অতঃপর দুজনে একা পর্ব-১৪

0
1591

#অতঃপর দুজনে একা – [১৪]
লাবিবা ওয়াহিদ
[কপি সম্পূর্ণ নিষেধ]

————————
আয়ন্তিদের এপার্টমেন্টটা ছয় তলা বিশিষ্ট। প্রতিটি ফ্লোরে তিনটা করে ইউনিট। বড়ো ফ্যামিলি, ছোট ফ্যামিলি কম বেশি সবাই এই এপার্টমেন্টে আছে। এছাড়া এপার্টমেন্টটা পরেছে ভার্সিটি এরিয়ায়। যার ফলে স্টুডেন্টদের সুবিধার জন্যে বাড়িওয়ালা ভাড়া দিয়ে থাকেন। তাই ফ্যামিলির থেকেও বেশি স্টুডেন্ট আছে এই এপার্টমেন্টে। এপার্টমেন্ট খুব একটা লাক্সারি নয়। তবে স্টুডেন্ট, বিশেষ করে মেয়েদের সুরক্ষার জন্যে কড়া গার্ডসহ প্রতি ফ্লোরেই সিসি ক্যামেরা লাগানো। বাড়ির বাহিরেও আছে অবশ্য। ছেলে-মেয়ে উভয়-ই এই এপার্টমেন্টে থাকে। সেক্ষেত্রে মাহবিন আয়ন্তিদের অপজিট ফ্ল্যাটের দরজা খুলছে। যবে থেকে এসেছে, তবে থেকে এই ফ্ল্যাটে তালাই ঝুলতে দেখেছিলো আয়ন্তি। তালা ঝোলার কারণ-ও অবশ্য আছে। ফ্ল্যাট ছিলো সম্পূর্ণ খালি। আয়ন্তিদের বাম পাশের ফ্ল্যাটে হচ্ছে সেই আন্টি যে নীলাকে স্নেহ করে। আয়ন্তির উত্তর না দিয়ে মাহবিনও বিষ্ময়ের সাথে আওড়ায়,
–“তুমি?”
–“আপনি এখানে কী করছেন?”
–“তুমি এখানে কী করছো? তোমার বাসা তো এটা নয়।”
–“আমারও সেটাই প্রশ্ন। আপনি এখানে কী করছেন? আপনারও নিশ্চয়ই এখানে কোনো কাজ নেই?”
–“কাজ আছে দেখেই তো নিজের বাড়ি ছেড়ে এখানে ভাড়া নিতে হয়েছে।”
–“কী কাজ?”
–“কাছেপিঠেই বড়ো এক প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে। বাড়ি থেকে এখানের দূরত্ব অনেক। তাই বাধ্য হয়েই ভাড়া নিয়েছি, যাতে নিজ উদ্যোগে সবটা যাচাই করতে পারি।”
–“ও আচ্ছা।”
–“এবার তুমি বলো। এখানে কী করছো?”
–“এমা জানেন না? আমি তো এখানেজ থাকি। সেদিন না আমায় পৌঁছে দিলেন?”
–“এক্সকিউজ মি। সেদিন আমি নই, আমার সেক্রেটারি সুজন তোমায় পৌঁছে দিয়ে গেছে। আমি তো মাঝ রাস্তা থেকেই ইমার্জেন্সি কাজে চলে গেছিলাম।”

আয়ন্তির সেই দিনের কথা মাথায় এলো। হ্যাঁ, মনে পরেছে। সেদিন তো মাহবিন মাঝ রাস্তাতেই নেমে পরেছিলো ফোনে কথা বলতে বলতে। সে কী করে চিনবে এই বাড়ির কথা? কিন্তু সুজন তো জানে, সে কেন বলেনি? আয়ন্তির হঠাৎ মাথা ভনভন করে উঠলো রাগে। রাগটা নিজের প্রতি। এমন বো’ কামী কেউ করে? সুজন খামাখা কেন মাহবিনকে সব বলতে যাবে? সুজন তো আর আয়ন্তির এক্সেট বাড়িটা চিনে না। মাহবিনের ডাকে আয়ন্তির হুঁশ ফেরে।
–“কোথায় হারালে? এন্সা মি। এখানে কী করছো?”

আয়ন্তি অপ্রস্তুত হয়ে পরলো। কী বলবে মাহবিনকে?মাহবিনকে পার্সোনাল ম্যাটার বলাটা নিশ্চয়ই ভালো দেখায় না। অস্বস্তিতে জিহবা দ্বারা অধর ভিঁজিয়ে নিলো। কিছুক্ষণ সময় নিয়ে আমতা আমতা করে বললো,
–“একচুয়ালি, বাড়ি থেকে ভার্সিটি দূর। আমার ভালো লাগে না রোজ, রোজ এত জার্নি করতে। তাই কাজিনের সাথে এখানে থাকা শুরু করেছি।”

মাহবিন হ্যাঁ, না কিছু বললো না। আয়ন্তিকে না ঘেটে দরজা খুলতে খুলতে বললো,
–“তাহলে ভার্সিটি যাও।”

আয়ন্তি মাহবিনের দিকে তাকিয়ে রইলো। মাহবিন তার ফ্ল্যাটে ঢোকার মুহূর্তে-ই নীলা বেরিয়ে আসলো। মাহবিনকে দেখে সে নিজেও ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো। অস্ফুট স্বরে বলে ওঠে,
–“আরে মাহবিন ভাইয়া।”

মাহবিন নীলার দিকে তাকালো। শান্ত তার সেই দৃষ্টি। আয়ন্তির হাত ঘড়ির দিকে খেয়াল যেতেই আয়ন্তি নীলাকে একপ্রকার টানতে টানতে বললো,
–“আলাপ-আলোচনা পরে করিস। অলরেডি লেট করে ফেলেছিস, এখন না বেরোলে খবর খা’ রা’প আছে। দ্রুত চল।”

আয়ন্তি নীলাকে টানতে টানতে সিঁড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। নীলা পেছন ফিরে মাহবিনের উদ্দেশ্যে বললো,
–“ভার্সিটি থেকে এসে কথা হবে ভাইয়া।”

মাহবিন সৌজন্যমূলক হাসি দিলো। অতঃপর হাতের সাহায্যে ওদের বিদায় জানালো।

————-
–“বাহ বাহ! প্রেমের টানে দেখছি সোজা পাশের ফ্ল্যাটে উঠেছে। কাহিনী কী বলতো?”
–“তোর কী মনে হচ্ছে না ইদানীং একটু বেশি বুঝতাছিস?”
–“ওমা। বেশি বুঝার কী আছে? চোখে যা দেখলাম তাইতো বললাম।”
–“চোখের দেখা সবসময় সত্যি হয় না।”
–“তাহলে চোখের বাহিরের সত্যিটা কী?”

আয়ন্তি মাহবিনের বলা সব কথা একে একে খুলে বললো। নীলা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে সবটা শুনলো। অতঃপর কী মনে করে বললো,
–“যাক, তোরা কাছাকাছি থাকলেই ভালো।”
–“মানে?”
–“মাহবিন ভাই তোকে বুঝবে।”

আয়ন্তি উত্তরে কিছু বললো না। রিকশাতে আর কারো কোনো কথা হলো না। ক্লাস শেষে দুজন বেরিয়ে আসতেই দেখলো রিয়ন দাঁড়িয়ে আছে। রিয়নকে দেখে দু’জনেই চমকালো বেশ৷ নীলা ভ্রু কুচকে বলে ওঠে,
–“কী গো, এতদিন পর মনে পরলো আমাদের?”

রিয়ন ভ্রু-দ্বয় কুচকে নীলার মাথায় গাট্টা মারলো। নীলা মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বিরক্তিকর কন্ঠে শুধালো,
–“রিয়ন ভাই।”
–“কাজ ফেলে তোর পিছে লাইন ধরে দাঁড়াই থাকবো নাকি আমি? এসব উদ্ভট কথাবার্তা বন্ধ কর।”

মুখ ভেংচি কাটলো নীলা। আয়ন্তি স্মিত হেসে বললো,
–“আজ হঠাৎ কী মনে করে?”
–“এইতো, প্রথম মাসের স্যালারি পেলাম। ভাবলাম এই স্যালারি দিয়ে তোদের সাথে উদযাপন করি।”
আয়ন্তির চোখ-মুখ ঝিলিক করে উঠলো আনন্দে। খুশিতে গদগদ হয়ে বলে,
–“সত্যি?”
–“হ্যাঁ। মুনিয়া, তানজিলা, আমির ওদেরও বলেছি।”
–“ওয়াও। এত ভালো হলা কবে থেকে রিয়ন ভাই?”
–“আবার চ”ড় খাবি?”
–“এই তোমার সমস্যা কী? আমার কথা কী তোমার সহ্য হয় না?”
–“তোর কথা আমার কানে প্যাচ প্যাচের মতো লাগে। তুই আবার কথা কবে বললি?”
–“রিয়ন ভাই!”
–“আচ্ছা থামো তোমরা। তা রিয়ন ভাই, কী করবা ঠিক করেছো? প্ল্যানিং কী?”
–“ভাবছি তোদের ফ্ল্যাটেই সব আয়োজন করবো। মুনিয়াদের আমি তোর বাসার কথাই জানিয়ে দিয়েছি।”

——————–
–“সোনিয়া। সত্যি আমার টাকার প্রয়োজন। আমি লস খেয়েছি, কয়বার বলব তোমাকে?”
–“আমিও বুঝেছি শাকিল। কিন্তু দেখো, মাহবিন আমাকে বা তোমাকে পাত্তাই দিলো না। কী করতে পারি বলো তো?”

এবার যেন শাকিল চটে গেলো। বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ফোঁস করে উঠে বলে,
–“তোমার যা মন চায় তাই করো। আজই আমায় তুমি সু’দ তুলে দিবা।”
–“বাট শাকিল…”
–“এট এনি কস্ট।”

শাকিল বসলো না। টাই ঢিলে করতে করতে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। সোনিয়া চিন্তিত মুখে শাকিলের যাওয়ার পানে তাকিয়ে রয়। কী করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। কিছু সময় ভাবার পর তার মাথায় এলো মাহবিনের রুমের কথা। মাহবিন তো এখন বাড়িতে নেই। এনি হাউ প্রোপার্টির কাগজ আর বড়ো এমাউন্টের টাকা পেলেও পেতে পারে? সোনিয়া তার এলোমেলো চুল ঠিক করে মাহবিনের রুমে চলে গেলো।

–“স্যার, দেখেন আপনার রুমে আপনার মা প্রবেশ করেছে।”
সুজনের কথায় মাহবিন হাতের ফাইল টেবিলে রেখে দ্রুত সুজনের কাছে ছুটে আসলো। অতঃপর ল্যাপটপে দৃষ্টি বুলালো। সোনিয়া তন্নতন্ন করে কিছু খুঁজে চলেছে। হাসলো মাহবিন। হয়তো আন্দাজ করতে পেরেছে সোনিয়ার উত্তেজনার কারণ। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সোনিয়া মাহবিনের রুম থেকে এক আনাও পেলো না। প্রোপার্টির কাগজ তো দূরে থাক। ভীষণ হতাশ দেখালো তাকে। এই হতাশায় জর্জরিত মুখশ্রী দেখে মাহবিন যেন পৈশাচিক আনন্দ পেলো। সাথে এক বিরাট পরিকল্পনাও সাজিয়ে ফেললো। সুজন মাহবিনের বাঁকা হাসির দিকে তাকিয়ে বলে,
–“কী ভাবছেন স্যার?”
–“বু’ লেট রেডি করছি সুজন। আশা করছি সঠিক জায়গায় গিয়েই লাগবে।”

সোনিয়া উপায়ন্তর না পেয়ে সেদিন বড়ো এমাউন্টের টাকা সুদে তুলে দিলো শাকিলকে। শাকিলও সেগুলো পেয়ে খুশিতে গদগদ হয়ে নতুন করে প্রজেক্ট রেডি করতে ধ্যান দেয়৷

——————–
রিয়নের ট্রিট হিসেবে সকল ব্যবস্থা করা হয় আয়ন্তিদের ফ্ল্যাটে। সেদিন নীলাদের অপর রুমে মেয়ে দু’জন ছিলো না। তাই তাঁরা নিজেদের মতো করে উল্লাসে মেতে ছিলো। বাহির থেকে কিছু ট্রিট ফুড আর ডিনারের অর্ডার দেয়া হয়। বাকি’রা আপাতত লিভিংরুমে বড়ো পাটি বিছিয়ে বসেছে। পাটিটা পাশের ফ্ল্যাটের আন্টির। আন্টিদের বাসা থেকে ঠান্ডা কোক আনার মুহূর্তে নীলার মনে পরলো মাহবিনের কথা। সে সময় বিলম্ব না করে মাহবিনের ফ্ল্যাটের দরজায় কড়াঘাত করলো। মিনিট দু’য়েকের মাঝে মাহবিন দরজা খুললো। দরজা খুলতেই হাতে দুই লিটারের কোকাকোলা নিয়ে নীলাকে আবিষ্কার করলো। নীলা সৌজন্যমূলক হাসি দিয়ে বলে,
–“সকালে তো কথা হলো না, তাই এখন আসলাম।”
–“বলো, কী বলার আছে?”

নীলা এদিক সেদিক তাকিয়ে আমতা আমতা করে বললো,
–“আমরা কাজিন’রা মিলে পার্টি দিচ্ছি। আপনি থাকলেও বেশ আনন্দিত হবো ভাইয়া।”
–“তোমরা কাজিন’রা মিলে টাইম স্পেন্ড করছো। আমি বাইরের মানুষ কী করবো?” ভ্রু কুচকে আওড়ায় মাহবিন।
–“ছিঃ ভাইয়া। এ কথা বলবেন না প্লিজ। আপনাকে কখনোই আমরা বাইরের মানুষ মনে করিনি। প্লিজ আসুন, অনুরোধ করছি।”

মাহবিন কিছু সময় নিলো সিদ্ধান্ত জানাতে। মিনিট তিনেক সময়ে নিয়ে বললো,
–“ওকে চলো। আমি ফ্ল্যাট লক করে আসছি।”
–”আচ্ছা ভাইয়া। আমি অপেক্ষা করছি।”

মাহবিন ভেতরে চলে গেলো চাবি আনতে। দরজা লক করে নীলার দিকে লক্ষ্য করে বললো,
–“বোতলগুলো আমার কাছে দিতে পারো। তোমার তো মেবি সমস্যা হচ্ছে।”

নীলা বিনা-বাক্যেই মাহবিনের হাতে দুই বোতল ধরিয়ে দিলো। সত্যি-ই তার হাত ভীষণ ব্যথা করছিলো। নীলা তাদের ফ্ল্যাটের সামনে এসে ভিঁজিয়ে রাখা দরজাটা খুলে ফেলে এবং মাহবিনকে নিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। মাহবিনকে দেখে উপস্থিত প্রত্যেকেই চমকালো ভীষণ। তবে এই বিষ্ময় রিয়নের মধ্যে বেশি কাজ করছে। মাহবিন রিয়নের দিকে তাকিয়ে পুণরায় নজর ঘুরিয়ে ফেললো। আয়ন্তি মাহবিনের কাছে চলে গেলো। অতঃপর কোকের বোতল দু’টো নিতে চেয়ে বললো,
–“আমায় দিন। আপনার খামাখা কষ্টের প্রয়োজন নেই।”
–“দরকার নেই। কোথায় রাখতে হবে বলো, আমি হেল্প করছি।”

আয়ন্তি নীলার পানে তাকালো। দাঁত কেলিয়ে আয়ন্তির পানেই তাকিয়ে আছে। আয়ন্তি চোখ রাঙালো। মাহবিন কোকের বোতল ভর করছে, এ নিয়ে নীলার কোনোরূপ দ্বিধা- দোটানা নেই। এছাড়া এটা তো কাজিনদের আড্ডা। মাহবিনকে কেন ডাকলো? এখন তো আয়ন্তি চাইলেও মন খুলে কথা বলতে পারবে না। কী এক অসহ্যকর অবস্থা। রিয়ন আয়ন্তি এবং মাহবিনকে নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করলো, কিন্তু কিছু বললো না। নিরবে চেয়ে রইলো তাদের পানে। তানজিলা খুশিতে গদগদ হয়ে বলে,
–“আরে, মাহবিন দ্য সাইলেন্ট কিলার যে!”

মাহবিন হাসলো, নিরব হাসি। মুনিয়াও শক খেয়ে বললো,
–“আপনাকে একদম এক্সেপ্ট করিনি মাহবিন ভাইয়া। এতদিন পর…”

মুনিয়াকে বলতে না দিয়ে নীলা বলে ওঠে,
–“আমি ওনাকে নিয়ে এসেছি। এছাড়া ওয়াসিফের সাথে মাহবিন ভাইয়ার কোনো তুলনা নেই। আমি নিজে সাক্ষী আছি, তাই প্লিজ! কেউ মাহবিন ভাইয়াকে ওয়াসিফ ভাইয়া সম্পর্কে কেউ কিছু বলবে না।”

নীলা যেন কথাগুলো রিয়নকে উদ্দেশ্য করেই বললো। এটা অবশ্য মাহবিন বেশ বুঝতে পেরেছে। আয়ন্তি মাহবিনের উদ্দেশ্যে মৃদু স্বরে শুধায় বলে,
–“পাটির মাঝখানে বোতল দুটো রাখুন।”

মাহবিন বিনা-বাক্যে সেখানে চলে গেলো। আয়ন্তি মাহবিনকে নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করলো। সবুজ টি-শার্ট এবং কালো টাউজার পরে আছে সে। কী সুন্দর লাগছে। সারাদিন তাকিয়ে থাকলেও যেন হবে না আয়ন্তি। আমিরের জোরাজুরিতে মাহবিন তার পাশেই বসলো। তানজিলা যেন মাহবিনের পাশে বসতে চেয়েছিলো। কিন্তু তার আগেই নীলা আয়ন্তিকে মাহবিনের পাশে বসিয়ে দিলো। আয়ন্তির সর্বাঙ্গে যেন মুহূর্তে-ই ব’ জ্রপাত বয়ে গেলো। শরীর শিড়শিড় করছে আয়ন্তির। অধরজোড়াও মৃদু কম্পনরত। কী হচ্ছে, কী হবে, কী হওয়া উচিত তা কিছুই আয়ন্তির মস্তিষ্ক ধারণা করতে সক্ষম হচ্ছে না। আদৌ মাহবিন তার পাশে বসে আছে? সত্যি? নাকি ভ্রমে আছে আয়ন্তি?

~চলবে, ইন শা আল্লাহ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে