প্রেয়সীর ছোঁয়া পর্ব ১৮

0
886

প্রেয়সীর ছোঁয়া পর্ব ১৮
জামিয়া পারভীন তানি

“ তুমি আমায় অবিশ্বাস করছো আদনান? ” আফরা করুণ দৃষ্টিতে আদনানের দিকে তাকালো।
“ না মানে! ”
“ অথচ কথা দিয়েছিলে আমার অতীত কে তুমি মেনে নিবে। ” আফরা বললো।
“ আফরা একটা কথা বলো তো! এরিক ছাড়া পেলো কিভাবে এবং কখন? শত্রুতা করে ওই কি আমার মাহিরা কে সরিয়ে দিয়েছে? ” আদনান আফরার দিকে জিজ্ঞাসুক ভাবে তাকিয়ে থাকে।

আফরার মাথায় এমন চিন্তা কখনো ই আসেনি। এরিক এমন কাজ করতে পারে এটা তার ধারণার বাইরে ছিলো। এমন সময় পুলিশ অফিসার জিজ্ঞেস করলেন,
“ কি হয়েছে খুলে বলুন? মাহিরা ম্যাডাম কি বেঁচে নেই? ”
আফরা যেটুকু জানে একে একে সব বলে, আদনানের সাথে পরিচয়, কিভাবে প্রেমের শুরু, কিভাবে নাদিরা ওদের জীবনে আসে, কিভাবে মদের আসর বসে, কিভাবে মাহিরার লাশ পাওয়া যায়, কিভাবে আদনান ফেঁসে যায়, আবার জেল থেকে বের হয়, আফরার সাথে কিভাবে আদনানের প্রেম হয়, কিভাবে বিয়ে হয় সব বলে অফিসার কে।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



“ তাহলে এই কেশ সলভের জন্য বাংলাদেশ যাওয়া ই লাগবে। ” পুলিশ অফিসার বললেন।
“ যা ভালো মনে হয় তাই করুন, কিন্তু আমরা ন্যায় বিচার চাই। “ আদনান বললো।

আফরা মনে মনে এইটুকু নিশ্চিত হলো যে আদনান ওর বোনের খুনী নয়। আফরা উত্তেজনা বশত উঠে দাঁড়াতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যেতে শুরু করে। তখন আদনান ওকে জড়িয়ে ধরে। এতগুলো লোকের সামনে এভাবে আদনানের বুকে থাকতে আফরার লজ্জা লাগে। আফরা সরে যেতে চাইলে আদনান আরোও শক্ত করে আঁকড়ে ধরে। আর বলে,
“ তোমার নাকি লজ্জা কম, সাহস বেশী! তাহলে লজ্জায় মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে কেনো? ”
“ উঁহু ছাড়োতো!”

আদনান আফরা কে বিছানায় শুইয়ে দেয়। এরপর আদনান অফিসার কে জিজ্ঞেস করে,
“ আফরা তো নিজেকে বাঁচাতে এরিক কে মারতে বাধ্য হয়েছে। এক্ষেত্রে তো ওর শাস্তি হবার কথা না! তাহলে গতকাল অন্য অফিসার কেনো বললেন যে এরিকের কিছু হলে আফরার বিচার হবে? “

“ গতকাল তো আমরা কোনো পুলিশ পাঠাইনি ! কে বলেছে এইসব? ”
“ কি বলেন? তাহলে কাল যারা এসেছিলো তারা কারা? কারা আমাকে ভয় দেখিয়ে গিয়েছে? এটা কি এরিক কে বাঁচিয়ে আফরা কে বিপদে ফেলার কোনো প্লান নাকি? ”

২৩.
আফরার পুরো সুস্থ হতে দুইদিন সময় লাগে। এদিকে ভুয়া পুলিশ দের কেও ধরে ফেলে পুলিশ অফিসার । তারা জানায়, তারা এরিকের লোক। এরিকের কথা তেই এসব বলে আদনান কে। ওদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করে পুলিশ অফিসার। এরপর জেরায় সব ফাঁস করে। ওরা দুজন স্বীকার করে, এরিক কে মিথ্যা মৃত দেখিয়ে আফরার ক্ষতি করতে চেয়েছিলো

আফরা এইসব শুনে মাথায় হাত দিয়ে চেয়ারে বসে থাকে। এরপর আদনান কে জিজ্ঞেস করে,
“ এরিক কোথায়? ”
“ আপাতত থানায় আছে। ”
“ আমি ওর সাথে দেখা করতে চাই আদনান। না বলোনা প্লিজ। ”
“ দেখা করে কি বলবে? আবার নতুন করে শুরু করি চলো, তাইতো! ” আদনান একটু রাগ দেখিয়ে কথা গুলো বলে।
“ এমন করে বলছো কেনো? ”
“কি দরকার ছিলো বাজে ছেলেটার সাথে প্রেম করার? নিজ হাতে বিপদ ডেকে এনেছো! আর যদি জানতে পারি মাহিরার খুনের সাথে এরিক জড়িত ছিল তাহলে তোমাকে ছেড়ে কথা বলবো না আমি।”
“আদনান!”
“ হ্যাঁ তাইই, তোমাকে পেয়ে মাহিরা কে ভুলে থাকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু তুমি যদি আমার প্রেমিকার ক্ষতির কারণ হয়ে থাকো তাহলে কখনো আমার মুখ দেখবে না তুমি। ”
“ এখন বিয়ে করা বউয়ের চেয়ে প্রেমিকা বড় হয়ে গেলো, তাইনা!”
“ হ্যাঁ তাই। ”
“ তাহলে তুমিও শুনে রাখো, আমার বোনের খুনের সাথে যদি তুমি নিজে জড়িত থাকো তাহলে তোমাকে ও ছাড়বোনা আমি। ”
“ দেখা যাবে, কে দায়ী আর কে নির্দোষ। ”

২৪.
এক সপ্তাহের মধ্যে আদনান , আফরা আর দুইজন কানাডার পুলিশ অফিসার বাংলাদেশের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। তাদের একটাই উদ্দেশ্য এখন। মাহিরার আসল খুনী কে, তা খুঁজে বের করা।

এক সপ্তাহ থেকে আফরা একটা ও কথা বলেনি আদনানের সাথে। আর আদনান ও কথা বলেনি আফরার সাথে।
আফরার মাথায় একটা প্রশ্ন ই ঘুরছে। মানুষ এতো নিচ হয় কিভাবে! মাহিরা কে ভুলে তাকে আপন করে নিয়েছিলো আদনান। যদি মাহিরা কে সত্যিকারের ভালোবাসতো, তাহলে তাকে কাছে টেনে নেওয়া কি শুধুই শারীরিক চাহিদা? কখনো আফরা কে ভালোবাসেনি আদনান?

আর আদনান ভাবছে, আফরা যদি এরিকের প্রেমে না পড়তো তাহলে মাহিরা কে অকালে মরতে হতো না! সব দোষ ওই মেয়ের, হোক ছোট বেলার ভুল। ভুলের কি ক্ষমা কখনো হয়?

চলবে…….

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে