তুই_যে_শুধুই_আমার [❤You are only mine❤]Part_15

0
1920

তুই_যে_শুধুই_আমার [❤You are only mine❤]Part_15
#Writer_Tanzin_Islam_Ishika

সূর্য অস্ত গিয়ে চারদিকে অন্ধকার ছড়িয়ে দিয়েছে,, রাস্তার পাশে সোডিয়ামের লাইটের আলোয় আলোকৃত হচ্ছে রাস্তাঘাট,, ব্যস্ত এই শহরে ছুটে চলেছে সবাই,, সকলেই সকলের কাজে ব্যস্ত,, কাউরো সময় নেই কাউকে দেখার,,
পার্কের এক বেঞ্চে বসে আছে আরুশ মাথায় দুটো হাত চেপে,, চোখ দিতে অনাবরত পানি পরে চলেছে,, ছেলেদের নাকি কাদতে নেই,, কিন্তু আজ আরুশ তা মানতে পারছে না,, কেন না তার চোখের পানি যে আজ বাধ মানছে না,,
.
আরুশ এখন নিজের জীবনের হিসাব মিলাচ্ছে,, কি থেকে আজ কি হয়ে গেল,, একসময় সে যার ভালবাসা ছিল আজ সেই তার থেকে দূরে,, একসময় সায়রা আরুশের ভালবাসার জন্য এমন ছটফট করতো আর আজ আরুশ,, আরুশ বুঝতে পারছে না তার কি করা উচিৎ,, সে কি পারবে সায়রা থেকে দূরে যেতে!! পারবে কি সায়রা ছাড়া থাকতে!!
না সে পারবে না,, কোন মতেই পারবে না,,,
আরুশ যখন এইসব ভাবছে তখন কেউ এসে ওর কাধে হাত রাখে,, এতে ওর ভাবনায় ছেদ পরে,, সে মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে জান্নাত,,
জান্নাত চুপচাপ এসে আরুশের পাশে বসে,,
আরুশ জান্নাতকে দেখে নিজের চোখের পানি মুছে ফেলে,,
আজ জান্নাতের আরুশের উপর মায়া হচ্ছে,, চুপ গুলো পুরো অগোছালো,, চোখ গুলো একদম লাল হতে ফুলে গিয়েছে,, গালের এক কোনে পানি চিকচিক করছে,, সাদা শার্টের মধ্যে থোকা থোকা রক্তের ছাপ স্পষ্ট,,

জান্নাতঃ এত তারাতারি হার মেনে গেলেন ভাইয়া,, এত সহজে হেরে যেতে দিলেন নিজের ভালবাসাকে,,

আরুশঃ কে বলেছে আমি হেরে গেছি বা আমি হার মেনে নিয়েছে,,

জান্নাতঃ তা না হলে এইখানে একা বসে বসে কেন নিজের চোখের জল ফেলছেন শুনি,,

আরুশঃ নিজেকে স্ট্রোং করছি যাতে পরবর্তীতে এই অবাদ্ধ চোখের জল যেন আর না পরে,, আর তার থেকেও বড় কথা নিজেকে টাইম দিচ্ছে যে আমার এখন কি করা উচিৎ,, একবার যদি সায়রা এর কথা গুলো শুনতাম তাহলে আজ হয়তো পরিস্থিতি এমন হতো না,,

জান্নাতঃ আমি বলবো না দোষ এইখানে শুধু আপনার,,আপনাকে তেমন দোষ দিতে পারছি না কেন না আপনাকে যা বুঝানো হয়েছে তাই বুঝেছেন,, কিন্তু তারপরও আপনার নিজের ভালবাসার উপর বিশ্বাস রাখার দরকার ছিল,,
জানেন সায়রা নিরভয়ে আপনাকে সেই কথা গুলো কিভাবে বলেছিল,,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


আরুশ এইবার জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে জান্নাতের দিকে তাকায়,,

জান্নাতঃ কেন না ওর বিশ্বাস ছিল যে আপনি ঠিক ধরে ফেলবেন যে ও মিথ্যা বলছে,, ও যে কোন কারনে বাধ্য হয়ে এইসব করছে তা আপনি বুঝতে পারবেন,,
কেন না আপনি সায়রাকে ছোট থেকে চিনতেন,, আর সব থেকে ভালো আপনি ওকে চিনতেন,, ওর হঠাৎ এমন বিহ্যাভার করার পিছনে যে কোন কারণ আছে তা আপনার এক মিনিটে বুঝার কথা ছিল,,
কিন্তু আফসোস আপনি তা বুঝেন নি,, আপনি শুধু ওর মুখে বলা কথার উপরই বিশ্বাস করেছিলেন,, ওর মনের কথাটা বুঝতে চেষ্টা করেন নি,, অবিশ্বাস করেছিলেন ওকে আর ওর ভালবাসাকে,,
কিন্তু তাও সায়রা আপনার প্রতি নিজের ভালবাসাকে কমতে দেই নি,, সকল কষ্ট মুখ বুঝে সহ্য করেছে,, কেন না ওর নিজের ভালবাসার প্রতি বিশ্বাস ছিল যে আপনি ঠিক তার হবেনই,, আর ঠিকই আপনি ওরই হলেন,,

আরুশঃ বড্ড বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছি না ওকে,, আদো কি সে আমায় মাফ করবে,, মেনে নিবে আমায়,,

জান্নাতঃ এক কথা মনে রাখবেন ভাইয়া,, যদি দেখেন ভালবাসার মানুষটিকে আপনি কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছেন না,, তাহলে ভেবে নিবেন যে আপনার মনের মধ্যে কখনো তার জন্যে ভালবাসা ছিলই না,, কারন ভালবাসার মানুষ যতই কষ্ট দিক না কেনো তার ওপর রাগ করে থাকা যায় না,, আর তাকে কষ্টও দেওয়া যায় না,, তাকে কষ্ট দিলে নিজেকে তার থেকে বেশি কষ্ট অনুভব করতে হয়,, হয়তো কিছু সময় রাগ অভিমানের জন্য ভালবাসার প্রকাশ করা যায় না কিন্তু তাই বলে ভালবাসা কমে গেছে তা ভাবা বোকামি,,
তাই বলছি আপনার এখন সর্বপ্রথম দ্বায়িত্ব সায়রা এর রাগ ভাঙানো আর ওকে আপন করে নেওয়া,, ওর না চাওয়া সত্ত্বেও ওকে নিজের সাথে বেধে রাখা,, আর বাকি আপনার কি কি করতে হবে তা তহ আমার থেকে আপনিই জানেন,,

আরুশ এতক্ষন মন জান্নাতের কথা গুলো শুনছিল,, জান্নাতের কথা সে বুঝে গিয়েছে যে তার কি করতে হবে,,, সে জান্নাতকে বলে,,

জান্নাতঃ থেংক্স জান্নাত,, আজ তুমি না থাকলে আমি সঠিক ডিসিশন নিতে পারতাম না,, এখন আমি জানি আমার কি করতে হবে,,এই বলে এক গাল হাসে,,


?In hospital?


সায়রা চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে,, এমন সময় তার দম বন্ধ হয়ে আসতে শুরু করলো,, শ্বাস নিতে কষ্ট হতে থাকে,, সে চট জলদি চোখ খুলে যা দেখলো তাতে ওর মাথায় আকাশ ভেংগে পড়লো,,
আরুশ ওর ঠোঁট দুটো আকড়ে ধরেছে,, আরুশ যে এমন পরিস্থিতি এমন জায়গায় এমন কিছু করতে পারে তা সায়রা এর কল্পনারও বাইরে,, সায়রা নিজেকে সামলিয়ে ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটফট করতে লাগলো,, এক হাত দিয়ে ধাক্কা দিতে থাকে আরুশকে,, কিন্তু আফসোস সে চুল পরিমানও আরুশকে সরাতে পারি নি,,
কিছুক্ষণ পর আরুশ স্বরে আসে,, আর সায়রা রেগে বলে,,

সায়রাঃ হোয়াট দ্যা হেল,, এইসবের মানে কি??

আরুশঃ কোন সব এর,,, না জানার ভ্যান করে,

সায়রাঃ তুমি ভালো করেই জানো আমি কিসের কথা বলছি,, একটু আগে এইটা কি করলে তুমি,,

আরুশঃ ওহহ ওইটা,, কেন তুমি বুঝ না কি করসি,, বউকে আদর করসি,,,

সায়রাঃ আপনি না আমায় বউ মানেন না তাহলে এখন আবার বউয়ের কাছে আসছেন কেন,, তাও আবার আমার মত চরিত্রহীনার কাছে,,

আরুশঃ উহুম তুমি চরিত্রহীনা নো বরং তুমি তহ ফুলের মত পবিত্র,, তোমার সাথে কাউরো তুলনা হয় না,,
আর হ্যাঁ কে বলেছে আমি তোমায় বউ মানি না,, আমি তহ মনে প্রানে শিরায় উপশিরায় ধমনি হৃৎপিন্ড কলিজা হাত পা কান চোখ গলা সব কিছু দিয়ে তোমায় আমার বউ মানি,,

সায়রাঃ কিন্তু আমি এখন তোমাকে স্বামী হিসাবে মানি না,, So stay away from me,, Got it,,

আরুশঃ No!! I don’t got it,, তুমি মানো আর না মানো আমি তোমার স্বামী আর তুমি আমার বউ,, আর তুমি বললে হলো নাকি,, আমি যা বলবো তাই হবে,, বুঝলে,, এখন সরো শুতে দাও অনেক ঘুম পাচ্ছে,,

সায়রা অবাক হয়ে বলে,,
সায়রাঃ সরবো মানে,,

আরুশঃ মানে সোরো,, আমি তোমার সাথে ঘুমাবো,,

সায়রাঃ পাগল হয়ে গিয়েছ এই বেডে তুমি আর আমি এক সাথে কিভাবে ঘুমাবো,, সোফা আসে সোফায় ঘুমাও,, আর তার থেকেও বড় কথা তুমি এইখানে ঘুমাবে কেন,, বাসায় যাও,, নিজের বেডে গিয়ে ঘুমাও,,

আরুশঃ বাসায় তহ বউ নাই,, আমার যে বউ ছাড়া ঘুম আসে না,,

সায়রাঃ এহহহ ঢং,, যাও তহ এইখান থেকে,,

আরুশ আর কিছু না বলে ধপ করে সায়রা এর পাশে শুয়ে পরে,,তা দেখে সায়রা চেচিয়ে উঠে,,

সায়রাঃ আরেহ আরেহ করছো কি,, বেড থেকে নামো বলছি নামো,,

আরুশঃ উহুম,, নামবো না,,
এই বলে আরুশ আলগা ভাবে সায়রাকে জরিয়ে ধরে যাতে হাতের ক্যানালে ব্যথা না পায়,,
সায়রা বকবক করতেই থাকে কিন্তু আরুশের এতে কোন ভ্রু ক্ষেপ নাই,, একসময় সায়রা ক্লান্ত হয়ে চুপ হয়ে যায়,, আর ঘুমিয়ে পরে,,
আরুশ সায়রা এর কোন সারা শব্দ না পেয়ে মাথা তুলে দেখে সায়রা ঘুমিয়ে আছে,, তা দেখে আরুশ বলে,,

আরুশঃ তুমি চাও আর না চাও,, থাকতে তহ তোমায় আমার সাথে হবে,, একবার তোমায় নিজের থেকে দূর করে ভুল করেছি,, সেই ভুল আমি আর দ্বিতীয় বার করছি না,, চিন্তা করো না জান খুব জলদি আমি সব ঠিক করে দিব,, প্রমিস,,
এই বলে সায়রা এর কপালে এক ভালবাসার স্পর্শ একে আবার ওকে জরিয়ে ধরে শুয়ে পরে,,



#চলবে
কালকে গল্প না দেওয়ার জন্য সরি,, আর আজকের পার্টটাও তেমন গুছিয়ে লিখতে পারি নি,, আসলে অনেক টেনশনে আছি,, কিছুই ভালো লাগতাসে না,, গল্প লিখতেও ইচ্ছে কর‍তাসে না,, সামনের ৩১ মে আমার এসএসসি এর রেজাল্ট,, টেনশনে মরে যাচ্ছি,, তাই নেক্সট পর্ব কবে দিব জানি না,, যদি পারি তাহলে রেগুলার দেওয়ার ট্রাই করবো,, আশা করি সকলেই বুঝবেন,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে