অদ্ভুত-তিনি পার্টঃ 03

0
2848

#অদ্ভুত-তিনি
পার্টঃ03
Megh লা

আমি নিচে গিয়ে তো এতো বড়ো ওও?। পুরা বাসা আমার প্রিয় ফুল (কাঠগোলাপ) দিয়ে সাজানো । একটু আগে তো সব সিম্পিল ছিলো এমা ৫ মিনিট হতে না হতে এতো কিছু কেমনে কি।
-তোমার ওই চোখে আমি পানি নয়। ঠোঁটে হাসি দেখতে চায়। তোমার চোখ দিয়ে পরা দু ফোটা পানি আমাকে অনেক কষ্ট দিসে৷ সরি তোমাকে কাঁদানোর জন্য।
আমি কি বলবো আসলে কি বলা উচিৎ আমার প্রশ্ন তো এক দম যুক্তিক ছিলো৷ আর আমি তো আগে কেঁদেছি এর থেকেও বেশি কেউ কখনো এই ভাবে সরি বলে নি। সব থেকে বড়ো কথা ৫ মিনিট আগে আমি এখানে না ছিলাম।
-পিচ্চি মাথায় আর চাপ দিও না। চলো খাবে চলো।
আমি ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছি তার দিকে।
তিনি আবারো বলে উঠলেন,
-বলছি আমাকে দেখেকি পেট ভরে যাবে।
নেও হয়ে গেল। নির্লজ্জ মেঘ তুই ওভাবে কেন তাকিয়ে ছিলি। কি ভাবলো।
-না চলুন। (হাসার চেষ্টা করে)
মাথার মধ্যে হাজার রকম প্রশ্ন তিনি তো আমাকে আগে দেখেন নি। আরে বিয়ে টাও আপুট সাথে হবার কথা ছিলো। এগুলা এ। নাহ আমি পাগল হয়ে যাবো।
খাবার টেবিলের সামনে আসতে দেখি সব আমার পছন্দের খাবার৷
-আপনি আমার পছন্দ কি করে জানলেন।
-আমি সব জানি। এখন প্রশ্ন বাদ দিয়ে খেয়ে নেও।
আমি বাদ্ধ মেয়ের মতো খেয়ে নি। খাওয়া শেষে আমি তাকে বলি,
-আমিকি এই বাড়িটা ঘুরে দেখতে পারি।
-হুম পারো। কিন্তু ছাদে যাবা না। আর বাসার বাইরে তো জাবার কথা ভাব্বাও না। এটা আমার আদেশ ভেবো।
তার কথা গুলো আমার কাছে কেমন লাগলো। কিন্তু সব ভাবনা বাদ দিয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যা শুচক ভাব দিয়ে চলে আসি বাসাটা ঘুরে দেখতে।
অসম্ভব সুন্দর বাসাটা সব জিনিস পত্র কেমন চোখ ধাতানো। হাটতে হাটতে হটাৎ একটা রুমের সামনে এসে পরলাম। বাইরে থেকে তালা দেওয়া এই প্রথম একটি রুমে তালা দেওয়া পেলাম। ভাবলাম হয়তো কোন দরকারি কিছু হবে হয়তো। আমি চলে আসতে গেলে একটা খট আওয়াজ শুনতে পায়। মনে হচ্ছে ভেতরে কেউ আছে। আমার কেমন আগ্রহ হতে লাগলো আমি দরজার কাছে এগোতে গেলে পেছন থেকে টান অনুভব করি। হটাৎ টান অনুভব করায় আমি ভয় পেয়ে যায়। পেছনে ফিরে দেখি আমান আমার সারির আচল ধরে আছে।
আমি তো অবাক।ওনার দিকে তাকিয়ে আছি। উনি কোন কথা না বলে আমার সারির আচল ধরে টেনে রুমে নিয়ে আসলেন।
-এভাবে কেন নিয়ে এলেন৷
-এমনি।
-ওঘরে কি কেউ থাকে।
-না কেন।
-না কেমন শব্দ(আমার মুখের কথা মুখের রেখে তিনি বললেন)
-এ বাসায় তুমি আমি আর সার্ভেন্টরা ছাড়া তৃতীয় কোন বেক্তি থাকে না। আর ওদিক থেকে নিজেকে দুরে রাখবা আমার বাড়িটা অনেক বড়ো সো তুমি চাইলে অন্য পাশে ঘুরবা।
-ওদিকে কি আছে।
-মেঘ সময় হলে সব জানতে পারবে (আমার অনেক টা কাছে চলে আসলেন)
আমার হৃদয় বার বার কম্পিত হচ্ছে আমার হৃদয়ের কম্পন তিনি শুনতে পারছেন নিঃসন্দেহে. এতে জোরে জোরে কম্পিত হচ্ছে।।
-আ…ব।,আ…মানে, আম, মানে।
-কি আ,,ব।আ,মানে,আম মানে কি বলছো এসব।
-আপনি একটু দুরে জাবেন কেমন কেমন ফিল হচ্ছে ।
-আচ্ছা কি ফিল হচ্ছে (আমার আরো কাছে চলে এলেন কিন্তু স্পর্শ করেন নি আমাকে) ।
-ইয়ে মানে। (অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আমি)
উনি হসলেন।
-তুমি জানো তোমার এই মুখটা কতেটা ভালো লাগে। আয়নাতে নিজেকে দেখেছো কখনো।
মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি। (কি বলবো ওনাকে দেখতে এমনি কতে সুন্দর তার পর এতো কাছে কেমন যে লাগছে কি করে বুঝায়। দুনিয়ার সব ভুলে যাচ্ছি৷ আমার নামটাও)
-শুধুকি আমি সুন্দর তুমি না৷ তোমার এই মায়াবি চোখ। ওই গোলাপি ঠোট৷ হলুদ ফর্সা গায়ের রং। বাসন্তি রং এর এই সারিতে তোমাকে ঠিক কতটা সুন্দর লাগছে তুমি জানো না। মনতো চায়,
-???? (এই লোক কেমনে শুনতে পায় মনের কথা)
-এই দেখ লজ্জায় মুখটা লাল হয়ে আছে। তোমাকে তো আগেও বলেছি আমি সব জানি৷ উনি চোখ বন্ধ করে কিছুটা এগিয়ে আমাকে একটা চুমু দিলেন গালে। কিন্তু এবার কোন ব্যাথা অনুভব হয় নি। আমি পুরাই ফ্রিজ৷ আমার এতে কাছে কখনো কোন ছেলে আসে নি। আমার যে কেমন অনুভুতি বুঝতে পারছি না।
কিন্তু এতো কিছুর মাঝেও প্রশ্ন আমার থেকেই যাচ্ছে।
-এতে ভেবো না৷ তুমি অনেকটা ক্লান্ত তার পর আজ অনেক সকালে উঠছো। একটু ঘুমোউ ভালো লাগবে। (দুরে এসে)
-আপনাকে তো বলি নি আমি ক্লান্ত৷।।
-আমি জানি৷ যাও ঘুমাতে।
-আপনি শুধু কথা ঘুরান৷
-ঘুরাবো না সময় হলে বুঝতে পারবে সব৷
-ধুর সময় সময় করে যান শুধু।।
-মেঘ ঘুমতে যাও (তিনি একটু রেগেই বললেন)
আমি একপ্রকার কিছুটা ভয় পেয়ে ওনার থেকে সরে এসে শুয়ে পরলাম।
আমি শুতে ৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম চলে এলো।
ঘুম থেকে উঠলাম জোহরের আজান শুনে৷ সেই মধুর কন্ঠ আহ যেন শুনতেই থাকি। আমি উঠে দেখি তিনি আমার পাশে আধশোয়া হয়ে বসে আছেন।
-ঘুম কেমন হলো।
-জী ভালো।
-ওজু করে আসুন নামাজ পরতে হবে।
-একটা কথা বলি।
-১০০০ টা বলো জান পাখি।
-জান পাখি?
-তুমি আমার বৌ আমি যা ইচ্ছে তাই ডাকতে পারি।
(বেটা খবিস এতে যখন সক তখন আমার প্রশ্ন এবয়েট করিস কেন)
-কারন এখন উত্তর দিতে প্রয়োজন বোধ করি না।
-আপনি কি করে,
আমার মুখের কথা কেড়ে নিলেন,
-এতো কথা না বলে কি জানতে চাইছিলা তাই বলো।
-এখনে আজান কে দেয় কি মধুর কন্ঠ আমি আগে এমন আজান শুনি নাই।
-এখানে সব কিছুই সুন্দর তাই আজান টাও সুন্দর।
-এটা কোন এলাকা। সারাটা বড়ি পর্দা দিয়ে মুড়া আমি তো বাইরেটা দেখতেও পায় না।
উনি আমার প্রশ্নের জন্য মনে হয় অপ্রস্তুত ছিলেন কিছুটা বিস্মিত হয়ে বললেন,
-পরে বলবে আগে ওজু করে আসো।
(ধুরো আর কিছু জীঙ্গাসই করবো না হুহ?) আমি চলে এলাম বথরুমে।
নিজেই নিজেকে বলতে লাগলাম।
-তোর কপাল পুরা বুঝলি নাইলে এভাবে বিয়ে হতে বল। হলো তে হলো এই রকম অদ্ভুত একটা পরিবেসে। আমার মাথায় প্রশ্নের পাহাড় জমা করে তিনি খলি সময় সময় করে। ধুর তোর সময়ে গুলি মারি৷ আমি আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলছি জদি আর।
হটাৎ আমানের ডাকে হুস আসে,
-কি হলো বাথরুমে কি বালিস দিবো।
আমি জলদি ওজু করে এসে নামাজ আদায় করে নি।
-চলো খাবে চলো। সকালে খেয়েছো আর খাউনি।
আমি ওনার সাথে খেয়ে নিলাম। এবারও আমার পছন্দের সব খাবার।
খেয়ে উপরে আসতে চোখ পড়লে আমানের রুমের সাথে লাগানে বলকনির দিকে৷ আমার মন চাইছে ওখানে গিয়ে কিছুরা সময় কাটায়৷ যেইনা ভবা সেই কাজ চলে গেলাম বেলকনিতে কিন্তু বাইরের কিছু দেখতে পাচ্ছি না পর্দা দেওয়া। আমি পর্দা সরাতে যাবো এমন সময়,

চলবে,
?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে