#অদ্ভুত-তিনি
Megh La
Part:07
সকালে ঘুম থেকে উঠে অবাক। সে আমার থেকেও বড়ো একটা ফুলের বুকে আমার সামনে। ফুল গুলো সব হলুদ গোলাপ৷ হটাৎ পেছন থেকে আমান বলে উঠলেন,
-টুকি আমার জান পাখিটার ঘুম ভাঙছে।
আমি ওনার দিকে তাকিয়ে আছি ওনার প্রতি ভালেবাসা আমার আরো বেড়ে যাচ্ছে । মাত্র ৪-৫ দিনে আমি ওকে এতোটা ভালোবেসে ফেলবো বুঝি নি।
-আইরে বৌটা। তোমার ব্যাথাকি একটু কমছে৷ (করুন শুরে)
এতক্ষণ আমি ব্যাথার কথা ভুলেই গেছিলাম লোকটা পারেও বটে উনি সামনে থাকলে দুনিয়া ভুলে যায় আমি।
এখন অনুভব হচ্ছে তল পেটে অনেকটা ব্যাথা আমি উঠতে পাটছি না৷ তাও তাকে বললাম।,
-আমি ঠিক আছি।
-না গো জান পখি তুমি ঠিক নাই। (আমার কাছে এসে আমার মাথাটা তার কোলে নিলেন।)
-আচ্ছা আমার এখন কোন ব্যাথা অনুভব হচ্ছে না কেন.
-কারন আমি প্রস্তুতি নিয়ে তেমাকে ধরেছি।
-আমার আপনার স্পর্শে (আমার ঠেট দুটো আলতো আঙ্গুল এ চেপে ধরলেন)
-এতো কথা কই পাও। এখন এসব বাদ দেও বলো কি খাবা৷
-একটা কথা বলবো।
-হুম।
-আমারনা কাল মনে হয়েছিলো আমি মারা যাবো আর দেখা হবে না আমাদের (আমি এই টুকু বলতে তিনি আমকে তার বুকের সাথে চেপে ধরলেন)
-আমি থাকতে তোমার কিছু হবে না। আর এমন বলবা না তুমি৷ আমার অনেক কষ্ট হয়।
তার কথায় মিশ্রিত ভালোবাসা আর মায়া আমাকে তাকে আরো বেশি করে ভালোবাসতে বাদ্ধ করে।
-এতে ভালো কবে থেকে বাসা শুরু করলেন আমান।
-জবে থেকে আমার মেঘ পৃথিবীর আলে দেখেছে।
-মানে।
-মানে হলো আমি খাবার নিয়ে আসছি এখনে সুয়ে থাকো।
তিনি খাবার এনে আমাকে খাইয়ে দিলেন।
-আচ্ছা জান পাখি এখন তুমি কোরআন তিলোয়াত শুনবে গো।
-হুম (খুব আগ্রহি হয়ে)
আমান আমার পাশে বসে এতে সুন্দর করে কেরআন তিলোয়াত করছে। নিজেকে এখন দুনিয়ার সব থেকে সুখি মানুষ মনে হচ্ছে। আমানকে পেয়ে সত্যি আর কিছু পাওয়ার নেই। তার কোরয়ান তিলোয়াত শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম আল্লাই জানে।
-জান পাখি খুব জলদি তোমার সব ব্যাথা দুর হয়ে যাবে একটু ধৈর্য ধরো.। আর আমি কখনো বিনা প্রস্তুত এ তোমাকে ছুবো না। (মেঘের কপালে চুমু খেয়ে)।
আমান পবিত্র কোরয়ান শরিফকে যথাস্থানে রেখে এসে মেঘকে বুকে নিয়ে শুয়ে পরে।
দুপুরে,
-আমান উঠুন আমাকে নিয়ে বাথরুমে দিয়ে আসুন ওজু করে নামাজ পরে নিবো।
-হুম(এখনো ঘুমের মধ্যে আরো বেশি করে জরিয়ে ধরছে আমাকে)
-আমান কয় ওয়াক্ত নামাজ কাজা গেছে খেয়াল আছে কোন আপনার।
-হুম।
-কি হুম হুম করে যাচ্ছেন উঠুন।
আমান এবার উঠলো কিন্তু ঘুম চোখে পাশে রাখা পানি টুকু খেয়ে। মেঘকে নিয়ে নামাজ আদায় করে নিলো।
এভাবে দুষ্টুমিষ্টি ভালেবাসার মধ্যে দিয়ে পার হলো ৫ দিন আমানের পুরো পুরি খেয়াল রাখাতে এখন মেঘ পুরো সুস্থ। আমান কখনো মেঘকে অপ্রস্তুত ভাবে স্পর্শ করে নি।
বেশ ভালেই কাটছে দিন দুজনের।
ওদিকে,
-রনি আমি এতো টুকু তো বুঝে গেছি ওরা সবাই জ্বিন ছিলো। শুধু মাত্র মেঘ নামের মেয়েটা জাকে দেখতে গেলাম সে বাদে। কিন্তু এখন আমাকে পুরো পুরি সব তথ্য বার করতে হবে মায়াবিনি মেয়েটাকে ওখান থেকে নিয়ে আসতে হবে (আকাশ)
-স্যার কিন্তু তার কি একটুও বুঝতে পারেনি আপনি ডক্টর এর পাশা পাশি অন্য রকম ক্ষমাতা রাখেন। জ্বিন বস করার। (রনি আকাশের সহচর তার সমস্ত কাজের এক মাত্র সঙ্গী)
-নাহ রনি ওদের বুঝতেই দেয় নি৷ আমি অতোটাও বেবদ না।
-কিন্তু স্যার সব জানতে গেলে তো আমানের দ্বিপে যেতে হবে।
-হ্যা দরকার পরলে তাই যাবো।
-কিন্তু স্যার লাইফ রিস্ক।
-রনি মেয়েটাকে বাচাতে সব করবো। ওকে একটা বার দেখেই অনেক আপন মনে হয়োছে।। ওকে আমায় বাঁচাতে হবে।
-কিন্তু স্যার মেয়েটার বিয়ে হইছে তার সাথে আর সে মরবে বা কেন। আমান নামক জ্বিন তাকে খুব ভালোবাসে আর তা ছাড়া তার পরিবার তাকে ওর সাথে বিয়ে দিয়েছে।
-আচ্ছা রনি সবকি এতই সহজ। অবশ্যই কোন বাদ্ধতার জন্য তারা তার মেয়েকে ওমন একটা যায়গায় বিয়ে দিয়েছে। আর মেয়েটা কেন মরবে জানিস৷ করন মেয়েটা ওই আমানের স্পর্শ সইতে পারবে না।আমান এক জন জ্বিন সে আগুনের তৈরি। তাদের স্পর্শ আগুন থেকে তিব্র হয়৷ মানুষের সহ্য করার ক্ষমতার বাইরে সেই যন্ত্রনা। আর জদি আমানের বাচ্চা ওর পেটে চলে আসে তাহলে সেই বাচ্চা জন্ম দিয়ে ওর বাঁচার চান্স মাত্র ০.০১%। আবারও বলি জ্বিনরা আগুনের তৈরি হয়। একটা স্বাবাভিক মানুষের অনেকটা শক্তির প্রয়োজন পড়ে। যা পৃথিবীর কোন মানুষের ভেতর থাকে না।
-কিন্তু স্যার আপনি কি করে সবটা বার করবেন।
-এতেটা জখন বার করছি বাকিটাও পারবো। তুমি বোট রেডি করো আমরা ওই দ্বিপে যাবো।
-জী স্যার। আপনি জেটা ভালে মনে করেন।
রনি চলে যায়৷ আর আাকাশ ভাবতে থাকে কি করে কি করা যায়।
এদিকে,
-তুমি না অনেক জিদি হয়ে যাচ্ছো । এইটুকু আছে খেয়ে নিতে কি হচ্ছে মেঘ।
-আপমি আমাকে মেঘ বললেন। ?
-সরি জান পাখি খেয়ে নেও।
-না……মেঘ কেন বললেন।
-কান ধরেছি হইছে এবার খেয়ে নেও।
আমি উপায় না পেয়ে খেয়ে নিলাম৷ আমান হাত ধুয়ে আমাকে নিয়ে রুমে আসলেন। ।
আমি সুয়ে আছি হাতে একটা বই পরছি আমান ওয়াসরুমে গেছে।
বেরিয়ে এসে হুট করে আমার সারি ভেদ করে পেটে হাত দিলেন।
আমি বই৷ নামিয়ে ওনার দিকে তাকায়৷
-কি হচ্ছে।
-ভালোবাসা হচ্ছে।
-না আমি ওই যন্ত্রণা (তিনি ঠোট দুটো হালকা করে চেপে ধরলেন।)
সেই দিন আমি অপ্রস্তুত ছিলাম আজ না। (নেশা যুক্ত কন্ঠে)
তিনি আমার ঠোঁট দুটো দখলে নিয়ে নিলেন। আমি তার সাথে পারি দিলাম ভালেবাসার এক অবাক করা জগৎ ।৷
।
ফজরের নামাজ আদায় করে আমি ভাবছি আমানকে কি করে বলবো আমি ওকে ভালোবাসি জদিও সে বুঝতে পারছে কিন্তু তাও ওকে একটা সারপ্রাইজ দিলে মন্দ হয় না। কিন্তু সকাল থেকে তাকে দেখছি নাতো কোথাও আল্লাহ জানি কই গেল৷
আমি ওনাকে খুঁজতে বার হালম।
হাটতে হাটতে একটা রুম থেকে আওয়াজ পেলাম চিল্লালো মনে হলো কেউ৷,
আমি দেখি দরজাটা হালকা খোলা। আমি ওই হালকা ফাঁকা দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম।
আমার চোখে যা পরলো নিমিসে আমার পুরে দুনিয়া পাল্টে গেল পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে পৃথিবী কেমন ঘুরছে৷
এটা আমি কি দেখছি,
চলবে,
?