❤তোকে চাই❤পর্ব:২+৩

0
4338

❤তোকে চাই❤পর্ব:২+৩
#রোদ❤
#

দেখতে দেখতে এসে গেলো সেই কাল বেলা ২৫ সেপ্টেম্বর….সকাল থেকেই সবার ব্যস্ততা শুরু।।সাজুগুজু করে কে কাকে হার মানাবে সেই চেষ্টা সবার।।আমিও আর বসে থাকবো কেন??লাল কাথাঁন শাড়ি,, হাত ভরা চুরি,, চোখে গাঢ় কাজল,, লম্বা রেশমি চুলগুলো খুলে দিয়ে তৈরি হয়ে নিলাম।।।আমার আপুরা তো রীতিমতো আটা ময়দার দোকান সেজে আছে।।তাদের একেক জনকে চিনতেও আমার ব্যাপক কষ্ট হয়েছে।।যায়হোক বর এলো,,,সাথে প্রায় ত্রিশজন।।এই ত্রিশজনের মধ্যে একটা মুখ দেখে আমার সব আপুরা রীতিমতো ক্রাশিত।।।আর সেই একজনই ছিলো শুভ্র ভাইয়া।।আমিও যে আড়চোখে তাকায়নি তা নয়।।সেই লেভেলের ক্রাশও খেয়েছিলাম কিন্তু বড় আপুদের জিনিসে চোখ দেওয়ার সাহসই হয় নি।।তাই প্রথম থেকেই ভাইয়া বলেই মেনে নিয়েছিলাম।।।মজার বিষয় হলো আজ আমি তারই বউ।।বরপক্ষের খাওয়া শেষ হলে,,মার সাথে দাড়িয়ে কথা বলছিলাম,,,হঠাৎ কেউ একজন বলে উঠল,,,,,
ঃঅরি,,,,,
মা মনে হলো চমকে উঠলো।।পেছনে তাকিয়েই স্তব্ধ হয়ে গেলো,, তার চোখ যে ছলছল করছিলো তা বেশ বুঝতে পারছিলাম।।।কিন্তু কেনো তা কিছুতেই বুঝে ওঠতে পারছিলাম না।।তাই একবার মা তো আরেকবার মধ্যবয়স্ক লোকটির দিকে তাকাচ্ছিলাম,,,লোকটির চোখও ছলছল করছিলো।।।আমি আরো অবাক হলাম যখন দেখলাম মা লোকটিকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদঁতে শুরু করলেন।।।আমিও স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছি,,মাকে কখনো এভাবে কাদঁতে দেখি নি,,,আর সবচেয়ে বড় কথা লোকটি কে??এর আগে তো কখনো দেখি নি,,,আমি আর ভাবতে পারছিলাম না,,,ছোট্ট মাথায় হাজার প্রশ্নের স্তুপ নিয়ে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলাম,,,,মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলছিলেন,,,

মাঃ তুমি কেনো এমন করলে??বলো কেনো??এতটা ভালো হওয়ার কি দরকার ছিলো?? তোমাকে কতো খুজেঁছি আমি,জানো??

লোকটিঃ জানি তো,,(মার মাথায় হাত বুলিয়ে মুচকি হেসে)

মাঃ নাহ,,,জানো না তুমি,,,কিচ্ছু জানো না(হাউমাউ করে কাদঁতে কাদঁতে)কোথায় ছিলে তুমি বলো??উত্তর দাও,,,,২৮ টা বছর,,,,কম সময় নয় তো,,,এতো বছর পর ফিরেই বা কেনো এলে???কেনো??আমি আজ সব হিসেব নিবো তোমার থেকে,,,

লোকটিঃ আচ্ছা নিও।।আগে শান্ত হও সবাই দেখছে তো।।লক্ষী মেয়েরা এমন করে না।।।এখনও বাচ্চাই রয়ে গেলে অরি,,,,

লোকটির কথা শুনে আমার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম,, বলে কি??আমার ভাইয়ার বয়স ২৭,,, আপুর বয়স ২০,, আর আমার ১৭…..এতো বড় বড় ছেলেমেয়ের মাকে বাচ্চা বলে কেমনে,,, আজিব….কমনসেন্স টুটালি জিরো,,,হুহ।।।আচ্ছা এই লোকটা আম্মুর প্রাক্তন প্রেমিক নয় তো??এমা ছি ছি।।নিজের মাকে নিয়ে কিসব ভাবছি।।তাছাড়া আমার জানা মতে বাবা -মার লাভ মেরেজই ছিলো তাহলে উনার সাথে প্রেমই বা কখন করলেন।।।উফফফ,,,,আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে,,,,,আর লোকটি যেভাবে অরি অরি করছেন আর কিই বা ভাবা যেতে পারে??আমি শুধু নানুভাইকেই অরি নামে ডাকতে শুনেছি তারপর উনি।।।প্রশ্নগুলো নিয়ে যখন খিচুড়ি পাকাচ্ছিলাম তখনই বাবা সামনে এসে দাড়াঁলেন।।।আমার হাত-রীতিমতো ঠান্ডা হয়ে আসছিলো।।এটা যদি মার প্রোক্তন হয় তাহলে বাবা তো লঙ্কাকান্ড শুরু করে দিবেন।।ভয়ে তো আমার গলা শুকিয়ে কাঠ।মার সেদিকে খেয়ালই নেই।।কিন্তু লোকটি খেয়াল করলো,,, মাকে টেনে নিজের থেকে ছাড়িয়ে শান্ত দৃষ্টিতে তাকালেন।।।আমি চোখ খিচে বন্ধ করে রেখেছি,,এখনই নিশ্চয় বাংলা ছবির মতো ফাইটিং শুরু হবে,,,, কিন্তু একি??কোনো শব্দই তো শোনা যাচ্ছে না,,,,চোখ পিটপিট করে খোলে যা দেখলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।।।বাবা লোকটিকে জড়িয়ে ধরে আছে।।আমি অবাকের সপ্তম আকাশ পাড়ি দিয়ে শান্ত হয়ে দাড়ালাম,,,সব আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিল।।।নিজের বউয়ের প্রোক্তনকে বুকে জড়িয়ে নিবে এমন পুরুষ মানুষও দুনিয়ায় আছে জানতাম না।।আমার বাবার নাম অবশ্যই ইতিহাসের পাতায়,ছাপা উচিত।।হঠাৎ বাবার কথায় ভাবনায় ছেদ ঘটলো,,,

বাবাঃ রোদ মা??এটা তোমার ইকবাল মামু।।।
আমি চিনতে পারলাম না,,,কখনো শুনেছি বলেও মনে হয় না।।।ভদ্রতার খাতিরে বললাম,,, আসসালামু আলাইকুম মামু,,, ভালো আছেন??

ইকবাল মামুঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম।।ভালো আছি মা,,তুমি কেমন আছো??

আমিঃ জি ভালো

মাঃ তুমি বিয়ে করো নি?মানে পরিবার??

ইকবালঃ আরে তোমার ভাবিও এসেছে,,,সাথে দুই ছেলেও(মুচকি হেসে)দাড়াও পরিচয় করিয়ে দেই।।

কিছুক্ষন পরই একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা,,,আর দুজন ছেলে আমাদের দিকে এগিয়ে এলেন।।।তারমধ্যে একজন ছিলেন শুভ্র ভাইয়া,,,,আমার বুঝতে বাকি রইলো না উনি মামুর ছেলে।।।মামু পরিচয় করিয়ে দিলেন,,,অভ্র, শুভ্র তার দুই ছেলে।।অভ্র ভাইয়া ব্যবসায় হাত দিয়েছে আর শুভ্র ভাইয়া অনার্স কমপ্লিট করছেন।।এবার ফাইনাল ইয়ার।।।মামানি তো মাকে দেখেই জড়িয়ে দড়লেন,,,মামু নাকি মামানিকে মার কথা রোজ বলতো,,,বোনটাকে বড্ড ভালোবাসেন তিনি।।।আমার নিজের গালেই চড় মারতে ইচ্ছা করছিলো,,ছি ছি,,,আমি না জানি কি কি ভাবছিলাম,,,,,,,


আজানের শব্দে বাস্তবে ফিরে এলাম।।।ঝটপট উঠে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে নিলাম,,,এতোক্ষণে খেয়াল হলো উনি রুমে নেই,,,হাজার হলেও স্বামী তো,,চিন্তা তো হয়ই।।কেমন যেনো অস্থির লাগছে,,,হঠাৎ মনে পড়লো,,উনি তো কাল রাতে ব্যালকনিতে গিয়েছিলেন,,, দৌড়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দেখলাম উনি ফ্লোরে পড়ে ঘুমুচ্ছেন,,,পাশে অসংখ্য সিগারেটের টুকরো,,,,বুকের ভেতরটাই কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠলো,,,,


#চলবে
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share

❤তোকে চাই❤
writer: রোদ❤
#part: 3

উনাকে ডাকার সাহস করে উঠতে পারলাম না।।যদি রেগে যান?উনাকে আমি বরাবরই ভয় পাই,,,,সেই তো প্রথম দিনের কথা,,,,


ফ্ল্যাসব্যাক,,,,,

বিয়ে পর্ব শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই মা আমাকে রুমে পাঠালেন, তার ফোনটা নাকি রুমেই ফেলে এসেছে,,,,আমিও নাচতে নাচতে চলে গেলাম ফোন আনতে।।।হঠাৎ শাড়ির আচঁলে টান পড়ায় পেছনে তাকিয়ে দেখলাম শাড়ির আচঁলটা গেস্টরুমের দরজায় আটকে আছে।।।নিজের মনে বকবক করতে করতে যেই না দরজাটা হালকা খুললাম,,,আমার চোখ যেনো বেরিয়ে আসার উপক্রম।।। এমন কিছুর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি।।।মনে হচ্ছিলো হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে,,,কিছু না ভেবেই চোখ বটে দিলাম এক চিৎকার,,সাথে সাথেই ভারী গলায় ধমক দিয়ে উঠলো কেউ,,,,
এই মেয়ে?? চেচাঁচ্ছ কেন??একদম চুপপপপপ

আমি ভয় পেয়ে মুখে হাত চেপে চুপপ হয়ে গেলাম।।চোখ দুটো হালকা খুলে যা দেখলাম তাতে মনে হলো পুরো বাঁশঝার টাই আমার মাথায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।।।ছি ছি একি,,, এ তো শুভ্র ভাইয়া,,,আপুদের ক্রাশ।।উনি এসব কি করছিলেন??ছিহ,,ছিহ,,,থেংক গড বেশি ক্রাশ খাইনি,,নয়তো আমার কচি হার্ট টা আজই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যেতো,,,হুহ।।আল্লাহ বাচাঁয়ছে।।।দাড়িয়ে দাড়িয়ে এসবই ভাবছিলাম,,,আমার ভাবনার ঘোর কাটলো ওনার আরেক ধমকে,,,,
শুভ্রঃ এই মেয়ে,,,তোমার মাথায় কি সমস্যা আছে??এভাবে দাড়িঁয়ে আছো কেন??

আমি ভয়ে ভয়ে কোনোরকম বললাম,,,আ,,আপনারা এ,,এখানে ক,,কি করছিলেন??

কেনো দেখতে পাওনি??রোমান্স করছিলাম।।।আর তুমি আমাদের ডিস্টার্ব করছো(চোখ গরম করে আমার দিকে তাকিয়ে)

উনার চোখের দিকে তাকিয়ে আমার তো যায় যায় অবস্থা।গলা তো রীতিমতো বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছে কোনোরকমে একটা ঢোক গিলে বললাম,৷ স,,,সরি ভা,,,ইয়া।।আ,,,আমি ইচ্ছা করে ডিস্টার্ব করিনি।।আসলে,,,

চুপপপপপপপ একদম চুপপ,,,(উনার ধমকে আমি রীতিমতো কেঁপে উঠলাম,,মুখটা কাঁদো কাদোঁ করে দাড়িয়ে আছি ,,,মনে হচ্ছে এখনই কান্না দেবীর আগমন ঘটবে,,,,ঠিক তখনি পেছনে থেকে কেউ বলে উঠলো,,,,

শুভ্র?? শুধু শুধু বাচ্চা মেয়েটাকে বকছো কেন??

নীলি তুমি চুপ করো,,,দোষ যখন করেছে,, ওকে তো শাস্তি পেতেই হবে।।

আমি শাস্তির কথা শুনে এবার কেঁদেই দিলাম,,,,কাঁদো কাদোঁ গলায় বললাম,,,ভাইয়া প্লিজজজ আমায় মারবেন না,,,আমি আর জীবনেও কাউকে ডিস্টার্ব করবো না,,,,,আর কাউকে বলবোও না যে আপনা…

আমাকে থামিয়ে দিয়ে উনি আবার ধমক দিয়ে উঠলেন,,,
এইই,,,চুপপ।।খবরদার কানবা না,,,কান্না করলে আরো কঠিন শাস্তি দিবো,,,হুহ।।।

আমি এবার চুপ হয়ে ফুফাতে ফুফাতে বললাম,,,,ক,,,কি শা,,শাস্তি দ,,,দিবেন আমায়???

তোমার শাস্তি হলো,, ১৫ মিনিট দরজার বাইরে চুপচাপ দাড়িয়ে থাকবে।।

কথাটা শুনে আমি বিস্ফারিত চোখে তাকালাম ওনার দিকে,,,ব্যাটা লুচু বলে কি??এতো জায়গা থাকতে দরজার বাইরে দাড়িয়ে থাকতে যাবো কেনো আজিব।।।তাই ভয়ে ভয়ে বললাম,,,ক,,কেন???

কারন তুমি আমার রোমান্টিক টাইম স্পয়েল করেছো সো,,এখন তুমি বাইরে দাড়িয়ে পাহাড়া দিবে,,,যেনো অন্য কেউ ডিস্টার্ব করতে না পারে গট ইট???

আমি অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম।।পাশের আপুটা বলে উঠলো,,,,শুভ্র তুমি না দিনদিন শেমলেস হয়ে যাচ্ছো,,বাচ্চা মেয়েটার সামনে কি বলছো এসব,,,চলো তো সবাই খুঁজবে,,,,

নাহ জান,,,,আমার পাওনা রয়ে গেছে তো।।।বলে উনার দিকে এগিয়ে গিয়েও হঠাৎ থেমে গেলেন,,,,আমার দিকে তাকিয়ে একটা রাম ধমক দিয়ে বাইরে গিয়ে দাড়াতে বললেন,,,,আমিও বাধ্য মেয়ের মতো দরজাটা চাপিয়ে দিয়ে বাইরে দাড়িয়ে পড়লাম।।।আর বিরবির করে উনার চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করতে লাগলাম।।ব্যাটা রোমান্স করবি ভালো কথা,,দরজায় যে লক নামক একটা জিনিস আছে সেটা কি জানিস না নাকি,,,আবার আমাকে বকে,,যত্তোসব আবাল জনগন,,,হুহহ,,,৷ সেটাই ছিলো উনার সাথে আমার প্রথম কথা বলা,,,,


দরজায় কড়া নড়ায় আমার ভাবনার সুতো কাটলো।।।মামানি আমায় ডাকছে,,,,,ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৭ঃ৩০ বেজে গেছে।।এতো সময় কিভাবে চলে গেলো বুঝতেই পারি নি।।তাই আর দেরি না করে,,, উনার ঘুমন্ত মুখটাকে একটু ছোঁয়ে দেওয়ার অদম্য ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে,,, একটা দীর্ঘশ্বাসকে সঙ্গী করে নিচে চলে এলাম।।।মা আর আপু কিচেনেই ছিলো।।মামানি আমাকে দেখেই বুকে টেনে নিলেন।।এতোক্ষণে আমার বিক্ষিপ্ত মনটা যেনো একটু ঠান্ডা পরশ পেলো।।আপু তো রীতিমতো বড় বউয়ের দায়িত্ব কাধেঁ নিয়ে নিয়েছে।।নেবেই না বা কেনো, সে তো বরাবরই শান্ত-শিষ্ট,, সংসারী মেয়ে।।আর আমি ঠিক তার উল্টো।।।আপুকে সবসময় মজা করে বলতাম,,,আপু বিয়ে তো তোর দেবরকেই করবো।।।নয়তো শশুর বাড়িতে ঝামেলা করলে বাচাঁবে কে আমায়???আপু জবাবে শুধু মিষ্টি হাসতো।।।নিয়তির খেলায়,,আজ আমি সত্যিই আপুর দেবরের বউ।।।কিন্তু এই নিয়তিটাই যে আমার জীবনের কাল হবে কেই বা জানতো।।মামানি আর আপু টেবিলে খাবার সাজাচ্ছে,,আমি শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছি,,,এখানেও বাসার মতোই আদর পাচ্ছি,,ছোট বাচ্চাটার মতো,,কিন্তু যাকে পাওয়ার তাড়না আমায় কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সে তো আমায় সহ্যই করতে পারে না।।মামানির ডাকে ফিরে তাকালাম,,,এক কাপ কফি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন,,
যা মা,,, শুভ্রকে কফিটা দিয়ে,,,চটপট নিচে আসতে বল।।।

ভয় মাখা ধুরুধুরু বুক নিয়ে এগিয়ে গেলাম রুমের দিকে।।উনি এখনো একইভাবে ঘুমোচ্ছেন।।কয়েকবার ডাকার পরও যখন শুনলেন না,,তখন কিছুটা বিরক্ত হয়ে উনাকে হালকা ধাক্কা দিতেই চোখ খুললেন,,,কিছুক্ষণ ভ্রু কুচঁকে আমার দিকে তাকিয়ে থেকেই,,,ঝট করে উঠে বসলেন।।।উনার চোখে রাগটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।।ভয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,,,আ,,,আপনার ক,,,,কফি,,মা,,,,,আর কিছু বলার সুযোগ আমি পেলাম না,,,তার আগেই গরম কফিতে জলসে গেলো আমার হাত।।।বাবা,,মা,,আপু আর ভাইয়ার আদরের পরীটি ছিলাম আমি,,,ফুলের টোকাও পড়তে দেয়নি আমার গায়ে,,,আর আজ??আমি উনার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি,,,চোখ থেকে পানি পড়ছে অবিরল।।মানুষ…
#চলবে..


(বাঙালীদের দেখি নেক্সট ব্যারাম হয়ছে।।সবাই #নেক্সট রোগে আক্রান্ত।।।এতো নেক্সট নেক্সট না করে একটু তো উৎসাহ দিতেই পারো ভাইয়া আপুরা।।।?)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে