অতঃপর_তুমি পর্ব-০৯

0
5642

#অতঃপর_তুমি
#পর্ব-৯
Writer: ইশরাত জাহান সুপ্তি

পরদিন সকালে অভ্র ছাড়া সবাই নাস্তার টেবিলে বসে নাস্তা করছি।চম্পা আজকে খুবই বিরক্তিকর ব্রেকফাস্ট সামনে দিয়েছে।জ্যাম পাউরুটি,ডিমসেদ্ধ আর একগ্লাস দুধ।ও’র নাকি আজ সকাল সকাল আর নাস্তা বানাতে ইচ্ছে করছে না।এই নিয়ে অভ্র’র মার কাছে খাবারের আগেই একচোট বকা খেয়ে ফেলেছে।এখন কি আর করার!বসে বসে এই শুকনো খাবার গুলোই হতাশ হয়ে চিবুচ্ছি।এমন সময় হঠাৎ দেখলাম চম্পা সিঁড়ির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।অভ্র’র মা চম্পাকে একটা ধমক দিয়ে মুখ বন্ধ করতে বলে বলল,

‘ওদিকে কি এমন হয়েছে যে মুখের মধ্যে ফুটবলের ময়দান বানিয়ে তাকিয়ে আছিস।’

এই কথা বলে অভ্র’র মা চম্পার দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকাতেই তিনিও হা করে তাকিয়ে রইলেন।বাবারও সেম অবস্থা।তারা যেদিকে তাকিয়ে আছে সেটা ঠিক আমার বিপরীতে।দেখতে হলে পুরো ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে হবে।তাই এতক্ষণ আলসেমি করে দেখছিলাম না।কিন্তু এখন এতগুলো চোখ একদিকেই নিবদ্ধ দেখে আলসেমী ভেঙে আমারও তাকাতে হলো।মুখে আপেলের জ্যাম লাগানো পাউরুটিটা পুরতে পুরতেই পেছনে ঘুরে তাকিয়ে যা দেখলাম তাতে আমিও মুখের কাছে পাউরুটি ধরেই হা হয়ে গেলাম।অভ্র একটি হোয়াইট শার্টের উপর নীল রঙের ব্লেজার,হাতে দামী ব্রান্ডের ব্লাক ওয়াচ,পায়ে চকচকে কালো সুজ পড়ে নেমে আসছে।মুখ পুরো ক্লিন শেভড,চুলগুলো সুন্দর ভাবে ঠিক করে রেখেছে।মুখে আর সেই উদাস,মনমরা ভাবটা নেই।একদম ফুরফুরে মেজাজের মনে হচ্ছে।আমার একবার মনে হলো আমি কি কোনো স্বপ্ন দেখছি।এতো সুন্দর কি আদৌতে কোনো ছেলে হয়!মনে হচ্ছে যেনো এক রাজপুত্র নেমে আসছে। তাকে দেখতে যে এই মুহুর্তে কি সুন্দর লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব না।

অভ্র নিচে নেমে এসে আমাদের সকলের অবাক দৃষ্টি উপেক্ষা করে মাঝখানের চেয়ারটি টেনে বসে পড়ল।চম্পাকে বলল,
‘চম্পা,অফিসের জন্য লেট হয়ে যাচ্ছে।তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট দে।’

চম্পার হতভম্ব ভাব এখনো কাটেনি।এই হতভম্ব ভাব নিয়ে ও একটা ভুলে করে ফেললো।অভ্র’র খালি প্লেটে ব্রেড না দিয়ে মাখন লাগাবার চাকু রেখে দিলো।অভ্র একটা ধমক দিয়ে বলল,
‘এখন কি আমি চাকু খেয়ে ব্রেকফাস্ট সারবো!’

অভ্র’র ধমকে চম্পার হুঁশ ফিরে এলো।শুধু চম্পার নয় আমাদের সবার।চম্পা জিভে কামড় দিয়ে প্লেট থেকে চাকু সড়িয়ে ব্রেড দিলো।বাবা আমাকে অভ্র’র দিকে ইশারা করে ভ্রু উঁচু করে ইশারায় জিজ্ঞাসা করলো ‘ব্যাপার কি?’

আমিও হেঁসে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে বোঝালাম ‘কাজ হয়েছে।’

অভ্র নাশতা সেরে উঠে বলল,
‘কি হলো বাবা?অফিসে যাবে না?আজকে নাকি কোন ফরেইন ক্লায়েন্টদের সাথে মিটিং আছে? আমি অফিসে ফোন করে জানতে পারলাম।তাড়াতাড়ি চলো।মিটিং এটেন্ড করতে হবে না!’

অভ্র আর বাবা অফিসের জন্য বেড়িয়ে পড়লেন।অভ্র’র মা উঠে দাঁড়িয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে বললেন,’এতোদিনে আল্লাহ তা’আলা মুখ তুলে তাকিয়েছেন।আল্লাহ আমার ছেলেটা যেনো এখন পুরো ঠিক হয়ে যায়।তুমি কোনো চমৎকার করে দিও আল্লাহ।’
তার চোখে অশ্রু চিকচিক করছে।খুশির অশ্রু।

ক্লাস শেষ করে বের হতেই আমার মাথাব্যাথা মানে শাওন এসে তার নিত্যদিনের কাজ শুরু করে দিল।আমাকে বিরক্ত করা।এই ছেলেটার সাথে আমার শুধু একটা ক্লাস এক।সেই থেকেই ও আমার পিছু লেগেছে।আমার বান্ধবী তানিয়া বলে শাওন নাকি আমাকে পছন্দ করে।পছন্দ করলেই কি এতো বিরক্ত করতে হবে।একটু বুঝবে না সামনের মানুষটির কেমন লাগছে।

‘অরু…অরু,চলো না ক্যান্টিনে যাই কফি খেতে।’

‘শাওন আমার এখন কফি খেতে ইচ্ছে করছে না, তুমি একাই যাও,থ্যাংকস।’

‘সে কি কথা!একা একা কি কফি খেতে ভালো লাগে নাকি?’

‘কেনো তুমিই তো সেদিন বললে,এই ভার্সিটির সব বড় বড় পলিটিক্যাল সিনিয়ররাও তোমার বন্ধু।তোমার কথায় উঠে বসে।আর ক্লাসমেট ছেলেরা তোমার পেছনে চামচার মতো লেগে থাকে…তাহলে এতো মানুষ থাকতে তুমি মানুষ খুঁজে পাচ্ছো না।তাদের সাথেই কফি খেতে যাও।’

‘তুমি যে কি বলো না!তাতো আমার পেছনে সব মানুষ লেগে থাকেই।তাই বলে কি তোমার সাথে যাওয়া আর তাদের সাথে যাওয়া এক কথা।’

শাওন বোকার মতো মাথায় হাত দিয়ে লজ্জা পেতে লাগলো।আমি বিরক্তিভরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম,

‘আই এম রিয়েলি স্যরি শাওন।অন্য আরেকদিন যাই?আজকে আমার সত্যিই একদম ইচ্ছে করছে না।’

আমি এগিয়ে যেতে নিলাম কিন্তু আবারও শাওন পিছন থেকে এসে ডাকা শুরু করে দিলো,
‘অরু..অরু,এক সেকেন্ড,বলো তো আমার নিউ হেয়ার স্টাইলটা দেখতে কেমন হয়েছে?’

আমি ওর চুলের দিকে খেয়াল করে তাকালাম।একটু আগেই ক্লাসে স্যার শাওনের চুল নিয়ে একটি রসিকতা করেছে।জোবায়ের স্যার ক্লাসে পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছিলো।তার পড়ানোর সময় কোনো টু শব্দও তিনি পছন্দ করেন না।এমনিতে দেখলে মনে হবে একদম মাটির মানুষ।ধমক দিয়ে কথা বলা তো দূরে থাক,রাগ যেন স্বভাবেই নেই।কিন্তু স্যার যে আসলে কি তা ক্লাসের সবাই জানে।স্যার যখন পড়া বোঝাচ্ছিলো তখন শাওন অন্য দিকে তাকিয়ে মৃদু গুনগুন করে গান গাইছিলো।স্যার হঠাৎ পড়া বুঝানো থামিয়ে বলল,
‘এই যে আমাদের ক্লাসের গায়ক সাহেব আপনি একটু কষ্ট করে উঠে দাঁড়ান তো।’
শাওন থতমত খেয়ে উঠে দাঁড়ালো।স্যার খুব নয়ম গলায় বললেন,

‘গায়ক সাহেব,আমার পড়ায় আপনি এমন কি রোমান্টিকতা খুঁজে পেলেন যে আপনি হঠাৎ গান গাওয়া শুরু করে দিলেন।’

শাওন বললো,’স্যার মিস্টেক হয়ে গেছে আর হবে না।’
‘না না আপনি এর কারণ বলুন।আমার হাই স্কুলের হেডমাস্টার বলতেন,সকল বাচ্চাদের উচিত পড়ালেখার প্রেমে পড়া।পড়ালেখার প্রেমে পড়াটা কেমন এটা আমি এখন অব্দি বুঝতে পারিনি।আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি পড়ালেখার প্রেমে পড়েই এমন পড়ার সময় গান গাইছেন।কারণ সিনেমাতে তো দেখা যায় এমন গান শুধু প্রেমিক প্রেমিকাকে সামনে দেখলেই গায়।’
পুরো ক্লাসে হাসির বন্যা বয়ে গেলো।আর গায়ক সাহেব ফ্যাকাসে একটা হাসি দিয়ে কান চুলকাতে লাগলেন।স্যার মনে হচ্ছে আজকে আর শাওনকে ছাড়ছে না।আবারও ডেকে বললেন,
‘বাবা,তোমাদের বাসায় কি ঝাড়ু নেই?’

শাওন বলল,’কেনো স্যার?আছে তো।বনফুলের ঝাড়ু তিনটা আর শলার ঝাড়ু দুইটা।’

‘বাব্বাঃ অনেক ঝাড়ুই তো দেখছি তোমাদের আছে।তা এতো ঝাড়ু থাকতে আবার তোমার মাথার চুলগুলাকে এমন লম্বা লম্বা বানিয়ে বাদামী রঙের ঝাড়ু বানিয়ে রেখেছো কেনো?’

স্যারের কথায় শাওন একটা ভাব নিয়ে হেসে বলল,
‘স্যার ইট’স এ নিউ হেয়ার স্টাইল।আজকাল তো সবাই করছে।’
স্যার চশমার ফাঁক দিয়ে চোখ বড় বড় করে অবাক হয়ে বললেন,
‘ঝাড়ুও আজকাল স্টাইল হয়ে গেছে!এখনতো মনে হচ্ছে তাহলে বাজাড়ে ঝাড়ুর দামও বেড়ে যাবে।’

স্যারের কথায় আরেকবার পুনরায় ক্লাসে হাসির বন্যা বয়ে গেলো।জোবায়ের স্যার নরম গলায় মানুষকে জব্দ করতে বেশ ভালোই পারেন।শাওন সিটে বসে পরে বিরক্ত হয়ে বলল,
‘উফ!এই ওল্ড পিপলরা না আজকালকার কোনো ফ্যাশনই বোঝে না।’

শাওন আমার মুখের দিকে উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার উত্তরের অপেক্ষায়।ও’র চুলের দিকে তাকিয়ে অনেক কষ্টে আমি হাসি চেপে রাখছি।কানের চারপাশের চুলগুলো ছোটো করেই কাটা কিন্তু মাথার সামনের একগাছি চুল ইয়া লম্বা লম্বা মেয়েদের মতো সাইডে রেখে দিয়েছে।এই চুলগুলোতেই বাদামী কালার করেছে।স্যার তো বলেছিলো দেখতে ঝাড়ুর মতো লাগছে কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে পুরো একটা পাখির বাসার শুকনো খড়কুটোর মতো।শাওন এমনিতে দেখতে ভালোই তবে ওর এই হেয়ারস্টাইলে দেখতে খুব হাস্যকর লাগছে।অনেক কষ্টে হাসি চেঁপে রাখলেও একটু একটু বেড়িয়েই আসছে।তা দেখে শাওন ভাবছে আমি বোধহয় ও’র চুল দেখো ইমপ্রেসড হয়ে হাসছি।

শাওন শুরু করে দিলো,
‘চলো না অরু,একটু বসে গল্প করি।’

‘নাহ!এখন আমার কাজ আছে।’

‘কিসের কাজ?তোমার তো এখন একঘন্টার মধ্যে কোনো ক্লাস নেই।’

‘আমি বাসায় চলে যাবো।’
‘কেনো?’
আমি বিরক্ত মুখে বললাম,
‘একটু কাজ আছে বললাম তো।’

আমি চলে যাচ্ছিলাম কিন্তু আবার শাওন পেছন থেকে বলল,
‘অরু,তোমার ফেসবুক আইডির নাম কি?’
‘আমার ফেসবুক একাউন্ট নেই।’
‘তাহলে ফোন নামবা…..

শাওনকে পেছন থেকে ও’র একটা বন্ধু ডাকায় ও ঘাড় ঘুরাতেই আমি একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ঝটপট সেখানে থেকে বিদায় নিলাম।এখন নিশ্চয়ই ফোন নাম্বার চেয়ে চেয়ে মাথা খেতো।এই ছেলেটাকে নিয়ে আর পারছি না।কয়দিন আগে দেখেছি আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে শোভার সাথে ঘুরতে।এখন আবার আমার পেছনে পড়েছে কেনো আল্লাহ জানে!
মাথা খারাপ করে দেয় পুরো।বিরক্ত মুখে আমি রাস্তায় বেরিয়ে পড়লাম।ভার্সিটির সেকেন্ড গেট দিয়ে বের হওয়া এই রাস্তাটা খুবই নিরিবিলি।প্রশস্ত রাস্তা হাঁটতেও ভালো লাগে।আমি রাস্তার সাইড দিয়েই হাঁটছিলাম তবুও একটি গাড়ি পেছনে সেই কখন থেকেই অনবরত হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছে।প্রথমে পাত্তা দিচ্ছিলাম না কিন্তু পরে আর থামছে না দেখে মাথা গরম হয়ে গেলো।এমনিতেই বিরক্ত ছিলাম তার উপর আবার এই গাড়ির হর্ন।সবকিছু মিলিয়ে বিরক্তি,রাগে দাঁতে দাঁত চেঁপে পেছনে ঘুরে তাকালাম।গাড়িওয়ালা কে আচ্ছা করে একটা বকা দিতে হবে।পেছনে ঘুরেই দেখতে পেলাম ড্রাইভারের সিটে অভ্র।

অভ্র তার বাম দিকের সিটের দরজাটা খুলে দিলো।আমি ভেতরে গিয়ে বসলাম।

‘তোমার কানে কি কোনো প্রবলেম আছে ?কতক্ষণ ধরে হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছি তবুও ফিরে দেখছিলেই না।’

আমি একটু হেঁসে বললাম,
‘স্যরি আমি আসলে খেয়াল করিনি।’

‘কোথায় যাচ্ছিলে?’
‘বাসায়।’
‘আর ক্লাস নেই?’
‘আছে,আরো একঘন্টা পর।’
‘তাহলে বাসায় যাচ্ছিলে কেনো?’
‘আমি আর ক্লাস করবো না তাই।’
‘অরু,এটা কিন্তু একদম ঠিক না।ক্লাস ব্লাঙ্ক করা একদম ভালো না।ভার্সিটির সব ক্লাসগুলো করতে হয়।নয়তো ভালো রেজাল্ট আসে না।’

ঐ যে শুরু হয়ে গেলো আবার তার জ্ঞানী জ্ঞানী ভাষণ।আমি ঈষৎ বিরক্ত হয়ে বললাম,

‘উহ!সবসময় কি করি নাকি।আমি তো বাসাতেই যাচ্ছি।আপনি তো ক্লাস ব্লাঙ্ক করা এভাবে বলছেন যেনো আমি ক্লাস বাদ দিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যাচ্ছি।’

অভ্র আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।আমি কথা ঢাকতে বললাম,
‘আপনি আজ হঠাৎ এই রাস্তায়?’
‘এমনিতেই এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম।ভাবলাম তোমাকে পেলে একসাথেই বাসায় যাই।’

রাস্তার পাশে একটি ফুচকার দোকান চোখে পড়লো।আমি অভ্রকে গাড়ি থামানোর জন্য উৎফুল্ল হয়ে তাগাদা দিতে লাগলাম।অভ্র গাড়ি থামিয়ে বলল,
‘কি হয়েছে এমন শুরু করলে কেনো?’
আমি হাত দিয়ে রাস্তার বাম পাশে ইশারা করে দেখালাম,
‘ফুচকার দোকান!’
‘তো?’
‘তো আবার কি!ঐটা ফুচকা।আমার ফেবারিট।খাবো আমি।’
‘এখন এই ভরদুপুরে মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে তুমি ফুচকা খাবে?’
‘দাঁড়িয়ে খেতে হবে না।দেখুন ওখানে বসার টুল আছে।’
অভ্র কপালে হাত দিয়ে ক্লান্তিকর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
‘চলো।’

আমি খুশি হয়ে গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত রাস্তা পার হয়ে ফুচকার স্টলে চলে আসলাম।অভ্র আমার পেছনে দৌড়ে এসে বললো,
‘এভাবে এতো তাড়াহুড়ো করে কেউ রাস্তা পার হয়।যদি কোনো গাড়ি এসে পড়তো?কি আছে এই ফুচকায় যে তুমি এতো অধৈর্য্য হয়ে পড়েছো?’

‘কি আছে মানে?পৃথিবীর সবথেকে বেস্ট খাবার এটা।’
‘হয়েছে আর বলতে হবে না।এবার তাড়াতাড়ি খাও।তিনি বিরক্ত মুখ করে কপালের ঘাম মুছে রাস্তার দিকে তাকিয়ে তার সাদা শার্টের হাতাটি ফোল্ড করতে লাগলেন।গাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সে তার ব্লু ব্লেজারটা খুলে এসেছে।রোদের তাপে উনি ভ্রু ভাঁজ করে চোখ ছোটো করে রেখেছেন।সোনালী রোদে বিরক্ত মুখ করা ঘর্মাক্ত অভ্রকে দেখতে ভালো লাগছে।আমি তার দিকে তাকিয়ে একটি মুচকি হাসি দিয়ে ফুচকা খাওয়ায় মন দিলাম।

চলবে,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে