তোমার স্পর্শে পর্বঃ ০৪
– আবির খান
চোখ খুলে আমার বিছানায় তাকিয়ে দেখি মায়া নেই। ওয়াশরুম ও লক করা। চিন্তায় আর ভয়ে আমার পুরো শরীর ঘাম দিয়ে গেছে। তাহলে মায়া কোথায়??
আমি একলাফে উঠে বসি। হাত দিয়ে কপালের বিন্দু বিন্দু ঘামগুলো মুছে সোজা উঠে দাঁড়িয়ে পরি। রুমের এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি কোথাও মায়া নেই। হঠাৎ কানে কেমন জানি এক অস্পষ্ট শব্দ ভেসে আসে রুমের বাইরে থেকে। আমি দ্রুত দরজার কাছে গিয়ে ড্রইংরুমে উঁকি মেরে যা দেখি, তাতে আমি পুরো অবাক। আমি দেখি, মায়া সোফায় বসে টিভিতে কার্টুন দেখছে। আর খিলখিল করে হাসছে। ওকে দেখে যেন জানে জান এসেছে। একমুহূর্ত চোখের আড়াল হয়েছে তাতেই আমার বুকের পিঞ্জিরায় ব্যাথা অনুভব হচ্ছে। তবে কি আমি?? জানি না। ওর সুস্থতা এখন সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি দ্রুত ওর কাছে এগিয়ে যাই। ওর পাশে গিয়ে বসি। আর বলি,
আমিঃ তুমি কখন উঠেছো?? আর একা একা এখানে টিভি দেখছো কেন?? অবাক হয়ে।
মায়াঃ কিছুক্ষণ আগে উঠেছি। তুমি গভীর ঘুমে ঘুমাচ্ছিলে তাই ডাকি নি। আস্তে করে বলল।
আমিঃ এখনতো বেশ বড়দের মতো কথা বলছো। বাহ!! রসিকতার স্বরে।
মায়া টিভি থেকে চোখ সরিয়ে আমার পানে এনে আস্তে করে বলে,
মায়াঃ বড়রা কিভাবে কথা বলে??
আমি এখন কি যে বলবো। মাথায় কিচ্ছু আসছে না। ওর আজগুবি প্রশ্ন আমাকে প্রতিনিয়ত বিপাকেই ফালিয়ে দিচ্ছে। আমি চিন্তা ভাবনা করে ওকে বললাম,
আমিঃ বড়রা সুন্দর করে ভালো ভাবে কথা বলে। ধর আমার মতো।
হায়রে, এই কথাটা বলায় যে আমার মহা ভুল হবে তা আমি কখনো ভাবি নি। মায়া বাচ্চাদের মতো ঠোঁট বাকিয়ে বলল,
মায়াঃ আমি কি তাহলে সবসময় বড়দের মতো কথা বলি না?? আমি কি খারাপ ভাবে কথা বলি?? এএএএএ….কান্না করতে করতে।
বলেই কান্না শুরু। হায়রে সেকি কান্না। আমি অস্থির হয়ে পরি ওর এভাবে কান্না দেখে। আমি,
আমিঃ আরে আরে কান্না করো কেন?? আমি কি তোমাকে কিছু বলছি নাকি?? কান্না করো না প্লিজ।
মায়াঃ তুমি বুঝিয়েছো আমি অন্যসময় বড়দের মতো কথা বলি না। এএএএএ….কান্না করতে করতে।
আমিঃ আহরে…কি মুশকিল। আচ্ছা বাবা, এই যে কান ধরছি। এই যে উঠ বসও করছি। আর কোনো দিনও এ কথা বলবো না। সরি সরি।
আমি দ্রুত উঠে কান ধরে উঠ বস করছি আর সরি সরি বলছি। পরক্ষণেই মায়া খিলখিল করে হেসে দেয়। সেকি তার হাসি। আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে ওর হাসি দেখেছি। মন কেনো জানি ভিতর থেকে বলে উঠলো, ইসসস, এই হাসিটা যদি সারাটা জীবন দেখতে পেতাম। ওর মুক্ত ঝরা হাসি দেখে আমার মন প্রাণ সব যেন শান্তি খুঁজে পেয়েছে। আমি আস্তে করে ওর পাশে গিয়ে বসি। বসতেই ও যা করলো তাতে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। ও আমার কান দুটো ধরে খেলা করছে।
আমিঃ আহা একি করছো। তুমি না বড়। বড়রা কি এমন করে। এমনতো বাচ্চারা করে।
মায়ার মুখটা আবার আমাবস্যার মতো কালো হয়ে গেলো। আর আস্তে করে বলল,
মায়াঃ আমার তোমার সাথে এমন করতে ভালো লাগে। তোমার দাড়ি ধরতে ভালো লাগে। তোমার এই খাড়া নাকটা ধরতেও ভালো লাগে। আমি ধববো প্লিজ। না করো না। একদম আহ্লাদী কণ্ঠে।
মায়া ওর মায়াবী অশ্রুসিক্ত নয়নজোড়া একদম আমার পানে এনে আমার চোখে চোখ রেখে কি মিষ্টি করে আহ্লাদী কণ্ঠে কথাগুলো বলল। মায়াকে এত্তো কাছে পেয়ে আমি ঢোক গিলতেও পারছি না। অনেক কষ্টে ঢোক গিলে একটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে একটু পিছনে সরে বললাম,
আমিঃ আচ্ছা ধরো তুমি। কোনো সমস্যা নেই।
মনে মনে বললাম, তোমার স্পর্শেইতো আমি শান্তি খুঁজে পাই। না বলার প্রশ্নই উঠে না।
মায়া বেশ খুশি হয়ে আমার গাল দুটো ধরে নাড়িয়ে নাড়িয়ে বলছে,
মায়াঃ তুমি অনেক ভালো। আর অনেক সুন্দর। হ্যান্ডলুলু তুমি।
আমিঃ কিহহ!! হ্যান্ডলুলু!! এটা আবার কি?? অবাক হয়ে।
মায়াঃ আরে অনেক সুন্দর ছেলেকে হ্যান্ডলুলু বলে না ওইটা।
আমি এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। হাসতে হাসতে মাটিতে রীতিমতো গড়াগড়ি খাচ্ছি। হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গিয়েছে। আমি দেখি মায়া আমার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে। আমি এবার অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বললাম,
আমিঃ হ্যান্ডলুলু নারে বোকা হ্যান্ডসাম হবে। হাহা। হ্যান্ডলুলু আমি। হাহা।
মায়া আমার কথা শুনে বোধহয় লজ্জা পেল। আমি ওর লজ্জাসিক্ত মায়াবী মুখখানা দেখেতো আবার মুগ্ধ। কারণ ওর মুখখানা একদম গোলাপি হয়ে গিয়েছে। ও মিটিমিটি হাসছে। আমি বললাম,
আমিঃ বাবাহ!! কি লজ্জা তার। তা মিটিমিটি হাসছেন কেনো আপনি হুম??
মায়া ইশারা করে আমাকে কাছে ডাকে। আমি একটু কাছে গেলেই ও বলে,
মায়াঃ তোমার হাসিটা অনেক সুন্দর। আমার খুব ভালো লেগেছে।
ওর কথা শুনে আমি ‘থ’ হয়ে গিয়েছে। ও সুস্থ থাকলে এই কথা আমাকে কখনো বলতো না। বাচ্চামিটা আছে বলেই ও মনের কথাটা আমাকে সরাসরি বলে দিলো কোনো সংকোচ ছাড়াই। আমি যে কি বলবো জানি না। তাও আস্তে করে বললাম,
আমিঃ থ্যাংক ইউ। তোমার হাসিটাও খুব খুব সুন্দর। সবসময় হাসবে। কখনো কান্না করবে না। ঠিক আছে??
মায়াঃ আচ্ছা।
এখন রাত প্রায় ৯.২৮ বাজে,
আমিঃ চলো খাবে।
মায়াঃ আমার ক্ষুধা নেই তো। আমি খাবো না।
আমিঃ না না। এখন খেয়ে ঔষধ খেতে হবে। না হলে তুমি সুস্থ হবে কি করে??
মায়াঃ আমি খাবো না। ইচ্ছা করছে না।
আমিঃ তুমি না খেলে কিন্তু আমিও খাবো না। যাও। অভিমানী কণ্ঠে।
দেখলাম মায়া কি যেন ভাবলো। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে আমার সামনে এসে বলল,
মায়াঃ আচ্ছা খাবো চলো। তোমাকে আজকে আমি খাইয়ে দিবো।
মানে সব কিছুতে তার হাত আছেই। কি আর করার আমিও বললাম,
আমিঃ আচ্ছা। তবে আগে তুমি খাবে।
মায়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
এরপর মায়ার জন্য খাবার রেডি করে ডাইনিং রুমে নিয়ে আসলাম। মায়া চুপচাপ বসে আছে। ওকে এভাবে শান্ত দেখলে আমার কেমন জানি লাগে। ওর চঞ্চল স্বভাবটাই আমার এই কয়দিনে খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে সাথে ও। এরপর শুরু করলাম মায়াকে খাওয়ানো। খাওয়া শেষে ওকে ঔষধ খাইয়ে দিয়ে এসে বসলাম।
মায়াঃ একি তুমি খাবে না?? অবাক হয়ে।
আমিঃ আমি রাতে খাইনা। ডায়েট করি। কিঞ্চিৎ হেসে বললাম।
মায়াঃ তাহলে আমাকে মিথ্যা বললে কেন?? ভ্রুকুচকে বলল।
আমিঃ আমার বান্ধবীটা না খেয়ে থাকবে তা কি করে হয়। তাই একটু মিথ্যা বলে খাওয়ালাম। তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হও তাহলে আর খেতে বলবো না। কিন্তু সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমি যা খেতে বলবো তা খেতে হবে ঠিক মতো। ঠিক আছে??
মায়াঃ আচ্ছা।
আমিঃ চলো এখন ঘুমাবে।
মায়াকে নিয়ে আমার রুমে গেলাম। ওকে ফ্রেশ হতে পাঠিয়ে দিয়ে আমি ওর জন্য বিছানাটা গুছিয়ে দিলাম। গুছিয়ে অপেক্ষা করছি। একটুপরই ও বেরিয়ে আসে।
আমিঃ নেও শুয়ে পরো এখন। একদম ভালো বাবুদের মতো সুন্দর করে একটা ঘুম দেও।
মায়া হাত, মুখ মুছে বিছানায় উঠে শোয়। আমি উঠে আসতে নিলেই ও বলে,
মায়াঃ এই যে কোথায় যাও??
আমিঃ কেনো পাশের রুমে ঘুমাতে। তুমি ঘুমাও এখন।
মায়া একলাফে উঠে আসন করে বসে বলে,
মায়াঃ অন্যরুমে মানে!!! এখানে ঘুমাবা না?? আমি একা ঘুমাবো নাকি!! অবাক হয়ে।
আমিঃ হ্যাঁ। সমস্যা কি। ঘুমাও। আমি আছিতো পাশের রুমে। কিছু লাগলে ডাক দিও।
মায়াঃ না, তুমি এখানে আমার সাথে ঘুমাবা। আমি একা ঘুমাবো না। আমার ভয় করে। অসহায় ভাবে।
আমিঃ আরে কোনো ভয় নেই। আমিতো পাশের রুমেই আছি। ঘুমাও।
মায়াঃ নাআআ…এখানে ঘুমাও। মুখ ফুলিয়ে।
আমিঃ আহ মায়া এমন করো নাতো।
মায়াঃ নাঅাঅাঅা….এখানে ঘুমাওওও…চিৎকার করে বলল।
আমিঃ আচ্ছা এই সোফাটায় ঘুমাই?? অসহায় ভাবে।
মায়াঃ নাঅাঅাঅাঅা…..আমার সাথে ঘুমাবাঅাঅাঅা…জোরে চিৎকার করে বলল।
কেমনটা লাগে এখন। মায়া মনের দিক থেকে বাচ্চা হলেও সে একজন যুবতী মেয়ে। তার উপর খুব আবেদনময়ী ও। আমি কিভাবে ওর পাশে ঘুমাই। এছাড়া জীবনেও আজ অবদি কোনো মেয়ের কাছেই যাইনি একসাথে ঘুমাবো কি। হায়রে কি ঝামেলায় পরলাম রে বাবা। ওর সাথে ঘুমাবো চিন্তা করলেই হৃদস্পন্দন যেন ক্রমশ বেড়ে বুলেট ট্রেনের গতি লাভ করে।
মায়াঃ কই কি হলো?? আসো।
আমিঃ আচ্ছা আসছি। অসহায় ভাবে।
এরপর আমি ফ্রেশ হয়ে এসে আস্তে করে বিছানার একদম একপাশে চুপটি মেরে অন্যদিকে ফিরে শুয়ে পরি। ওপাশে মায়া শুয়ে আছে তা জানি। তবে ঘুমাচ্ছে কিনা জানি না। আসলে আমার প্লান হলো ও ঘুমালেই আমি সামনের সোফায় গিয়ে শুয়ে পরবো।
হঠাৎ আমার পিঠে কে যেন আঙুল দিয়ে গুতো দিচ্ছে। ভূত আসার কোনো ওয়ে নাই। তারমানে একাজ মায়ার। কোনো সমস্যা হলো নাকি ওর ভেবে যেই না পিছনে ঘুরলাম অমনি মায়া যা করলো আমি পুরো বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। আমি পিছনে ঘুরতেই মায়া আমার বুকের মাঝে এসে আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। আমি একদম স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। আমার শরীর পুরো বরফ হয়ে গিয়েছে। তবে কান থেকে যেন আগুন বের হচ্ছে। জীবনে প্রথম কোনো মেয়ে আমার এতোটা স্পর্শে। একদম আমার সাথে মিশে আছে। লজ্জাতো লাগছেই কিন্তু সাথে আবার অনেক ভালোও লাগছে। একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে মায়ার স্পর্শে। আমি পুরো পাথর হয়ে আছি। এবার যা মায়া করলো তাতে রীতিমতো আমি জ্ঞান হারানোর উপক্রম। মায়া ওর হাত দিয়ে আমার এক হাত ওর উপর নিয়ে রাখলো। রুমের ভিতর এসি চলছে। ঠান্ডা হাওয়ায় পুরো রুম শীতল। কিন্তু আমি সমানে ঘামছি। কপালে ঘাম জমে আছে। আমাকে যেভাবে হোক নিজেকে শান্ত করতেই হবে। না হলে যেভাবে হার্টবিট হচ্ছে আমি হার্টফেলও করতে পারি।
জীবনে প্রথম এমন অনুভূতি হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমার পুরো শরীর কোনো নরম তুলতুলে জিনিসের স্পর্শে। অনুভূতিটা এখন কেমন তা বলার সামর্থ্য আমার নেই। এই অনুভূতি যে অনুভব করেছে সেই একমাত্র বুঝতে পারবে। যাই হোক অনেক কষ্টে নিজেকে শান্ত করে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে স্বাভাবিক হয়ে মায়াকে বললাম,
আমিঃ একি করছো মায়া?? আমাকে ছাড়ো। এভাবে কেউ ঘুমায়??
মায়া আমার বুকের মধ্যে থেকে মাথা তুলে আমার চোখের দিকে তাকালো। আমিও ওর চোখের দিকে তাকালাম। দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি দেখলাম, মায়ার মুখখানা আস্তে আস্তে গোলাপি হয়ে যাচ্ছে। মানে ও লজ্জা পাচ্ছে। আমি আবার বললাম,
আমিঃ এভাবে তাকিয়ে আছো কেন মায়াবতী??
মায়া চোখ নামিয়ে বলল,
মায়াঃ এমনি। আমার এভাবে ঘুমাতে ইচ্ছা করছে। তাই আমি এভাবেই ঘুমাবো।
বলেই আবার আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরে। আমি আর ওকে কিছু বলি না। কারণ জানি ওকে আর কিছু বললে ও রাগ করবে আর লজ্জা পাবে। সত্যি খুব ভালো লাগছে এই অনুভব গুলো। মনের অজান্তেই মায়াকে আমার বাহুডোরে জড়িয়ে ধরলাম। মায়াও যেন তাই চাচ্ছিলো। ও একদম আমার সাথে মিশে আছে।
আমার জীবনে প্রথম মেয়ে মায়া। যে আমার এতটা কাছে। যার গভীর স্পর্শে আমি। হয়তো আজ ওর এই অসুস্থতা আমাদেরকে এতটা কাছে এনেছে। আমার কাছে আমাদের দেহটা যে একসাথে তা কিন্তু মনে হচ্ছে না। আমার মনে হচ্ছে আমাদের মন দুটো একসাথে। ওর এই বাচ্চামি, আমার সাথে তার দুষ্টামি, আর এই কাছে টেনে নেওয়া আমাকে শুধু বলছে, মায়া তোমাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি। হ্যাঁ মায়াকে আবির ভালোবেসে ফেলেছে। জীবনে হাজারটা মেয়ের স্বাদ নিবো এমন আমি না। জীবনে এই একটা মেয়ে ‘মায়া’ প্রথম আমার কাছে এসেছে। দ্বিতীয় আর কেউ নয়। আজ থেকে মায়াই আমার সব কিছু। আমার এই বিষন্ন জীবনে খুশি হয়ে এসেছে মায়া। মহান আল্লাহ তায়ালা হয়তো ওকে এভাবেই আমার জন্য লিখেছিলেন। সত্যি আমি মায়াকে আর কোনোদিন আমার থেকে দূর করতে পারবো না। মায়াকে আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত চাই। তাতে ও যেভাবে থাকুক। সুস্থ কিংবা এভাবে। ওকে আমার চাই ই চাই। দ্বিতীয় কোনো মেয়ে আমার এই বুকে আর জায়গা পাবে না। আজ এই রাতকে সাক্ষী রেখে বলছি, মায়া তুমি শুধু আমার আর কারো না। তোমার স্পর্শে আমার বাকিটা জীবন কাটবে। আর কারো নয়। হয়তো এখন এসব পাগলামি। কিন্তু খুব ভালোবেসে ফেলেছি মায়াকে। অনেকটাই বেশি। এসব ভাবতে ভাবতে আর মায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মায়াকে সাথে নিয়ে মধুর ঘুমে হারিয়ে যাই।
সকালে হঠাৎ মায়া আমাকে….
চলবে…
সবাই সাথে থাকুন। আর কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু।