মম মৃত্যু”
আদ্রাফ চোখ বাকিয়ে তাকায় মেহেরের দিকে। মেহের রাগে ফোঁস ফোঁস করে চলছে। আদ্রাফ মনে মনে ভাবে যে……….”এই মেয়ে কি ওর খুনের পরিকল্পনায় মেতে আছে নাকি?’
.
.
আদ্রাফ প্রশ্নবোধক কন্ঠে মেহেরকে প্রশ্ন করে……
—-এনি প্রবলেম মেহু?
.
আদ্রাফের শান্ত গলা মেহেরকে যেন আরও চক্রবৃদ্ধিহারে রাগের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। একটা মেকি হাসি দিয়ে সে প্রতিউত্তরে বলে…….
.
—-নাহ তো? আমার কি প্রবলেম হবে? আমি তো জাস্ট নিউজ পড়ছিলাম।
.
—-ওহ্।
এটা বলেই আদ্রাফ আবার নিজ কাজে মনোনিবেশ করে। মেহেরের রাগ এবার আর ধরে রাখে কে। কত সুন্দর করে আদ্রাফের এটেনশন পাওয়ার জন্য থ্রেড দিয়েছিলো সেটা আর কাজে লাগলো না ভাবতেই মেহেরের মন চাচ্ছে কবর খুঁড়ে মরে যেতে।আদ্রাফকে অবাক করে দিয়ে ওর ট্যাব কেড়ে পাশে থাকা ছোট টেবিলে মেহের ট্যাবটা রেখে দেয়। আদ্রাফ গোল গোল চোখ করে তাকিয়ে আছে মেহেরের দিকে।মেহেরের দিকে ঘাড়টা হালকা কাত করে সে বলে……….
.
—–আমি তো কাজ করছিলাম। ট্যাব নিয়ে নিলে কেন?
.
আদ্রাফের প্রশ্নে ভ্রুক্ষেপ না করে মেহের চড়ে বসে আদ্রাফের ওপরে। মেহেরের কাজের জন্য আদ্রাফের অবাক হওয়ার প্রবণতাটা যেন ধাপে ধাপে বেড়ে গিয়েছে। মেহের হালকা নিচু হয়ে আদ্রাফের মুখের কাছে আসে। পরিবেশটা কেমন যেন স্তব্ধ। মাথার উপর ঘূর্ণায়মান ফ্যান থাকলেও আদ্রাফের উত্তপ্ত নিঃশ্বাসে কান থেকে যেন ধোয়া বের হচ্ছে মেহেরের। মেহের কিঞ্চিত ক্রোধের সাথে বলে ওঠে……….
.
—–এত আনরোম্যান্টিক কেন তুমি? আমার মতো এত কিউট বউ থাকতেও সারাদিন অফিস , ট্যাব , ল্যাপটপ নাহয় ফাইল…………আমারে কি তোমার চোখে পড়ে না।
.
মেহেরের কথা শুনে আদ্রাফ সন্দিহান দৃষ্টিতে বলে……
.
—–তুমি কি রোম্যান্টিকতার ওপর পি.এইচ,ডি করেছো নাকি?
.
আদ্রাফের ভ্রু নাচানো দেখে মেহেরের চোখ বন্ধ করে নেয়। এই ছেলের মারাত্নক চাহিনী কবে জানি তার জানই কেড়ে নিবে। একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে মেহের বলে……..
.
—–হ্যাঁ করেছি। তো? তোমাকে তো একফোটাও শিখাতে পারলাম না।
.
মেহেরের ঠোঁট উল্টানো দেখে আদ্রাফ দুষ্টু হাসি হাসে। এত বড় অপবাদ সে তো কিছুতেই নিতে পারবে না। আচমকা মেহেরের কোমড় জাপ্টে তাকে বিছানায় ফেলে তার ওপর নিজের ভর ছেড়ে দেয় আদ্রাফ। আদ্রাফের দুষ্টু হাসি দেখে মেহেরের চোখ যেন ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে। আদ্রাফ নিজের মুখটা আস্তে করে মেহেরে কানের কাছে নিয়ে যায়। হিসহিসিয়ে বলে………..
.
——আমি অনেক আনরোম্যান্টিক। এটাই তো বললে? তো চলো আজ তোমার থেকে একটু ট্রেনিং নিয়ে নেই। In this Moonlight night………..Just you & me……..
.
মেহেরের রক্তপ্রবাহ যেন স্থির হয়ে গিয়েছে যেন আদ্রাফের কথা শুনে। এতদিনের পুষিয়ে রাখা সাহস আদ্রাফের উত্তপ্ত কন্ঠে নিমিষেই যেন স্রোতপ্রবাহ হয়ে এলো। আদ্রাফের চোখের দৃষ্টির মেহেরকে অন্যকিছুই বোঝাচ্ছে। যেই কালো চোখযুগলের বাহারে রয়েছে একরাশ মায়ার সমাহার। আদ্রাফের শীতল ঠোঁটযুগল চুম্বকের মতো আকৃষ্ঠ করছে মেহেরকে।
একটা শুকনো ঢোক গিলে মেহের আদ্রাফকে প্রশ্ন করে………
.
—–ট-ট-ট্রেনিং ন-নিবে ম-মমানে?
.
আদ্রাফ একটা দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে ওঠে——আমি practically নাহয় দেখাই ?
.
এটা বলেই আদ্রাফ এক এক করে নিজের সমস্ত শার্টের বোতাম খুলতে শুরু করে। মেহেরের দম যেন বন্ধ হয়ে আসছে। ওর সব পরিকল্পনা ভাবনাকে বিফলে ফেলে নতুন অনুভূতি বিরাজ করছে আদ্রাফের জন্য। ঘরের মৃদু আলোয় আদ্রাফের শার্টলেস বডি দেখে মেহেরের যেন অজ্ঞান হওয়ার মতো উপক্রম। চোখ দুটো খিঁচে বন্ধ করে নেয় সে।
.
আদ্রাফ এবার অবুঝ হওয়ার ভান করে বলে ওঠে………
.
—–OMG ! মেহু বেবি……….তুমিই তো বলেছিলে আমি আনরোম্যান্টিক। কই তোমার কাছ থেকে একটু ট্রেনিং নেবো আর তুমিই চোখ খিচে শুয়ে আছো। This is not fair…….
.
—–তোমার fair এর গুষ্টি কিলাই ! আল্লাহর ওয়াস্তে শার্টটা পড়ো আদ্রাফ।
.
মেহের চোখ খিচেই কাতরতার সাথে বলে। মেহেরের এমন ভাবভঙ্গি দেখে আদ্রাফ ঠোঁট কামড়ে হাসছে যা চোখ বন্ধ করে রাখার জন্য মেহের স্পষ্ট দেখতে পারছে না।আদ্রাফ এবার নিজের দুহাত দিয়ে মেহেরের দুহাত বালিশের ভীড়ে আগলে নেয়। মেহেরের কথার কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে মুখ ডুবিয়ে দেয় মেহেরের গলায়। মেহের স্পষ্টভাবেই আদ্রাফের আদুরে স্পর্শ অনুভব করতে পারছে। আবেশে আদ্রাফের চুল খামচে ধরতেই আদ্রাফ যেন আরো মাতাল হয়ে যায় ধীরে ধীরে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ আরও গভীর করতেই আদ্রাফ মেহেরের কানের কাছে মৃদু কন্ঠে বলে……
.
——এখন তো আমি রোম্যান্টিক বয় হয়েছি তাই না? এবার নাহয় হটি-নটি বয় হয়ে দেখাই?
.
——মোটেও না।
.
মেহেরের এই কথাটা এতটাই জোরে বলে যে আদ্রাফের কানের পর্দা মোটামোটি ছিড়ে গিয়েছে। খানিকটা বিরক্তিসুরে মেহেরের দিকে তাকাতেই মেহের হালকা উঠে ওর ঠোঁটজোড়ায় কড়াকড়িভাবে একটা কামড় লাগিয়ে দেয়। ব্যস আদ্রাফও তড়িৎ গতিতে সরে আসে মেহেরের কাছে থেকে। অবাকের ন্যয় বলে ওঠে………
.
——তুমি কি মানুষ নাকি পেত্নী ! এভাবে কেউ কামড় দেয়?
.
মেহের উঠে বসে ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলছে। আদ্রাফের সান্নিধ্যে আর কিছুক্ষণ থাকলে এখনই ওকে পিজি হসপিটালে ভর্তি হতে হতো। ক্লান্তি কন্ঠে আদ্রাফকে বলে……….
.
—–তো কি করবো আমি? তুমি যা শুরু করেছিলে………..
.
—–কি শুরু করেছিলাম?
.
মেহের চুপসে যায়। আদ্রাফ বেশ ভালোমতোই ক্ষেপে আছে। মেহের এবার এক কানে হাত দিয়ে বলে ওঠে…….
.
—–সরি………..খুব ব্যথা লেগেছে?
.
—–একটা পেত্নী কামড় দিয়েছে আমাকে। ব্যাথা লাগাটা কি স্বাভাবিক নয় !
.
মেহের মুখ চুপসে বসে থাকে। আদ্রাফের গোলাপি ঠোঁটদুটো কামড় দেওয়ার কারনে একেবারে লাল হয়ে আছে। মেহের মিনতির সুরে বলে ওঠে………
.
—–সরি বললাম তো। প্রমিজ আর কখনও এমন করবো না।
.
—–শুধু সরি দিয়ে হবে না।
.
—–তাহলে?
.
মেহেরের কথার উত্তর না দিয়ে মেহেরকে ধাক্কা দিয়ে পুনরায় খাটে ফেলে ওর গলায় মুখ গুঁজে আদ্রাফ শুয়ে থাকে। মৃদু গলায় মেহেরকে বলে………..
.
—–আমার রাগ আর ব্যাথা দুটো কমানোর জন্যই বেস্ট ঔষধ আমার মেহু। So এখন আমি এভাবেই ঘুমাসবো। একটু নড়াচড়া হবে তাহলে একটা লম্বা লাভ ডোজ দিবো।
.
আদ্রাফের উন্মুক্ত বুকের সাথে নিজেকে অনুভব করতেই মেহের যেন নীরব হয়ে যায়। যতই আদ্রাফের ওপর রাগ হয়ে যাক না কেন………..এই ছেলের কথার জালিয়ে মেহের নিজেকে অন্যরাজত্বে হারিয়ে ফেলে। আদ্রাফ চোখ বন্ধ করে প্রায় ঘুমের জগতে পা দিয়েছে। নিঃশ্বাস-প্রঃশ্বাসের খেলার সাথে বারবার ওর ওষ্ঠ্যদ্বয় স্পর্শ করতে মেহেরের গলা আর ঘাড় কে। মেহের একপাশে দুর্ল চোখে শার্টটির দিকে তাকায়। অবহেলায় শার্টটি পড়ে আছে খাটের অপর প্রান্তে। মেহের বিড়বিড়িয়ে বলে ওঠে…………
.
——ওই শার্ট ! তুই আদ্রাফের গায়ে থাকতে পারলি না?এত হট বডি দেখে তো আমারই মাথা হাই ভোল্টেজের হয়ে যাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর নিজের উদ্ভট কথা ভেবে নিজেই খুব অবাক হয়ে যায় মেহের। ভারক্রান্ত হওয়ার কারনে মাথার তার যে ওর ছিড়ে গিয়েছে এই নিয়ে সে একশ পার্সেন্ট নিশ্চিত।
.
.
.
.
আজ ভার্সিটর ক্লাস শেষ করে নাদিয়ার সাথে কথা বলতে বলতেই মেহেরের হঠাৎ চোখ যায় ক্যান্টিনের ওই পরিত্যাক্ত টেবিলটার দিকে। শাওন আর ওর বন্ধুরা সবাই আড্ডা মজলিশে মতে আছে সেখানে। সেই দুর্ঘটনার পর আজই শাওনকে প্রথম দেখলো মেহের। যদিও এই কয়েকদিনে চেহারায় বিন্দুমাত্র পরিবর্তনের কোনো রেশ দেখা যায়নি তবুও মেহেরের মনে হচ্ছে ছেলেটা মানসিকভাবে হয়তো খুবই দুর্বল। মেহের সেদিকে যেতেই নাদিয়া বাধা হয়ে দাঁড়ায়;
.
—-এই মেহের? শাওন ভাইয়ের কাছে যাচ্ছিস কেন ?
.
—–কথা আছে শাওন ভাইয়ের সাথে?
.
—–দেখ মেহের? ইচ্ছাকৃতভাবে বাঘের খাচায় যাচ্ছিস কেন?
.
বিরক্তিসুরে মেহের বলে….—উহ ! বললাম তো কথা আছে।
.
নাদিয়াকে আর কোনো সাফাই না দিয়ে মেহের শাওনের কাছে যায়। হঠাৎ মেহেরকে এভাবে আসতে দেখে শাওনসহ ওর সব বন্ধুরাই অবাক। শাওন সেদিকে পাত্তা না দিয়ে শোভাকে বলে…….
.
——কি রে শোভা? এই মেয়ে কি নিজ থেকে অপমান হওয়ার জন্য আসছে নাকি?
.
শাওনের বিহেভ থেকে নিশা বরাবরই অবাক হচ্ছে। কত নিঁখুত অভিনয়টাই না শাওন করতে পারে। মেহের শাওনের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে ওর মুখের ওপর প্রশ্ন ছুঁড়ে বলে…….
.
—–সেদিন আপনি হসপিটালে আমায় দিয়ে আসার পর আর দেখা করতে আসেননি কেন?
.
—–What ?
.
—-বুঝেননা? আপনি আমায় সেদিন বাঁচিয়েছেন আমি তা জানি। তো এসব নাটক কিসের? আপনি সেদিন আমার সাথে দেখা করতে আসেননি কেন?
.
শাওন মেহেরের কথাটা শুনে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। হাতে থাকা বাইকের চাবিটা পকেটে গুঁজে মেহেরের কাছে দাঁড়ায় সে। মেহেরের উৎসুক দৃষ্টি বরাবরই শাওনের বিলাই চোখ দুটোর দিকে। শাওন নির্লিপ্ত গলায় বলে ওঠে……..
.
——কে হও তুমি আমার? যে আমি তোমার সাথে দেখা করে আসবো? বলো , কি হও তুমি আমার?
.
শেষের কথাটিতে শাওন বারবার আটকে পড়লেও তা সবাই বুঝতে পারেনি। মেহের ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে শাওনের দিকে। আসলেই তো। শাওন কি হয় ওর যে এত বড় এক্সপেক্টেশন নিয়ে বসে ছিলো ? অদ্ভুভাবেই শাওনকে মেহেরের বড্ড আপন লাগে যদিও শাওন কখনোই এমন কিছু করেনি।
.
শাওন এবার মেহেরের হাত চেপে ধরে। খুবই জোরে। চিল্লিয়ে বলে ওঠে………..
.
——-চেষ্টা করবে আমার থেকে ১০ হাত দূরে থাকতে। খুবই খারাপ মানুষ আমি। তোমাকে বাঁচিয়েছি তোমার হাজবেন্ট thanks বলেছে ব্যস! You may go now!
.
শাওন মেহেরের হাত ছেড়ে দিতেই মেহের নীরবে চলে যায় সেখান থেকে। শাওন নিজের চোখ ফিরিয়ে নেয়। মেহেরকে তার আসল পরিচয় থেকে দূরে রাখতে আর কোনো উপায় ছিলো না। নিশা ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে আছে শাওনের দিকে। শাওনের এত চাপা কষ্ট মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে ওর। নিশার বিশ্বাস। এমন একদিন আসবে যেদিন শাওনের অগোছালো মনে কারও জন্য স্মিত হাসি থাকবে।
.
.
.
.
.
.
~চলবে
[আয়াতের পায়ের ওপর নিজের পায়ের ভর রেখে আমি মিশে আছি তার বুকের সাথে। সমুদ্রের উদাসীন ঢেউগুলো দুজনের হাটু বরাবর আছড়ে পড়ছে। তার চোখে মুখে আমি দেখতে পারছি একরাশ মুগ্ধতার হাসি। আচ্ছা………..উনি এতো সুন্দর কেন? সাহিত্যিকরা তো বলে সৌন্দর্য নাকি শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য। তাহলে উনি কেন এক পাহাড় সৌন্দর্য নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন?
—-কি ভাবছো?
আয়াতের কথা ধ্যান ভাঙ্গে আমার। তার বুকে নিজের মুখ ডুবিয়ে বলে উঠি…..
—-আপনার সৌন্দর্য নিয়ে গবেষণা করছি।আপনার এই সুদর্শন চেহারা দেখে মাঝে মাঝে আমার প্রচুর হিংসে হয়।
আয়াত সশব্দে হেসে ওঠে। তারপর আমার কানে নেশাতুর কন্ঠে বলে ওঠে……..
—-আমাদের বিয়ের পর তোমার সাথে একেবারে মিশে আমার সৌন্দর্য তোমাতে বিলিয়ে দেবো নে। তখন আর হিংসে করতে হবে না। বুঝেছো মাইশু?
আমি তার ফিসফিসানো কন্ঠ শুনে লজ্জায় গুটিয়ে নেই নিজেকে। রাতের আকাশে চলছে শততারার খেলা। দক্ষিণা হাওয়ার সাথে সমুদ্রের ঢেউয়ের স্পর্শে ক্রমাগত মাতোয়ারা হয়ে পড়ছি আমি।
.
‘আরহাম আয়াত”। যেই নামটা শুনলেই মনে সব আজগুবি চিন্তাগুলো আমার কাজ করে। তার প্রতিটা মুহূর্তই আকর্ষণ করেছে আমার হৃদয় ; যার সূচনা হয়েছিলো এই সিন্ধুপাড়ের কাছেই। মাঝে মাঝে তো ভাবি ; ভাগ্যিস সেই দিন পালিয়ে সদরঘাটের লঞ্চে উঠেছিলাম। না উঠলে হয়তো আয়াত নামের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে জীবনে অনুভবই করতে পারতাম না।
.
.
.
চলবে