?ভোর? পর্বঃ ০৫।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
আলোর বাবা-মাকে বিদায় দিয়ে ওরা সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়ল। আজ যে পার্টি আছে তার ই এরেঞ্জ মেন্টের দেখাশুনা যে ভোরকেই করতে হবে। তাই দেড়ি না করে ভোর আলোকের মাথায় দোষ দিয়ে আলোর বাবা-মায়ের কাছে আলোকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল।
ওরা বাড়ির গেট দিয়ে গাড়ি নিয়ে ঢুকছে তখন আলো দেখলো অলরেডি ক্যাটারিং এর লোকজন তাদের কাজ শুরু করে দিছে। ভোর গাড়ি থেকে নেমে ক্যাটারিং এর লোকদের কাছে গিয়ে আর আলো বাসার ঢুকে সোঁজা উপরে বেডরুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো। ৫মিনিট পর ভোর এসে….
|
ভোরঃঃ কি ব্যাপার তুমি শুয়ে পড়লে যে? বাহিরে থেকে এসে ফ্রেশ হইছো? চলো ওঠো…
|
আলোঃঃ উফফফফ আমি কি একটু শান্তিতে শুয়ে থাকতেও পারব না এখন? ((বিরক্তিকর কন্ঠে))
|
ভোরঃঃ শুয়ে থাকো কিন্তু আগে ফ্রেশ হয়ে…
|
বলেই আলোকে কোলে নিয়ে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলো ভোর। তারপর রাগীমুডে ফ্রেশ হয়ে এসে শুয়ে পড়লো। আর ভোর বের হয়ে গেলো।
|
দুপুরে আলো একা একাই লাঞ্চ করে নিলো। তারপর বেডরুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো কিন্তু সাথে সাথে উঠে বসলো এইভেবে….
|
আলোঃঃ উনি বলেছিলো ওনার সিক্রেট রুমে সব। উনি বাসায় নাই এখন আমাকে এই সিক্রেট রুমটা খুঁজতে হবে।
|
তারপর আলো উঠে সারাবাড়ির সব রুমে গেলো কিন্তু সিক্রেট রুম খুঁজে পেলো না তাই হতাশ হয়ে নিজের রুমে ফিরে এলো। রুমে এসে দেখে ভোর বসা। ভোর আলোকে দেখে…
|
ভোরঃঃ কি খুঁজে পেলে না আমার সিক্রেট রুম! আমাকে বললেই আমি নিয়ে যেতাম। চলো তোমাকে নিয়ে যাই।
|
বলেই আলোর হাত ধরে ভোর আলোকে নিয়ে ছাদের সেই চিলেকোঠার ঘরটাতে নিয়ে গেলো। তারপর আলোর সব থেকে বড় করে যে ছবিটা বাঁধানো সেই ছবিটার ঠোঁটের উপর ভোরের ঠোঁট ছোঁয়ালো আর সাথে সাথে ছবিটার মাঝখানে পথ হলো একটা রুমে ঢোকার। ওটা দেখে আলো হা করে তাঁকিয়ে রইল তারপর আলোকে নিয়ে সেই রুমে ঢুকলো। আলো তো ঢুকে পুরো থ। এতো প্রযুক্তি ঐ রুমের ভিতর দেখে। আলো একটা ছবির উপর লাল মার্ক দেখে বলে….
|
আলোঃঃ কে উনি? ওনার উপর লাল মার্ক কেন?
|
ভোরঃঃ তোমার রিহাম। ((অট্টহাসি দিয়ে))
|
আলোঃঃ এটাই আমার রিহাম.. ((ছলছল চোখে))
|
ভোরঃঃ হুম… কিন্তু এখন তুমি শুধু আমার। এসব রিহাম টিহাম বাদ।
|
আলোঃঃ মিস্টার ভোর চৌধুরী কতদিন? কতদিন আপনি আমাকে এভাবে আপনার নজরে রাখবেন? কতদিন? একদিন তো আমি আপনার নজর থেকে মুক্তি পাবোই।
|
ভোরঃঃ ততদিন তোমাকে নজরে রাখবো যতদিন না ঐ দুচোখে আমার জন্য ভালোবাসা না দেখি। আগে যে ভালোবাসা দেখেছিলাম সেটা দেখব তারপর তোমাকে আমার নজর বন্ধী থেকে মুক্তি দিবো।
|
আলোঃঃ ভালো আমি একজনকেই বেসেছিলাম আর সেটা হলো রিহাম। আপনাকে আমি কোনদিন ঘৃণা ছাড়া ভালোবাসবো না।
|
ভোরঃঃ উহুমম… বাসবে ভালো আর সেটা পাগলের মতো বাসবে সুইটহার্ট। এবার চলো। এ রুমে তোমাকে একা রাখা যাবে না তোমাকে দিয়ে বিশ্বাস নাই। রিহামের চৌদ্দগুষ্ঠির ঠিকানা বের করে ফেলবে। আর শোনো তুমি কিন্তু চাইলেও এই রুমে ঢুকতে পারবে না কারন এটা লক আমার ঠোঁটের প্রিন্ট।((চোখ মেরে))
|
আলোঃঃ আমি যখন রিহামকে একবার দেখেছি তাহলে ওকে খুঁজেও বের করবো একদিন।
|
বলেই আলো চলে যাচ্ছিলো তখন ভোর আলোকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে ভোরের সাথে চেপে ধরে আলোর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। আলো হাত-পা ছিটাছিটি করতে লাগলো। ভোর সেদিকে নজর না দিয়ে ওর কাজই ও করছিলো।
|
৫ মিনিট পর ছেড়ে দিয়ে আলোর কোমড় জড়িয়ে ধরে….
|
ভোরঃঃ তোমার ঠোঁট এত মিষ্টি কেন বলোতো??
|
আলোঃঃ একজন ধর্ষকের কাছে এসব শুনতে আমি চাই না।((কেঁদে))
|
ভোর আলোর চোখের পানি মুছে দিয়ে….
|
ভোরঃঃ দেখো আলো আমি তোমাকে কত ভালোবাসি দেখো আমার চোখের দিকে তাঁকিয়ে দেখো।
|
আলোঃঃ না ওনার চোখের দিকে তাকানো যাবে না। ওনার চোখে অদ্ভুত কিছু আছে যা আমায় টানে।((মনে মনে))
না ছাড়ুন…..
|
আলো এক ঝটকানি দিয়ে ভোরের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে চলে এলো নিচে বেড রুমে। ভোর সিক্রেট রুম লক করে চলে গেলো বাহিরে।
|
সন্ধ্যায় দুইজন মেয়ে এলো আলোর রুমে আলোকে পার্টির জন্য রেডি করানোর জন্য। কিন্তু আলো তাদের পাঠিয়ে দিলো এই বলে যে… ও রেডি হবে না।
তারা বারবার বলার পরও আলো রেডি হলো না। ভোরের কানে কথাটা পৌঁছে গেলো। ভোর রুমে এসে দেখে শাড়ি.. গহনা.. সব বেডের উপর রাখা আর আলো চুপচাপ বেডে বসে আছে।
|
ভোরঃঃ তুমি রেডি হচ্ছো না কেন?
|
আলোঃঃ আমি রেডি হবো না।আমি একা থাকতে চাই প্লিজ।
|
ভোরঃঃ তুমি কি আমার মান-সম্মান ডুবাতে চাও?
|
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
আলোঃঃ আপনাকে নিয়েই আমার কোনো interest নাই আর তো আপনার মান-সম্মান? ((হাসি দিয়ে))
|
ভোর রাগী লুকে তাঁকিয়ে দরজটা লক করে আলোকে বেডে থেকে একটানে নামিয়ে….
|
ভোরঃঃ সরি… তুমি সোঁজা পথের মেয়ে না।
|
বলেই আলোকে জোরপূর্বক নিজ হাতে ভোর চেঞ্জ করিয়ে দিয়ে শাড়ি পড়াচ্ছে আর আলো হেঁচকি দিয়ে কাঁদছে আর বলছে….
|
আলোঃঃ একটা চরিত্রহীন.. ধর্ষক… অত্যাচারী… অসভ্য… অভদ্র… অশ্লীল.. অমানুষ…
|
ভোরঃঃ হ্যাঁ আমি অনেক খারাপ। একদম চুপ। আর একটা কথাও শুনতে চাই। এরপরও যদি সাউন্ড আসে কানে তবে একটা ঠাটিয়ে চড় দিবো মাইন্ড ইট। (( রাগী কন্ঠে))
|
আলো ভোরের কথা শুনে চুপ হয়ে যায় ভয়ে।
ভোর আলোকে শাড়ী পড়িয়ে নিজ হাতে হাল্কা অর্নামেন্টস দিয়ে সাঁজালো। তারপর ভোর নিজেও রেডি হয়ে আলোকে সাথে নিয়ে নিচে চলে গেলো।
|
এক এক করে মেহমানরা আসছে আর সবাই ভোর-আলোকে শুভেচ্ছা দিচ্ছে। এর মধ্যে ভোরের ফোনটা বেজে উঠলো। ভোর একপাশে গিয়ে ফোন কথা বলে এসে আলোকে বললো…
|
ভোরঃঃ আলো বাবা-মা আসতে পারবে না।
|
আলোঃঃ কেন?
|
ভোরঃঃ বাবার নাকি প্রেসারটা বেড়েছে শরীর খারাপ লাগছে তাই আসতে পারবে না।
|
আলোঃঃ কিহ বাবা অসুস্থ।
|
ভোরঃঃ টেনশন করো না। মা বললো.. বাবা নাকি এখন একটু সুস্থ। ডক্টর এসে দেখে গেছে।
|
আলোঃঃ হুম..
|
|
|
চলবে……..
((আমি অসুস্থ। দেড়ি আর ছোট হবার জন্য সবাই ক্ষমা করবেন। পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে গল্প বড় করে দিবো।))
|
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ ?))