#অনিয়ন্ত্রিত_মন
#jannat_Nur
#পঞ্চম_পর্ব
লুৎফর স্বামীর অধিকার আদায় করে নিল, মরিয়ম বাধা দিতে চেয়েও বাধা দিতে পারল না। পুরুষের শক্তির কাছে নারীরা সবসময় অসহায় তাই মরিয়ম চুপচাপ মূর্তির মত পড়ে রইল। একজন মায়ের সন্তানের জন্য আর্তনাদ বুক ভরা হাহাকার এটা দেখার সময় হলো না লুৎফরের। সে তার পুরুষত্ব ফলাতেই ব্যস্ত। দু’চোখ দিয়ে অঝরে পানি পড়ছে মরিয়মে, আর শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই বলছে কেন তার জীবনটা এমন হলো। এই লোকটাও তো আমাকে বুঝতে চেষ্টা করছে না। যদি আমাকে বুঝতে পারত তাহলে এমন অবস্থায় আমার সাথে এইসব করতে পারত না, অন্তত আমাকে কিছুটা সময় দিত। যেখানে আমার সন্তানের জন্য আমি হাহাকার করছি সেখানে সে তার অধিকার আদায়ে অনড়। সকালের দিকে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে লুৎফর। মানুষটার দিকে তাকিয়ে মরিয়মের কেমন যেন অস্বস্তি বোধ হচ্ছে, কিছুটা আশার আলো দেখেছিল এই মানুষটার কারণে কিন্তু কিছুক্ষণের ব্যবহারে মরিয়মের সেই আশার আলোটা নিবে গিয়েছে।
” ভাবী এখনো ঘুমাচ্ছ দরজা খোলো, তোমাদের ফুলশয্যা এখনো হয়নি।
দরজায় এসে করাঘাত করছে লুৎফরের ছোট বোন চুমকি। মরিয়ম এসে দরজা খুলে দিল, তার শরীর খুব অসুস্থ লাগছে, দাঁড়াতে ইচ্ছা করছে না। মরিয়মকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে চুমকির মনটা খারাপ হয়ে গেল সে মরিয়মের হাতে ধরে বলল।
ভাবী তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন তুমি কি অসুস্থ? জ্বর এসেছে নাকি বলতে বলতেই কপালে হাত দিল চুমকি।
” জ্বর এসেছে কিনা জানিনা তবে আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে, দুর্বল অনুভব হচ্ছে।
” কপালে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বর নেই, আচ্ছা তুমি ফ্রেশ হও তোমাকে খাবার দিচ্ছি। হয়তো কাল থেকে ঠিকমতো খাবার খাচ্ছ না এই কারণে দুর্বল লাগছে। তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে আসো আর ভাইয়াকে ডাক দাও দুজনে একসঙ্গে আসো, সবাই তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
মরিয়ম আস্তে আস্তে বিছানার কাছে এসে লুৎফরকে ডাক দিল, লুৎফর মরিয়ম কে বলল, তুমি যাও আমি পরে আসতেছি কিছুক্ষণ ঘুমাতে হবে।
ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং টেবিলে এসে বসলো মরিয়ম। মরিয়মকে দেখে তার শাশুড়ি রহিমা বেগম জিজ্ঞেস করছে কি হলো লুৎফর আসলো না?
” মা আমি তাকে ডাক দিয়েছিলাম সে বলল আরও কিছুক্ষণ ঘুমাবে।
” এই ছেলেটাকে নিয়ে আর পারিনা সব সময় খাবারে অনিয়ম। এখন কিন্তু তুমি তার কোন কথা মানবে না জোর করে ঠিকমতো খাবার খাওয়াবে।
” আচ্ছা আমি চেষ্টা করব।
মরিয়মের বড় জা রুমানা বলল, চেষ্টা করবো বললে হবে না স্বামীকে হাতের মুঠোয় নিতে হবে, তাহলে সে তোমার কথা শুনবে। আচ্ছা ঠিক আছে সবাই খাওয়া শুরু করো।
চুমকির স্বামী রাসেল মরিয়মের দিকে তাকিয়ে বললেন, প্রথম ভাবীর চেয়ে দ্বিতীয় ভাবী আরো বেশি সুন্দর লুৎফর ভাইয়ের ভাগ্যটাই খুব ভালো।
স্বামীর কথা শুনে খেকিয়ে উঠল চুমকি, তাহলে কি তোমার ভাগ্য ভালো না আমাকে পেয়ে তুমি সুখী হতে পারোনি। অন্যের বউকে দেখে ভালো লাগে নিজের বউকে ভালো লাগেনা।
” আরে তুমি এভাবে রিয়েক্ট করছো কেন! শালার বউয়ের সঙ্গে একটু ফাজলামো করব সেটাও করতে দিবে না।
এখন কথা রেখে সবাই চুপচাপ ব্রেকফাস্ট করে নাও, রহিমা বেগম বললেন। শাশুড়ির কথা শুনে রাসেল লজ্জিত হয়ে খাবার শুরু করল। সবার খাওয়া শেষ হয়ে গেলে রহিমা বেগম মরিয়মকে বলল, লুৎফরের জন্য ব্রেকফাস্ট রুমে নিয়ে যাও। ছেলেটা মনে হয় ঘুমাচ্ছে ঘুম থেকে জেগে উঠলে তাকে খেতে বলবে। শাশুড়ির কথা অনুযায়ী ব্রেকফাস্ট নিয়ে রুমে রেখে দিল মরিয়ম। লুৎফরকে ঘুম থেকে জাগানোর ইচ্ছা করছে না মরিয়মের। সকাল এগারোটার দিকে ঘুম ভেঙ্গেছে লুৎফরের, সে ফ্রেশ হয়ে এসে ব্রেকফাস্ট করছে। বিষন্ন মনে বসে আছে মরিয়ম তার দিকে তাকিয়ে লুৎফর বলল।
” এভাবে বিষন্ন মনে বসে আছো কেন, বিয়ের পরের দিন নববধূর মুখের এমন অবস্থা দেখতে কার ভালো লাগবে। এভাবে থাকতে পারবে না আমি তোমার মুখে হাসি দেখতে চাই।
লুৎফরের কথা শুনে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল মরিয়মের। সে রাগান্বিত হয়ে বলল, আপনি কিভাবে বলতে পারেন আমি আমার দুই বছরের সন্তানকে রেখে হাসি খুশি থাকব। আমি কিন্তু আপনাকে বিয়ে করতে চাইনি, আমি জানি আপনাকে আমি সুখী করতে পারবো না। কেন আপনি আমাকে জোর করে বিয়ে করলেন? আপনি কিন্তু আপনার কথা রাখছেন না। আমার ছেলেকে আমার সঙ্গে নিয়ে আসবেন এ কথা দিয়েছিলেন, আবার রাতে কি বললেন সকালে উঠে সবাইকে বলবেন আমি ডিভোর্সী আমার একটা দুই বছরের সন্তান আছে কিন্তু আপনি এখনো কাউকে কিছু বলেননি। এত বেলা পর্যন্ত বিছানায় পড়ে পড়ে ঘুমালেন আর এখন বলছেন আমাকে হাসিখুশি দেখতে চান। সত্যি যদি আমাকে হাসিখুশি দেখতে চান তাহলে আমার সন্তানকে এখানে আনার ব্যবস্থা করুন।
” ব্রেকফাস্ট করে সবাইকে ড্রয়িংরুমে ডেকে তোমার ব্যাপারে সব কিছু বলছি, তবু আমার সঙ্গে রাগ করে থেকো না। আমি তোমাকে প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলেছি আমার ভালোবাসার মানুষ কষ্ট পাবে সেটা আমি কখনো চাইবো না।
লুৎফর খাবার শেষ করে তার পরিবারের সবাইকে ড্রয়িং রুমে ডাকলো। লুৎফরের বড় ভাই আবিদ লুৎফরের কাছে জানতে চাইলো কি এমন জরুরি কথা সবাইকে একসঙ্গে করলি?
” তোমাদের সবাইকে বলছি আমি একটা কথা তোমাদের কাছ থেকে লুকিয়েছিলাম। আচ্ছা তোমাদের সবার তো মরিয়মকে পছন্দ হয়েছে তাই না।
লুৎফরের কথা শুনে সবাই এক বাক্যে বলে উঠলো হ্যাঁ আমাদের তো পছন্দ হয়েছে, এখন আবার এই কথা তুলছিস কেন কি হয়েছে সেটা বল?
” মরিয়মের আগে বিয়ে হয়েছিল, সে ডিভোর্সী, তার দুই বছরের একটা ছেলে সন্তান আছে। আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম সেই ছেলেকে আমাদের সঙ্গে রাখবো এ কারণে মরিয়ম আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। নাহলে সে বিয়েতে রাজি ছিল না। এখন ওই ছেলেকে আমাদের এই বাসায় এনে আমাদের সঙ্গে রাখবো।
লুৎফরের কথা শেষ না হতেই খুব রেগে গেল আবিদ, তুই কি বলছিস মাথা খারাপ হয়েছে তোর? এই এলাকায় আমাদের মান সম্মান আছে সবাই জানে তুই অবিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করেছিস। এখন যদি এলাকার মানুষ জানতে পারে তুই ডিভোর্সি আর এক সন্তানের মাকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছিস আমাদের মান সম্মান থাকবে। ওই ছেলেকে এখানে আনার দরকার নেই তুই মাসে মাসে ছেলেটার জন্য খরচ পাঠিয়ে দিস তার নানীর কাছে থেকে ছেলেটা মানুষ হোক।
” ভাইয়া মরিয়ম এটা মানবে না, আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম আমার কথা তো রাখতে হবে। মানুষে যা বলার বলুক।
রহিমা বেগম কটমট করে তাকালো ছেলের দিকে। মায়ের এমন রাগী চেহারা দেখে লুৎফর ভয় পেয়ে গেল। সে তার মায়ের কাছে এসে বলল, প্লিজ মা তুমি বুঝতে চেষ্টা করো তার ছোট বাচ্চাটাকে রেখে সে থাকতে পারবে না।
” তুই তার কথা ভাবছিস আমাদের এই পরিবারের মান ইজ্জতের কথা একবারও ভেবে দেখছিস? এই কথা শুনতে পারলে মানুষের ছি ছি করবে আমরা মুখ দেখাতে পারবো না। তুই মরিয়মকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে আয় আমি তাকে বুঝাবো।
” তাকে বোঝালে হবে না, তার ছেলেকে ছাড়া সে এখানে থাকবে না। আমরা যদি তার ছেলেকে আমাদের বাসায় রাখতে না চাই হয়তো সে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যাবে। তখন কি আমাদের দুর্নাম হবে না?
লুৎফরের কথা শুনে পরিবারের সবাই ভাবনায় পড়ে গেল। রহিমা বেগম কি যেন ভাবল তারপর বড় ছেলে আবিদকে ডেকে নিয়ে তার রুমে চলে আসলো। আবিদের সঙ্গে কথা বলে লুৎফরকে তিনি তার রুমে ডাকলো। মায়ের সঙ্গে কথা বলে লুৎফর বের হয়ে আসলো রুম থেকে।
মরিয়ম খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে সে বুঝতে পারছে এই পরিবারে তার সন্তানকে মেনে নেবে না। তাহলে সে কি করবে এটাই বুঝতে পারছে না। লুৎফর এসে মরিয়মের পাশে বসলো। মরিয়ম অধীর আগ্রহ নিয়ে লুৎফরকে জিজ্ঞেস করলো, মা আপনাকে রুমে নিয়ে কি বলল, আমার ছেলেকে কি মেনে নিবে না?
” শান্ত হও এত ব্যস্ত হয়ে পরো না, তারা মেনে নিক বা না নিক আমি তোমার ছেলেকে মেনে নেব। আর যেভাবেই হোক তোমার ছেলেকে আমাদের সঙ্গে রাখবো। দরকার হয় আমি এই ফ্যামিলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দূরে কোথাও চলে যাব। তবু তোমাকে কষ্ট পেতে দেবো না।
রাত থেকে রাইয়ান তার মায়ের জন্য কান্না করছে, বারবার বলছে আম্মুর কাছে যাব আম্মুর কাছে যাব। মরিয়মের মা নাতিকে কান্না থামাতে ব্যস্ত। ছেলেটা সকাল থেকে কিছু খাইনি সেই দিকে খেয়াল নেই সায়মা এবং পপির। তারা যেন মরিয়মকে বিয়ে দিতে পেরেই বেঁচে গিয়েছে। ফিরোজা বেগম রেগে গিয়ে ছেলের বউদের কাছে এসে বলল, আমি কাল থেকে ছেলেটাকে নিয়ে কতটা যন্ত্রণায় আছি ছেলেটা মা মা বলে কান্না করছে তোমরা তো একবারও তাকে কোলে নিয়ে আদর করে কান্নাকাটি থামাতে চাইলে না। আমার মেয়েকে এই সংসার থেকে বিদায় করে দিয়ে তোমরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছো, কিন্তু আমি তো পারছি না। এই ছোট বাচ্চাটার কান্নায় আমার বুক ফেটে যাচ্ছে।
” এখন কি আপনার নাতিকে কোলে নিয়ে আমরা বসে থাকবো! আমাদের সংসারের কাজ নেই? আমার সঙ্গে রাগ দেখাতে আসতে পারবেন না।
সায়মার তেড়া কথা শুনে ফিরোজা বেগম আর কিছু বলল না, পপির দিকে তাকাতেই পপি তার বাচ্চার দিকে ইঙ্গিত করে বলল, আমারও একটা বাচ্চা আছে তাকে সামলিয়ে আমি আপনার নাতিকে কিভাবে সামলায় বলেন? আপনার মেয়ের প্রথম সংসার টিকে নাই আমরা চেয়েছিলাম দ্বিতীয় বিয়ে দিতে আপনার মেয়ের সুখের জন্য। এটা কি আমাদের অপরাধ হয়ে গিয়েছে! আপনার নাতিকে আপনি কিভাবে সামলাবেন সেটা আপনি বুঝবেন অযথা আমাদের সঙ্গে রাগ দেখাতে আসবেন না। ফিরোজা বেগমের রাইয়ানের কান্না দেখে চোখে পানি চলে আসছে, তার উপর আবার ছেলের বউদের এরকম ব্যবহার খুব কষ্ট পাচ্ছেন তিনি।
মরিয়ম খুব অশান্তিতে আছে তার মনে হচ্ছে রাইয়ান তার জন্য কান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে যাবে, সে আর কিছুতে এ বাড়িতে তার ছেলেকে ছাড়া থাকতে পারবে না। তাই সে লুৎফরকে বলল, আপনি এখনি আমাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যান আমার ছেলেটাকে না দেখতে পেলে আমি মরে যাব। আমার ছেলেটাও মনে হয় আমার জন্য কান্না করতে করতে অস্থির হয়ে গিয়েছে। প্লিজ আপনি আমাকে এখনই আমাদের বাড়িতে নিয়ে যান।
” আজকে তো যাওয়া যাবে না কালকে তোমাকে নিয়ে যাব। আজকে আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা সবাই তোমাকে দেখতে আসছে।
” আপনি আছেন আপনার আত্মীয় স্বজন নিয়ে আমার কতটা কষ্ট হচ্ছে সেটা আপনি বুঝতে পারছেন না। আর আমার ছেলের কি অবস্থা হয়েছে সেটা কি আপনি একবার ভেবে দেখছেন।
লুৎফর মরিয়ম এর কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, প্লিজ আজকের দিনটা সহ্য কর, কালকে আমি তোমাকে নিয়ে যাবো। কথা দিচ্ছি সকাল সকাল নিয়ে যাব। আজকে যদি তোমাকে নিয়ে যেতে চাই তাহলে আমার পরিবারের সবাই এবং আত্মীয়-স্বজনরা রাগ করবে। এমনিতেই আমি তাদেরকে আগে থেকে তোমার ব্যাপারে বলি নাই তবু তারা মেনে নিয়েছে। এখন যদি তাদের অবাধ্য হয়ে তোমাকে নিয়ে চলে যাই বড়সড় একটা ঝামেলা সৃষ্টি হবে।
” আপনার মোবাইলটা দেন আমার ছেলে কেমন আছে আমি এখনই দেখব, তার সাথে কথা বলবো।
লুৎফর মরিয়মদের বাসায় কল করে দিল, মরিয়ম সায়মাকে বলল, ভাবী রাইয়ানকে ভিডিও কলে দেখান আমি তাকে দেখবো। আমার ছেলেটা কেমন আছে ভাবী। সায়মা বলল, রাইয়ান তোমার জন্য কান্নাকাটি করে নাই সে তো ভালোই আছে এখন ঘুমাচ্ছে।
” ঠিক আছে আমি তাকে দেখবো আমাকে দেখান।
একটু আগে কান্না করতে করতে রাইয়ান ঘুমিয়ে গিয়েছিল সেটাই ভিডিও কলে দেখল মরিয়ম। দেখে তার কিছুটা শান্তি লাগছে। মরিয়ম তার মাকে জিজ্ঞেস করল রাইয়ান তার জন্য কান্নাকাটি করেছে কিনা? ফিরোজা বেগম মিথ্যা বলল, রাইয়ান কান্নাকাটি করেনি এবং সে ভালোই আছে। মায়ের কথা শুনে মরিয়মের বিশ্বাস হলো, তার বুক থেকে অনেকটা চাপ কমলো। মরিয়ম লুৎফরকে বলল কাল সকাল হতেই আপনি তাড়াতাড়ি আমাকে আমার ছেলের কাছে নিয়ে যাবেন এবং আমার ছেলেকে নিয়ে থাকার ব্যবস্থা করবেন। আপনার কথা যদি নড়চড় হয় তাহলে কিন্তু আমি আপনার সঙ্গে সংসার করতে পারবো না। আপনি আমাকে কথা দিয়েছিলেন এখন পর্যন্ত আপনার কথা রাখার কোন নমুনা আমি দেখতে পারছি না।
” অবশ্যই আমি আমার কথা রাখবো, আমার কাজেই সেটার প্রমাণ পাবে। মুখে বললে এখন তো আর বিশ্বাস করবেন না।
চলবে….