গল্প_পাঠিকা_যখন_প্রেমিকা❤❤পর্ব_নং_২

0
956

গল্প_পাঠিকা_যখন_প্রেমিকা❤❤পর্ব_নং_২

#Writer_Sumon.


এই বলে রাবেয়া ফোন কেটে দিলো। আজকে আমি খুব খুশি। কারন আমি আমার মনের মানুষকে পেয়েছি। আমার যে কি খুশি হচ্ছে তা বলে বুঝাতে পারবো না। এভাবেই শুরু হলো আমাদের ভালোবাসা।

বিকেলে রাবেয়া ফোন দিলো। তারপর……..

রাবেয়াঃ- হ্যালো বাবু!!! কেমন আছো তুমি……???

ফারহানঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তুমি কেমন আছো বাবু….???? তুমি কি জানো এতক্ষণ তোমাকে কত মিস করতেছিলাম।
রাবেয়াঃ- আমিও বাবু কিন্তু কি করবো বলো কাজের চাপ ছিলো তো। আচ্ছা বাবু এমন আর হবে না। এখন বলো তুমি কি খাওয়া করছো……?????
ফারহানঃ- না করি নাই।
( মন খারাপ করে)
রাবেয়াঃ- কেন করো নাই। না খাওয়া করলে অসুস্থ হয়ে যাবা।
ফারহানঃ- না তুমি খিলায় দিলে খাবো নাহলে খাবো না।
রাবেয়াঃ- বাবু আমিতো তোমার কাছে নাই তাহলে কিভাবে খিলায় দিবো বলো। আচ্ছা আমি যেদিন তোমার কাছে থাকবো সেদিন আমি তোমাকে খিলায় দিবো ওকে।
ফারহানঃ- সত্যি তো বাবু…..??????
রাবেয়াঃ- হুমমমম বাবু সত্যি….. ☺☺☺
ফারহানঃ- আচ্ছা আমি তোমাকে একটা কথা বলি। তোমাকে কিন্ত সত্যি সত্যি বলতে হবে।
রাবেয়াঃ- হুমমম বলো।
( চিন্তিত হয়ে বললো)
ফারহানঃ- তোমার আব্বু আর আম্মু কেমন আছে??
( মজা করে বললাম)
রাবেয়াঃ- ওই সয়তান,,,, বিড়াল,,,, ছাগল,,,, কুকুর।
ফারহানঃ- আরে আরে আমি কি চিড়িয়াখানা…..???
রাবেয়াঃ- হুমমম তুমি একটা পচা ছেলে।
ফারহানঃ- হুমমম আমি শুধু তোমার জন্য পচা।
রাবেয়াঃ- বাবু তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে চলে যাবা না তো আর কখনো আমাকে কষ্ট দিবানাতো…..????
ফারহানঃ- আমার এই জীবন থাকতে আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাবো না। আর আমি যদিও কষ্ট পাই তাও তোমাকে কষ্ট পেতে দিব না।
রাবেয়াঃ- আচ্ছা আমাকে এতো ভালোবাসো কেন।
ফারহানঃ- যদি বলো কতোটা ভালোবাসি তাহলে নিজের জীবন দিয়েও সেটা প্রকাশ করতে পারবো না। আর তোমাকে ভালোবাসি কেন এইটা বলতে গেলে গোটা একটা দিন লাগবে…… ???।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


রাবেয়াঃ- বাবু জানো আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি। তুমি কেন আমার জীবনে আগে আসো নাই। তুমি জানো আমার মাথায় শুধু তোমার নামটাই ঘুরপাক করে। আমি তোমাকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না। বাবু আমাকে একটা কথা দিবা……….
( কান্না করতে করতে বললো)
ফারহানঃ- প্লিজ কান্না করিও না তোমার চোখের পানি যে আমার সহ্য হয় না। আচ্ছা তুমি বলো আমার কাছ থেকে তুমি কি চাও…..????
রাবেয়াঃ- আমাদের যদিও বিয়ে না হয় তাহলেও আমরা এভাবেই কথা বলবো যেমনটা এখন বলি। তুমি আমাকে কথা দেও তুমি আমার সাথে কখনো যোগাযোগ বন্ধ করবা না……????
( কান্না করেই যাচ্ছে)
ফারহানঃ- ওকে আমি তোমাকে কথা দিলাম। কিন্ত এখনতো চুপ করো….
( আমিও প্রায় কান্না করেই দিছি)
রাবেয়াঃ- ওকে আর শুনো অবশ্যই খেয়ে নিবা তুমি তো আবার নিজের যত্ন নিতে যানোনা সব কথা আমাকেই বলতে হয়।
ফারহানঃ- হুমম বাবু খেয়ে নিবো……..।
রাবেয়াঃ- ওকে বাবু এখুনি আমার আম্মু আসবে তাই পরে কথা বলবো ওকে…..
ফারহানঃ- হুমমম ওকে কিন্তু ঘুষ লাগবে???
রাবেয়াঃ- কেমন ঘুষ……???
( না বুঝার ভান করে)
ফারহানঃ- তুমি যানো না আমি কিসের কথা বলতেছি।
( মন খারাপ করে)
রাবেয়াঃ- ওকে ওকে দিচ্ছি চোখ বন্ধ করো।
ফারহানঃ- হুমমম এখন দেও।
রাবেয়াঃ- Uuuuuuummmmaaaahhhh….???
ফারহানঃ- আমার বাবুটা খুব ভালো। লাভ ইউ বাবু।
রাবেয়াঃ- আমি কিন্তু আমারটা পাই নাই এখনো…???
( মন খারাপ করে)
ফারহানঃ- Uuuuuuummmmaaaahhhh…….???
রাবেয়াঃ- হুমম বাবু এখন রাখি আম্মু চলে আসছে।
ফারহানঃ- ওকে বাবু।

এই ভাবে তাদের ভালোবাসা চলতে থাকলো কিন্তু তাদের ভাগ্যে এইটা বেশিদিন ছিলো না। তাদের এই সম্পর্কের কথা তাদের পরিবার জেনে নেয়। তারা রাবেয়ার ফোন কেরে নিছে আর এদিকে ফারহান প্রায় পাগল হয়ে গেছে।

তারা কেউ কারো সাথে এক সপ্তাহ ধরে কথা বলতে পারতেছে না।

এমন একদিন ফারহান রাতে ছাদে দারিয়ে ভাবতেছিলো।

আল্লাহ আমি কি করেছি। কেন আমার সাথেই এমন হয়। আমি কি ভুল করেছি। আমি যাকেই ভালোবাসি তাকেই তুমি আমার কাছ থেকে কেরে নেও। আমিতো তোমার কাছে শুধু আমার ভালোবাসাকে চেয়েছিলাম।তুমি যখন ওকে আমার কাছ থেকে কেরেই নিবা তাহলে কেন তুমি আমার মনে তার জন্য ভালোবাসার সৃষ্টি করলা। যানো আমি কত কিছু ভেবেছিলাম তাকে নিয়ে। আমি ভেবেছিলাম আমাদের একটি ছোট্ট একটা সংসার হবে। আমাদের ছোট্ট একটি বাচ্চা থাকবে। কিন্তু কিছু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় আর পূরণ হয় না। আমি কি দোষ করেছিলাম। কেন সবসময় আমার সাথেই এমন হয়।।

ফারহান এগুলো আকাশের দিকে তাকিয়ে কান্না করতে করতে বললো। আর এদিকে রাবেয়া ভাবতেছে।

আমার পাগলটা এখন কি করতেছে।হয়তো এখন কান্না করতেছে। ওতো আবার কষ্ট সহ্য করতে পারে না। আমি আমার পাগলটাকে খুব মিস করতেছি। ফরাহান জানো তোমার মতো করে কেউ আমাকে আর শাসন করেনা। এই এক সপ্তাহ ধরে আমাকে কেউ বলে না যে এই রাবেয়া কেন খাওয়া করো নাই। এই রাবেয়া এখনো কেন ঘুমাও নাই। কেউ আর বলেনা ফেসবুকে একটিভ হও নাই কেন। আমাকে কেউ আর বোকা দেয় না। না খেয়ে থাকলে কেউ আর আমাকে বলে না এই খেয়ে নেও। তোমাকে ছাড়া আমি ভালো নাই। আমি তোমাকে ছাড়া অসম্পূর্ণ।
এভাবে আরো কতদিন থাকবো। তুমি যে আমার একটা নেশা হয়ে গেছো। তোমার সাথে কথা বলা যে আমার একটা নেশা হয়ে গেছে। তুমি যে আমার একটা অভ্যাস হয়ে গেছো ফারহান…….?????।

রাবেয়া এসব ভাবছিলো আর কান্না করছিল। রাবেয়া কান্ন করতে করতে তার বালিশ ভিজিয়ে ফেলেছে।

আর প্রায় ১৫ দিন কেউ কারো সাথেই কোন ভাবেই কথা বলতে পারতেছে না। ফারহান শুধু ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকে যে এই বুঝি রাবেয়া ফোন দিবে। এমন একদিন রাবেয়ার বাবার ফোনে একটি কল আসলো। ফোনটি করেছিলো ফারহানের আম্মু।

আম্মুঃ- হ্যালো কে রাবেয়া…..??????
( কান্না মাখা কন্ঠে বললো)
রাবেয়ার আব্বুঃ- না আমি ওর আব্বু।
আম্মুঃ- প্লিজ আপনার মেয়েকে ফোনটি দেন।

রাবেয়াকে ফোন দেওয়ার পর……..

রাবেয়াঃ- আন্টি ফারহান কেমন আছে। আমি ওর সাথে কথা বলবো।
( কান্না করতে করতে বললো)
আম্মুঃ- মা ফারহান……..
( কান্না করে দিলো)
আন্টির কান্না দেখে আমার বুকের বাম পাশটা খুব ব্যাথা করতেছিলো তবুও নিজেকে সামলল নিয়ে বললাম।
রাবেয়াঃ- আন্টি প্লিজ বলেন না ফারহান কেমন আছে। ও ভালো আছে তো আর আপনি কেন কান্না করতেছেন।

আম্মুঃ- মা ফারহান এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ওর অবস্থা খুব খারাপ ও তোমাকে দেখতে চাইতেছে।
( কান্না করতে করতে কথা গুলো বলল)

এই কথাটা শুনার পর রাবেয়ার হাত থেকে ফোন পরে গেলো।

তারপর…………


#অসমাপ্ত……..

গল্পটি লাগলে লাইক আর কমেন্ট করবেন এবং পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।

সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পর্বটি এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।

বিঃদ্রঃ ভূলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন…….????

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে