জানি দেখা হবে পার্ট ০৩

0
1780

জানি দেখা হবে পার্ট ০৩
লেখা-আশিকা জামান

রুপমের খুব টায়ার্ড লাগছে তাই সরাসরি ওয়াশরুমে ঢুকে যায়।

“মা আমার টাওয়াল টা দাও, মা মা…”
এটা ওর জম্মের অভ্যেস মনে হয়না কোনদিন শুধরোবে।

ওপাশ থেকে কোন ও রিপ্লাই আসতেছে না।
ও হ হ মা তো মামার বাসায়, সকালেই ফোন করেছিল। মুহূর্তেই মনে পড়ে যায়।
ডাক্তারদের এই এক জ্বালা বাসার কিচ্ছু মনে থাকে না।
অগত্যা ডাক্তার বাবুকে ভিজা শরিরেই রুমে ডুকতে হল….
তারাতারি কিছু খেয়ে নিল।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


খুধা লেগেছিল খুব…
রুমে ডুকেই পুরোনো ডাইরিটা খুলে বসল
পেন নিয়া লিখতে বসে গেল….
” আজকে দিনটা আমার জন্য খুব লাকী, অনিশা তোমাকে খুজে
পাব তা আমি ভাবিনি, ভেবেছিলাম চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি, কিন্তু আল্লাহ ঠিক তোমাকে খুজে দিয়েছে, আমি জানিনা কি করে আল্লাহ এর কাছে শুকরিয়া জানাব, আমি জানিনা তুমি আমাকে কি বলবা??
কিন্তু আমি জানি অনিশা তুমি আমাকে ভালবাস, তোমার চোখে সেই ভালবাসা আমি দেখেছি, আমি সব বলব তোমাকে আমার যত কথা তিল তিল করে জমিয়ে রেখেছি এই ১০ টা বছরে………..।”

রুপম বিছানায় শরির এলিয়ে দেয়..
একটু তেই ঘুম এসে পড়ে চোখে, যেন এমন স্বস্তির ঘুম কত বছর পর এল……।
কিন্তু ফোনটা বেজেই চলেছে
ঘুম ঘুম চোখে রুপম,

“বল কি হইছে, দিলি তো ঘুমটা ভাংগিয়ে….”.

“আজকে তোর এখানে আসব”

“মানে টা কি?? তোর আজকে গায়ে হলুদ আর তুই আসবি আমার এখানে
ইয়ার্কি মারওও বেটা।”

“হমম তুই তো আসবি না তাই তোকে হলুদ দিতে যাব…”

” এই বেটা কেস টা কী?? তোর গলাটা কেমন যেন লাগছে??”

” আর বলিস না। বিয়ের আগেই বিধবা হইতে গেছিলাম প্রায়….”
“ওওও তারপর….
চালিয়ে যাই মামা।”

“আসলে বউ আমার হসপিটালে।
তোর এখানে তাই ভাবলাম তোর সাথে মিট করাই দেই।
তোকে তো আগে মিট করাতে চাইলাম বাট তুই বললি একবেরে বিয়ের দিন দেখবি।
টাইম নাই, তাই আর কি করা….।”

“কিন্তু মামা বিয়ের আগেই হসপিটালে!! কি ব্যাপার কাম টাম সব শেষ করে ফেলছো নাকি? লক্ষনতো ভালো ঠেকছে না….”

” রুপমমম, আরে না ধুর!! ভালো করে কথাই বলা হল না….”

‘থাক আর ভালো সাজতে হবে না, তুমি কি জিনিস মিয়া!! সেইটা আমার থেকে ভাল আর কে জানে..”

” দেখ মজা নিস না, ভাল লাগছে না, আমি এসে তোকে ফোন দিব…”

“ওকে আসিস। দেখ আমি টাইম পাইলে দেখা করব, ইমারজেন্সি ওটি আছে রে ভাই… ( চাপা মেরে)”

” ওকে বাই।”

বেচারা বিয়ে পেছানোর জন্য বরই মর্মাহত বলেই রুপম মুচকি হাসি দিল।
বিকেল হতেই রুপম হসপিটালে যায়। গাড়িতে থাকা কালিন নিহান ফোন করেছিলো,

রুপম বলেছে সে বিজি…
আজকের বিকাল টা শুধু অনিশার জন্য…..

নিহান হসপিটালে এসেই নাহিয়ানের নম্বর ডায়াল করে।
“হ্যালো ভাইয়া।”
“ও তুমি এসে পড়ছ, আমি আসছি….”

নাহিয়ান ফোন রাখার একটু পরেই দেখে নিহান এদিকেই আসছে…. ।

“কি অবস্থা নিহান, বাসার সবাই ভালতো?”

“ওই আরকি ভালই…”

“আচ্ছা ভাইয়া, অনিশার কি হইছিলো??”

” আসলে ফোনে সবকিছু বলা যায় না, তাই সামনা সামনি কিছু কথা তোমাকে বলা দরকার।

অনিশার সাথে তোমার রিলেশানটা কেমন?? আই মিন রিসেন্ট ওর সাথে তোমার কিছু হইছে? এই কথাগুলো বলার এক্টাই উদ্দেশ্য যে, আমার বোন বলে বলছিনা।
ওর কোন বেড রেকর্ড এখনো আমার চোখে পড়েনি, প্রেম, ভালবাসা ঘটিত কোন রিলেশন ওর নাই, আমি ওকে খুব চোখে চোখে রাখতাম, তাছাড় ও আমার সাথে খুব ফ্রি ছিল, ওর লাইফ এ এমন কোন কিছু নাই যেটা আমি জানি না।

অনিশা কালকে রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল ….
আমার বোন এইরকম একটা স্টেপ নিতে পারে সেটা স্বপ্নেও ভাবিনি।
তোমাকে আমি বুঝাতে পারছি তো কেন এই কুএশ্চেন টা করলাম??”

“আমার মনে হয় না ওর সাথে আমার এমন কোনো কিছু হইছে,
যার জন্য ও এরকম কিছু করতে পারে। ”

” একটু মনে করে দেখ….”

” আসলে সত্যি বলতে যেদিন থেকে বিয়ে ঠিক হইছে
,সেদিন থেকে আমার কেন জানি মনে হইসে অনিশা খুব ডিস্টার্ব।
আমি ওর সাথে অনেক মিট করতে চাইছি,
বাট বিয়ের আগে এইগুলা তার পছন্দ না বলে এড়িয়ে গেছে।
যত বিয়ের দিন এগিয়ে আসছে আমার মনে হইছে অনিশা জাস্ট ফর্মালিটি মেইন্টেইন করার জন্য আমার সাথে কথা বলে।
তাও হাই, হ্যালো নরমাল কাপলদের মত না।
আমি কয়েকদিন অবজার্ভ করার পর কিছুটা মনঃক্ষুন্ন হয়েই ওকে বলেছি, ” অনিশা তুমি কি চাও? নরমাল কাপলদের মত কেন নই আমরা???
সবার বলা অনিশা আর এই অনিশার মাঝে কোন মিল কেন পাচ্ছি না? আন্সার মি অনিশা?
বাট অনিশা চুপ….
আমি বলেছি কালকের পর তুমি আমার বউ হবা, আমার সবটা জানার দরকার আছে।”

“কালকের কি হবে সেটা কি কেউ জানে? ”
ওর কথাশুনে আমি খুবই আপসেট হয়ে যাই।

“বাহঃ অনিশা এতক্ষণ এ কথা ফুটেছে…
তুমার কথা শুনে মনে হচ্ছে যে কালকে বিয়েটা হচ্ছে না, অলৌকিক কিছু ঘটবে, সেরকম হলে তুমি বলে দিতে পার ও
আমার ফ্যামিলির একটা রেপুটেশন আছে, সেটা তোমার মত যাতা মেয়ের জন্য নষ্ট হতে দিতে পারি না। ( প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হয়ে)”

“কি?? আমি যাতা?? আপনার যা মুখে আসছে তাই বলে যাচ্ছেন কখন থেকে।
আমাকে এইরকম কথা কোন দিন কেউ শুনাই নাই।
এত কষ্ট আমি কখনওই পাই নি,
দেখুন আমাকে আর ফোন দিবেন না যেহেতু আমি যাতা, বাজে মেয়ে।”

বলেই ফোন কেটে দেয়।
আমিও রাগে ২ দিন ফোন দেই নাই।
কালকে সকাল থেকে অনেক বার ফোন দিচ্ছি কিন্তু পিক আপ করে নি…
পরেই আপনাকে ফোন করলাম।
এখন এই জন্যই যদি
অনিশা এমন করে থাকে তাহলে আমি খুবই দুঃখিত….”

“আরে নিহান তুমি নিজেকে ব্লেম করছ কেন?? সরি আমি বোধ হয় বেশিই বলে ফেলেছি। কিছু মনে করোনা…..”
অনিশা শুয়েই ছিলো
নিহান কে দেখে উঠে বসে ( কিছুটা বিরক্তি নিয়ে….)
“অনিশা এখন কেমন ফিল করছ?’
“ভাল? আপনি?”

“মা একটু বাইরে আস কিছু কথা ছিল”

বলেই নাহিয়ান রুমের বাইরে চলে যায়।
মা ও বাহিরে চলে যায়।
তাদের আলাদা করে কথা বলার সুযোগ দেয়ার জন্যই যে বাহিরে গেল অনিশা সেটা ভালই বুজতে পারল…।
” ওই তুমি যেমন রেখেছ…..
অনিশা আ’ম সরি, সেদিন তোমার সাথে ওইরকম বিহ্যাভ করাটা ঠিক হয় নাই।”

” ইট’ স ওকে, আসলে আমিই বেশি রি -এক্ট করে ফেলছিলাম…..”
তারপর দু জনেই চুপ…….
নিরবতা ভেংগে নিহান বলল,

“ডিসচার্জ করার কথা কিছু বলছে কি?”

“না, ডাক্তার আসার কথা কিন্তু এখনো এলো না”
বলেই অনিশা চুপ……

ওইদিকে রুপম তার একরাশ ভালবাসা নিয়া অনিশার কেবিনের সামনে আসে।
কি মনে করে যেন ভিতরে উকিঁ দেয়।
চোখ কপালে তুলে নিহানকে দেখে……
ও বোধ হয় সবটা বুঝে ফেলে।
সবসময় ওর সাথেই কেন এমন হয়।.
কি করবে এখন রুপম……..
চলবে।।।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে