♥ Love At 1st Sight ♥
~~~Season 3~~~
Part – 6
writer-Jubaida Sobti♥
মুচকি হেসে ব্লাশিং হতে হতে…ড্রাইভিং করছে রাহুল! বাড়ী পৌছে রুমে ডুকতেই…
রাহুল : [ এক্সাইটেড হয়ে ] Oh my god! দাদীইইইইই [ ঝড়িয়ে ধরে দাদীর কপালে চুমু খেলো ]
দাদী : হয়েছে হয়েছে আর ভালোবাসা দেখাতে হবে না!
রাহুল : But দাদী I am surprised তুমি হঠাৎ!
দাদী : এসেছি আরকি! তুই কি আমার খবর নিচ্ছিস! তুইতো আছিস তোর মডেল গার্লফ্রেন্ড গুলোকে নিয়ে!
রাহুল : Freedom দাদী! Freedom ?
দাদী : আচ্ছা! Freedom বেশী দিয়ে দিয়েই তো তোকে মাথায় তুলেছি! আর না… এইবার একটা বিয়ে করে টুকটুকি একটা বউ ঘরে নিয়ে আয়! ঘরে শুধু আমি একাই…. একটা নাতিবউ থাকলে কত গল্পসল্প করতাম..
রাহুল : [ পানি খেতে খেতে ] তাই..?
দাদী : পার্মানেন্ট ওকে! ডেটিং এর জন্য না…[ চারদিক তাকিয়ে ] ইশ! পুরো ঘরটা…আড্ডাখানা বানিয়ে রেখেছিস!
রাহুল : আরে! দাদী বিয়ে করবো আমি তুমি এতো টেনশন নিচ্ছো কেনো…
দাদী : [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] যাতে তোর বাবা মায়ের মতো না হয়! আমি চায় না…ওদের মতো তোর জীবনটাও..নষ্ট হক!
[ রাহুল নিস্থব্দ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে…হাত থেকে পানির গ্লাসটি রেখে…দেই ]
দাদী : গুড নাইট!
রাহুল : গুড নাইট দাদী [ দাদী চলে গেলো ]
[ রাহুল ধীরেধীরে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো….অন্ধকার আকাশের দিক তাকাতেই সব মনে পড়ছে তার সেই দিন গুলোর কথা কেনো এমন হলো তার সাথে…তার ও কি ইচ্ছে হয় না সবার মতো বাবা মায়ের সাথে থাকতে? আজ বাবা – মা থেকে ও না থাকার মতোই! ]
এইদিকে,
[ স্নেহা কফি হাতে জানালার ধারে বসে আছে… ভেবে যাচ্ছে আজ রাহুলের সাথে কাটিয়ে যাওয়া প্রতিটা মোমেন্ট… তার হাতে ছুয়ে যাওয়া প্রতিটা মূহুর্ত…ব্লাশিং হতে লাগলো স্নেহা ]
হঠাৎ,
জারিফা : [ স্নেহার পাশে এসে বসে,] রাহুলকে ভাবা হচ্ছে বুঝি?…..
স্নেহা : [ চমকে উঠে ] ক..কই নাতো..
জারিফা : আরে আরে! গাইস্ দেখ স্নেহা লাল হয়ে গেছে…নিশ্চয় রাহুলকে ভাবছিলি তাই না স্নেহা!
শায়লা : [ এগিয়ে এসে ] দেখি দেখি!…হ্যা তাই তো!
স্নেহা : [ দাঁড়িয়ে গিয়ে ] দেখ মোটেও ভালো হচ্ছে না…আমি কেনো ওকে ভাবতে যাবো…
মার্জান : তাতো আমরা সবাই দেখছি! কখন থেকে জানালার পাশে বসে বসে ব্লাশিং হচ্ছিলি…
স্নেহা : তুই ও?..আরে আমি এমনিতেই একটু বাতাস উপভোগ করছিলাম..আর কিছুই না…
শায়লা : হয়েছে হয়েছে…আমরা সব বুঝি..?
জারিফা : [ স্নেহার কাছে এসে ] কাউ কে না বললে আমাকে বলিস কেমন?…আমিইই কাউউ কেইই বল.. বো..না..
স্নেহা : [ রেগে ] জারিফা!
জারিফা : [ তাড়াতাড়ি সরে গিয়ে ] ওকে ওকেই!
পরদিন সকালে,
মার্জান ঘুম থেকে উঠেই দেখে…স্নেহা আগে থেকে উঠে…জানালার দিক বসে আছে… এবং সে গিয়ে বাকিদের টেনে টেনে তুলে দেই!
মার্জান : স্নেহা!… মেরি জান! তুই এতো সকাল সকাল কিভাবে উঠিস…
স্নেহা : [ একটু হেসে ] গুড মর্নিং!
মার্জান : সকাল সকাল কি ভাবছিস বলতো…
স্নেহা : ডান্স ক্লাস থেকে ফোন এসেছে…ওরা আবার জয়েন করতে বলছে…
মার্জান : তুই কি ভেবেছিস!
স্নেহা : কিছুনা জাষ্ট চিন্তা করছি রাশুর পড়ার জন্য কিছু টাকা পাঠানো উচিৎ… বাবা একা…ঘর সামলাবে নাকি রাশুর পড়ার খরচ…
মার্জান : তাহলে ভাবার কি আছে..আবার জয়েন কর…ভালোই তো হবে!
স্নেহা মাথা নাড়ালো…
জারিফা : ইয়ার! স্নেহা…যদি আমিও ডান্স পারতাম না তোর মতো..
শায়লা : হ্যা! তুই পুরা দুনিয়া বদলে দিতি..তাই না… [ বাকিরা হেসে উঠে ]
জারিফা : ইয়ার! শায়লা তুই পুরো রাত আমাকে ইন্সাল্ট করে গিয়েছিস সকাল সকাল আবার শুরু করলি?…
শায়লা : [ হেসে ] গাইস্ এটা ইন্সাল্ট হলো…? আরে এটা তোর তারিফ… করা হয়েছে..
জারিফা : [ রেগে ] হি-হি No need Your তারিফ! ওকে..আজ ভার্সেটি অফ ডে..দোহাই লাগে আমাকে আরেকটু ঘুমোতে দে! [ বলেই পাশ ফিরে কম্বল মুড়িয়ে ঘুমোতে থাকে ]
মার্জান : আচ্ছা?..[ বলেই হুট করে জারিফার গায়ের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ] পুরো রাত বক বক করে…আমাদের ঘুমোতে না দিয়ে…এখন তুই ঘুমাবি?..
জারিফা : আরে আরে!
মার্জান : [ জারিফাকে টেনে টেনে ] ইম্পসিবল উঠ! উঠ বলছি…
জারিফা : আরে বাবা দাড়া..উঠছিতো..
[ স্নেহা দূর থেকে তাদের কান্ড দেখে হাসতে থাকে,]
জারিফা : [ খাট থেকে উঠে ] হে আল্লাহ! দোয়া করি! তোদের মতো দোস্ত যাতে..শত্রু কে ও না দেই!
শায়লা : [ হেসে ] জারিফা! ওয়াসরুম ঐ দিকে…?
জারিফা : [ রেগে ] আমি এই বাসায় নতুন না..ওকে?.. ওয়াসরুম কোথায় আমি জানি?…
[ সবাই হাসতে থাকে ]
জারিফা : মানে হচ্ছে..আমি ঘুমাচ্ছি কেনো তাই সবার গা জলছে হুহ! [ বক বক করতে করতে ওয়াসরুমে চলে যায় ]
বিকেলে,
স্নেহা ডান্স ক্লাস থেকে বেড়িয়ে শিরি দিয়ে নেমে রাস্তার দিক এগুচ্ছে….হঠাৎ ফোন বেজে উঠে,
স্নেহা : হ্যা বল মার্জান!
মার্জান : ইয়ার! স্নেহা তুই কোথায়?..
স্নেহা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] এইতো ক্লাস থেকেই বেড়িয়েছি, সব গার্ডিয়েনরা আমাকে ছাড়ছেই না…আর বাচ্চারা তো..
মার্জান : হ্যা! বল?.. [ Sneha silent ]
আরে স্নেহা চুপ হয়ে আছিস কেনো?..
স্নেহা : মা..মা..মার্জান! আমি তোকে পরে ফোন দিচ্ছি!
মার্জান : আচ্ছা..
স্নেহা কান থেকে ফোন সরিয়ে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে…
প্রায় কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পর,
স্নেহা : এইভাবে পথের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?..স সরুন..আ..আমি যাবো…
রাহুল : ওয়াও! স্নেহা…কিনা ডান্স করলে..
স্নেহা : আ..আপনি?..আপনি আমাকে ফলো করছেন!
রাহুল : আমি ফলো করছি না…অন্যরা করছে…আমি জাষ্ট ইনফর্ম পেয়েছি!? তাই সোজা চলে এলাম…
স্নেহা কিছু না বলে পাশ কেটে চলে যাচ্ছিলো… রাহুল আবার ও স্নেহার সামনে এসে দাঁড়ায়,
রাহুল : নো নো..মিস্ স্নেহা আমি যেতে বলিনি…
স্নেহা : [ বিরক্তি হয়ে ] কি করছেনটা কি?…আশেপাশের সবাই কোণা চোখে দেখছে…
রাহুল : কারা মেয়েরা?..ওরা হয়তো Jealous হচ্ছে!?
স্নেহা : মেয়েরা না! শুধু…?
লোকজন সবাই দেখছে…
রাহুল : [ হেসে ] ওউ! ইউ মিন আংকেল আন্টি সবাই! ওহ! ওরাও হয়তো Jealous হচ্ছে, তাদের মেয়ের জন্য কেনো এমন একটা ছেলে পাইনি…
স্নেহা : কিহহ!
রাহুল : আহ! থাক বাদ দাও! ওসব তুমি বুঝবা না… [ স্নেহার হাত ধরে] চলো!
স্নেহা : [ থেমে গিয়ে ] আরে আরে! কোথায় নিচ্ছেন?..
রাহুল : তোমার শশুর বাড়ী! [ বলেই আবার টেনে নিয়ে যাচ্ছে ]
স্নেহা : [ রাহুলের হাত ঝাড়ি দিয়ে ফেলে ] পাগল নাকি আপনি?..কি এসব আবোলতাবোল বকছেন?..
রাহুল : No স্নেহা! I m not mad! I m serious ?
স্নেহা : দেখেন প্লিজ..সন্ধ্যা নেমে এসেছে..আমার বাড়ী যেতে হবে,…
রাহুল : বাড়ীই তো যাচ্ছি!
[স্নেহা অবাক হয়ে তাকায় ]
রাহুল : আই মিন! তোমাকে ড্রপ করে দিবো…
স্নেহা : ইটস্ ওকে! বাট আমি যেতে পারবো…
রাহুল : [ রেগে স্নেহার কাছে আসে স্নেহা পিছিয়ে যায় ] তোমাকে নরম হয়ে কথা বললে কানে ঢুকে না?..চুপচাপ গাড়ীতে বসো..
[ স্নেহা ভয়ে চশমা ঠিক করতে থাকে ]
রাহুল : দেখো স্নেহা! আরো অনেক পদ্ধতি আছে তোমাকে গাড়ীতে বসানোর.. আমি চাই না সবার সামনে ঐ পদ্ধতি গুলো ইউস্ করি!
স্নেহা : কিন্তু!?
রাহুল : [ স্নেহার মুখে আংগুল বসিয়ে ] Not one more word!
স্নেহা আর কিছু না বলে..হনহনিয়ে গিয়ে গাড়ীর দরজা খোলার জন্য টানাটানি করছে,
রাহুল : [ একটু হেসে এগিয়ে এসে দরজা খুলে দেই ] স্নেহা! খাওয়া দাওয়া করোতো?..সামান্য দরজা খুলতে কতো শক্তি ব্যয় করে ফেললে…
স্নেহা : দেখেন আমি আপনার মতো জিম! করে বডি বানায়নি! তাই একটু লেইট হয়েছে… [ বলেই স্নেহা গাড়ীতে বসে পড়ে ]
রাহুল : [ ওপাশ গিয়ে ড্রাইভিং সি্টে বসে ] কামঅন! এতো বছর গাড়ী চালিয়ে আজ জানতে পারলাম গাড়ীর দরজা খুলতে হলে আগে জিম করে বডি বানাতে হয়!
[ স্নেহা রাহুলের কথা শুনে জানালার পাশ ফিরে একটু হেসে দেই ]
রাহুল : [ গাড়ী চালাতে চালাতে ] লুকিয়ে হাসতে হবে না…আমার সামনেও হাসতে পারবে…
[ স্নেহা হাসি বন্ধ করে সোজা সামনের দিক তাকিয়ে থাকে ]
প্রায় কিছুক্ষণ পর,
স্নেহা বার বার চুল ঠিক করছে, নয়তো ওড়না ঠিক করছে..নয়তো গায়ে মুড়ানো শাল ঠিক করছে…
রাহুল হুট করে গাড়ীর এ.সি্ ছেড়ে দেই..এবং গাড়ীর সব গ্লাস্ বন্ধ হয়ে যায়!
স্নেহা : [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] শী..শীতে আপনি এ.সি ছাড়লেন কেনো?..
রাহুল : তুমি Uncomfortable ফিল করছো…তাই ভাবলাম তোমার গরম লাগছে!
স্নেহা : [ বিরক্তি হয়ে ] জি! না..আমি তো বাতাসে অলরেডি বরফ হয়ে যাচ্ছি!
রাহুল : ওহ সরি! সরি! [ বলেই এ.সি্ বন্ধ করে দেই ]
স্নেহা : আসলে! আ..আপনি বার বার তাকাচ্ছেন… তাই Uncomfortable ফিল হচ্ছিলো…
রাহুল : [ চেঁচিয়ে হেসে উঠে ] রিয়েলি?..স্নেহা এটা কোনো reason হলো?..
[ স্নেহা চশমা ঠিক করে বিড়বিড় করে অন্যদিক ফিরে যায়, কিছুক্ষণ পর কোণা চোখে রাহুলের দিক তাকিয়ে দেখতেই চোখাচোখি হয়ে যায় স্নেহা তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে ফেলে, রাহুল হাসতে থাকে..]
স্নেহা : আপনি…
রাহুল : [স্নেহার দিক তাকিয়ে ] হ্যা বলো…
স্নেহা : হ্যা আমি বলছি..আপনি সামনে তাকান প্লিজ! আমার ভয় করছে…
রাহুল : [ জোড়ে হেসে সামনের দিক তাকিয়ে ] কেনো ভয় করছে?..
স্নেহা : আপনি ড্রাইভিং রুলস্ ফলো করেন না?..এই যে কতো বড় বড় গাড়ী আপনি বার বার এমন গাড়ীকে হাইস্পীডে ওভারটেক করেই যাচ্ছেন!
রাহুল : So what! এরা কখন আমাকে সা্ইড্ দিবে ঐ আশায় বসে থাকবো..? মিস্ স্নেহা রাহুল পিছিয়ে থাকতে পছন্দ করে না..Always আগে..
স্নেহা : [ কিছুক্ষণ পরে কোণা চোখে তাকিয়ে ] ড্রাইভারদের সবসময় Straight থাকতে হয়,
রাহুল : হুম! জানি!
স্নেহা : তাহলে আপনি! বার বার এইদিকে তাকাচ্ছেন কেনো?..এক্সিডেন্ট হয়ে যাবে তো!
রাহুল : এই কথাটা বলার জন্য এতোক্ষণ আমাকে ড্রাইভিং রুলস্ শেখাচ্ছিলে..রাইট্
স্নেহা : [ অবাক হয়ে চেঁচিয়ে ] আরে আরে! আমার বাসাতো লেফট দিকে আপনি রাইট্ কেনো নিলেন?..
রাহুল : Because you know what! রাহুল Always রাইটে্ থাকে!
স্নেহা : দেখেন সবসময় ফান্ করবেননা…
রাহুল : I m serious! ফান্ করছিনা!
স্নেহা : [ রেগে ] তাহলে কোথায় নিচ্ছেন শুনি?..
রাহুল : গাড়ীতে উঠার আগেইতো বলেছিলাম…
স্নেহা : এখন এটা ফান্ না?..
রাহুল : কেমনি?..
স্নেহা : এই যে! গাড়ীতে উঠার আগে আপনি বললেন আমার শশুড় বাড়ী! আমারতো বিয়েই হয়নি..শশুড়বাড়ী কেমনি হবে..
রাহুল : হাহাহা..তুমি চাইলে হবে আরকি..
স্নেহা : [ বিরক্ত হয়ে ] উফফ! [ রাহুল হাসতে থাকে ]
স্নেহার ফোন বেজে উঠলো,
রাহুল : কে ফোন দিচ্ছে বারবার?…
স্নেহা : কেউ না!
[ হুট করেই রাহুল স্নেহার ফোনটা কেড়ে নিয়ে নেই এবং সুইচ অফ করে দেয়..]
স্নেহা : আরে বন্ধ করলেন কেনো…আমার ফ্রেন্ডসরা টেনশন করবে! মোবাইল দিন
রাহুল কিছু না বলে তেডি স্মাইল দিয়ে গাড়ী চালিয়েই যাচ্ছে…
স্নেহা বিরক্তি হয়ে কি করার সে ও চুপচাপ বসে রইলো,
কিছুক্ষণ পর…স্নেহা অবাক হলো একটি বড় গেইট দিয়ে গাড়ীটি ঢুকছে…গ্লাস নামিয়ে স্নেহা মাথা বের করে দেখতে লাগলো আর অবাক হতে লাগলো…
[রাহুল নেমে স্নেহার দিক এসে দরজা খুললো… স্নেহা ও অবাক হয়ে নেমে যায়…]
স্নেহা : এ..এটা কার বাড়ী?…কোথায় নিয়ে এলেন?…
রাহুল : [ হেসে ] আসার আগে বলেছিলাম…মনে নেই?
স্নেহা : আবার ও..?..?
[ চারদিক তাকিয়ে দেখে স্নেহা…বাড়ীর সামনে কতবড় গার্ডেন…বসার জন্য চেয়ার-টেবিল ও আছে…বাড়ীর পাশেই লাইটিং করা আরেকটি ছোট্ট বাড়ী.. (মনে মনে) ওয়াও নিশ্চয় গেষ্ট হাউস্ই হবে… ]
কত বড় বাড়ী…কোথায় ওরা কোথায় আমরা…এটা কেমনি আমার…
[ রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে একটু হেসে স্নেহার হাত ধরে টেনে ভেতরের দিক নিয়ে যায় ]
স্নেহা : আরে কোথায় নিচ্ছেন?..সেটাতো বলেন প্লিজ!
রাহুল স্নেহাকে ভেতরে নিয়ে গেলে…স্নেহা আরো অবাক হয়ে যায়……
স্নেহা : [ অবাক হয়ে চারদিক তাকিয়ে ] বলেননা…এটা কার বাড়ী?.. কোথায় এসেছি?..
[ হঠাৎ দেখে একটি বয়স্ক মহিলা এগিয়ে আসছে…]
রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] স্নেহা!
স্নেহা : হুম?..
রাহুল : আমার দাদী… [ দাদী এগিয়ে এসে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ]
স্নেহা : [ শকড হয়ে ] হ্যা! আ..আ আপনার দা…দাদী?..
রাহুল : দাদী! ও স্নেহা!
দাদী : [ এগিয়ে এসে ] মাশাল্লাহ!
স্নেহা : অহ! সরি সরি! [ তাড়াতাড়ি গিয়ে পা ধরে সালাম করে ]
দাদী : থাক থাক! এসো ভেতরে এসো!
স্নেহা : না নাহ! আমি…আসলে [ ধীরেধীরে পিছিয়ে রাহুলের পাশে গিয়ে ফিসফিস করে ] আপনি আপনার বাসায় কেনো এনেছেন?..
রাহুল : দাদী! স্নেহা বলছে! ও অনেক টায়ার্ড একটু চা-কফি,ঠান্ডা…
দাদী : হ্যা! হ্যা! আমি এক্ষুণি পাঠাচ্ছি তোরা ভেতরে বয়!
[ দাদী তাড়াতাড়ি চলে গেলো ]
স্নেহা : আপনি! মিথ্যে কেনো বললেন আপনার দাদীকে?..
রাহুল : তো সত্যিটা বলবো…? দাদী স্নেহা বলছে আমি ওকে আমার বাসায় কেনো এনেছি! ওকে ফাইন বলছি দাদীইইইই
স্নেহা : তাড়াতাড়ি রাহুলের মুখে হাত দিয়ে ] না না..
[ রাহুল ব্লাশিং ] স্নেহা তাড়াতাড়ি হাত নামিয়ে ফেলে,
রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে ] এসো [ স্নেহা রাহুলের পিছে পিছে যায়… হঠাৎ রাহুল স্নেহার হাত ধরে টেনে একটি রুমে নিয়ে যায় ]
স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] এটা কার রুম…?
রাহুল : একসময় আমার ছিলো..এখন আর নেই! তবে মাঝে মাঝে আসি!
স্নেহা : আবারো মজা! বললেই তো হলো এটা আপনার রুম! [বলেই স্নেহা চারদিক ঘুরে ঘুরে দেখছে আর রাহুল স্নেহার দিক দেখছে ?]
হঠাৎ স্নেহা দেখে একটি গ্লাসের ভেতরে একটি গিটার খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে…গ্লাসের উপরে লিখা আছে Don’t touch it!
স্নেহা : [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] একটু হেসে, Don’t touch it! নিশ্চয় এটা অনেক দামী গিটার?…
রাহুল : [ এগিয়ে এসে ] মায়ের ছিলো গিটারটা… মা গিটারিস্ট ছিলো…খুব ভালো গিটার বাজাতো!
স্নেহা : এখন?..
রাহুল : [ গিটারের দিক তাকিয়ে ] জানিনা!
স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকালে,
রাহুল : বাবা আর মা একসাথে থাকে না… মা বাড়ী ছেড়ে চলে গেছে..অনেক বছর হচ্ছে,
স্নেহা : ওহ! সরি!
রাহুল : তাদের লাভ ম্যারেজই ছিলো!
যখন আমি ক্লাস 6 এ পড়ি…বাবা.. মা কে সবসময় সন্দেহ করতো… ভাবতো মায়ের কারো সাথে Affair চলছে! এই সন্দেহে প্রতিদিন রাতে ড্রিংক্স করে এসে মা কে মারধর করতো প্রতিদিনের এসব সজ্য করতে না পেরে..মা একদিন বাড়ী ছেড়ে চলে যায়!
কিন্তু!…স্নেহা আমার কি দোষ ছিলো?…আমার কথা একটু ও ভাবলো না…
তাই রাগ করে বাবার সাথে ঐ দিনের পর থেকে আর কথা বলি না…এই বাড়ীতে ও থাকি না…পাশের গেষ্টহাউসে্ থাকি! এখানে আসি মাঝে মাঝে দাদীকে দেখতে!
স্নেহা : আপনার মা?..কো কোথায় থাকে এখন?..
রাহুল : তিনি আছেন… তার বাবার দেওয়া নতুন বাড়ীতে…একাই থাকে, মাঝে মাঝে যায় দেখা করতে!
হঠাৎ, রাহুল গিটারটা বের করে হাতে নেই!
স্নেহা বুঝতে পারলো রাহুল তার মা কে খুব মিস্ করছে!
স্নেহা : বাজাবেন?
রাহুল : [ অবাক হয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] গিটার?..
স্নেহা : শুনলাম আপনি অনেক ভালো গিটার বাজান! এবং গান ও করেন!
রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে ] ওকেই! [চেয়ারের দিক এগিয়ে গিয়ে ] সি্ট
[ স্নেহা চেয়ারে বসে…রাহুল অপোসি্ট চেয়ারে বসে ]
রাহুল : কি গান শুনবা?..
স্নেহা : যেটা আপনার ভালো লাগে,
রাহুল : ওকে!
[ ?গিটার বাজাতে লাগলো স্নেহা তাকিয়ে আছে, ]
♪♪♪দো্ প্রেমি, দো্ পাগাল,
কিয়া কারতেহে বলো! ♪♪♪♪
স্নেহা : মানে?..
রাহুল : [ হেসে ] কামঅন স্নেহা সং লিরিক্স ছিলো এটা!
স্নেহা : ওহ সরি! সরি! ওকে Again!
রাহুল : ওকে,
♪♪♪ দো প্রেমি, দো পা~গাল
♪♪ কিয়া কারতেহে বলো ♪♪
♪♪মুঝসে কিউ♪♪ পুঁ~ছিতিহো
আপনে দিলকো তা টোলো~~
♪♪ মালুমে হে্
হামকো্ তুমহে্~~ কিস্ বাতে্কা
ইন্তে~~জার হে্
কাহো্ না পিয়ার্ হে্~
কাহো্ না পিয়ার্ হে্ ~~ হা্ তুমসে্
পিয়ার্ হে্ ~~কাহো্ না পিয়ার্ হে্
♪♪♪♪ ও দিল্ মেরা্
হার্ বার্ ইয়ে্ ~~~সুন্নেকো্ বেকা্রার্ হে্
কাহো্ না পিয়ার্ হে্ কাহো্ না পিয়ার্ হে্
হঠাৎ স্নেহা দাঁড়িয়ে যায়,
রাহুল : [ গিটার বাজানো বন্ধ করে ] what happen?..
স্নেহা : আরো তো অনেক গানই ছিলো..এটা গাওয়ার কি দরকার ছিলো…
রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে থাকে স্নেহার দিক, কিছু বলতে যাবে তখনই কেউ এসে দরজা টুকা দিয়ে বলে… তাদের নিচে ডাকছে দাদী,
রাহুল গিটার রেখে দিয়ে স্নেহাকে ইশারা করলো নিচে আসতে…
দুজনে নিচে নামলো…
দাদী : আরে আয় আয়! বস এইখানে…[ স্নেহা গিয়ে দাদীর পাশে বসে ] তো স্নেহা…কি খাবে বলো?… রাতে ও কিন্তু খেয়ে যেতে হবে!
স্নেহা : না নাহ! আমার ফ্রেন্ডসরা আমার জন্য ওয়েট করছে…অলরেডি অনেক লেইট হয়ে গেছে!
দাদী : ঠিকাছে তাহলে অন্যদিন সময় করে এসো.. যাতে অনেক্ষণ বসতে পারো…আর এখন তো নাশতা করেই যেতে হবে,
হঠাৎ..বাহির থেকে গাড়ীর হর্ণের শব্দ ভেসে এলো… দাদী রাহুলের দিক তাকালো, এবং বুঝতে পারলো রাহুল ও বুঝে গেছে তার বাবা এসেছে…এবার রাহুল আর এক সেকেন্ড ও এই বাড়ীতে থাকবে না সোজা গেষ্ট হাউসে্ চলে যাবে,
[ রাহুল স্নেহার হাত ধরে টেনে তুলে চলো স্নেহা! বলেই তাকে নিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে ]
এইদিকে,
দাদী : [ চেচিয়ে ] আরে রাহুল! অন্তত নাশতা তো কর!
[ রাহুল স্নেহাকে টেনে নিয়ে বেড়িয়ে গেষ্ট হাউসে্ উঠে পড়ে ]
স্নেহা : [ হেসে হেসে ] আরে রাহুল! এতো তাড়াহুড়ো করছেন কেনো পড়ে যাবো তো..
রাহুল : [ হাটতে হাটতে ] Shut-up স্নেহা why are you laughing?..
স্নেহা : হাসি তো আসবেই..আপনার কান্ড দেখে কথা নেই বার্তা নেই সবসময় হুট করেই হাত টেনে বেড়িয়ে যান, কোথায় নিয়ে যান সেটাও বলেন না
রাহুল : [ স্নেহাকে রুমে নিয়ে হাত ছেড়ে দিয়ে রিলেক্স হয়ে দাড়ায় ] তুমি বুঝবা না স্নেহা! আমার ওনার চেহেরায় দেখতে ইচ্ছে হয়না….
স্নেহা : [ হেসে হেসে ] কিন্তু রাহুল কার?..সেটাতো বলেন…
রাহুল : [ ব্লাশিং হয়ে স্নেহার দিকে তাকায়,] কি বললে?.. আবার বলো তো?..
স্নেহা : কি?…
রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে ] আমার নাম!
স্নেহা : [ জিহ্বায় কামড় দিয়ে লজ্জা পেয়ে যায় ]
রাহুল ধীরে ধীরে কাছে এসে স্নেহার কপালে পড়ে থাকা সামনের চুল গুলো সরিয়ে দেই!
[ Sneha’s heart beating fast ? ]
স্নেহা পেছাতে লাগলে রাহুল স্নেহার কোমোড়ে ধরে কাছে টেনে নেই!…
হঠাৎ হুট করেই স্নেহার গালে একটি কিস্ দেই!
স্নেহা ভ্রু কপালে তুলে…চোখ বড় করে শকড হয়ে যায়…যেন মাথার উপর বাজ পড়েছে..?
[ রাহুল কোমোড় থেকে হাত সরিয়ে নেই..এবং তেডি স্মাইল দিতে থাকে, স্নেহা শকড হয়ে দাড়িয়েই আছে ]
রাহুল : শকিং শেষ হলে নিচে এসেপড়ো আমি গাড়িতে ওয়েট করছি!?
চলবে…