পুরোনো_ভালোবাসা
পার্ট: ৪
__নিশু -তুমি এতো দেরি করলে কেন তাই।তুমি জানো না আবির তোমায় না দেখেতে পেলে কান্না করে।
শিহাব-আমার বউটার মন কাঁধে না?কথাটা বলেই নিশু কে কোলে তুলে নিলো।
নিশু-সন্ধার সময় কি করছো এই সব?আবির এসে পড়বে। ছাড়ো আমাকে।
বারান্দা থেকে নিশুকে কোলে নিয়ে এসে খাটে শোয়ালো।নিশুকে শুইয়ে নিশুর বুকের উপরে শুয়ে পড়লো শিহাব।নিশু জানে শিহাবের কাছ থেকে এখন ছাড়া পাওয়া সহজ নয়।তাই সে নিজেও শিহাব কে জড়িয়ে ধরলো।সেও শিহাবের মাঝে হারাতে চায়।শিহাব নিশুর ঠোট গুলোকে নিজের ঠোটের সাথে এক করে নিলো।
আবির-নানু দেখো বাবাই আমার জন্য কতো খেলনা,চোকলেট এনেছে। বাবাই আমাকে কতো ভালোবাসে।
ইয়াসমিন বেগম -হুম, তোমার বাবা আর আম্মু দুজনেই তোমাকে ভালোবাসে। যাও এইবার পড়তে বসো না হলে তোমার আম্মু এসে বকা দিবে।
তখনি শিহাব রুম থেকে বের হতে হতে বললো,কে বকবে আমার ছেলেকে। আমি আছিনা আমিও তাকে বকে দেবো।
আবির -বাবা তুমি আজকে দেরি করলে কেন?তুমি তো এতো দেরি করোনা।জানো বাবা! আম্মুর না শপিং করে আসার পর থেকে মন খারাপ ছিলো।আম্মু অনেক কান্নাও করেছে।
_শিহাব ইয়াসমিন বেগমের মুখের দিকে তাকিয়ে বললো নিশুর কি হয়েছে মা?
ইয়াসমিন বেগম কি বলবে বুজতে পারছে না।তারপর বললো আমি জানি না।
তখন নিশু এসে বললো কি হলো তোমরা কি আজ রাতে না খেয়ে থাকবে নাকি?
ইয়াসমিন বেগম বললো সবাই আসো আমি খাবার আনছি।
আবির তোমার তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে বেশি রাত জাগলে শরীর খারাপ করবে।আসো তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও।শিহাব তুমিও আসো।
__শিহাব কিছু না বলে খেতে বসলো।খেতে খতে শিহাব বললো
শিহাব-নিশু! আবির কে নিয়ে আমরা কোথাও ঘুরে আসি।
নিশু-কাল তোমার অফিস আছে না?
শিহাব-অফিসে একদিন না গেলে কিছু হবেনা।আমার ছেলে আর বউয়ের জন্য এইটা তো কিছুই না।আপনি বলেন মা করতে পারি না?
মা-হে অবশ্যই পারো।দেখ নিশু তুই আর না করিস না।
__নিশিতা মনে মনে ভাবছে অন্য কথা।কাল যদি অনিকের সাথে আবার দেখা হয়। আবিরকে নিয়ে তার প্রশ্ন জাগতে পারে।কারন আবিরে বয়স ৪ বছর ৬ মাস।আর শিহাবে সাথে নিশুর বিয়ে হয়েছে ৩ বছর।অনিক যদি বুজে যায় আবির শিহাবের ছেলে নয়।
শিহাব-কি ভাবছো এতো?এতোহ্মন তো অনেক তাড়া দিচ্ছিলে।
নিশু-কই কিছুনা তো।আচ্ছা মা! মামা চলে গেলো কেন?
__ইয়াসমিন বেগম বুজে গেছে তার মেয়ে কথা কাটাতে চাইছে।তারপর বললো সৈকতের জরুরী কাজ পড়ে গেছে।বলেছে আবার আসবে।
__শিহাব খাওয়া শেষ করে রুমা চলে আসলো। লাইট টা বন্ধ করে শুয়ে পড়লো। কিছুক্ষণ পর নিশিতা রুমে এসে লাইট অন করলো।শিহাবকে শুয়ে থাকতে দেখে নিশিতা বললো তোমার কি শরীর খারাপ?
__আবির কই বলতে বলতে শিহাব উঠে বসলো।
নিশিতা-আবির বায়না ধরেছে ওর নানুর সাথে ঘুমাবে?
শিহাব-ঠিক আছে।কাল মনে থাকে যেন আমারা ঘুরতে যাচ্ছি বলে আবারো শুয়ে পড়লো।
__নিশিতাও দেরী না করে শিহাবকে শক্তকরে জড়িয়ে ধরে তার বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো।আস্তে আস্তে দুজনি ভালোবাসায় ডুব দিতে লাগলো।
চলবে,,,,,
(গল্প পড়ে ভালো লাগলে লাইক দিতে পারেন,ভালো কমেন্ট করতে পারেন।