গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০৮)

0
2220
গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০৮) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! শেষ বারের মত একবার তোমাকে জড়িয়ে ধরতে দিবে? আমার খুব ইচ্ছে করছে তোমাকে জড়িয়ে ধরতে। তখনি মীম বলে,,, মীম: তোমার সাহোস হয় কি করে আমাকে এই কথা বলার? আমি: কেনো? আগে তো তুমি আমাকে নিজে জড়িয়ে ধরতে আর এখন সাহোসের কথা বলছো কেনো? মীম: তখন ধরছি বলে এখনো ধরবো এমন কি কোথায় লিখা আছে? আর তখন তুমি আমার হাজবেন্টে ছিলে এখন তুমি একটা রাস্তার অপরিচিত ছেলে? আমি: এইটুকু সময়ের মধ্যে রাস্তার অপরিচিত ছেলে হয়ে গেলাম। যাক মীম ভালো থেকো আর আজ তো তোমার চোখের অপেরেশন। দুয়া করি আল্লাহ যেনো তোমার চোখের আলো আবার ফ্রিরিয়ে দেয়।
মীম: তোমাকে কষ্ট করে আমার জন্য চিন্তা করতে হবেনা। আমি: জানি এখন তোমাকে নিয়া চিন্তা করার অারো অনেকেই আছে? মীম: হ্যা আছে তো আব্বু আম্মু, আর আমাকে যে অনেক ভালোবাসে রাসেল। আমি: জানি তুমি ভুল করেও কোনদিন আমার কথা মনে করবেনা। যদিও কোন সময় মনে পড়ে যায় তাহলে বদ দুয়া দিয়োনা এইটা তোমার কাছে আমার শেষ অনুরুদ। মীম: মনেই পড়বেনা আর বদ দুয়াতো দুরের কথা। আমি: ঠিক আছে ভালো থেকো এই বলে বাসা থেকে বেরিয়ে পরলাম। মেডিকেল যাচ্ছি বাইকে করে আর আমার একটা বন্ধুকে কল করে বলছি। ঢাকা মেডিকেল চলে আসতে, আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু আবির আমি মেডিকেল গিয়ে দেখি আবির বসে আছে। আবির: কিরে মেডিকেল ডাকলি কেনো শরীর খারাপ হয়ছে নাকি? আমি: না সব বলছি শুন। আবিরকে সবকিছু খুলে বললাম। আবির সবকিছু শুনে রেগে গেছে আমার উপর। আমি ওকে সব ভালো করে বুঝালাম। আবির: আচ্ছা একটা কথা বলবি যে মেয়েটা তুকে ভালোবাসেনা তাকে কেনো চোখ দিবি? আমি: মীমকে আমি অনেক ভালোবেসে ফেলছি। এই কয় দিনে তাই ওকে আমি এভাবে দেখতে পারবোনা। আমি চাই মীম তার ভালোবাসার মানুষের সাথে ভালে থাকুক মীম সূখে থাকলে আমি সূখী। তখনি একটা নার্স আমাকে ডাকদিলো আবির তুই বস আমি আসছি। আর হ্যা আমি কিন্তু এখন তুর সাথে থাকবো। বলে চলে গেলাম ডাক্তারের রুমে। ডাক্তার: এখানে একটা সাইন করে দাও সৌরভ। আমি: এইটা কি বন শুই ডক্টর, যদি আমি অপেরেশন সময় মারা যায় তার জন্য আপনি দায় নন। ডাক্তার: হ্যা তাই আমি সাইন করে দিলাম। আমাকে একটা বেডে শুয়ে দিলো একটু পর দেখলাম আরেকটা বেড নিয়া আসলো। এতে মীম শুয়ে আছে শেষ দেখা মীমকে দেখে নেই। তবে মীমকে আগেই অজ্ঞান করে নিয়েছে আমাকে একটা ইঞ্জেকশন দিছে আর কখন আমি অজ্ঞান হয়ে গেছি ঠিক মনে নাই।যখন জ্ঞান ফিরলো আমার তখন চোখ খুলতে যাবো খুলতে পারছিনা। সবকিছু অন্ধকার তখনি কেউ একজন বলছে আপনার জ্ঞান ফ্রিরে আসছে। আপনি থাকেন আমি স্যারকে ঢেকে আনছি। বলে চলে গেলো আমি হাটার শব্দ পেলাম। কিছুক্ষন পর আবির আর ডাক্তার এসে আমার সাথে কথা বললো। আর বলছে এক সাপ্তাহ পর বেন্ডিজ খুলবে। আমি: ডক্টর মীম কেমন আছে,,ওর চোখ ভালো হবে তো? ডাক্তার: হ্যা ওর চোখ ভালো হবে। আর ওর চোখের বেন্ডিজ তোমার সাথে এক সাপ্তাহ পর খুলবো। দেখতে দেখতে এক সাপ্তাহ চলে গেছে। আমার চোখের বেন্ডিজ খুলে দিলো, আমি এক চোখে দেখছি আরেক চোখ থাকতে অন্ধ। আমি: ডক্টর মীমের বেন্ডিজ খুলছেন ও দেখতে পাই? ডাক্তার: হ্যা ও সবকিছু দেখতে পাই। তবে ওরা খুব জানতে চাইছে চোখ কে দান করছে। আমি তোমার নাম বলিনি। আর বলছি রাসেল নামে এক ব্যাক্তির পরিচিত। আমি: ভালো করছেন। আর আপনাকে ধন্যবাদ আসি ডক্টর ভালো থাকবেন। বলে চলে আসলাম আবিরের বাসায়। আসছি আজ ১০দিন যাবত এখন কিছুটা সুস্থ আছি। আজ বিকালে আবিরকে নিয়া একটু মার্কেটিং করতে বেরহলাম। আবির: দেখ সৌরভ বাচ্ছা মেয়েটা কি কিউট তাইনা? আমি: হ্যা ঠিক বলছিস তবে তুই বিয়ে করিসনা কেনো? আবির: সালা তুই করছিলিনা কি হলো শুধু কষ্ট পেলি।
আমি: তুর কোনো সমস্যা থাকলে আমায় বল আমি ডাক্তরের সাথে আলাপ করি। আবির: কি বললি তুই দ্বাড়া বলে আমাকে একটু ধাক্কা দিলো তখনি আমি গিয়ে একটা মেয়ের উপর পরলাম। আমি: সরি আপু দেখতে পায়নি। তখনি মেয়েটা ঘুরে আমার দিকে তাকিয়ে একটা গালে কসিয়ে থাপ্পড় মারলো। আর আমি গালে হাতদিয়ে দাড়িয়ে আছি সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। তাকিয়ে দেখি মীম সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর বলছে,,, মীম: তুমি এখনো আমাকে ফলো করছো তোমার লজ্জা বলতে কিছু নাই সৌরভ। আমি: সরি মেম আমি আপনাকে চিনিনা আর আমি কেনো আপনাকে ফলো করবো? মীম: কি বললি তুই আমাকে চিনিসনা দ্বাড়া এই বলে রাসেলকে ডাকদিলো। রাসেল: কি হলো মীম ডাকছো কেনো? মীম: দেখোনা বদমাশ ছেলেটা আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। রাসেল: সৌরভ তুমি মীমকে ধাক্কা দিলে কেনো? আমি: দেখুন স্যার আমি ইচ্ছে করে দেয়নি মিষ্টিক হয়ে গেছে। এবারের মত ক্ষমা করে দেন। মীম: এরপর যদি আমাকে আর ফলো করিস তাহলে খুন করে ফেলবো। আমি: সরি মেম আর কোনদিন এমন হবে না। আবির চল যায় আমরা চলে আসলাম। আবির: মেয়েটা কে? আমি: মীম আমার স্ত্রী। আবির: এই মেয়েটাকে তুই চোখ দিয়েছিস দ্বাড়া এখনি জবাবটা দিয়ে দেই। আমি: প্লিজ আবির চল। তারপর আবিরকে বুজিয়ে আমরা চলে আসতেছি। তখনি ডাক্তরের সাথে দেখা। আমি: ডক্টর আঙ্কেল কেমন আছেন? ডাক্তার: ভালো তুমি কেমন আছো আর সৌরভ এই হচ্ছে আমার মেয়ে শ্যালো আর নাও কার্ড আমার মেয়ের বিয়ে সামনে বুধবার। আর শ্যালো আমি তোমাকে ওর কথা বলছিলাম। যে তার স্ত্রীকে একটা চোখ দান করছে। শ্যালো আমার দিকে তাকিয়ে আছে তখনি আমি বলি,,, আমি: কেমন আছেন আপনি? শ্যালো: ভালো আপনি কেমন আছেন? আমি: এইত খুব ভালো। ডাক্তার: ওকে যায় আর বাবা তুমি আসবে কিন্তু? আমি: হ্যা আসবো আবিরকে নিয়া তারাতারি বের হয়ে গেলাম। কারন মীম আছে এখানে যদি শ্যালোর সাথে দেখা হয়ে যায়। তাহলে সবকিছু শেষ মীম অনেক কষ্ট পাবে। আবির: এত তারাতারি আসলি কেনো? আমি: শুন আবির কাল আমি চট্রগ্রাম চলে যাবো। আর ঢাকা আসবোনা তখনি মোবাইল বেজে ওঠলো। বের করে দেখি আম্মুর নাম্বার রিসিব করতেই। আম্মু: সৌরভ মীমের সাথে নাকি তোর ডির্ভোস হয়ে গেছে। এইটা মীমের মা আমাকে কল করে যাতা ব্যাবহার করছে। আর তুর আব্বুকে কল করছিলো মীমের বাবা কিসব ব্যাবহার করলো।
আমি: আম্মু তুমি যা শোনেছো সবটা সত্যি নয়। আমি তোমাকে বলছি, তারপর আম্মুকে সবকিছু প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বললাম। (তবে আমি যে ডির্ভোসের কাগজে সাইন করিনি এইটা আম্মুকে বলিনি) তখন আম্মু: তুই বাড়ীতে আয় তুকে আমরা আবার বিয়ে করাবো। আমি: এখন না আম্মু পড়ে করবো আগে আমি চট্রগ্রাম যাবো। আম্মু: ঠিক আছে আর তুই মীমের সাথে কথা বলবিনা বলে দিলাম। আমি: আচ্ছা বলবোনা যাক ভালোই হয়ছে সবাই যেনে গেছে ডির্ভোসের কথা (কিন্তু মীম কি কাগজ গুলো দেখেনি নাকি? মনে মনে কথা গুলো ভাবতেছি) আবির: চল বাসায় যাই আমি: হ্যা চল বাসায় আসলাম তখনি একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলো। রিসিব করতেই একটা মেয়েলি কন্ট। বলে ভাইয়া কালতো মীমের বিয়ে রাসেলের সাথে আপনি যানেনি,,? আমি: কে আপনি? আর মীমের বিয়ে হলে আমি কি করবো? মেয়ে: আমি মীমের বান্ধবী অনেক কষ্টে আপনার নাম্বারটা সংগ্রহ করছি। শুধু একটা কথা বলার জন্য,, আমি: কি কথা বলেন? মেয়ে: রাসেল ছেলেটা একটুও ভালোনা। মীমের আগে অনেক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করছে। আমি: এখন আমি কি করবো যে যাকে চাই আর আমি মীমকে ভালোবাসিনা। মেয়ে: আমি জানি আপনি মীমকে অনেক ভালোবাসেন। আমি: জানলে বসে বসে মুরি খান। বলে কলটা কেটে বিছানাই খাঠের উপর শুয়ে পড়লাম। আর কখন ঘুমিয়ে গেলাম মনে নাই। সকালে আজান শুনে ঘুম ভাঙলো নামায পড়ে আবার রুমে আসলাম। এসে একটু ঘুমাতে যাবো তখনি মোবাইল বেজে ওঠছে। দেখি শ্যালোর নাম্বার রিসিব করতে মন চাইনি তাও রিসিব করলাম। শ্যালো: কেমন আছো সৌরভ? আমি: ভালো কেনো কল করছো? শ্যালো: এমনি তোমার চিঠিটা পেলাম যখন, তখন সত্যি মনে হলো আমি কি হারিয়েছি। তবে আজ যখন আব্বু বলছে, তুমি মীমকে একটা চোখ দিয়েছো। তখনি মনে হলো তুমি মীমকে অনেক ভালোবাসে। তোমরা দুজনে অনেক সূখে থাকবে। আমি: কাল মীমের বিয়ে রাসেলের সাথে আর মীম ডির্ভোস দিয়ে দিয়েছে আমাকে। শ্যালো: কি বলো তুমি মীম তোমাকে ডির্ভোস দিতে পারলো তুমি কিছু বলনি? আমি: কেন পারবেনা? কারন রাসেল ওকে আমার থেকে বেশা লাভ করে। আচ্ছা রাখি আমি আজ চট্রগ্রাম চলে যাবো। আর কোনদিন আসবোনা। শ্যালো: আমি মীমকে সব বলে দেবো মীমকে। আমি: তুমি যদি আমাকে একটু খানি ভালোবেসে থাকো। তার বিনিময়ে হলেও মীমকে কিছু বলবেনা প্লিজ। শ্যালো: আচ্ছা তুমি ডির্ভোসের কাগজ হাতে পাইছো? আমি: না এখনো হাতে এসে পৌছায়নি। শ্যালো: তাহলে তুমি মেনে নিলে কি করে? আমি: কাগজ কি সব তাহলে মন বলে কিছু থাকতোনা আচ্ছা বাদ দাও এসব। এখন রাখি কল কেটে দিলাম আমি। কিছুক্ষন পর ফ্রেস হয়ে নিলাম আজ চট্রগ্রাম যাবো ভালোই লাগছে। সন্ধায় রেডি হয়ে আবিরকে বলে বাসা থেকে বের হলাম। একটা রিক্সসা করে কমলাপুর রেলষ্টসনে আসলাম। ট্রেনের টিকেট কাটলাম ট্রেনের ভীতর এসে বসলাম। ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে ঝক ঝক শব্দটা ভালোই লাগছে। তবে মীমের কথা গুলি বেশি মনে পড়ছে আর আজকে তো মীমের আবার বিয়ে হওয়ার কথা। To be continue,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে