তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২ পর্ব-৯

0
2312

#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২
#সিজন-২
#পর্ব-৯
#Jannatul_ferdosi_rimi[লেখিকা]

অয়রি বার বার কাব্যকে ডেকে যাচ্ছে কিন্তু
কাব্যের কোনো সাড়াশব্দ নেই সে
অন্ধকারে৷ তলিয়ে যাচ্ছে অয়রি বার বার
কাব্যকে ডেকে যাচ্ছে কিন্তু কাব্য অন্ধকারেই
তলিয়েই——যাচ্ছে অয়রি শত চেস্টা করেও
কাব্য এর কাছে পৌছোতে পারছেনা অনেক কস্টে —-সে
পৌছেয়িছিলো কিন্তু তার আগেই
ঈশা চলে আসে কাব্যের কাছে
কাব্য অয়রির হাত না ধরে ঈশার হাত ধরেছে সাহায্যের জন্য মনে হচ্ছে
———-
অয়রির থেকেও কাব্য বেশি বিশ্বাস করে।
ঈশা কে অয়রি কাব্য কে ডেকে যাচ্ছে
কিন্তু কাব্য অয়রির কথা কর্নপাত না করে
ঈশার হাত ধরে হাঁটছে অয়রি
চিৎকার করে কান্না করছে আর কাব্যকে
ডাকছে কিন্তু কাব্যের কোনো হেলদোল
নেই সে তো ঈশার হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছেই
————-
একটা সময় কাব্য আর ঈশা কোথায়
যেন মিলিয়ে যায় অয়রি তাদের
খুঁজার চেস্টা করছে কিন্তু সে ব্যর্থ ?(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

————–???

মেঘা শব্দ টা শুনে পিছনে তাঁকায় তখনি
দেখতে পায় একটা কালো কালারের
গাড়ি মেঘা কিছু বলবে তার আগেই কেউ হেঁচকা টান দিয়ে মেঘাকে গাড়িতে বসিয়ে
দেয়
ঘটনা টা এতো তাড়াতাড়ি ঘটলো যে
মেঘা কিছুই বুঝতে পারলোনা কি হলো।
তার সাথে এতোক্ষন?সব মেঘার
মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে মেঘা কিছু বলবে
তারা আগেই কেই মেঘার কোমর
জড়িয়ে ধরে মেঘার শরীর যেন শিউরে উঠে মেঘা বুঝে ফেলে এই স্পর্শ কার
এই স্পর্শ যে তো তার চিরচেনা হ্যা অনিক
মেঘা হতভম্ভ হয়ে তাঁকিয়ে আছে অনিকের
দিকে আর অনিক সে একটা ডেবিল
স্মাইল নিয়ে মেঘার দিকে তাঁকিয়ে বলে—-
–মাই ডিয়ার মেঘা জান পাখি তুই কি ভেবেছিস?
এই অনিক চৌধুরীর থেকে নিজেকে ছাড়াতে
পারবি?
নো মাই ডিয়ার মেঘা জান যদি এইটা ভেবে
থাকিস তাহলে তুই বিরাট বড় ভুল করছিস

মেঘা অনিকের থেকে নিজেকে ছাড়াতে
ছাড়াতে বলে–
— দেখুন আমাকে ছেড়ে দিন মিঃচৌধুরী
আপনি আমকে চিনেন না

—ওমা তাই নাকি ফোর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন
আমার থেকে তোকে এই পৃথীবিতে কেউ
ভালো চিনে

–ওয়াও তাই তাহলে সেদিন কোথায় ছিলো
আপনার এই চিনা?সেদিন আমাকে অইরকম
জঘন্য অপবাদ দিতে পারলেন আপনি।
এই আপনি আমাকে সব থেকে বেশি ভালো
চিনেন ছিহ

মেঘার থেকে এইরকম উত্তর অনিক আশা
করিনি ঠিকই তো অনিক মেঘাকে
চিনতে পারেনি সে মেঘার ভালোবাসাকে
অবিশ্বাস করেছো কোনদিন সে মেঘাকে
চিনতে পারেনি

মেঘা ছলছলে চোখে অনিকের দিকে তাঁকিয়ে বলে—

কোথায় ছিলো আপনার এতো ভালোবাসা?
৫ বছর আমাকে কস্টে রেখে
আমার হ্রদয়টাকে ক্ষতবিক্ষত করে
এখন এসেছেন আদিক্ষেতা করতে?

অনিকঃ এইসব কি বলছিস মেঘা আমার
ভালোবাসা তোর কাছে আদিক্ষেতা লাগে?

—এইসব হঠাৎ উদয় হওয়া ভালোবাসা
আমার কাছে আদিক্ষেতা ছাড়া কিছুই
না মিঃ চৌধুরী আমি আপনাকে ঘৃনা
করি

অনিকের চোখ ছলছল করে উঠে
মেঘা তার কথায় তাকে ফিরিয়ে দিচ্ছে যেটা
সে ৫ বছর আগে মেঘা কে বলেছিলো
অনিক শুকনো হেঁসে।বলে

–আমার কথা আমাকেই ফিরিয়ে দিচ্ছিস?
–আপনার কাছে যদি সেইটা মনে হয় তাহলে সেটাই
—আমাকে কি একবার ক্ষমা
করা যায় না
-মেঘা তাচ্ছিল্যের সুরে বলে
–আমার মতো পতিতাদের থেকেও
খারাপ মেয়ের কাছে অনিক।
চৌধুরী ক্ষমা চাইছে এইটা নিতান্তয় হাস্যকর

অনিক মেঘার মুখ চেপে বলে
–প্লিয জানপাখি আমি জানি আমি
যা বলেছি তা ক্ষমার অযোগ্য কিন্তু
এইভাবে নিজেকে ছোট করিস মা

–নিজেকে এইভাবে ছোট করা
তো আপনার কাছ থেকেই শেখা
মিঃ চৌধুরি আপনি তো বলেছিলেন
আমি আপনার ঘৃনা পাওয়ার যোগ্যও নয়

তাই নয় কি?

–তোর যা মনে হয় কর আমি কিচ্ছুই বলবো
কিন্তু যতদিন না এই অনিক তোকে মুক্তি
দিচ্ছে তুই যেতে পারবিনা

–মামার বাড়ি আবদার???

—ইয়েস বেইবি?

অনিক মেঘাকে কোলে নিয়ে যায় মেঘা
হাত-পা ছড়াছড়ি করছে আর অনিকের
বুকে কিল-ঘুষি দিতে থাকি

অনিক বাঁকা হেঁসে বলে—
হয়েছে এইসব বাচ্ছামো করা?

মেঘা মুখ ফুলিয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুড়িয়ে রাখে

???—-+++

অয়ন ঘুমের মধ্যে বেড এর পাশে হাত রাখে কিন্তু কিছু অনুভব করেনা তাই চোখ
খুলে ফেলল তাঁকিয়ে দেখে রিমি পাশে নেই
এই সময় রিমি কোথায় থাকতে পারে আচ্ছা বারান্দায় নেই তো না বারান্দায় নেই
অয়ন ওয়াসরুমের দেখে কেউ নেই
ছাদে যায় এইভাবে প্রত্যেক রুমে যেতে থাকে
কিন্তু ফলাফল শুন্য আচ্ছা এই রাতে রিমির বাড়ির বাইরে কোথায় গেলো তাও আবার তাকে না জানিয়ে?
অয়ন বারান্দা দিয়ে উকি দিয়ে দেখে রিমির গাড়ি টাও নেই
তাহলে রিমি কি কোথাও বেড়িয়েছে?
কিন্তু কেন?
অয়ন অপেক্ষা করতে থাকে নীচে ড্রইংরুমে সে আজ জেনেই ছাড়বে রিমি কোথায় গিয়েছিলো
হঠাৎ রান্নাঘর থেকে একটা শব্দ আসে অয়ন ছুটে রান্নাঘরে যায় গিয়ে দেখে রিমি
রান্নাঘরে পাপড় ভাচ্ছে
রিমিঃ কি হলো অয়ন তুমি এখন?
অয়নঃ তুই কোথায় গিয়েছিলি?
রিমিঃ কোথায় গিয়েছিলি মানে?আমিই তো রান্নাঘরে ছিলাম
অয়নঃমানে কি?আমি সব জায়গা তোকে খুজেছি বাট পাইনি
রিমিঃ অহ অয়ন তুমি সব জায়গায় খুঁজেছো কিন্তু রান্নাঘরটা ছাড়া

অয়নঃ কিন্ত বাইরে তোর গাড়িই ছিলো না

রিমি অয়নকে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে বলে–
এইযে আমার গাড়ি সত্যি ই তুমি কি চোখের মাথা খেয়েছো?

–কিন্তু তুই রান্নাঘরে কি করছিলি?
—আরে অনি টা পাপড় খেতে পছন্দ করে তাই ভেজে রাখছিলাম সকালে খাওয়াবো
আর তুমি এতো রাতে কি করছো? যাও ঘুমোতে
–কিন্তু আমি কি এতোটা ভুল দেখলাম আর সত্যিই তো রিমি রাতে কোথায় বা যাবে(মনে মনে)
কিন্তু তোকে এখন আর করতে হবেনা চল ঘুমাতো
–আচ্ছা তুমি যাও আমি আসছি

অয়ন যাওয়ার পর

রিমিঃ আমাকে ক্ষমা করে দিও অয়ন তোমাকে বলতে পারবোনা আমি কোথায় গিয়েছিলাম সরি মিথ্যে বলার জন্য কিন্তু আমার কিছুই করার নেই না হলে তুমি আমাকে ভুল বুঝবে আমি জানি কিন্তু আমি জানি আমি আমার জায়গায় ঠিক যতই হোক ও আমার এইসব ভেবে রিমি একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলল

তখনি অয়রি…
চলবে কি?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে