রিভেঞ্জ পর্বঃ ০২
– আবির খান
নেহাল টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। এত্তো বড় লাইন। সামনে অন্তত ১০ জন আছে ওর। নেহালের অস্থির লাগছে। তাই নড়াচড়া বেশি করছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। হঠাৎই পিছন থেকে একটা মেয়ে বলে উঠে,
মেয়েঃ আপনি কি বানর নাকি!!!
নেহাল বানর শব্দটা শুনে ওর মাথাটা সাথে সাথে গরম হয়ে যায়। নেহাল মনে মনে বলে, আমাকে বানর বলা না আজ তার খবর আছে। নেহাল রাগী ভাবে পিছনে ঘুরে মেয়েটির দিকে তাকায়।
নেহালঃ আপনি আমাকে বানর বলেছেন?? রাগী ভাবে।
মেয়েঃ জ্বি হ্যাঁ আপনাকেই বলছি। কারণ কোনো সুস্থ মানুষ এভাবে নড়াচড়া করে না। শুধু বানররাই এমন করে। তাই আপনি বানর। শান্ত গলায়।
নেহাল যেন রাগে ব্লাস্ট হয়ে যাবে। মেয়ে মানুষ কিছু করতেও পারছেনা। তার মধ্যে আরো পাবলিক প্লেস। তাও নেহালের মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো মেয়েটাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য।
নেহালঃ আমি বানর তাই না??
মেয়েঃ কতবার বলবো হ্যাঁ হ্যাঁ।
নেহালঃ তাহলে এখন আমি আপনার মাথার উপর উঠে বসবো। দেখি দেন মাথায় উঠে বসি।
মেয়েটা বোকার মতো হয়ে যায় নেহালের কথা আর কান্ড দেখে।
মেয়েঃ মানে কি আপনি এখন সত্যিই সত্যিই আমার মাথার উপর উঠবেন নাকি??
নেহালঃ জ্বিইইই। কেন উঠবো না, আমি না বানর। বানরতো মাথার উপরই উঠে বসে থাকে। দেখি মাথা দেখি আমিও উঠবো।
মেয়েঃ আরে আরে করছেন কি!!! আপনার মাথা ঠিক আছে??
আশেপাশে লোকেরা নেহাল আর মেয়েটার কান্ড দেখে সমানে হাসছে। ফলে মেয়েটা অনেক লজ্জা পাচ্ছে।
নেহালঃ এখন দূরে সরছেন কেনো?? আমি না বানর??
মেয়েঃ মাফ চাই আমি। ভুল হয়েছে আমার আপনাকে বানর বলে। আপনি বানর না..
নেহালঃ তাহলে কি??
মেয়েঃ আপনি বানরের রাজা।
নেহাল কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই…
টিকিটসেলারঃ স্যার কয়টা টিকিট লাগবে??
নেহালঃ বেঁচে গেলেন। ৫ টা দিন।
নেহাল টিকিট নিয়ে মেয়েটাকে দেখতে দেখতে চলে গেলো ওর বন্ধুদের কাছে।
সবাইঃ কিরে কি হয়েছে?? গেলি হাসতে হাসতে আসলি রাগী ভাবে?? কি হইছে??
নেহালঃ আরে ভাইরা বলিস না। কি সুন্দর একটা মেয়ে। কিন্তু আমাকে বলে বানর। আমি কি বানর?? আমাকে কোন দিক দিয়া বানর লাগে বলতো??
শামিমঃ আরে তুই বানর হবি কেন?? তুইতো বানরের রাজা। হাহা। সবাই হাসছে।
নেহালঃ ওই মেয়েও লাস্টে তাই বললো। এখন তোরাও। নাহ আজকে আর মুভিই দেখমু না। রাগ করে।
সবাইঃ আরে আরে ভাই মজা করছিলাম। চল চল রাগ করিস না প্লিজ। ও বোকা মেয়ে। না বুঝে বলছে।
নেহালঃ তোরা সবচেয়ে বড় বোকা। আর ওই মেয়েকে আবার পেলে হয়। দেখিস এর রিভেঞ্জ আমি নিবোই।
নিলয়ঃ আচ্ছা চল ভাই। মুভি শুরু হয়ে যাবে।
এরপর সবাই মুভি দেখতে ভিতরে চলে যায়। ওরা ৫ জন একসাথে বসেছে টিকিট অনুযায়ী। থিয়েটার পুরো অন্ধকার। শুধু স্ক্রিনে আলো জ্বলছে। আর ২ মিনিট বাকি মুভি শুরু হতে। সবাই বসে পরেছে যে যার সিটে। নেহাল জুস হাতে হঠাৎ ওর বামপাশে তাকিয়ে যেন একটা বিশাল বড় ধাক্কা খায়। কারণ সেই টিকিট কেনার মেয়েটা ওর পাশে বসে ওর দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে। নেহাল মেয়েটাকে দেখে সেই হাসি পাচ্ছে। আজ আর মুভি দেখা হবে না। ওকে জ্বালিয়েই সময় কাটাবে নেহাল। ওকে বানরের রাজা বলা না আজ বুঝাবে নেহাল কত বড় বানরের রাজা।
নেহাল মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ডেভিল মার্কা হাসি হাসছে। মুভি শুরু হলো। আর সাথে শুরু হলো নেহালের রিভেঞ্জ। নেহাল প্রথমে জুসটা শেষ করে মেয়েটার কাছে গিয়ে খালি জুসের প্যাকে স্ট্র দিয়ে আওয়াজ করছে মেয়েটার কানের কাছে। এমন বিরক্তিকর শব্দে মেয়েটা মুভি দেখতে পারছে না।
মেয়েঃ আপনি কি শুরু করেছেন?? এরকম শব্দ করছেন কেনো?? ম্যানার শিখেননি আপনি?? আস্তে করে।
নেহালঃ আমিতো বানরের রাজা। আবার কিসের ম্যানার।
মেয়েঃ উফফফ।
নেহালঃ উফফফ।
মেয়েঃ আহহায়ায়া।
নেহালঃ আহহায়ায়া।
মেয়েঃ আমাকে কপি করছেন কেনো??
নেহালঃ আমাকে কপি করছেন কেনো পঁচা মেয়ে??
মেয়েঃ কি আমি পঁচা মেয়ে??
নেহালঃ হাহা। আপনি পঁচা মেয়ে নিজেইতো বলছেন। হাহা।
মেয়েঃ উফফফফফ বেশি হচ্ছে। সিমা দোস্ত এপাশে আয়তো।
নেহাল তাড়াতাড়ি রাগী ভাবে সিমার দিকে তাকিয়ে না করে দেয় আসতে।
সিমাঃ না দোস্ত আমি এখানেই ঠিক আছি। ও পাশে আমার ভালো লাগে না। আর ওটা তোর সিট তুই বস।
মেয়েঃ আল্লাহ কেনো যে আজকে এনাকে বানর বলতে গেলাম। ধুহ।
নেহালঃ কেনো রাজার কারবারি পছন্দ হয়নি??
মেয়েঃ আচ্ছা আমি মাফ চাচ্ছি। এখন প্লিজ মুভিটা দেখতে দেন??
নেহালঃ আচ্ছা দিলাম মাফ করে। আর কোনো দিন যেনো আমাকে বানর না বলেন।
মেয়েঃ এহ আমার বয়েই গেছে। আর আপনার সাথে আমার দেখা হলেতো বলবো।
নেহালঃ হ্যাঁ তাও ঠিক। কিন্তু মনে মনেও বলবেন না।
মেয়েঃ হুম দাড়াও চান্দু খালি মুভিটা শেষ হোক। তারপর দেখাচ্ছি মজা। মনে মনে।
নেহালের অন্য পাশ থেকে,
সালমানঃ কিরে সেই কখন থেকে কথা বলছিস ব্যাপার কি??
নেহালঃ কিছু না মুভি দেখ।
নেহাল এরপর হয়তো মুভি দেখেছিলো। কিন্তু অনেকটা সময়ই আড় চোখে পাশে বসা দুষ্ট মেয়েটাকে দেখেছে। দেখবেই না কেনো?? এই ছোট ঝাল মরিচটা যে অনেক সুন্দরী আর মায়াবী। তার রুপের বর্ণনা না হয় পরে দি।
যাক অনেক কষ্টে মুভিটা শেষ হলো। মেয়েটা মনে মনে অনেক হাসছে। অনেকক্ষন ধরে অপেক্ষায় ছিলো মুভিটা শেষ হওয়ার। মুভি শেষ হওয়ায় যথারীতি সবাই থিয়েটার থেকে বের হয়ে গেলো। নেহালও ওর বন্ধুদের নিয়ে বের হয়ে একপাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছে।
মেয়েঃ সিমা তুই গাড়ির কাছে গিয়ে দাঁড়া আমি।আসছি। আর ড্রাইভার আঙ্কেলকে বলবি গাড়ি চালু রাখতে। মানে একদম রাস্তায়।
সিমাঃ সবইতো বুঝলাম। কিন্তু তুই কি করবি??
মেয়েঃ আমাকে এই পুরো সময়টা ওই বানরটা জ্বালায়িছে। এত্তো সহজে ছেড়ে দিবো। তুই তাড়াতাড়ি যা আমি আসছি।
সিমাঃ আচ্ছা।
সিমা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই মেয়েটা নেহালের কাছে এগিয়ে যায়।
মেয়েঃ এই যে শুনুন।
নেহালঃ হ্যাঁ?? পিছনে তাকিয়ে।
মেয়েঃ আপনি একটা বানর, গরু,ছাগল, মহিষ, গন্ডার, হনুমানননন।
বলেই মেয়েটা এক দৌড়ে নিচে চলে গেলো। নেহাল পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে। ওর বন্ধুরা হাসতে হাসতে প্রায় শেষ। একদুজনতো প্রায় মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে হাসতে হাসতে। নেহাল এখনো বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছে। একটু আগে এটা কি হলো বুঝতে পারছে না।
রাফিঃ মামা তোরেতো পুরা পশু বানায়া গেলো। হাহাহা। মজা করে।
নেহাল রাগ করবে না কি করবে কিছুই বুঝতে পারেনি। বন্ধুদের হাসি দেখে শেষমেশ ও হেসে দেয়। ওদের হাসাহাসি দেখে বাকি পাবলিকরা বোকার মতো চেয়ে আছে। তাদের চোখে ওরা সবাই এখন পাগল। হাহা। নেহালরা এরপর যে যার বাসায় চলে যায়।
রাতে নেহালের বাসায়,
নেহালের খাওয়া দাওয়া শেষ। নেহাল ওর রুমে লেপটপে ভার্সিটির কাজ করছে। কিন্তু কোনো ভাবেই কাজে মন বসছে না। নেহালের ভাবনায় শুধু সেই মেয়েটাই ঘুরাঘুরি করছে। মেয়েটা আজ যা করলো!! নেহালের বন্ধুদের সামনে নেহালকে পশু বানিয়ে চলে গেলো। নেহালের হাসিও পাচ্ছে আবার অনেক রাগও হচ্ছে।
নেহালঃ এরকম দুষ্ট মেয়ে আমি আগে কখনো দেখি নাই। কি দুষ্ট। বন্ধুদের সামনে এভাবে আমাকে বোকা বানিয়ে চলে গেলো। আল্লাহ তোয়ার কাছে বিচার দিলাম তুমি দেখো আল্লাহ। এই মাসুম ছেলেটাকে কতো বকা দিলো। আল্লাহ একবার একটু দেখা করিয়ে দিও প্লিজ। শুধু একবার মেয়ে তোমাকে পেয়েনি। তুমার যে কি হবে। নেহাল চৌধুরীকে অপমান। এ অপমানে বদলা আমি নিবোই। ধুহ আমিওতো সিনেমাটিক ডায়লগ দিচ্ছি। হাহা। নেহাল এসব ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমিয়ে পরে।
পরদিন সকালে,
নেহালকে যথারীতি ওর মা ঘুম থেকে তুলে খাইয়ে দিয়ে ভার্সিটিতে পাঠিয়ে দেয়৷ নেহাল ভার্সিটেতে পৌঁছে ওর বন্ধুদের সাথে জমপেশ আড্ডা দিচ্ছিলো। হঠাৎই নেহালের চোখ যায় ভার্সিটির গেইটের দিকে যায়।
নেহালঃ ও মেরে দোস্তো, যারা উধারমে তো দেখো কন আ রাহি হেই। (সবাই ওই দিকে দেখ কে আসছে)
নেহালের কথায় সবাই গেইটের দিকে তাকিয়ে দেখে গতকালের সেই মেয়েটা। বন্ধুরা সবাই একসাথে বলে উঠলো। আব এ লারকিকা কেয়া হোগা??( এই মেয়ের এখন কি হবে??)
নেহালঃ আব বাহাত কুচ হোগা। হাহাহা। (অনেক কিছু হবে)
নেহালের সেই খুশি লাগছে। নাচানাচি করছে মেয়েটাকে দেখে। মেয়েটা গেইট দিয়ে ঢুকে আসছিলো হঠাৎই ওর নজর যায় সামনের দিকে। কে যেন সেই বানরটার মতো নাচছে। মেয়েটা ওর বান্ধবী সহ একটু সামনে এগিয়ে এসে দেখে গতকালের সেই ছেলেটা। মেয়েটার পা যেন থমকে যায়। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে মেয়েটা। আর অন্যদিকে নেহাল আঙুল দিয়ে মেয়েটাকে দেখি সেকি নাচ। মনে হয় শিকারী তার শিকার পেয়েছে। নেহাল ওদের ডাকছে হাত দিয়ে ইশারা করে।
প্রেমাঃ কি হলো এভাবে হাঁটতে হাঁটতে থেমে গেলি কেনো??
মেয়েঃ….
প্রেমাঃ ওই দেখ নেহাল ভাইয়া ডাকছে চলতো।
মেয়েটা ওদিকে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই। কিন্তু তারপরও প্রেমার জোরাজোরিতে যেতে হলো।
প্রেমাঃ হাই নেহাল ভাইয়া কেমন আছেন?? আর আপনাকে এত্তো খুশি খুশি লাগছে কেনো??
সবাইঃ আসলে নেহালকে গতকালকে একটা মেয়ে অনেক মধুর কথা বলেছিলো। তাকে খুঁজে পেয়েছে।
প্রেমাঃ কি বলেন সত্যিই?? কই সে??
নেহালঃ আছে আছে। তাকে সেই মধুর মধুর কথার জন্য অনেক গিফট দিবো। তাকে রেডি থাকতে হবে। হাহা।
মেয়েটা অসহায় ভাবে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
নেহালঃ তা তোমার সাথে এই মেয়েটা কে??
প্রেমাঃ ভাইয়া ও আমার কাজিন। নাম তনু। আমার সাথেই এবার ভর্তি হয়েছি।
নেহালঃ হাহা। ভালো তো। সেই ভালো। হাহা।
নেহালের ডেভিল মার্কা হাসি শুনে ভয়ে তনুর অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ও স্বপ্নেও কল্পনা করে নি যে নেহালকে এখানে পাবে। এখন যে ওর কি হবে আল্লাহই ভালো জানে। তনু এসব ভাবছে।
প্রেমাঃ আচ্ছা ভাইয়া আমরা অাসি তাহলে ক্লাস শুরু হবে।
নেহালঃ হ্যাঁ যাও। হাসতে হাসতে বলল।
ওরা চলেই যাচ্ছিলো, হঠাৎই তনু ওর কানের কাছে কিছু শুনলো।
– রিভেঞ্জ।
তনু রিভেঞ্জ শব্দটা শুনে পিছনে ফিরে তাকায়। দেখে নেহাল ওর দিকে তাকিয়ে সেই ডেভিল মার্কা হাসি দিচ্ছে আর মাথা দুলাচ্ছে। তনুর যা এখন লাগছে না কি বলবো। না পারছে কিছু করতে না পরছে কিছু বলতে। কারণ দোষটা ওরই। ও ভেবেই কূল পাচ্ছে না ওর সাথে নেহাল কি করবে। ওরা ক্লাসের দিকে যাচ্ছে। প্রেমা তনুকে বলছে।
প্রেমাঃ জানিস এই সেই নেহাল ভাইয়া যে, সেদিন আমাকে বাঁচিয়ে ছিলো।
তনুঃ এই ছেলে আবার মেয়েদের বাঁচায়। অবিশ্বাস্য।
প্রেমাঃ আরে হ্যাঁ।
তনুঃ অসম্ভব।
প্রেমাঃ কি হয়েছে তোর আজকে??প্রথম ভার্সিটি আসলি আর এসেই কেমন অদ্ভুত আচরণ করছিস কি হয়েছে বলতো??
তনুঃ ক্লাসে চল তারপর বলছি।
প্রেমাঃ আচ্ছা।
কিছুক্ষণ পর…
প্রেমাঃ কি বলিস কি!!! এতো কিছু বলেছিস ভাইয়াকে। তোর কপালে শনি, রবি, সোম সব আছে। হাহা। মজা করে।
তনুঃ ধুর ভয় দেখাচ্ছিস কেন?? ভয় করেতো।
প্রেমাঃ আরে ভয় পাস না। ভাইয়া অনেক ভালো আছে। কিছু করবে না। যদিও কিছু করে ধর এই চার পাঁচটা মার দিবে আর বকা দিবে এই।
তনুঃ কিইইই!!! ভয় পেয়ে।
প্রেমাঃ হাহা।
ক্লাস শেষে তনু একা ক্লাসে বসে আছে। ১ সপ্তাহের নোটস গুলো দেখছে। প্রেমা ক্যানটিনে গিয়েছে চা আনতে। তনু বসে বসে নোটস দেখতে দেখতে মনে হলো প্রেমা এসেছে। তাই তনু বলল,
তনুঃ প্রেমা এসেছিস। দে চা’টা দে। মাথা ঘুরাচ্ছে এত্তো নোটস দেখে। কিহলো দে…
তনু কোনো চা না পেয়ে যেইনা পাশে তাকায়….
চলবে…?
কোনো ভুল হলে জানাবেন।
সবার অনেক বেশি সাড়া চাই। এই গল্পটি আপনাদের অনেক মজা দিবে। তাই সাথে থাকবেন। আর কেমন লেগেছে জানিয়েন কিন্তু।