তুই আমার ২ পর্বঃ৭

0
2188

#তুই আমার ২
#পর্বঃ৭
#Tanisha Sultana

“এই তোমার চিন্তাভাবনা এতো জঘন্য কেনো??

” আমি কি করলাম? ফোনটা দেওয়ার হলে তো ছাঁদ থেকেও দিতে পারতেন বা কাল সকালেও দিতে পারতেন। তা না করে এখন এইভাবে দিতে হবে কেনো

“বাচ্চা মেয়ে বাচ্চা মেয়ের মতো তাকবে এক দম বড়দের মতো কথা বলবে না। নাক টিপলে ইয়ে বের হয় আবার বড় বড় কথা বলে

“বাচ্চা হতে পারি কিন্তু ময়দা সুন্দরী না বুঝছেন। ভালোই ভালোই লাভ ইউ বলো না হলে

” না হলে কি করবে তুমি

“তেমন কিছু না জাস্ট চিৎকার করবো আর বলবো

” চুপ করো আর রুমে যাও

“লাভ ইউ না বললে জাবো না। চিৎকার করবো

” মিষ্টি ছেলেমানুষী করো না

“সময় কম 4 3 2

” love you
চোখ বন্ধ করে বলে অভি। মিষ্টি অভিকে জড়িয়ে ধরে বলে

“লাভ ইউ। লাভ ইউ সো মাছ

অভি মিষ্টিকে ছাড়িয়ে বলে

” দেখো মিষ্টি তুমি অনেক ছোট। তুমি যেটা করছো সেটা পাগলামি। ভালোবাসার মানেই তুমি বুঝো না। যখন বড় হবে তখন বুঝবে আর নিজের বোকামির জন্য অবসোস করবে

অভি মিষ্টির হাতে ফোন দিয়ে মিষ্টি মাথায় একটা চাটি মেরে চলে যায়। মিষ্টি বোকার মতো কিছুখন তাকিয়ে থেকে পানি নিয়ে রুমে চলে যায়।

সকালে
মিষ্টি ঘুম থেকে উঠে দেখে মাইসা পাশে নেই। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে এগারোটা বাজে। ফ্রেশ হয়ে বাইরে আসে।

সৌরভের মা বলে
” মিষ্টি চলো তোমাকে খেতে দেয়

“আন্টি বলছিলাম কি আমার দাভাই খেয়েছে??

” না। বললো তোমার সাথে খাবে

“ওহহ

মিষ্টি জীম খাবার খায়। তারপর সবাই মিলে শপিং এ যায়। গাড়িতে জীম ডাইভ করছে মিষ্টি পাশে বসেছে। পেছনে অভি মাইসা বসেছে।
অন্য গাড়িতে সৌরভ তানজিম সৌরভের বোন সাথি আর কাজিন রুপা বসেছে।

” দাভাই আমি একটা শাড়ি কিনবো আর কাল পড়বো

“কিন্তু বোন তুই তো কখনো শাড়ি পড়িস নি। সামলাতে পারবি না।

” দাভাই প্লিজ

“ওকে

” তাহলে আর কাল হলুদের পার্টিটা হলো না।

মাইসা জিজ্ঞেস করলো

“কেনো

“ইডিয়েট টা শাড়ি পড়বে তারপর উস্টা খাবে তারপর হাসপাতাল ডাক্তার এসব করতে হবে হলুদ অনুষ্ঠান কখন হবে

মিষ্টি রেগে বলে

” ওই ময়দা সুন্দরীর বফ একদম বাজে দোয়া করবেন না। নাহলে আপনার ময়দা সুন্দরী পেতনি হয়ে যাবে হুম

“শকুনের দোয়ায় গরু মরে না

” সেম টু ইউ। আপনার দোয়ায়ও আমি উস্টা খাবো না।

কিছুখন সবাই চুপ থাকে। তারপর মিষ্টি বলে

“দাভই তুমি রিলেশন করো না কেনো

“রিলেশন করা ভালো না। নিষ্পাপ ছেলেমেয়েরা কখনো রিলেশন করে না।

জীমের কথায় অভি বেষম খায়

” অভিদা তোমার আবার কি হলো?? ওহহ বুঝেছি ময়দা সুন্দরী মনে হয় তোমার কথা ভাবছে।

“এই পিচ্চি তুমি চুপ থাকো। আর জীম তুই নিষ্পাপ??

” কেনো তোর কোনো সন্দেহ আছে??

“অভিদা জানো পৃথিবীতে তিন জন নিষ্পাপ শিশু আছে ১. আমি
২. আমার দাভাই
৩.আমার সামজ

” তুমি সবঠিক বলেছো জাস্ট একটু ভুল বললে। কোনো বেপার না আমি ঠিক করে দিচ্ছি। পৃথিবীতে তিন জন পাগল, বদমাইস, তারছিরা মানুষ হবে

“ওই সালা ময়দা সুন্দরীর বফ তুই পাগল তোর ময়দা সুন্দরী পাগল, তোর চোদ্দ গুষ্টি পাগল। উহহ রিলেশন করে একটা ময়দা সুন্দরীর সাথে আবার বড় বড় কথা বলে। তোর সব সময় মাথা নিচু করে থাকা উচিৎ বুঝলি

মিষ্টি এক নাগারে কথা গুলো বলে হাঁপাতে থাকে। জীম পানির বোতল এগিয়ে দেয়। মিষ্টি ঢকঢক করে পুরো পানি শেষ করে।

মাইসা আর অভি তো মিষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকে।

শপিং মলের সামনে গাড়ি থামে। এক এক করে সবাই নেমে যায়। জীমের একটা জরুরি ফোন আসায় জীম কিছুখনের জন্য চলে যায়।
সৌরভ মিষ্টির হাত ধরে শপিং মলের ভেতর দিয়ে হাটছে।
অভি শুধু দেখছে। একটা দোকানে একটা শাড়ি দেখে মিষ্টি সেটা কেনার বাইনা করে। সৌরভ মিষ্টিকে নিয়ে সেই দোকানে যায়। দোকানদার শাড়ি টা নামায়। মিষ্টি শাড়িটা ধরতে যাবে তার আগেই অভি ধরে ফেলে।

মিষ্টি নরম গলায় বলে
” অভিদা শাড়িটা আমার খুব ভালো লেগেছে প্লিজ তুমি অন্য শাড়ি দেখো

“শাড়িটা আমারও খুব ভালো লেগেছে তুমও অন্য শাড়ি দেখো।

মিষ্টি অভির দিকে তাকিয়ে শয়তানির একটা হাসি দেয়।
অভি দোকানদারের সাথে দামাদামি করছে

” মিষ্টি চলো আমি তোমাকে এর চেয়ে বেটার শাড়ি কিনে দেবো

“হুম চলুন
অভি শাড়িটা নামিয়ে বিল দিচ্ছে মিষ্টি শাড়িটা নিয়ে দৌড় দেয়। যেতে যেতে বলে

” আফরা ইবনাত মিষ্টি নিজের জিনিস কারো সাথে শেয়ার করে না। শাড়িটাও আমার আর অভিরাজ চৌধুরীও আমার

অভি একটু হেসে বলে পাগলি একটা।

মিষ্টি ফোনের দিকে তাকিয়ে হাটছে। ফোন থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখে। রিনি আর রেহান লিপ কিছ করছে মিষ্টি ভিডিও করে নেয়। তারপর বাঁকা হেসে বলে

“অভি তোমার জন্য সারপাইজ আছে। জাস্ট ওয়েট এন্ড ছি

সবার কেনাকাটা মোটামুটি শেষ। কিন্তু মিষ্টি এখনো কিছুই কেনে নি। তাই সৌরভ মিষ্টির জন্য কয়েকটা লেহেঙ্গার কিনছে

” কি রে সৌরভ এগুলো কার জন্য

“মিষ্টির জন্য দেখতো অভি কেমন হয়েছে।।।।

সৌরভের কথায় অভির মুড অফ হয়ে যায়।
একটু শুকনো হেসে বলে ভালো

চলবে
.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে